Monday, 1 June 2015

বার্মা মুসলিম নিধন

ঢাকা, রোববার 9 September 2012, ২৫ ভাদ্র ১৪১৯, ২১ শাওয়াল ১৪৩৩ হিজরী

Online Edition

 

আজকের পত্রিকাহোম পেইজপ্রথমপাতাসম্পাদকীয়আন্তর্জাতিকগ্রাম গঞ্জ শহরখেলার খবরশেষের পাতাধর্ম ও জীবননীল সবুজের হাটBengali Problem

প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ খবর মেইলে পেতে চাইলে গ্রাহক হোন -

Delivered by 
FeedBurner

WORLD NEWS

Google NewsYahoo NewsAljazeeraBBC NewsCNN InternationalVoice of AmericaVoice of America BanglaTimes of India

IMPORTANT

Financial InstitutionsBangladesh MissionsForeign MissionsHadithWeather

| পড়া হয়েছে: ১৯৩ বার | মন্তব্য 0 টি

মূলপাতা » ধর্ম ও জীবন

 1  0  0  0 

 

বার্মায় মুসলিম গণহত্যা

জুলফিকার আহমদ কিসমতি : এশিয়া আফ্রিকায় সম্ভবত বর্তমানে এমন কোনো ভূখন্ড বাদ নেই, যেখানে রক্তের হোলি খেলা হচ্ছে না। এই দুই মহাদেশে কোনো না কোনো শিরোনামে বংশ নিধনের কাজ চলে আসছে। অথচ সুপ্রাচীন কাল থেকেই এই দুই মহাদেশ বিভিন্ন মানব সভ্যতা সংরক্ষণের কাজ করে আসছে। উত্তর আফ্রিকার একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র রুয়ান্ডার কথাই ধরুন। সেখানে ১৯৯৪ সালে বিভিন্ন গোত্র তিতসি গোত্র নিধনের কাজ শুরু করে। তখন সুদানেই ৫ লাখ অধিবাসীকে হত্যা করা হয়েছে। এই মৃত্যুর পুরো তান্ডবে সর্বমোট দশ লাখের অধিক লোক নিহত হয়। এদের মধ্যে যারা শান্তিকামী ছিলেন, তাদেরকেও প্রাণ দিতে হয়েছে। যেসব লোক মালয়েশিয়া ছিল, তারাও দুশমনদের সাথী হবার অপরাধে মৃত্যুর শিকার হতে হয়েছে। মৃত্যুর এই নগ্ননৃত্যে বৃটেন ফ্রান্স উভয় দেশই শরীক ছিল। ফ্রান্স রুয়ান্ডার হয়ে সরকারকে অস্ত্র সরবরাহ করতো। বৃটেন উগান্ডার সাহায্যে তিতসি সম্প্রদায়কে। এই দু'টি সভ্য সরকার'ই হত্যা-ইত্যাদি প্রতিরোধের বদলে যুদ্ধের আগুনে ঘৃতাহুতি দিত। এভাবে শতকরা বিশ ভাগ লোক রুয়ান্ডার কয়েক মাসের মধ্যেই নিঃশেষ হয়ে গেলে।

এভাবে যেখানে যেখানে মানবতাবিরোধী এসব এজেন্ট সুযোগ পেয়েছে, সেখানেই তারা বড় আকারে মানুষের বংশ নিধনের এক জঘন্য কাজে প্রবৃত্ত হয়েছে। বসনিয়ার দৃষ্টান্ত বেশি দিনের নয়। ইরাক পরিস্থিতিতে একমাত্র ওষুধ দাওয়াইর অভাবেই মৃত্যুবরণকারী শিশু সন্তানের সংখ্যা বছরে ছিল প্রায় ৫ লাখ। লিবিয়ায় বোম্বিংয়ের সময় যেমন মারাত্মকভাবে বংশ নিধন করা হয়েছে এবং প্রতিপক্ষকে অকারণে গণহত্যা করা হয়েছে, এটিও ইতিহাসের এক নিদারুন বেদনাদায়ক ঘটনা। আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান, সিরিয়া, মিসর, ইয়ামিন, সোমালিয়া, ইরিত্রিয়া, ফিলিস্তিন, লেবানন, পাকিস্তান, কাশ্মীর, ভারত, বাংলাদেশ মোটকথা কোন দেশ বা ভূ-খন্ডটি এমন আছে, যেখানে দৈনিক বড় আকারে মানুষ নিধন হচ্ছে না। একমাত্র সিরিয়াতেই ৪ লাখ লোক এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যাদের মধ্যে শিয়া-সুন্নী উভয়ই রয়েছে। মিয়ানমার (বার্মায়) রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনের ব্যাপারটিও রুয়ান্ডারই অনুরূপ এর একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে মুসলমানদের খতম করা। মুসলিম গণহত্যা দ্বারা মানুষরূপী এসব শয়তানের এজেন্টদের বাড়তি উদ্দেশ্য হলো, একদিকে মানুষের বংশ নিধন অপরদিকে আল্লাহর আনুগত্যকারীদের সংখ্যা হ্রাস করে শয়তানদের অধিক সন্তুষ্টি অর্জন করা।

বিশেষ করে বার্মার রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার প্রতি তাকালে যেসব প্রশ্ন জাগে তন্মধ্যে প্রথম প্রশ্ন হলো এই যে- বার্মার সামরিক এক নায়কত্বের ভেতর থেকে যেই গণতন্ত্র মাথা তুলে দাঁড়ালো সেখানে এই গণহত্যা সত্ত্বেও শান্তির নোবেল প্রাপ্ত বর্মী বিরোধী নেতৃত্বে কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া নেই কেন? সারা দুনিয়ায় এই বেদনাদায়ক গণহত্যার বিষয়টিকে কেন ব্লেক আউট করে রেখেছে? মুসলিম বিশ্বের মিডিয়াগুলোর চোখ এ ব্যাপারে কেন বন্ধ হয়ে আছে? কোনো পক্ষ থেকেই ইসলাম দুনিয়ার চোখ খোলার কোনো প্রকার চেষ্টা হচ্ছে না। এ ঘটনাতো শুধু এটিই প্রথম নয়- এর আগে থেকেই রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন ও নিপীড়নের কাজ চলে আসছে। বর্মী সামরিক সরকার কি এতই শক্তিশালী যে, তারা আন্তর্জাতিক নিয়ম-রীতি লঙ্ঘন করে মনে যা চাইবে তাই করতে থাকবে, কিন্তু জিজ্ঞাসা হলো, সকলের মধ্যে এই নীরবতা কেন? বিভিন্ন সরকারের চাপ ইসলামী সম্মেলন সংস্থা, সার্ক সম্মেলন এ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সকল ফোরাম থেকে নানানভাবে কার্যকর প্রেসার আসা কর্তব্য। অন্যথায় মানবতাবিরোধী গণহত্যায় সকলের এই নীরবতার ফলে মানুষ নামের দানবদের কর্মকান্ডের পরিণতি এক সময় অন্যদেরও ভোগ করতে হবে। মুসলিম বিশ্ব ইসলামী সম্মেলন সংস্থা এবং গণতন্ত্র প্রিয় দুনিয়াবাসী থেকে অনেক কিছু আশা করেছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে দিনের দিন যেন সব আশা ভরসা নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে। মানবসভ্যতা পশ্চাৎমুখী হতে চলেছে। মানবতাকে এই অন্যায় ও দুরবস্থার হাত থেকে রক্ষা করতে হলে জাতিসংঘ সনদকে কার্যকর করার জন্য বিশ্বের বিবেকবান মানুষদের অবশ্যই সক্রিয় হয়ে উঠতে হবে। অন্যথায়, বিশ্ব আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বাবস্থার মতো অমানবিকতা ও বর্বরতার দিকে ধাবিত হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।

     দিন     ০১     ০২     ০৩     ০৪     ০৫     ০৬     ০৭     ০৮     ০৯     ১০     ১১     ১২     ১৩     ১৪     ১৫     ১৬     ১৭     ১৮     ১৯     ২০     ২১     ২২     ২৩     ২৪     ২৫     ২৬     ২৭     ২৮     ২৯     ৩০     ৩১       মাস     ০১     ০২     ০৩     ০৪     ০৫     ০৬     ০৭     ০৮     ০৯     ১০     ১১     ১২       বছর     ২০১৫     ২০১৪     ২০১৩     ২০১২     ২০১১     ২০১০  

USEFUL LINKS

Bangla NewspapersEnglish NewspaperWeekly MagazineIndian NewspaperForeign MissionsHospitalFree Jamat Leaders

সম্পাদকঃ আবুল আসাদ

বাংলাদেশ পাবলিকেশন লিঃ- এর পক্ষে সম্পাদক কর্তৃক আল ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। পিএবিএক্সঃ +৮৮০২৯৩৪৬৪৪৮, +৮৮০২৯৩৫৮৮৬২, +৮৮০২৯৩৪৬৩৬২, +৮৮০২৮৩৫০০১৩, +৮৮০২৮৩১৮১২৮, +৮৮০২৮৩২১০৭৩ 
ফ্যাক্সঃ +৮৮০২৯৩৩৭১২৭, +৮৮০২৮৩৫০২৬৫, +৮৮০২৮৩১৫০৯৪।

e-mail: news@dailysangram.com, dsangram@gmail.com
website: www.dailysangram.com, www.dailysangram.net


http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=95685

No comments:

Post a Comment