গণতন্ত্রের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই পারে আওয়ামী দুঃশাসনের কবল থেকে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ॥
কোন দিন আমি যদি পত্রিকা অফিস থেকে রাতে দেরি করে হল ফিরতাম ॥ তখন আনুসাঙ্গগিক কাজ শেষ করে শুয়তে যাওয়ার আগে জানালা দিয়ে একবার প্রাণ ভরে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতাম ॥ আমার বিছানায় শুয়ে ঝাঁও গাছের পাতার ফাঁকে চাঁদের লোকচুরি খেলা সে দৃশ্য কি কোন দিন ভুলা যাবে॥ সে কথা অন্য একসময় বলবো॥ গভীর রাতে জানালা দিয়ে প্রায় সময় দেখতাম বেপারীরা মহিষ নিয়ে যাচ্ছে ॥ আমি মুহসীন হলের মাঠের পাশের দক্ষিণ ব্লকে থাকার
কারণে মাঠের ওপাশে রাস্তার সব
দৃশ্যই পরিষ্কার দেখা যেতো॥ একদিন গভীর রাতে আমার রুমমেইট সোহেলকে ঘুম থেকে ডেকে বলি দেখ মহিষ গরু হয়ে যাওয়ার অডিশন॥ আচমকা সোহেল ঘুম থেকে উঠে
জানালা দিয়ে দেখে মহিষের পাল যাচ্ছে॥ আমি তাকে বলি এই মহিষ যাচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন কসাইখানায় আর সকালে বিক্রি হবে গরুর মাংস হিসেবে ॥ আমরা ঢাকাবাসী আজকাল যে গরুর মাংস খাই তা আসলেই মহিষের মাংস আপনি বিশ্বাস করেন আর নাই করেন॥ যদি নিরীহ প্রাণী মহিষ এই কথা জানতো তবে লঙ্গকা কান্ড বেঁধে যেতো॥ তবে মহিষের মাংস গরুর মাংস থেকে
অনেক ভালো॥ এলার্জি নাই স্বাদও অনেক বেশি॥ যাই হোক নাস্তিক নাহিদ যে ভয়ানক ভাবে বাঁশটা দিলো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ॥ আর বাকী বাঁশটা দিলো আরেফীন ॥ যেভাবে গরু বলদ আর মহিষ ছাগলদের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে , তাতে আগামী দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে ঐ মহিষ ঢুকবে আর সব গরু হয়ে বের হবে ॥ আর এই সব গরু ছাগল বলদ মহিষ নামক দলবাজ মেধাহীরা শিক্ষক হলে ??, তারা পিএইচডি করবে কিভাবে সম্ভব ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন বৃদ্ধির কলা কৌশল নিয়ে !!! আর ক্লাসে গবেষণা হবে মেয়েদের চুল মুখ বুক কোমরের মাপ ঝোঁক নিয়ে ॥ ছি ছি ছি শত ধিক এই সব জ্ঞানপাপী দলকানা বকধার্মীকদের ॥ শিক্ষার একমাত্র পবিত্র স্হান সকল আশার সম্ভল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেও আমরা আজ হারাতে বসেছি ॥ স্বপ্ন ছিলো পরিবারের নতুন প্রজন্মের
সবাইকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবো সেটা মনে হয় আর সম্ভব হচ্ছে না ॥
সেই কারণে আজ দেশের দুর্দিনেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নীরব নিথর হয়ে আছে ॥ ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞানচর্চায় নয় ৫২’ র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জুগিয়েছে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। যে বিশ্ববিদ্যালয় এক সময় ইংরেজ পাক হানাদার আর স্বৈরাচার এরশাদকে বিতাড়িত করছিল সেই বিশ্ববিদ্যালয় আজ আর আগের চেতনায় নাই ॥ কেমন যেন মলিন হয়ে আছে॥ যে দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন করে চেতনা ফিরে আসবে সেই দিনই বাংলাদেশে আওয়ামী দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্তি পাবে ॥ আরও একদিন নতুন করে অপরাজয় বাংলার পাদদেশে শ্লোগান হবে আওয়ামী বাকশাল নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। ১৯২১ সালের এ দিনে তখনকার পূর্ববাংলায় উচ্চশিক্ষা বিকাশের মহতি লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন রয়েছে আজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে॥
সূফি বরষণ