Thursday 4 May 2017

ব্রাহ্মণ্যবাদীরা ৬৫ বছর পরও বাংলাদেশের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়!



ব্রাহ্মণ্যবাদীরা ৬৫ বছর পরও বাংলাদেশের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়!

-মুহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন চৌধুরী
 শনিবার ৩১ মার্চ ২০১২ | দৈনিক সংগ্রাম

স্বাধীনতার ৪১তম বছর সামনে রেখে ব্রাহ্মণ্যবাদী চক্রের সাথে সাম্রাজ্যবাদীরা নানা চক্রান্তে মেতে উঠেছে। প্রসঙ্গক্রমে বলতেই হয় শ্যামা মুখার্জী বাংলার বিভক্তি চেয়েছছিলেন দুটি কারণে; এক ‘‘অবিভক্ত বাংলায়’’ তার কথায় নিম্নবর্ণের হিন্দুদের ধর্মান্তরকরণের ফলে যেভাবে জনসমষ্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মুসলমান হয়েছে তাদের আধিপত্য অসহ্য নয় কী ? দুই বাংলা যদি বিভক্ত হয়, তাহলে বিতর্কিত রাষ্ট্র হিসাবে পূর্ববাংলা দুই বা ততোধিক মাসও টিকে থাকবে না। (If Bengal were partitioned it would not be possible for east Bengal to exist as a hostile state even for two to three months star of India 24 May 1947) ইতিহাসের পাতা পিছনে উল্টাতে না পারলে এবং আজকের প্রজন্মকে তা জানাতে ব্যর্থ হলে শ্যামা প্রসাদ মুখার্জীর মন্তব্য বাস্তবে রূপ দিতে ব্রাহ্মণ্যবাদী আগ্রাসী চক্র নানাভাবে বিভক্তির ষড়যন্ত্র করেই যাবে। বঙ্গীয় মুসলিম লীগ ও বঙ্গীয় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ অখন্ড বঙ্গদেশ আন্দোলনের সূচনা করলে কিছুসংখ্যক বাঙ্গালী নেতা এবং সর্বভারতীয় অ-বাঙ্গালী নেতৃত্ব এর বিরোধিতা করেন। হিন্দু মহাসভা নেতা শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী ১৯৪৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতির মাধ্যমে বঙ্গভঙ্গের দাবি করেন। ৫ এপ্রিল তারকেশ্বরে তিনি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা সমন্বয়ে হিন্দু বাংলা গঠনের দাবি করেন। উক্ত দাবির পক্ষে মত প্রকাশ করে সর্বভারতীয় নেতা আচার্য কৃপানলী বিবৃতি দেন ১৯৪৭ সালের মার্চে জওহরলাল নেহেরু পুরুষোত্তম দাস ট্রান্ডল, সরদার, বল্লভভাই প্যাটেল বাংলাকে বিভক্ত করার ধারাকে সর্বভারতীয় হিন্দু দাবিতে রূপান্তরিত করেন। ইতিহাসের এক নির্মম পরিহাস ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করার জন্য বাংলার ভেতরে এবং সর্বভারতীয় পর্যায়ে যারা এক অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে সরকারকে বাধ্য করেন, তারাই এবার বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের নেতৃত্বে এগিয়ে এলেন।

 বঙ্গীয় হিন্দু মুসলিম নেতারা বাংলাকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস পেয়েছিলেন বাংলার দূরদর্শী বিচক্ষণ নেতা চিত্তরঞ্জন দাসের সময় থেকে। তিনি বেঙ্গল প্যাক্ট তৈরি করে এগিয়ে আসেন। এবার বঙ্গীয় কংগ্রেস নেতা সুরেন্দ্র মোহন ঘোষ ও কিরণ চন্দ্র রায় প্রমুখ নেতা এগিয়ে এসে হাত মেলালেন সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিম সাহেবের সাথে কিন্তু তা সফল হয়নি! মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, এ ক্ষেত্রে তার কোন আপত্তি নাই কিন্তু তথাকথিত মহাত্মা গান্ধী, শরৎচন্দ্র বসুর লিখিত পত্রের উত্তরে বলেন, ‘‘ অখন্ড বঙ্গদেশ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা আপনার ত্যাগ করা উচিত।’’ অবিভক্ত বাংলার প্রস্তাবকে একটি কৌশল হিসাবে চিহ্নিত করে ১৯৪৭ সালের ২৩ মে প্যাটেল লিখেছিলেন ‘‘ বাংলার অ-মুসলিম জনসমষ্টিকে বাঁচাবার জন্য বাংলার বিভক্তিকরণ অপরিহার্য’’ ( Bengal has got to be partitioned if the Non-Muslim population has to survive ) আর এ দর্শনকে সামনে রেখে নির্দ্বিধায় হিন্দু- মুসলিম (রাইয়েট) সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো হয়। মুসলিম গণহত্যা ও নারীদের গণধর্ষণ করে তাদের স্তনকে কেটে বল খেলার মত বর্বর আচরণ করে। মুসলিম নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারে ব্রাহ্মণ্যবাদী চক্রের নেতা মহাত্মা গান্ধী ক্ষমতা নিতে মুসলিম জাতিকে বিভক্ত করতে দাঙ্গা বাধিয়েছে। তার ফলশ্রুতিতে মহাত্মা গান্ধীদের প্রভু বৃটিশ ভারতবর্ষকে তিন খন্ড করে। অসম ভারত খন্ডেও মহাত্মা গান্ধী আশ্বস্ত থাকতে না পেরে চক্রান্তের মাধ্যমে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের লেজ লাগিয়ে দেয়। তাদের ধারণা ছিল বাঙ্গালীরা পাকিস্তান থেকে ৩/৪ মাসের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে আবার ভারতের সাথে একীভূত হবে। যখন তাদের স্বপ্ন ভেস্তে গেলো গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাকে অস্থির করে তোলার ষড়যন্ত্রে মনোনিবেশ করে।

কিন্তু বাঙ্গালী মুসলমানদের নেতা মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কাগমারীর সম্মেলনে চীনের সাথে বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তানের বিদায়ী বার্তা জানিয়ে দেয়। কিন্তু ধূর্ত গান্ধী পরিবার ভৌগোলিক কারণেই বাংলাদেশকে তাদের আয়ত্তে নিতে নানা কৌশল অবলম্বন করে। এভাবেই ২৪ বছর ধরে ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারত পাকিস্তানী গোয়েন্দা ও বাংলাদেশী গোয়েন্দাদের মধ্যে তাদের অনুচর প্রবেশ করাতে শুরু করে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র ৬৫ বছরের মধ্যে সফল হয় নাই কিন্তু বঙ্গদেশ শেষ পর্যন্ত বিভক্ত হয়। পূর্ববাংলা পূর্ব পাকিস্তানরূপে টিকে থাকে ২৪ বছর। পাকিস্তানের জ্বলন্ত জঠর থেকে পূর্ব পাকিস্তান প্রাণ পেয়েছে বাংলাদেশরূপে। মুখার্জীর ভবিষ্যৎ বাণী মিথ্যা প্রমাণিত করে স্বাধীন বাংলাদেশও টিকে রয়েছে এবং টিকে থাকবে। কিন্তু মুখার্জীর উত্তরসূরীরা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা রূপকার স্থপতি মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে পশ্চিমাদের থেকে বাংলাদেশীদের পৃথক করতে গিয়ে ভারতে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়। সেখানে তিনি বলেছেন পিন্ডির জিঞ্জিরমুক্ত হয়ে দিল্লীর জিঞ্জির পরানোর ষড়যন্ত্র চলছে, তা প্রতিহত করতে সব সময় সাবধান থাকতে হবে। বিজয় অর্জনের পর পাকিস্তান থেকে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত! তিনি ভারত সরকারের গোয়েন্দা নজরদারীতেই ছিলেন। যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার আগেই ১৯৭১ সালে মার্চের ২ তারিখের গভীর রাতে ইন্ডিয়া থেকে জীবন বাঁচাতে আসা উর্দুভাষীদের নির্বিচারে গণহত্যা ও গণধর্ষণ করেই স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতির আগেই ঐক্যের বিভক্তি করে অজ্ঞরা! তারপরও বেশ কিছু উর্দুভাষী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ব্রাহ্মণ্যবাদীদের ষড়যন্ত্রের চায়নিজপন্থী বাম রাজনীতিবিদ আল্লাহ এবং রাসুল (সাঃ) প্রদত্ত শাসন প্রতিষ্ঠার প্রকৃত ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে।

ভারত যার কারণে গণচীনের অনুসারী ও ইসলামপন্থীদের জন্য ভারত মরণ ফাঁদ হিসাবে দেখা দেয়। তার অন্যতম দৃষ্টান্ত ন্যাপের সর্বশেষ সভাপতি পরবর্তীতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা সিনিয়র মিনিস্টার মরহুম মশিউর রহমান যাদু মিয়াকে জীবন রক্ষায় ভারত থেকে দেশে ফিরে স্বাধীনতা যুদ্ধের কাজ করতে হয়। এমন অনেক আলেম সমাজকে জোর করে ভারত থেকে পূর্ব বাংলায় ফেরত পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে! ইতোপূর্বে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী শাসক মহলের সাথে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আলোচনায় বসেন। পাক শাসকরা পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে! ফলপ্রসূ হচ্ছে! পাক হায়েনারা যখন শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে পাকিস্তানের দিকে রওনা দেন, জাতি তখন নেতৃত্বশূন্য কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সফল বাঙ্গালী মেজর জিয়া সেনাবাহিনীর শপথের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের মাধ্যমে জাতির পাশে এসে আবারও দাঁড়ান। তারপর চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রশিক্ষিত পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন পর্যন্ত যুদ্ধ ময়দানে অবস্থান করেন। দেশ স্বাধীনের পর মেজর জিয়া দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠন শুরু করেন। ভারত এ যাত্রাতেও বাংলাদেশীদের মেধার কাছে হার মানতে বাধ্য হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। ব্রাহ্মণ্যবাদ চক্র এবার বাংলাদেশের প্রতিবিপ্লবীদের দিয়ে দেশে সশস্ত্র বিপ্লবের নামে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের রক্ষীবাহিনী লাল বাহিনীসহ নানা বাহিনীর হাতে দেশের ৩০ হাজার চৌকস তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন যুবক হত্যা করায়।

 তাতেও যখন তারা সাফল্যের কোন সম্ভাবনা দেখতে পায় না তখন গোটা দেশকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বানিয়ে তার উপর মুসলিম বাংলার জনগণকে বসবাস করতে বাধ্য করে। জনরোষ যখন ভারতের বিরুদ্ধে উচ্ছবসিত হতে শুরু হয় তখনই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তার ঘাড়ে বন্দুক রেখে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দ্বারা হৃদয়বিদারক ঘটনার মাধ্যমে আত্মত্যাগী বাঙ্গালীদের চিন্তার পরিবর্তন ঘটায়। সেনাবাহিনীর চৌকস কর্মকর্তাদের শায়েস্তা শুরু করে! ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসায়। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করেই ঘুমন্ত জাতিকে আবার মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার মতই দেশ গড়ার কাজে অংশ গ্রহণের উদাত্ত আহবান জানান। তার আহবানে গোটা জাতি ইসলামী চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশ গড়ায় আত্মনিয়োগ করেন। একদলীয় শাসনের অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। মিডিয়া বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পরিবেশ সৃষ্টি করেন। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণ মুক্ত করে চেইন অব কমান্ড বা শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন।

দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জবাবদিহিতার মধ্যে এনে তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের পরিবেশ নিশ্চিত করেন! কিন্তু ব্রাহ্মণ্যবাদী চক্র বুঝতে পারে তাদের স্বপ্ন ভেস্তে যাচ্ছে! তাই চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে তাকে হত্যা করে ক্ষমতার পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হয়ে পর্দার আড়ালে ক্ষমতালি≈vকে রেখে দেয়! বিচারপতি আব্দুস সাত্তার জনগণের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সম্প্রতি ব্রাহ্মণ্যবাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দাবিদার সাবেক সেনা প্রধান এইচ এম এরশাদ তখন জোর করে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেন! আওয়ামী লীগ এইচ এম এরশাদকে সাধুবাদ জানায়। সুদীর্ঘ সময় গৃহবধূ থাকা শহীদ জিয়ার সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ঘর থেকে বের করে এনে জাতির সিপাহসালারের রাজনীতিতে আসা বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন যখন সাফল্যের পথে তখনই রাতের অন্ধকারে জামায়াতকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। কথিত আছে, আওয়ামী লীগের চাল-চলনে জামায়াতের মনে সন্দেহ দেখা দেয় মুসলিম বাংলার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে। তাই তখনই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্রপ্রহরী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন জোটের সাথে জামাত জোটবদ্ধ হয়।

 তখনই দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুত থাকা কথিত বুদ্ধিজীবীরা বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে নানা অবাস্তব বক্তব্য দিতে শুরু করে। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় শুধু হামলা করে নাই! বরং নীল নক্সা অনুযায়ী ক্ষমতায় এসে হত্যা, মামলা প্রত্যাহার করে বিচারপতি নিয়োগ! '৯৬-এর শাসন আমলে এপিপি যিনি সোনা চোরাকারবারী বলে পরিচিত তাকেও বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতেও পুরো বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করে ফেলে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাবমূর্তি ধ্বংস করতে নানা কৌশল অবলম্বন করে! বন্ধুবেশী আগ্রাসী শক্তির কাছে বাংলাদেশের জনগণের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে বন্ধুর তৈরি এবং মুসলিম লেবাসধারী জঙ্গি সন্ত্রাসীদের দ্বারা অকার্যকর রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করে প্রকৃত বন্ধুদের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। ভারতের ভিতরে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে যারা গিয়ে আশ্রয় নেয় তাদের ব্যাপারে সম্প্রতি বিজিবি প্রধান তুলে ধরতে ব্যর্থ হলেও তাদের গোয়েন্দা সংস্থার অসত্য প্রতিবেদনকে স্বীকার করে নেয়ার মধ্য দিয়ে সীমান্ত অরক্ষিত করার পরোক্ষ অনুমোদন দিয়ে আসতে হয়েছে। ব্রাহ্মণ্যবাদী চক্র এবার মরণ কামড় দিতে চায় যে কোন উপায়ে তারা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নানা অজুহাতে দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী, মেধা সম্পন্ন রাজনীতিবিদ ও প্রতিরক্ষা বিভাগ, গণমাধ্যম ধ্বংস করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে নিজের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কথা বলেন।

পাশাপাশি পরোক্ষভাবে মিডিয়াকে সূক্ষ্ম হুমকি প্রদান করতেও ভুলেন নাই! তিনি যদি আদালতের প্রতি সত্যিই শ্রদ্ধাশীল হতেন, তাহলে আরো দুই বার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন বহাল রেখে সংবিধান সংশোধন করতেন! তারপর আদালতের রায়ে ইতিহাস লেখার নজির পৃথিবীর কোন দেশেই নাই! বরং আদালতের বিচার পর্যালোচনার ইতিহাস রয়েছে। ফ্যাসিস্ট শাসকের বিপক্ষে যেতে সাহস পায় নাই সক্রেটিসের বিচার যারা করেছেন। কিন্তু যারা বিচারক হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন তারা ফ্যাসিস্ট শাসকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছেন! বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি পক্ষপাতমূলক রায় দিয়েছেন তার যৌক্তিক নিদর্শন হচ্ছে গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি ড. কামাল হোসেন-এর প্রণীত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ যা শাসকগণ জনগণের স্বার্থ পরিপন্থী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়ে ভোটে দিলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জনগণের পক্ষে এবং আইন প্রণয়নকারী নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে। এ অংশ জনগণের বিপক্ষে কিন্তু শাসক মহলকে ফ্যাসিস্ট করতে সাহায্য করে বলে আদালত কিংবা মহাজোট সংবিধান থেকে বাতিল বা প্রত্যাহার করে নাই। পুলিশের কনস্টেবল থেকে শুরু করে ফ্যাসিস্ট শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আদালতের প্রসঙ্গ উঠলেই দুইজন বিতর্কিত ব্যক্তি আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার অপেক্ষায় থাকেন! এমন মন্তব্য সর্বস্তরে তাদের কার্যক্রম যেন গোটা জনগণ বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারায় এমন! জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিরোধী দলের চিফ হুইপকে পশুর মত রাজপথে পিটিয়ে শাসকজোট থেকে পুরস্কৃত হয়।

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মানবতাবিরোধী, অস্ত্র মামলা, বোমা হামলায় জড়ানোর পার্শবপ্রতিক্রিয়া ক্ষমতাচ্যুত হলেই জনগণের অর্থে পালিত শাসক জোট কর্তৃক ফ্যাসিবাদ আচরণের কারণে পুরস্কারপ্রাপ্তরা বলার আগেই একইভাবে মামলা-হামলা করবে না তার নিশ্চয়তা কি শাসক জোট পেয়েছেন ? জাতির ক্রান্তিকালের সাহসী কলম সৈনিক মাহমুদুর রহমানকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়, দেশের বিশিষ্ট প্রবীণ সাংবাদিক বৃদ্ধিজীবী দৈনিক সংগ্রাম-এর সম্পাদক আবুল আসাদকে গ্রেফতার ও নির্যাতনের লক্ষ্যে রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে দক্ষ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্যর্থ। সৌদি কূটনীতিক হত্যার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে এখন পর্যন্ত সক্ষম হয় নাই। পিরোজপুরের সাংবাদিকরা শাসক জোটের সংসদ সদস্যের অপকর্ম সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ করলে তাদের কচুকাটা করার হুমকি দিলেও শাসক জোট এখনো হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে সক্ষম হয় নাই। অপরদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট শাসন আমলে দশ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র আটক হয়েছে! ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সহযোগিতা না পেয়ে প্রকৃত আসামীদের চিহ্নিত করতে পারে নাই। তথাকথিত জঙ্গি বাংলা ভাইদের চিহ্নিত করে বিচারের ব্যবস্থা করতে তখন সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকায় দেশবাসীর আশীর্বাদ পেয়েছিল র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব গ্রেফতার করে! আজকে সেই র‌্যাবকেই বিতর্কিত করে ফেলা হয়েছে! শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। গত তিন বছরে চাঞ্চল্যকর ও সাধারণ হত্যা, গুম, খুন, অপহরণসহ সমাজ বিরোধীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের সাফল্য অর্জন করেছে এমন নজির হাতে গুণে বের করা যাবে। তেমনি ব্রাহ্মণ্যবাদী স্বার্থ রক্ষায় শাসক জোটের আন্তরিকতার কোন অভাব নাই। তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে গিয়ে রাষ্ট্র আজ মানবাধিকার লংঘন করে চলছে। সম্প্রতি ফার্মগেট থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে যেতে চয়েজ নামের পরিবহনে উঠি। আমার সামনে বসা দু'জন মধ্যবয়সী ভদ্রলোক মনে হলো তারা দু'জনই আওয়ামী লীগের সমর্থক! তাদের নিজেদের মধ্যে গালগল্প চলছিল। হঠাৎ করে সেটার পরিবর্তন, পত্রিকার সংবাদ দেখে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন।

 এ সংবাদ পড়ে তারা কিছুক্ষণ নীরব হয়ে তার পরে তারা বলে এ যে অপকালচার শুরু হলো সুস্থ ও মেধা সম্পন্ন ব্যক্তিরা রাজনীতি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিবে। অপরজন বললেন, আমি কসম করে বলছি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তার মুখ থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে শুধু ধর্মীয় মূল্যবোধের রাজনীতির কথা বললে তিনিও বিশেষ মহলের কাছে মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী হিসাবে চিহ্নিত হবেন ! আর এমন মামলায়ই অভিযুক্তও হবেন! প্রধানমন্ত্রীর মনে থাকার কথা কথিত ইসলামী ঐক্য জোটের আহবায়ক মেজবাহুর রহমানের সাথে চুক্তির প্রচার হওয়ার পর পর্দার আড়ালের মহল কেমন প্রচার-অপপ্রচারে নেমেছিল। আর বেগম জিয়াতো ইসলামের মূল ধারার সাথে জোটবদ্ধ। তাই তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদেরকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছেই! এর পর তারা বলতে থাকেন তাহলে কি ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বক্তব্যের বদলা নিতে পেরে আমি শান্তি অনুভব করছি এটাই সত্য হতে যাচ্ছে। তাদের আলোচনায় বেরিয়ে আসে প্রধানমন্ত্রীর উচিৎ রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় সংকট মোকাবেলায় বিশেষ কিছু বিষয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

দেশ এখন নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। ঢাল-তলোয়ার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। তাদের এ বক্তব্য শুনতে শুনতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কাছে গিয়ে বাস থেকে নেমে পড়ি। তারপর অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখতে পাই ১৯২৮ সালে ভারতে হিন্দু মহাসভার জন্ম ইতিহাস। হিন্দু মহাসভার জন্ম হলে জন্মক্ষণ থেকেই সেই সংগঠনটি প্রচার করতে থাকে যে, ভারতবর্ষ হিন্দুদের জন্য! তাদের পিতৃভূমি ও পবিত্রস্থান এটি এবং এটি এমন দেশ, যেখানে শুধু হিন্দুদের স্বার্থ সংরক্ষিত থাকবে। ভারতে শুধুমাত্র একটি জাতি রয়েছে এবং তা হলো হিন্দু জাতি। মুসলমানরা একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং অখন্ড ভারতে এভাবেই তাদের অবস্থান চিহ্নিত হবে। (Al India is Hindustan the land of the Hindus, at once their fatherland and holy land and the only land with which Hindus, unlike Moslems are concerned, that there is only one nation in India the Hindu nation and that the Moslems are only a minority community, and as such must take their place in a single Indian state- K.K Aziz, 1979 Delli; 861  হিন্দু ব্রাহ্মণদের এ মানসিকতা তৈরির পিছনে যে কারণটি কাজ করছে তা হচ্ছে তারা দীর্ঘ দিন ধরে নিম্নবর্ণের হিন্দুদের সাথে অমানবিক আচরণ করে আসছে। ইসলাম প্রচারকরা এ অঞ্চলে এসে ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে যে মহত্ত্বের বাণী শুনিয়েছে আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি কোন মানুষের মধ্যে পার্থক্য নাই। তাদের চালচলন, আচার-আচরণ দেখে নিম্নবর্ণের হিন্দুরা এক আল্লাহর গোলাম হিসাবে ঘোষণা দিতে কালেমা লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ পাঠ করে মুসলমান হতে শুরু করে।

 মানুষবেশি ঐ বিশেষ গোষ্ঠী তখন নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার নিম্নবর্ণের হিন্দুদের নানা প্রলোভন দেখানো শুরু করে। তাতেও কোন কাজ না হওয়ায় তাদের পশু চরিত্রকে কেউ আজও বিশ্বাস করতে পারে না! অথচ আজকে অনেকেই ইসলামী আন্দোলন করে ব্যবসা-বাণিজ্যে ইসলামবিদ্বেষী মহলকে সহযোগিতা করতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালার দুশমনরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠায় অপপ্রচার বৃদ্ধি পেয়েছে। আল্লাহ এবং রাসুল (সাঃ) বিদ্বেষীদের সাহায্যকারীরা ইসলামী আন্দোলনের পিঠে ছুরিকাঘাত করছে। মুনাফেকদের থেকে সাবধান থাকতে খোদ আল্লাহ পাক নির্দেশ দিয়েছেন। কোন অমুসলিম ও মুনাফেক মুসলমানদের বন্ধু হতে পারে না কিংবা তাদের মঙ্গল চাইতে পারে না! ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে মুনাফেকদের কোন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা প্রশ্রয় দিতে পারে না। তারপরও দিচ্ছে এজন্য কষ্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রীতদাস প্রথা চালু করার ষড়যন্ত্র চলছে। যারা বিশ্বাস করেন আল্লাহ পাকই ইজ্জৎ এবং নিরাপত্তা দিতে পারেন যদি তার প্রকৃত গোলাম হওয়া যায়। তাহলে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যে সব গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠু তথ্য প্রচার করছে তাদের স্বেচ্ছায় সকল প্রকার সহযোগিতা করে প্রচারণা অব্যাহত রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা ঈমানী দায়িত্ব হয়ে পড়েছে।

তা না হলে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব লুণ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রচারণা ইসলামের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বা নির্দেশনা। আজকে সেই প্রচারণায় ইসলামবিদ্বেষী মহল গুরুত্ব দেয়ায় মানুষ বিভ্রান্তের শিকার হচ্ছে। যাদের অর্থ আছে এবং আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর গোলাম হিসাবে পরিচয় দেওয়ার মানসিকতা রয়েছে, তাদের কর্তব্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনকারীদের জানমাল তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা।  তাহলেই আল্লাহ তায়ালার রহমতে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মানবিক, নাগরিক, ন্যয়বিচার ও আইনের অধিকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি ব্রাহ্মণ্যবাদের চক্রান্তের যারা শিকার হয়ে বিচ্ছিন্নভাবে কর্মসূচি দিচ্ছে, তাদের পৃথক পরিচয় বাদ দিয়ে জোটগত পরিচয় সকল প্রকার প্রতিবাদ প্রচারণা করতে হবে। চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন অনেক বিষয়ে দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হওয়ায় আজ আধিপত্যবাদী গোষ্ঠী আগ্রাসন করার সুযোগ পাচ্ছে। পৃথক পৃথক ভাবে চলতে থাকলে শুধু স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হবে না বরং জোটের দক্ষ চৌকস বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হারাতে হবে। আল্লাহ পাক ইয়াজীদের উত্তরসূরীদের হাত থেকে মুসলিম বিশ্বকে নিশ্চয়ই রক্ষা করবেন! যদি তারা শিয়া-সুন্নীসহ ইহুদী কর্তৃক যে সব কৌশল অবলম্বন করে মুসলমানদের বিভক্ত করেছে! তা থেকে মুসলিম নেতৃবৃন্দ নিজেদের মুক্ত করে আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর দেখানো পথ ঐক্যবদ্ধ ভাবে অনুসরণ করেন। তানা হলে ইহুদীবাদ ও ব্রাহ্মণ্যবাদের আগ্রাসী মানসিকতার কারণে মুসলিম জাতিকে কঠিন মূল্য দিতে প্রস্তুত হতে হবে। তা থেকে ক্ষমতালোভী নেতারাও মুক্তি পাবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহকে যারা মালিক অথবা প্রভু হিসাবে স্বীকার করে তাদের ঐক্য হবেই। আল্লাহ আমাদের জালেমের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করবেন। বিশ্বের ন্যায়বিচার ও শান্তি বিঘ্নকারী মুশরেক মুনাফেক ও ইহুদীদের পরাজয় হবেই। তবে মানবতার দুশমনদের মামলা প্রত্যাহার করে পুরস্কৃত করা হচ্ছে আর মানবতা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় যারা কাজ করেছে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে পদে পদে মিথ্যা মামলা দিয়ে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে আবার জেলগেটে আটক করে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়ার সাহস দেখে অনেকের মন্তব্য করতে দেখা গেছে তাহলে কী বিচার বিভাগ আজ অসহায়? এ অসহায়ত্বের অবস্থায় পরিবর্তন আনতে বিচারকদের মেরুদন্ড শক্ত করার ওপরে অনেকে গুরুত্ব আরোপ করে। তানা হলে শাসক জোট চাইলে তাদেরও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হবে না এমন নিশ্চয়তা কি কেউ দিতে পারবেন? বাংলাদেশে ব্রাহ্মণ্যবাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সকল ভেদাভেদ ভুলে স্বাধীনতা সংগ্রামের মতো এক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দিল্লীর ষড়যন্ত্র রুখে বাংলাদেশে মানুষের নাগরিক. মানবিক, আইনী ও ন্যায়বিচারের অধিকার নিশ্চিত করতে।

লেখক : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মফস্বল মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম

প্রধান সম্পাদক, দৈনিক শিকল
http://www.dailysangram.com/post/81468-ব্রাহ্মণ্যবাদীরা-৬৫-বছর-পরও-বাংলাদেশের-উপর-কর্তৃত্ব-প্রতিষ্ঠা-করতে-চায়--মুহাম্মদ-সাখাওয়াৎ-হোসেন-চৌধুরী

No comments:

Post a Comment