আমাদের বিবেক কি আছে ? আছে কিন্তু মানসিক বিকারগ্রস্ত ।
একবার এক কবির কবিতা পড়েছিলাম। তাও আবার আজ থেকে ১৬ বছর আগে। কবিতাটার কয়েকটা লাইন ছিলো এমন, কুকুরকে বিশ্বাস করলেও মানুষ আজ আর বিশ্বাস করে না মানুষকে মানুষই মানুষের বুক ঝঁাঝরা করে রক্তের ফোয়ারাই তৃপ্তির ডেকুর তোলে নীতি ও নৈতিকতার লেবাস খুলে সারা অঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছে প্রতারণার বেড়ী হায় মানুষের আজ কি দূর্দিন দূঃসম কবির কথা গুলো আজও আমার কানেবাজে।
বিবেক সম্পর্কে বলার আগে বাংলাভাষায় বিবেকের প্রতিশব্দ গুলো জেনে নেয়,ন্যায়পরতা সুনীতি নীতি অন্তঃকরণ চৈতন্য সাধুতা বিচারবুদ্ধি ধর্মবুদ্ধি ন্যায়বোধ নীতিবোধ ইত্যাদি।
এক কথায় বলতে গেলে সুস্হ বিবেক বা ন্যায়নীতি সম্পূর্ণ মানুষ। এখন প্রশ্ন হলো আমরা কি আদিম যুগের মানুষের চেয়ে বেশি সভ্য না অসভ্য। আমরা আজ নিজেদের কে আধুনিক সভ্যতা প্রগতির জীব বলে দাবী করি। কিন্তু আমাদেরকে এই আধুনিকতা কতটা সভ্য করতে পেরেছে?
আমরা কি নারীর প্রতি লুলুপ দৃষ্টিতে তাকায় না?একবারও কি বিবেকে প্রশ্ন করেছি এরা কি আমার মা বোন বা স্ত্রী_ কন্যার মতো নয় কি। অর্থ আর সম্পত্তির লোভে ভাই বোন পিতা মাতা পুত্র কন্যা স্বামী স্ত্রীসহ মানুষকে হত্যা করছি! বন্ধু ভাই বা প্রতিবেশীর স্ত্রী কন্যাকে আমাদের বিকৃত যৌন লালসার বস্তু বানাচ্ছি। মিথ্যা প্রতারণা শঠতা ঘুষ আমাদেরকে ঘিরে ধরেছে। একবারও কি আমরা চিন্তা করেছি এসব আমার নিজের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে। যে ক্ষতি আমি অন্যদের করছি। একেই কি বলে আমরা সভ্য? এ কোন আধুনিক সভ্যতায় আমরা এসে পড়েছি। সভ্যতা কি আমাদের বিবেকে পশু বানিয়ে দিচ্ছে নয় কি? যাকে বলে মানসিক বিকারগ্রস্ত।
নিজের বিবককে জাগ্রত করতে হবে। একমাত্র ধর্মীয় মূল্যবোধকে লালন পালন আর সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের বিবেককে চির জাগ্রত করতে পারি। আর সামাজিক পারিবারিক জীবনকে সুন্দর করতে পারি।
আসুন আমরা আমাদের বিবেককে পশুত্বে না নামিয়ে, বিবেককে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করি। এই জন্যেই আমি রাসুল সা: এর জীবনার্দশ কে জীবনের মূল মন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছি। বিশ্বাস করেন রাসুল সা: এর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমেই চিত্তের প্রশান্তি পাওয়া যায় ।
No comments:
Post a Comment