Thursday 22 June 2017

পলাশী যুদ্ধের নেপথ্যকথা


পলাশী যুদ্ধের নেপথ্যকথা
আসকার ইবনে শাইখ

পলাশীর যুদ্ধকে প্রায় সবাই বলেন, ‘প্রহসন’। সেই দিনটি ছিল ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন। পলাশীর যুদ্ধে বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার বাহিনীকে ‘পরাজিত’ করেছিল ইংরেজ বেনিয়া কোম্পানির অধিনায়ক রবার্ট কাইভের বাহিনী। ইংরেজ ঐতিহাসিক লে. কর্নেল ম্যালিসনের মতে, নবাব বাহিনীতে ছিল ৩৫ হাজার পদাতিক সিপাহি, ১৫ হাজার অশ্বারোহী সেনা এবং ৫৩টি কামান; ঐতিহাসিক ওর্মির মতে, ৫০ হাজার পদাতিক, ১৪ হাজার অশ্বারোহী এবং ৫০টি কামান, আর স্ক্রাফটনের মতে ৫০ হাজার পদাতিক, ১৫ হাজার অশ্বারোহী এবং ৫০টি কামান। অপর দিকে, কোম্পানি বাহিনীতে ছিল ৯ হাজার ইউরোপীয় সৈন্য, ১০০ তোপাসী এবং দুই হাজার দেশীয় সিপাহি। স্পষ্টতই ইউরোপীয় ও দেশীয় সিপাহি তোপাসী নিয়ে সর্বমোট তিন হাজারের মতো এক ুদ্র বাহিনী হারিয়ে দিয়েছিল প্রায় ৬৫ হাজারের এক বিশাল বাহিনীকে। এমনিতে ব্যাপারটা একেবারেই অবিশ্বাস্য। কোনো ইংরেজ ঐতিহাসিক পর্যন্ত এই যুদ্ধকে যুদ্ধই বলতে চাননি। পলাশীর যুদ্ধ প্রকৃতপক্ষে ষড়যন্ত্রমূলক একটা যুদ্ধের অভিনয় মাত্র।
ঐতিহাসিক শ্রী নিখিলনাথ রায়ের কথায়, ‘বিশ্বাসঘাতকতার জন্য পলাশীতে যে ইংরেজরা জয়লাভ করিয়াছিল, ইহা নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক মাত্রেরই মত’। ৬৫ হাজার সৈন্যের মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার সৈন্যই ছিল বিশ্বাসঘাতক সেনানায়কদের অধীনে।

 ঐতিহাসিক সুপ্রকাশ রায়ের কথা : ‘ভারতীয় সমাজের বিপর্যয়ের সুযোগ লইয়া বিদেশী ইংরেজ শক্তি সহজলব্ধ শিকার হিসেবে ভারতবর্ষকে গ্রাস করিতে আরম্ভ করিল। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের জয় তাহারই আরম্ভ মাত্র। .... তৎকালে ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী নিজ নিজ গভীর সঙ্কটের আবর্তে তলাইয়া যাইতেছিল, সমাজের উপরতলার বিভিন্ন শক্তি পরস্পরের সহিত হানাহানি করিয়া পরস্পরের ধ্বংসের পথ প্রস্তুত করিতেছিল। বিদেশী ইংরেজদের উন্নত শক্তির আক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা কাহারও আর অবশিষ্ট ছিল না। ইংরেজ শক্তিও এতদিন এই সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিল। এবার তাহারা দ্রুত অগ্রসর হইয়া ভারতের সর্বাপেক্ষা সমৃদ্ধ অঞ্চল বঙ্গদেশে জাঁকিয়া বসিয়া ধীরে ধীরে সমগ্র ভারতবর্ষকেই গ্রাস করিতে আরম্ভ করিল।’ (ভারতের কৃষক-বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম, পৃ.৭)।

পলাশী বিপর্যয়ের সাথে জড়িত ছিল তিনটি প্রধান শক্তি। নবাবের অনুগত প্রধানেরা, নবাবের বিরোধী প্রধানেরা এবং ইংরেজরা। নবাবের বিরোধী গ্রুপটি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হতো জগৎশেঠ, মাহতাব চাঁদ, রাজবল্লভ, রাজা কৃষ্ণ দুর্লভরাম প্রমুখ হিন্দু প্রধানদের দিয়ে। ঐতিহাসিক তপনমোহন চট্টোপাধ্যায় ‘পলাশীর যুদ্ধ’ গ্রন্থে লিখেছেন : ‘ষড়যন্ত্রটা আসলে হিন্দুদেরই ষড়যন্ত্র’...। হিন্দুদের চক্রান্ত হলেও বড় গোছের মুসলমান তো অন্তত একজন চাই।

 নইলে সিরাজউদ্দৌলার জায়গায় বাংলার নবাব হবেন কে? কাইভ তো নিজে হতে পারেন না। হিন্দু গভর্নরও কেউ পছন্দ করবেন কি না, সন্দেহ? জগৎশেঠরা তাদেরই আশ্রিত ইয়ার লুৎফ খাঁকে সিরাজউদ্দৌলার জায়গায় মসনদে বসাতে মনস্থ করেছিলেন। উমিচাঁদেরও এতে সায় ছিল। কিন্তু কাইভ ঠিক করলেন অন্য রকম। তিনি এমন লোককে নবাব করতে চান যিনি ইংরেজদেরই তাঁবে থেকে তাদেরই কথা শুনে নবাবী করবেন। কাইভ মনে মনে মীরজাফরকেই বাংলার ভাবী নবাব পদের জন্য মনোনীত করে রেখেছিলেন। পৃ. ১৫৮-১৫৯)।
মুঘল সাম্রাজ্যে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণভার ন্যস্ত থাকত সমরপ্রধানদের হাতে, ঠিক রাষ্ট্রধানের হাতে নয়। সৈন্যদের প্রত্যক্ষ আনুগত্যও থাকত সেসব সমরপ্রধানের প্রতি, ঠিক রাষ্ট্রপ্রধানের প্রতি নয়।

এমনি অবস্থায় তিনজন বিশ্বাসঘাতক সমরপ্রধানের অধীনস্থ প্রায় ৪৫ হাজার সৈন্যের প্রত্যক্ষ আনুগত্যও যতটা ছিল সেসব সমরপ্রধানের প্রতি, ঠিক ততটা ছিল না নবাব সিরাজের প্রতি। শুধু সেনানায়ক মীর মদন ও মোহনলালের নিয়ন্ত্রিত সৈন্যরা এবং নবাবের নিজস্ব বাহিনীর সৈন্যরাই অনুগত ছিল নবাব সিরাজের প্রতি। এ ব্যাপারটার সাথে যুদ্ধাস্ত্রের যথাযথ ব্যবহারের প্রসঙ্গে লে. কর্নেল ম্যালিসনের মতামত তুলে ধরতে চাই।
তিনি বললেন, ‘এটি সত্য যে, নেটিভ (স্থানীয় দেশীয়) প্রধানেরা কামান বন্দুকের অধিকারী ছিলেন : কিন্তু ওগুলো নিয়ম মোতাবেকই শুধু অযতœরক্ষিতই থাকত না অথবা থাকত এত পুরনো যে তাতে অগ্নিসংযোগ করা ছিল রীতিমতো বিপজ্জনক; কিছু নেটিভ সেগুলোর পরিচালনায় ছিল এতটা অদক্ষ যে, সেসব থেকে ঘণ্টার এক-চতুর্থাংশ (অর্থাৎ ১৫ মিনিট) সময়ে একবার গোলা নিক্ষেপ করতে পারলেই মনে করত, কাজটি তারা সুসম্পন্ন করেছে। ইউরোপীয়দের সাথে কখনো যুদ্ধে লিপ্ত না হওয়ার কারণে তাদের কোনো ধারণাই ছিল না যে, ওগুলো থেকে মিনিটেই পাঁচ-ছয়বার গোলা নিক্ষেপ করা ছিল সম্ভব। (The Decisive Battles of India, Lt. Col. Malleson.1885. pp.42-43)।

কাজেই আগ্নেয়াস্ত্র চালনায় দক্ষতাবিহীন ২০ হাজারের মতো অনুগত বাহিনীর মরচে ধরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মীর মদন-মোহনলাল তখনকার আধুনিক যুদ্ধে সুশিক্ষিত কাইভ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করবেন কিভাবে? এসব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বিজয়ের দ্বারা প্রান্তেই পৌঁছে গিয়েছিল নবাব বাহিনী। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টি আর ইংরেজ কামানের গোলায় মীর মদনের মৃত্যু সে বিজয়কে অসম্ভব করে তুলল, সর্বোপরি প্রায় ৪৫ হাজার সৈন্যের অধিনায়কদের বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ নিষ্ক্রিয়তা এবং সেই দিনের মতো যুদ্ধ বন্ধ রাখার জন্য মীরজাফরের ‘উপদেশ’ নবাবের পরাজয়কেই অবশ্যম্ভাবী করে তুলল। কিন্তু পারলেন না সিরাজউদ্দৌলা। তখন তার বয়স ২৪ বছর মাত্র।

পলাশী যুদ্ধ নিয়ে ঐতিহাসিক ম্যালিসন বলেন, (অনুবাদ) : যুদ্ধ হিসেবে আমার মতে এটি গৌরব করার মতো কিছু নয়। প্রথমত, এটি ছিল না কোনো নির্দোষ যুদ্ধ। কে সন্দেহ করবে, সিরাজউদ্দৌলার তিন প্রধান জেনারেল যদি তাদের মনিবের প্রতি বিশ্বস্ত থাকত, তা হলে পলাশীর বিজয় হতে পারত না? মীর মদিন (মর্দন) খানের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ইংরেজরা কোনো অগ্রগতিই লাভ করতে পারেনি; (তখন পর্যন্ত) পশ্চাদপসরণে তাদেরকে বাধ্য করা হয়েছিল।... না, তারও অধিক, ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ জুনের মধ্যবর্তী সময়ে সংঘটিত ঘটনাবলির বিচারে বসে নিরপেক্ষ কোনো ইংরেজই অস্বীকার করতে পারবেন না যে, সম্মানের মান স্কেলে সিরাজউদ্দৌলার নাম কাইভের নামের অনেক ওপরে অবস্থিত। সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন ওই বিয়োগান্ত নাটকে প্রধান চরিত্রসমূহের মধ্যে একক চরিত্র যিনি প্রতারণা করতে চেষ্টা করেননি।’ (প্রাগুক্ত পৃ. ৭৩ এবং ৭৬)
কাইভের নেতৃত্বে ইংরেজ কোম্পানি পুরোপুরিই নিয়মনীতি বিগর্হিত কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিল। ইংরেজদের চন্দন নগর দুর্গ আক্রমণের পর থেকে তিন মাস ধরে কোম্পানি আর নবাবের মধ্যে চলে সুবিধাদি প্রদান প্রসঙ্গে উষ্ণ বাগি¦তণ্ডা। ইংরেজ কোম্পানির প্রতি সিরাজের অবিশ্বাস বেড়ে যায়। এরই প্রেক্ষাপটে নবাব কাশিমবাজারের নিকটবর্তী স্থানে রাজা রায় দুর্লভ ও মীরজাফরের নেতৃত্বে সেনা সমাবেশ করেন। প্রমাদ গোনে ইংরেজ কোম্পানি।

বেরারের মারাঠাপ্রধানের এক পত্র নিয়ে দূত আসে কলকাতায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে। পত্রে কোম্পানির কাছে মারাঠাপ্রধানের এই অভিপ্রায় জানানো হয় যে, তিনি এক লাখ ২০ হাজার মারাঠা সৈন্য নিয়ে ইংরেজদের সাহায্যকল্পে বাংলার পথে ধেয়ে আসতে চান। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ পত্রটি পাঠিয়ে দেন নবাবের কাছে এ কথা প্রমাণ করার জন্য যে, ইংরেজরা নবাবের শত্রু নয়। এই চালাকি ফলপ্রসূ হয়। ইংরেজ-মারাঠা আঁতাতে সৃষ্ট চক্রান্তের ফাঁদে আবদ্ধ হন নবাব। ইংরেজদের আবার বিশ্বাস করে তিনি নিজ বাহিনীকে ফিরিয়ে আনেন মুর্শিদাবাদে।
History of the Muslims of Bengal গ্রন্থে ড. মোহর আলী দেখিয়েছেন যে, নবাব সিরাজউদ্দৌলা তার স্বল্পকালীন রাজ্যশাসনে দুর্বলচিত্ততা দেখাননি। তাকে বরং যথার্থ রাষ্ট্রনায়কসুলভ দক্ষতা ও দৃঢ়তার অধিকারী শাসক বলেই মনে হয়।
তবু শেষ রক্ষা করতে পারেননি। পারেননি নিজের লোকদের দুশ্চরিত্রতা, বেঈমানি ও বিরূপ পরিস্থিতির জন্য। বিজয়ীর বেশে আবির্ভূত হলো পাশ্চাত্যের নবরূপী ক্রুসেডারদের অন্যতম ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তথা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি।

১৮ মে ১৯৯১ কলকাতার দেশ সাপ্তাহিকীতে ‘পলাশী কার চক্রান্ত?’ শিরোনামে এক প্রবন্ধে শ্রী সুশীল চৌধুরী লিখেছেন : বিশ্বাসঘাতকতার দায় শুধু মীরজাফরের নয়। জগৎশেঠদের দায় মীরজাফরের চেয়ে বেশি বৈ কম নয়। আসলে ইতিহাস পরিক্রমায় একটু পিছিয়ে গেলেই দেখা যাবে যে, অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলার সব ক’টা রাজনৈতিক পালাবদলে জগৎশেঠরাই মুখ্য অংশ নিয়েছে। এ সময়কার রাজনীতিতে পটপরিবর্তনের চাবিকাঠি ছিল জগৎশেঠদের হাতে। ...রবার্ট কাইভের লেখা চিঠিপত্র দেখার পর সন্দেহের অবকাশ থাকে না যে, পলাশী চক্রান্তের পেছনে ইংরেজরা সবচেয়ে বেশি মদদ পেয়েছিল জগৎশেঠদের কাছ থেকে।

‘কেন এই পলাশী চক্রান্ত? এ প্রসঙ্গে শ্রী সুশীল চৌধুরী বলেন, মুর্শিদাবাদের শাসকগোষ্ঠীর একটি অংশ এবং ইংরেজরা সিরাজউদ্দৌলার অপসারণ চেয়েছিল বলেই পলাশী চক্রান্তের উদ্ভব। উভয়ের কায়েমি স্বার্থের পক্ষে সিরাজ ছিল প্রধান বাধা; সামরিক অভিজাত শ্রেণী, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও জমিদারদের নিবিড় জোটবদ্ধতা বাংলার নবাবের পূর্ণ ক্ষমতার ওপর যে চাপ সৃষ্টি করেছিল, সিরাজউদ্দৌলা তা মেনে নিতে মোটেই রাজি ছিলেন না। নবাব হয়েই সিরাজউদ্দৌলা সামরিক ও বেসামরিক উভয় শাসনব্যবস্থা নতুন করে ঢেলে সাজাতে শুরু করেন।

মোহন লাল, মীর মদন ও খাজা আব্দুল হাদি খানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ এই নতুন ব্যবস্থার ইঙ্গিত বহন করে।... শাসকশ্রেণীর একটি গোষ্ঠী ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে। আগের নবাবদের আমলে এই বিশেষ গোষ্ঠীই সম্পদ পুঞ্জীভূত করতে লিপ্ত ছিল। এখন তাদের ত্রাসের কারণ, সিরাজউদ্দৌলা হয়তো তাদের সম্পদ পুঞ্জীভূতকরণের পথগুলো বন্ধ করে দেবেন। সৈন্যাধ্যক্ষের পদ থেকে মীরজাফরের অপসারণ, রাজা মানিকচাঁদের কারাদণ্ড এবং সর্বোপরি আলিবর্দীর একান্ত বিশ্বস্ত ও প্রভূত ক্ষমতাশালী হুকুম বেগের দেশ থেকে বিতাড়নের মধ্যে শাসক শ্রেণীর কুচক্রী দল বিপদসঙ্কেত পেয়ে যায়। এসব সত্ত্বেও ইংরেজদের সক্রিয় সংযোগ ছাড়া পলাশী বিপ্লব সম্ভব হতো না। সিরাজউদ্দৌলা নবাব হওয়ায় ইংরেজদের কায়েমি স্বার্থও বিঘিœত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলো। সিরাজ নবাব হওয়ার পর ইংরেজ কোম্পানির কর্মচারীরা ভীষণভাবে শঙ্কিত হয়ে উঠল, পাছে নতুন নবাব তাদের দুই কল্পতরু, নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবসায় ও দস্তকের যথেচ্ছ অপব্যবহার সমূলে বিনাশ করে বসেন। তাই এই তরুণ নবাবকে ধ্বংস করার জন্যই পলাশীর এই চক্রান্ত।

নবাব তার মনোভাব স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, ইংরেজদের আমার রাজ্য থেকে বহিষ্কৃত করার তিনটি প্রকৃত কারণ বিদ্যমান। প্রথমত, দেশের প্রচলিত নিয়মকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে রাজ্যের মধ্যে তারা সুদৃঢ় দুর্গ নির্মাণ ও পরিখা খনন করেছে। দ্বিতীয়ত, তারা দস্তকের সুযোগ-সুবিধার যথেচ্ছ অপব্যবহার করেছে এবং যারা কোনোভাবেই এই দস্তক ব্যবহারের অধিকারী নয়, তাদেরও বাণিজ্য শুল্ক বাবদ রাজস্বের প্রচুর ক্ষতি স্বীকার করতে হয়। তৃতীয়ত, ইংরেজরা নবাবের এমন সব প্রজাকে আশ্রয় দেয় যারা বিশ্বাসভঙ্গ ও অন্যায় ব্যবহারের জন্য নবাবের কাছে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য।
লেখক : নাট্যকার, ইতিহাস গবেষক,
শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (মরহুম)

 at: http://m.dailynayadiganta.com/?/detail/news/32530?m=0#sthash.GQSwcdfN.dpuf

No comments:

Post a Comment