ভারতের আগ্রাসনে হারিয়ে যাওয়া স্বাধীন রাষ্ট্র হায়দ্রাবাদের ইতিহাস ।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট, ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর ভারত ও পাকিস্তানের সাথেই স্বাধীনতা অর্জন করে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে পরিণত হয় হায়দারাবাদ। লাভ করে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি। কিন্তু হায়দারাবাদের ভাগ্যাকাশে ঘনিয়ে ওঠে দুর্যোগের মেঘ।
দেশটির স্বাধীনতাসার্বভৌমত্বকে কোনক্রমেই মেনে নিতে পারছিলো না ভারত। ফলে হায়দারাবাদকে গ্ৰাস করার জন্য ‘নেহেরু ডাকট্রিনকে সামনে নিয়ে বিস্তার করতে থাকে ষড়যন্ত্রের জাল । হায়দরাবাদের দেশপ্রেমিক জনতা তাদের সে সব চক্রান্তের মোকাবেলা করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ক্ষিপ্ত ক্রুদ্ধ ভারত স্বাধীনতা লাভের মাত্র ১ বছর ২৯ দিন পর ১৯৪৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর অপারেশন পলো’ নামে পুলিশ অ্যাকশনের আড়ালে বিশাল সামরিক বাহিনী নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে হায়দারাবাদের উপর।
পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করে ভারতীয় বাহিনী শহর-বন্দর-গ্ৰাম ধ্বংস করতে করতে এগিয়ে যেতে থাকে। রাজধানীর দিকে। মরণপণ লড়াই করেও বিশাল ভারতীয় বাহিনীর কাছে ১৮ সেপ্টেম্বর পরাজিত হয়। হায়দারাবাদ। ভারতীয় বাহিনী মেতে ওঠে নারকীয় গণহত্যায়। লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারায় ভারতীয় বাহিনীর হাতে। ধর্ষিত হয় লক্ষাধিক নারী। খুন, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠনের মাধ্যমে হায়দারাবাদকে বিভীষিকার মধ্যে নিক্ষেপ করে উত্তোলিত হয়।
ভারতীয় পতাকা। ভারত অতি দ্রুত হায়দারাবাদকে খণ্ড-বিখণ্ড করে মিশিয়ে দেয়। তার বিভিন্ন রাজ্যের সাথে। বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে যায় হায়দারাবাদের অস্তিত্ব। এখন হায়দারাবাদ বলতে টিকে আছে শুধু একটি শহর ।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম ইতিহাসের এই ভয়ানক ঘটনা সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানে না। ভারতীয় আধিপত্য ও সম্প্রসারণবাদ সম্পর্কে তাদের ধারণা বড়জোর সিকিম পর্যন্ত। ফলে ভারতের ছদ্মবেশি অহিংসার বাণীর ভেতরে তারা কোনো দোষ
খুঁজে পায় না।
http://www.pathagar.com/book/detail/1771
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট, ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর ভারত ও পাকিস্তানের সাথেই স্বাধীনতা অর্জন করে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে পরিণত হয় হায়দারাবাদ। লাভ করে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি। কিন্তু হায়দারাবাদের ভাগ্যাকাশে ঘনিয়ে ওঠে দুর্যোগের মেঘ।
দেশটির স্বাধীনতাসার্বভৌমত্বকে কোনক্রমেই মেনে নিতে পারছিলো না ভারত। ফলে হায়দারাবাদকে গ্ৰাস করার জন্য ‘নেহেরু ডাকট্রিনকে সামনে নিয়ে বিস্তার করতে থাকে ষড়যন্ত্রের জাল । হায়দরাবাদের দেশপ্রেমিক জনতা তাদের সে সব চক্রান্তের মোকাবেলা করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ক্ষিপ্ত ক্রুদ্ধ ভারত স্বাধীনতা লাভের মাত্র ১ বছর ২৯ দিন পর ১৯৪৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর অপারেশন পলো’ নামে পুলিশ অ্যাকশনের আড়ালে বিশাল সামরিক বাহিনী নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে হায়দারাবাদের উপর।
পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করে ভারতীয় বাহিনী শহর-বন্দর-গ্ৰাম ধ্বংস করতে করতে এগিয়ে যেতে থাকে। রাজধানীর দিকে। মরণপণ লড়াই করেও বিশাল ভারতীয় বাহিনীর কাছে ১৮ সেপ্টেম্বর পরাজিত হয়। হায়দারাবাদ। ভারতীয় বাহিনী মেতে ওঠে নারকীয় গণহত্যায়। লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারায় ভারতীয় বাহিনীর হাতে। ধর্ষিত হয় লক্ষাধিক নারী। খুন, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠনের মাধ্যমে হায়দারাবাদকে বিভীষিকার মধ্যে নিক্ষেপ করে উত্তোলিত হয়।
ভারতীয় পতাকা। ভারত অতি দ্রুত হায়দারাবাদকে খণ্ড-বিখণ্ড করে মিশিয়ে দেয়। তার বিভিন্ন রাজ্যের সাথে। বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে যায় হায়দারাবাদের অস্তিত্ব। এখন হায়দারাবাদ বলতে টিকে আছে শুধু একটি শহর ।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম ইতিহাসের এই ভয়ানক ঘটনা সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানে না। ভারতীয় আধিপত্য ও সম্প্রসারণবাদ সম্পর্কে তাদের ধারণা বড়জোর সিকিম পর্যন্ত। ফলে ভারতের ছদ্মবেশি অহিংসার বাণীর ভেতরে তারা কোনো দোষ
খুঁজে পায় না।
http://www.pathagar.com/book/detail/1771
No comments:
Post a Comment