বসনিয়া গণহত্যা
১৯৮০ সালে প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান মার্শাল জোসেফ টিটোর মৃত্যুর পর দেশটি ভাঙ্গতে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া, সার্বিয়া, মন্টিনিগ্রো এবং মেসিডোনিয়া এই ছয়টি দেশে বিভক্ত হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে কসভো, সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।
মার্শাল জোসেফ টিটোর মৃত্যুর পর Slobodan Milosevic ক্ষমতায় আসেন, তিনি জাতিতে ছিলেন সার্বিয়ান। জাতিগতভাবে সার্বিয়ানরা ছিল অর্থোডক্স খ্রিস্টান। অনেক আগে থেকেই সার্বিয়ানদের সাথে জাতিগত দ্বন্দ্ব ছিল ক্যাথোলিক খ্রিস্টান ক্রোট এবং মুসলিম বসনীয়দের সাথে।
১৯৯১ সালে স্লোভেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং অতি দ্রুত স্বাধীনতা অর্জন করে। সেই একই ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালের এপ্রিল মাসে বসনিয়াও স্বাধীনতা ঘোষণা করে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বসনিয়াকে স্বীকৃতি দেয়।
যুগোস্লাভিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান Slobodan Milosevic এই স্বাধীনতা ঠেকাতে বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো আক্রমন করে। বসনিয়ার মোট জনসংখ্যার ৪৪% ছিল বসনিয়াক, ১৭% ছিল সার্ব এবং ৩১% ছিল ক্রোট। সার্বিয়ান বাহিনী এই অজুহাত দাড় করায় যে তারা বসনিয়ার নির্যাতিত সার্বদের রক্ষার জন্যই আক্রমণ করেছে। যদিও সেটা ছিল ভুয়া কথা। মূলত তাঁরা Ethnic Cleansing এর লক্ষ্য নিয়ে আক্রমণ করে যা কি না পরবর্তীতে গণহত্যায় রুপ নেয়।
বসনিয়ার একটি গণকবর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে হিটলার কর্তৃক সংঘটিত গনহত্যার পরেই অন্যতম জঘন্য হত্যাকান্ড হচ্ছে বসনিয়ার হত্যাকান্ড। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সার্বিও আগ্রাসনে প্রায় দুই লক্ষ বসনিয়ান মুসলমান মারা যায়। বসনিয়ার যুদ্ধে উদ্বাস্তু হয়েছিল ২০ লক্ষ নারী-পুরুষ। সার্বদের হাতে ধর্ষণের স্বীকার হয় ৫০,০০০ বসনিয়ান মুসলিম নারী।
প্রথমদিকে আমেরিকা সহ অন্যান্য রাষ্ট্র এই হত্যাকান্ডকে বসনিয়ার আভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে পাশ কাটিয়ে যায়। তবে অত্যাচার বেড়ে গেলে বিশ্বনেতৃবৃন্দ আর চুপ করে থাকতে পারেনি। তারা সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করেন।
১৯৯৫ সালে ন্যাটোর হস্তক্ষেপে বসনিয়া স্বাধীনতা লাভ করে এবং এর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে ইতিহাসের এক বর্বর গণহত্যার। পরবর্তীতে 'International Criminal Tribunal' গঠন করে Slobodan Milosevic, General Ratko সহ ১৬০ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বিচার কাজ শুরু করা হয়।
২০০৪ সালে যুদ্ধ-অপরাধ আদালতের রিপোর্টে বলা হয়, ২৫ থেকে ত্রিশ হাজার বসনীয় মুসলিম নারী ও শিশুকে জোর করে অন্য অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং স্থানান্তরের সময় তাদের এক বিপুল অংশ ধর্ষণ ও গণহত্যার শিকার হয়। নানা সাক্ষ্য-প্রমাণে দেখা গেছে, এইসব হত্যাকাণ্ড ছিল সুপরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধ অভিযানের ফসল। বসনিয়ার যুদ্ধ চলাকালে সার্ব সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা কখনও কখনও কোনো একটি অঞ্চলে হামলা চালানোর পর সেখানকার সমস্ত পুরুষকে হত্যা করতো অথবা অপহরণ করতো এবং সেখানকার নারীদের ধর্ষণের পর তাদের হত্যা করতো।
১৯৮০ সালে প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান মার্শাল জোসেফ টিটোর মৃত্যুর পর দেশটি ভাঙ্গতে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া, সার্বিয়া, মন্টিনিগ্রো এবং মেসিডোনিয়া এই ছয়টি দেশে বিভক্ত হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে কসভো, সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।
মার্শাল জোসেফ টিটোর মৃত্যুর পর Slobodan Milosevic ক্ষমতায় আসেন, তিনি জাতিতে ছিলেন সার্বিয়ান। জাতিগতভাবে সার্বিয়ানরা ছিল অর্থোডক্স খ্রিস্টান। অনেক আগে থেকেই সার্বিয়ানদের সাথে জাতিগত দ্বন্দ্ব ছিল ক্যাথোলিক খ্রিস্টান ক্রোট এবং মুসলিম বসনীয়দের সাথে।
১৯৯১ সালে স্লোভেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং অতি দ্রুত স্বাধীনতা অর্জন করে। সেই একই ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালের এপ্রিল মাসে বসনিয়াও স্বাধীনতা ঘোষণা করে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বসনিয়াকে স্বীকৃতি দেয়।
যুগোস্লাভিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান Slobodan Milosevic এই স্বাধীনতা ঠেকাতে বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো আক্রমন করে। বসনিয়ার মোট জনসংখ্যার ৪৪% ছিল বসনিয়াক, ১৭% ছিল সার্ব এবং ৩১% ছিল ক্রোট। সার্বিয়ান বাহিনী এই অজুহাত দাড় করায় যে তারা বসনিয়ার নির্যাতিত সার্বদের রক্ষার জন্যই আক্রমণ করেছে। যদিও সেটা ছিল ভুয়া কথা। মূলত তাঁরা Ethnic Cleansing এর লক্ষ্য নিয়ে আক্রমণ করে যা কি না পরবর্তীতে গণহত্যায় রুপ নেয়।
বসনিয়ার একটি গণকবর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে হিটলার কর্তৃক সংঘটিত গনহত্যার পরেই অন্যতম জঘন্য হত্যাকান্ড হচ্ছে বসনিয়ার হত্যাকান্ড। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সার্বিও আগ্রাসনে প্রায় দুই লক্ষ বসনিয়ান মুসলমান মারা যায়। বসনিয়ার যুদ্ধে উদ্বাস্তু হয়েছিল ২০ লক্ষ নারী-পুরুষ। সার্বদের হাতে ধর্ষণের স্বীকার হয় ৫০,০০০ বসনিয়ান মুসলিম নারী।
প্রথমদিকে আমেরিকা সহ অন্যান্য রাষ্ট্র এই হত্যাকান্ডকে বসনিয়ার আভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে পাশ কাটিয়ে যায়। তবে অত্যাচার বেড়ে গেলে বিশ্বনেতৃবৃন্দ আর চুপ করে থাকতে পারেনি। তারা সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করেন।
১৯৯৫ সালে ন্যাটোর হস্তক্ষেপে বসনিয়া স্বাধীনতা লাভ করে এবং এর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে ইতিহাসের এক বর্বর গণহত্যার। পরবর্তীতে 'International Criminal Tribunal' গঠন করে Slobodan Milosevic, General Ratko সহ ১৬০ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বিচার কাজ শুরু করা হয়।
২০০৪ সালে যুদ্ধ-অপরাধ আদালতের রিপোর্টে বলা হয়, ২৫ থেকে ত্রিশ হাজার বসনীয় মুসলিম নারী ও শিশুকে জোর করে অন্য অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং স্থানান্তরের সময় তাদের এক বিপুল অংশ ধর্ষণ ও গণহত্যার শিকার হয়। নানা সাক্ষ্য-প্রমাণে দেখা গেছে, এইসব হত্যাকাণ্ড ছিল সুপরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধ অভিযানের ফসল। বসনিয়ার যুদ্ধ চলাকালে সার্ব সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা কখনও কখনও কোনো একটি অঞ্চলে হামলা চালানোর পর সেখানকার সমস্ত পুরুষকে হত্যা করতো অথবা অপহরণ করতো এবং সেখানকার নারীদের ধর্ষণের পর তাদের হত্যা করতো।
No comments:
Post a Comment