পশ্চিম বঙ্গে মুসলিমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকার জন্য রাজ্যের বাম সরকারের কতটা দায়ী ছিল ?
একথা খুব সত্যি যে শুধু মুসলিম নয় , মুসলিমদের শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার জন্য সরকার, কংগ্রেস ,বিজেপী ,বাম সহ অন্যান দল , বিজেপীর সহযোগী মৌলবাদী সংগঠন ও সমানভাবে দায়ী। আজকে আলোচনায় আমরা কিছু কারণ জানার চেষ্টা করব পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের শিক্ষা ও উন্নয়নে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়ার জন্য বামফ্রন্ট সরকার কতটা দায়ী ছিল?
একথা সত্য যে আজকে বাম সরকার নাই কিন্তু তাদের অন্ধ কিছু সমর্থক আছে । যারা এখনো সি পি এমের আসল চরিত্র বুঝতে পারেনি বা বুঝার চেষ্টা করছে না তাদের বলি একবার ভেবে দেখুন ।
শিক্ষা ক্ষেত্রে মুসলিমদের অবস্থা করুণ ও শোচনীয়। সাচার রিপোর্টে বলা হয়েছে সারা দেশে প্রতি ১০০ জন স্নাতকের মধ্যে মুসলমান ৬.৩, তপশিলি জাতি ৮.২, অন্যরা ৮৫.৫।
পশ্চিমবঙ্গ বিহারের এক হাজার মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামে কোন বিদ্যালয়ই নেই। সারা দেশে মুসলিম প্রধান গ্রাম গুলির এক তৃতীয়াংশে কোন বিদ্যালয় নেই। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় তো নাই।পশ্চিম বঙ্গে মুসলিমদের অবস্থা আরো করুন । দীর্ঘ ৩৪ বছর রাজ্যে বাম শাসনে মুসলিমরা শিক্ষা ,চাকরি সহ সব ক্ষেত্রে দারুন ভাবে পিছিয়ে পড়েছে । রাজ্যের বাম সরকারের উদাসীনতা ও আন্তরিকতার অভাব এর জন্য দায়ী ছিল ।
অনেকে আবার বলেছেন মুসলিমরা ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পাঠান, স্কুলে নয়। তাই তাদের সঠিক শিক্ষা হয়না। কমিটির এই ব্যাপারেও সমীক্ষা চালিয়েছে। রিপোর্ট মোতাবিক মুসলিম শিশুদের মধ্যে মাত্র ৪% মাদ্রাসায় যায়। মুসলিমদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৫৯.৯%। এটা জাতীয় গড় ৬৫.১% অপেক্ষা অনেক কম।
মুসলিমদের শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার আর একটি প্রধান কারণ হলো মুসলিমদের চরম দারিদ্র । পেটে না খেয়ে কি পড়শুনা হয় ? খাদ্য জোগাড় করতে মুসলিমদের হিমশিম খেতে হয় সেখানে শিক্ষার আশা করা বৃথা চেষ্টা ।সাচার কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের ৪৯.৯% মুসলিম দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করে। যা জাতীয় গড়ের থেকে অনেক বেশি। দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী মুসলিমদের বি.পি.এল অন্তরভুক্তও করা হয়নি। গ্রামীন মুসলিমদের ৬০% ভুমিহীন। ভিটে মাটি ছাড়া চাষ বাষ করার জন্য কোন জমি নেই।
বাম পশ্চিম বঙ্গের শাসিত পশ্চিম বঙ্গে বর্গা অপারেশন খুব সুনাম কুড়িয়েছে । কিন্তু কতজন ভূমিহীন মুসলিম পরিবার জমি পেয়েছে ?কত শতাংস জমি দরিদ্র মুসলিমদের বন্টন করা হয়েছে ? কত শতাংস দরিদ্র মুসলিম পরিবার সরকারের কাছে পাট্টা পেয়েছে ? দারিদ্র মুসলিমরা যদি আশানারুপ জমি পেয়ে থাকে তাহলে মুসলিমদের অবস্থার কোনো পরিবত্তন কেন হলো না ? এর উত্তর একমাত্র বাম সরকার জানে !
স্বাধীনতার পর সরকার পিছিয়ে পড়া শ্রেনীর জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প ও চাকরিতে , ,শিক্ষা ক্ষেত্রে সংরক্ষণ চালু করেছিল যা এখনো আছে । সরকারের সাহায্যে এইসব পিছিয়ে পড়া শ্রেনীর অনেকটা উন্নয়ন হয়েছে । কিন্তু মুসলিমদের ধর্মীয় কারণে ধর্ম নিরপেক্ষতার অজুহাত দেখিয়ে পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের শিক্ষা ও উন্নয়নে উপযুক্ত প্রকল্প নেওয়া হয় নাই ।
পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো বাম সরকার ও রাজনৈতিক নেতাদের মুসলিমদের উন্নয়নের ব্যাপারে উদাসীনতা ও বৈষম্য ।রাজনৈতিক দলরা মুসলিমদের শুধু ভোট ব্যাঙ্ক ও খেলনা রূপে ব্যবহার করে গেছে দীর্ঘ 34 বছর । রাজনৈতিক দলের মধ্যে বাম সরকার প্রধান ভাবে দায়ী |
গোপাল কৃষ্ণ রিপোর্ট অনুসারে, উল্লেখযোগ্য মুসলিম জনসংখ্যাবিশিষ্ট তিন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসম ও বিহারের ক্লাস ওয়ান সেক্টারের অফিসারের মধ্যে একজনও মুসলিম নেই।
রাজ্যগুলিতে মুসলিমদের জনসংখ্যা ও চাকরীর হার
রাজ্য——মুসলিম জনসংখ্যা—-চাকরির হার
পশ্চিমবঙ্গ – ২৫.২ % – ২.১ %
কেরালা – ২৪.৭ – ১০.৪
উত্তর প্রদেশ – ১৮.৫ -৫.১
বিহার – ১৬.৫ – ৭.৬
আসাম – ৩০.৯ – ১১.২
ঝাড়খন্ড – ১৩.৮ – ৬.৭
কর্ণাটক – ১২.২ – ৮.৫
দিল্লী – ১১.৭ – ৩.২
মহারাষ্ট্র – ১০.৬ – ৪.৪
অন্ধ্রপ্রদেশ – ৯.২ – ৮.৮
গুজরাট – ৯.১ – ৫.৪
তামিলনাড়ু – ৫.৬ – ৩.২
সি পিএম ৩৪ বছরের শাসনে সাধারণ গরিব খেটেখাওয়া অশিক্ষিত গ্রামের সাধারণ গরিব মানুষকে ও মুসলিমদের কিভাবে কাজে লাগিয়েছে
১. বোমা বাঁধো বোমা মারো|
২. পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে হার্মাদ বানিয়াছে |
৩. চপ মুড়ি খাও আর মিছিলে হাঁটো।
৪.মাস্কেট বাহিনীতে যোগদাও বাহানীতে যুক্ত করেছে।এবং গ্রাম দখল করো|মুসলিম এলাকায় সন্ত্রাসের পাকা বন্দোবস্ত করা । ঘর বাড়ি লুট , আগুন দেওয়া , মেরে ফেলা .লাশ গায়েব করা ,অত্যাচার করা ,জমি দখল ইত্যাদি কর্ম ভালো ভাবে করে গেছে ।
৫. রিগিং ও সন্ত্রাস বাহানীতে যোগ দিয়ে ভোট লুট করো।
৬.দলীয় তহবিলে চাঁদা ও তোলা দাও আর নেতার পকেট ভরো
৭.মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও প্রলোভন দেখিয়ে সংগঠন মজবুত করা।
৮. বিজেপী ও সাম্প্রদায়িকতার জুজু দেখানো।
৯.ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছেন । ভোট দাও জিতিয়ে দাও|
১০. পার্টি এর কথা না শুনলে একঘরে করে দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে গণধোলাই দেওয়া হবে |
১১. পার্টি এর বিচার সভা বসাও , জরিমানা কারো আর নেতার পকেট ভরো ইত্যাদি |
আমরা জানি পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩৪ বছর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। সিপিএম তথা বামফ্রন্ট্রের বড়ো ভোট ব্যাঙ্ক। মুসলিমদের বড় অংশ সিপিএমের উপর আস্থা রেখেছিল দীর্ঘসময়। কিন্তু দুখেঃর বিষয় সিপিএম মুসলিমদের উপর সুবিচার করেনি। বামেদের দীর্ঘ ৩৪ বছরের অপশাসন ,সন্ত্রাস ও মুসলিমদের উপর বঞ্চনা ও অত্যাচারের কারনে জননেত্রী মমতা নেতৃত্ত্বে ২০১১ সালে বাম সরকারের পতনের সূচনা হয় এবং রাজ্যে মা মাটি সরকার গঠিত হয়।
মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্ত্বে টি এম সি সরকার রাজ্যে শান্তি ও উন্নয়নে লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। মুসলিমদের উন্নয়নে আন্তরিক প্রয়াস করে চলেছেন । কিন্তু বর্তমানে বিজেপী ও তাদের পেটুয়া মিডিয়াগুলি এবং সি পিএমের চক্রান্তের বেড়াজালে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন ও শান্তি ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিজেপী সিপিএম ও মিডিয়ার সাম্প্রদায়িক প্রচার এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারনে মুসলিম দের শান্তি ,উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বিজ্ঞিত হচ্ছে।
সি পি এম ৩৪ বছরে মুসলিমদের যে ক্ষতি করেছে তার ক্ষত সারতে কয়েক দশক লাগবে । আবার এই সি পি এমরা বিজেপিকে তোল্লা দিয়ে নুতন করে ক্ষত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে !৩৪ বছর ধরে শাসক দল থাকা কালিন বামেরা যে কাজ করত এখনো সেই একই কাজ করে যাচ্ছে । সত্যি তোমার কত রূপ ! জয় হোক চক্রান্তকারী রাজনীতির !!!https://mausumtmc.wordpress.com/page/4/
একথা খুব সত্যি যে শুধু মুসলিম নয় , মুসলিমদের শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার জন্য সরকার, কংগ্রেস ,বিজেপী ,বাম সহ অন্যান দল , বিজেপীর সহযোগী মৌলবাদী সংগঠন ও সমানভাবে দায়ী। আজকে আলোচনায় আমরা কিছু কারণ জানার চেষ্টা করব পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের শিক্ষা ও উন্নয়নে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়ার জন্য বামফ্রন্ট সরকার কতটা দায়ী ছিল?
একথা সত্য যে আজকে বাম সরকার নাই কিন্তু তাদের অন্ধ কিছু সমর্থক আছে । যারা এখনো সি পি এমের আসল চরিত্র বুঝতে পারেনি বা বুঝার চেষ্টা করছে না তাদের বলি একবার ভেবে দেখুন ।
শিক্ষা ক্ষেত্রে মুসলিমদের অবস্থা করুণ ও শোচনীয়। সাচার রিপোর্টে বলা হয়েছে সারা দেশে প্রতি ১০০ জন স্নাতকের মধ্যে মুসলমান ৬.৩, তপশিলি জাতি ৮.২, অন্যরা ৮৫.৫।
পশ্চিমবঙ্গ বিহারের এক হাজার মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামে কোন বিদ্যালয়ই নেই। সারা দেশে মুসলিম প্রধান গ্রাম গুলির এক তৃতীয়াংশে কোন বিদ্যালয় নেই। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় তো নাই।পশ্চিম বঙ্গে মুসলিমদের অবস্থা আরো করুন । দীর্ঘ ৩৪ বছর রাজ্যে বাম শাসনে মুসলিমরা শিক্ষা ,চাকরি সহ সব ক্ষেত্রে দারুন ভাবে পিছিয়ে পড়েছে । রাজ্যের বাম সরকারের উদাসীনতা ও আন্তরিকতার অভাব এর জন্য দায়ী ছিল ।
অনেকে আবার বলেছেন মুসলিমরা ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পাঠান, স্কুলে নয়। তাই তাদের সঠিক শিক্ষা হয়না। কমিটির এই ব্যাপারেও সমীক্ষা চালিয়েছে। রিপোর্ট মোতাবিক মুসলিম শিশুদের মধ্যে মাত্র ৪% মাদ্রাসায় যায়। মুসলিমদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৫৯.৯%। এটা জাতীয় গড় ৬৫.১% অপেক্ষা অনেক কম।
মুসলিমদের শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার আর একটি প্রধান কারণ হলো মুসলিমদের চরম দারিদ্র । পেটে না খেয়ে কি পড়শুনা হয় ? খাদ্য জোগাড় করতে মুসলিমদের হিমশিম খেতে হয় সেখানে শিক্ষার আশা করা বৃথা চেষ্টা ।সাচার কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের ৪৯.৯% মুসলিম দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করে। যা জাতীয় গড়ের থেকে অনেক বেশি। দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী মুসলিমদের বি.পি.এল অন্তরভুক্তও করা হয়নি। গ্রামীন মুসলিমদের ৬০% ভুমিহীন। ভিটে মাটি ছাড়া চাষ বাষ করার জন্য কোন জমি নেই।
বাম পশ্চিম বঙ্গের শাসিত পশ্চিম বঙ্গে বর্গা অপারেশন খুব সুনাম কুড়িয়েছে । কিন্তু কতজন ভূমিহীন মুসলিম পরিবার জমি পেয়েছে ?কত শতাংস জমি দরিদ্র মুসলিমদের বন্টন করা হয়েছে ? কত শতাংস দরিদ্র মুসলিম পরিবার সরকারের কাছে পাট্টা পেয়েছে ? দারিদ্র মুসলিমরা যদি আশানারুপ জমি পেয়ে থাকে তাহলে মুসলিমদের অবস্থার কোনো পরিবত্তন কেন হলো না ? এর উত্তর একমাত্র বাম সরকার জানে !
স্বাধীনতার পর সরকার পিছিয়ে পড়া শ্রেনীর জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প ও চাকরিতে , ,শিক্ষা ক্ষেত্রে সংরক্ষণ চালু করেছিল যা এখনো আছে । সরকারের সাহায্যে এইসব পিছিয়ে পড়া শ্রেনীর অনেকটা উন্নয়ন হয়েছে । কিন্তু মুসলিমদের ধর্মীয় কারণে ধর্ম নিরপেক্ষতার অজুহাত দেখিয়ে পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের শিক্ষা ও উন্নয়নে উপযুক্ত প্রকল্প নেওয়া হয় নাই ।
পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো বাম সরকার ও রাজনৈতিক নেতাদের মুসলিমদের উন্নয়নের ব্যাপারে উদাসীনতা ও বৈষম্য ।রাজনৈতিক দলরা মুসলিমদের শুধু ভোট ব্যাঙ্ক ও খেলনা রূপে ব্যবহার করে গেছে দীর্ঘ 34 বছর । রাজনৈতিক দলের মধ্যে বাম সরকার প্রধান ভাবে দায়ী |
গোপাল কৃষ্ণ রিপোর্ট অনুসারে, উল্লেখযোগ্য মুসলিম জনসংখ্যাবিশিষ্ট তিন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসম ও বিহারের ক্লাস ওয়ান সেক্টারের অফিসারের মধ্যে একজনও মুসলিম নেই।
রাজ্যগুলিতে মুসলিমদের জনসংখ্যা ও চাকরীর হার
রাজ্য——মুসলিম জনসংখ্যা—-চাকরির হার
পশ্চিমবঙ্গ – ২৫.২ % – ২.১ %
কেরালা – ২৪.৭ – ১০.৪
উত্তর প্রদেশ – ১৮.৫ -৫.১
বিহার – ১৬.৫ – ৭.৬
আসাম – ৩০.৯ – ১১.২
ঝাড়খন্ড – ১৩.৮ – ৬.৭
কর্ণাটক – ১২.২ – ৮.৫
দিল্লী – ১১.৭ – ৩.২
মহারাষ্ট্র – ১০.৬ – ৪.৪
অন্ধ্রপ্রদেশ – ৯.২ – ৮.৮
গুজরাট – ৯.১ – ৫.৪
তামিলনাড়ু – ৫.৬ – ৩.২
সি পিএম ৩৪ বছরের শাসনে সাধারণ গরিব খেটেখাওয়া অশিক্ষিত গ্রামের সাধারণ গরিব মানুষকে ও মুসলিমদের কিভাবে কাজে লাগিয়েছে
১. বোমা বাঁধো বোমা মারো|
২. পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে হার্মাদ বানিয়াছে |
৩. চপ মুড়ি খাও আর মিছিলে হাঁটো।
৪.মাস্কেট বাহিনীতে যোগদাও বাহানীতে যুক্ত করেছে।এবং গ্রাম দখল করো|মুসলিম এলাকায় সন্ত্রাসের পাকা বন্দোবস্ত করা । ঘর বাড়ি লুট , আগুন দেওয়া , মেরে ফেলা .লাশ গায়েব করা ,অত্যাচার করা ,জমি দখল ইত্যাদি কর্ম ভালো ভাবে করে গেছে ।
৫. রিগিং ও সন্ত্রাস বাহানীতে যোগ দিয়ে ভোট লুট করো।
৬.দলীয় তহবিলে চাঁদা ও তোলা দাও আর নেতার পকেট ভরো
৭.মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও প্রলোভন দেখিয়ে সংগঠন মজবুত করা।
৮. বিজেপী ও সাম্প্রদায়িকতার জুজু দেখানো।
৯.ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছেন । ভোট দাও জিতিয়ে দাও|
১০. পার্টি এর কথা না শুনলে একঘরে করে দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে গণধোলাই দেওয়া হবে |
১১. পার্টি এর বিচার সভা বসাও , জরিমানা কারো আর নেতার পকেট ভরো ইত্যাদি |
আমরা জানি পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩৪ বছর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। সিপিএম তথা বামফ্রন্ট্রের বড়ো ভোট ব্যাঙ্ক। মুসলিমদের বড় অংশ সিপিএমের উপর আস্থা রেখেছিল দীর্ঘসময়। কিন্তু দুখেঃর বিষয় সিপিএম মুসলিমদের উপর সুবিচার করেনি। বামেদের দীর্ঘ ৩৪ বছরের অপশাসন ,সন্ত্রাস ও মুসলিমদের উপর বঞ্চনা ও অত্যাচারের কারনে জননেত্রী মমতা নেতৃত্ত্বে ২০১১ সালে বাম সরকারের পতনের সূচনা হয় এবং রাজ্যে মা মাটি সরকার গঠিত হয়।
মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্ত্বে টি এম সি সরকার রাজ্যে শান্তি ও উন্নয়নে লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। মুসলিমদের উন্নয়নে আন্তরিক প্রয়াস করে চলেছেন । কিন্তু বর্তমানে বিজেপী ও তাদের পেটুয়া মিডিয়াগুলি এবং সি পিএমের চক্রান্তের বেড়াজালে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন ও শান্তি ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিজেপী সিপিএম ও মিডিয়ার সাম্প্রদায়িক প্রচার এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারনে মুসলিম দের শান্তি ,উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বিজ্ঞিত হচ্ছে।
সি পি এম ৩৪ বছরে মুসলিমদের যে ক্ষতি করেছে তার ক্ষত সারতে কয়েক দশক লাগবে । আবার এই সি পি এমরা বিজেপিকে তোল্লা দিয়ে নুতন করে ক্ষত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে !৩৪ বছর ধরে শাসক দল থাকা কালিন বামেরা যে কাজ করত এখনো সেই একই কাজ করে যাচ্ছে । সত্যি তোমার কত রূপ ! জয় হোক চক্রান্তকারী রাজনীতির !!!https://mausumtmc.wordpress.com/page/4/
No comments:
Post a Comment