সূফি বরষণ
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা দুনিয়া সারা জাগানো একটি শক্তিশালী গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান । গত কয়েক বছর ধরে গোয়েন্দা জগতে শীর্ষ স্থান ধরে রেখে আইএসআই। গোয়েন্দা জগতে সবাই পাকিস্তানের আইএসআইকে সমীহ করে চলে। কথিত আছে যেখানে সিআই কেজেবি এবং র পৌঁছে তারও অনেক বছর আগে সেখানে মোসাদ এবং পাকিস্তানের আইএসআই তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক থাকে । ভারত যতবার পাকিস্তানে গোয়েন্দাগিরি করেছে ততোবারই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর হাতে ধরা পড়েছে। নিচে এই বিষয়ে কিছু নমুনা উল্লেখ করছি।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকার নিউজ, পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচি এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ। নয়াদিল্লিতে ‘হার্ট অব এশিয়া’ সম্মেলনের অবকাশে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে এ উদ্বেগের কথা জানান পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব এজাজ আহমেদ চৌধুরী।
ভারতের পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে পাক-ভারত শান্তি প্রক্রিয়া অচল হয়ে পড়ার পর এই প্রথম দেশ দু’টির মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হলো। এছাড়া, প্রথমবারের মতো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং বা ‘র’ এর নাশকতামূলক তৎপরতার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করল ইসলামাবাদ।
ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদব গত মাসে পাকিস্তানে গ্রেফতার হওয়ার পর নাশকতামূলক তৎপরতার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিকে জানানো হলো। এর আগে আটক যাদবের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। এ ফুটেজে বেলুচিস্তান ও করাচিতে কথিত অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কথা ‘স্বীকার’ করেছেন যাদব।
পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে, পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতেই তৈরি করা হয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং-(র) এবং র-কে হাল্কা ভাবে নেওয়া উচিত নয়।
এর পাশাপাশি জিও টিভি-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তালিবানের পাশে বসিয়েছেন র-কে। তালিবান আর র-এর স্বার্থ একই বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
বালুচিস্তানের তথাকথিত জাতীয়তাবাদীদের পিছনে ভারতের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করে তাঁর দাবি, ওদের সকলের কাছে ভারতের পাসপোর্ট আছে!
তাদের অভিমত, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইস্যুতে ভারত যদি সত্যিই পাকিস্তানের পাশে থাকতে চায়, তবে সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা উচিত তাদের।
এদিকে পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিম সালিম বাজওয়া জানিয়েছেন, সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফের উপস্থিতিতেই রাওয়ালপিন্ডিতে কোর কমান্ডার ও প্রধান স্টাফ কমান্ডারদের মাসিক অধিবেশনের আলোচনায় বালুচিস্তান প্রসঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে।পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ উসকে দেওয়ার পিছনে র-এর ভূমিকা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে সেই বৈঠকে, জানিয়েছেন বাজওয়া।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে র-এর হাত থাকার অভিযোগ এল মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) গোষ্ঠীর দুই সদস্য গ্রেফতার হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে। পাক পুলিশের দাবি, ধৃত এমকিউএম সদস্যরা র-এর সদস্য, ভারতে ওদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ওই দুজনের গ্রেফতারির পর এমকিউএম প্রধান আলতাফ হুসেন এক টিভি ভাষণে র-এর সমর্থন চান।এ নিয়ে পাকিস্তানে শোরগোল পড়ে যায়।পরে অবশ্য এজন্য ক্ষমা চান আলতাফ।
বৈঠকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ও সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে বাজওয়া জানান।বলেন, দেশে স্থায়ী শান্তি কায়েম রাখতে অপরাধী, সন্ত্রাসবাদী ও শহরে তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান তীব্র করতে নির্দেশ দেওয়া সংশ্লিষ্ট সকলকে।
এবার আসা যাক মূল আলোচনায়, পাকিস্তানের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থাটির নাম হলো, ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)। এটি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফ দাবি করেছেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করতে বেপরোয়া তৎপরতা চালাচ্ছে। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) নিয়েও তারা অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
বেলুচিস্তানের গোয়াদারে অনুষ্ঠিত ‘বেলুচিস্তানে শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং সিপিইসি’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ দাবি করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান।
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকে আঞ্চলিকভাবে সফল করে তোলার জন্য পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সব প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন জেনারেল রাহিল শরীফ।
এ সময় পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর ‘জারবে আজব’ অভিযান সম্পর্কে কথা বলেন জেনারেল রাহিল। সেখানে সেনা অভিযান চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত মার্চে পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর এক কর্মকর্তাকে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা এবং তিনি গোয়েন্দা সংস্থা র’তে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বেলুচিস্তান প্রদেশে এক অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ওই গোয়েন্দাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই সন্দেহভাজন গোয়েন্দাকে ইসলামাবাদে পাঠানো হয়। বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসবাদ এবং অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কাজে ভারতীয় ওই গোয়েন্দা জড়িত থাকতে পারে বলে তখন পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের তরফে সন্দেহ করা হয়েছিল। একইসঙ্গে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। ওই ঘটনায় তখন পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করে ইসলামাবাদ।
এর আগে, বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মির সরফরাজ বুগতি নিজ প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ভারতীয় গুপ্তচর আটকের খবর নিশ্চিত করেন। আটক ব্যক্তির নাম কুল যাদব ভোসান এবং তিনি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডার পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছিল। সূত্র: ডন ।
পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর একটি দেশ। দেশটির প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই। এটি ছাড়াও পাকিস্তানে আরো দু’টি গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে।
এ দু’টি দেশের অভ্যন্তরে গোয়েন্দা তৎপরতা পরিচালনা করে। আইএসআই’র কাজ দেশের বাইরে। ১৯৪৭ সালে ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তান মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স উল্লেখযোগ্য কোনো গোয়েন্দা তৎপরতা পরিচালনা করতে না পারায় বহির্বিশ্বের জন্য পৃথক গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজন হয়।
এরই প্রেক্ষাপটে ১৯৪৮ সালে ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা ISI(Inter–Services Intelligence) আইএসআই প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়। নাম দেয়া হয় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)। প্রথম দিকে এটি মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের পৃথক একটি ইউনিট ছিল। অফিসও করা হয় মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স অফিস থেকে আলাদা স্থানে রাওয়ালপিন্ডিতে। অবশ্য কিছু দিনের মধ্যে রাজধানী ইসলামাবাদে এর হেডকোয়ার্টার স্থানান্তর করা হয়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম তাজ আইএসআই’র বর্তমান প্রধান।
ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তান দু’টি গোয়েন্দা সংস্থা গঠন করে। এর একটি হচ্ছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)। অপরটি হচ্ছে মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স (এমআই)। ১৯৪৭ সালে ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের আর্মি, নেভি ও এয়ার এই তিন বাহিনীই সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করে। যুদ্ধকালীন প্রতিপক্ষের গোপন তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব ছিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের। কিন্তু এ সংস্থা প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়। অন্য দিকে প্রকাশ হয়ে পড়ে পাকিস্তান ও আইএসআই’র দুর্বল দিকগুলো। তখনই বহির্বিশ্বে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর জন্য আলাদা সংস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে পাকিস্তান সরকার।
১৯৪৮ সালে আইএসআই প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রধান করা হয় ব্রিটিশ আর্মি অফিসার মেজর জেনারেল আর কথোমকে । এর আগে তিনি পাকিস্তান আর্মির ডেপুটি চিফ ছিলেন। ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান আইএসআই’র কার্যক্ষেত্র বৃদ্ধি করেন। তিনি দেশে এবং দেশের বাইরে পাকিস্তানের আগ্রহের ক্ষেত্র নির্দেশ করে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর জন্য আইএসআইকে নির্দেশ দেন। তার সময়েই বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গতিবিধি পর্যালোচনার দায়িত্ব দেয়া হয় আইএসআইকে। গোয়েন্দা রিপোর্ট তিন মিলিটারি সার্ভিসের (আর্মি, নেভি, এয়ার) সাথে সমন্বয় করতেও বলা হয় এ সংস্থাকে। ১৯৬৫ সালের ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধেও আইএসআই উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখাতে পারেনি। এ কারণে ১৯৬৬ সালে সংস্থাটিকে আবার পুনর্গঠন করা হয়। ১৯৬৯ সালে এর কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করা হয়। এ সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর শাখা করা হয়। স্থাপন করা হয় অফিসও। তবে পূর্ব পাকিস্তানে গোয়েন্দা তৎপরতার মূল লক্ষ্য ছিল বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এক বছর পর বেলুচিস্তানে একইভাবে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে আইএসআই।
১৯৫৩ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাকিস্তানের সামরিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা হয়। এর ফলে পাকিস্তান এ দু’ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সহযোগিতা পায়। অন্য দিকে বিশ্বব্যাপী কমিউনিজমবিরোধী আন্দোলনে পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সহায়তা করতে হয়। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং সাউথ এশিয়া ট্রিয়েটি অর্গানাইজেশনের (সিয়াটো) সদস্য হয়। মূলত এ সময় থেকেই পাকিস্তান সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনেকটা উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী তৎপরতায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএকে আইএসআই যথেষ্ট সহযোগিতা করে।
আইএসআই’র গোয়েন্দা তৎপরতার প্রধান উদ্দেশ্য দেশ ও দেশের বাইরে জাতীয় নিরাপত্তা সমুন্নত রাখা। টার্গেট দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক তৎপরতার গোপন সংবাদ সংগ্রহ। দেশের অভ্যন্তরের তিন সামরিক শাখার মধ্যে সমন্বয় করা। মিলিটারি ক্যাডারের সদস্য, সংবাদ মাধ্যম, দেশ ও দেশের বাইরে পাকিস্তান সোসাইটির রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা, পাকিস্তানে অন্য দেশের কূটনীতিকদের তৎপরতা, পাকিস্তানের কূটনীতিকদের অন্য দেশে তৎপরতা এসবের প্রতি সতর্ক নজর রাখা আইএসআই’র দায়িত্ব।
আইএসআই’র হেড কোয়ার্টার রাজধানী ইসলামাবাদে। সংস্থাটির প্রধানকে বলা হয় ডিরেক্টর জেনারেল। সাধারণত পাকিস্তান আর্মির লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার কাউকে এর প্রধান করা হয়। ডিরেক্টর জেনারেলের অধীনে রয়েছেন তিনজন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল। এই তিনজনের কাজের তিনটি ক্ষেত্র হচ্ছে রাজনৈতিক, বহির্বিশ্ব ও সাধারণ কর্মতৎপরতার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ। আইএসআই’র স্টাফদের অধিকাংশকে নিয়োগ দেয়া হয় পুলিশ, আধাসামরিক ও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে পাকিস্তান আর্মির সদস্যদের মধ্য থেকে। এর স্টাফ সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। তবে তথ্য সংগ্রহের জন্য ৩০ হাজার ইনফরম্যাটস রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান বিভাগ রয়েছে মোট সাতটি। জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স এক্স বা জেআইএক্স বিভাগের কাজ হচ্ছে আইএসআই’র বিভিন্ন শাখার কাজের সমন্বয় করে রিপোর্ট দেয়। ১৯৮০ সালের পর থেকে জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা জেআইবি বিভাগ হচ্ছে আইএসআই’র সবচেয়ে বড় ও কর্তৃত্বশীল বিভাগ। এ বিভাগের মূল কাজ হচ্ছে রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ। এ ছাড়াও এ বিভাগকে অতিরিক্ত তিনটি দায়িত্ব দেয়া আছে। এগুলো হচ্ছে অপারেশন ইন ইন্ডিয়া, কন্ডাক্টিং অ্যান্টি-টেরোরিজম অপারেশনস ও প্রেভাইডিং সিকিউরিটি টু ভিআইপি। সংস্থাটির অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হচ্ছে জয়েন্ট কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা জেসিআইবি।
বিভিন্ন দেশে পাকিস্তানের কুটনীতিকরা গোয়েন্দা তৎপরতার রিপোর্ট এ বিভাগকে দেন। এ বিভাগের অধীনে প্রধান এলাকা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, চীন, আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো। অবশ্য ইউরোপ, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহও এ বিভাগের অধীনেই করা হয়। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সিআইএ’র তৎপরতাও এ বিভাগ পর্যবেক্ষণ করে। অপর বিভাগ জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স নর্থ বা জেআইএন’র কার্যক্ষেত্র হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর। অবশ্য এ বিভাগের কার্যক্রম অনেকটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আইএসআই’র আর একটি বিভাগ জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স মিসিলিনিস বা জেআইএম বিভাগ যুদ্ধচলাকালীন গোয়েন্দাগিরিসহ যুদ্ধে সরাসরি প্রতিরোধের কাজ করে। সংস্থাটির ওয়্যারলেস যোগাযোগ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে জয়েন্ট সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা জেএসআইবি বিভাগ। সংস্থাটির সর্বশেষ বিভাগ হচ্ছে জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স টেকনিক্যাল বা জেআইটি বিভাগ। ুদ্র যন্ত্রাংশের উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় উপকরণ রক্ষণাবেক্ষণ ও রাসায়নিক বিভিন্ন উপকরণ দেখভাল করার দায়িত্ব এ বিভাগের।
১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত আইএসআই’র ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন ব্রিগেডিয়ার রিয়াজ হোসাইন। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আকবর খান। পরে অবশ্য তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন মেজর জেনারেল গোলাম জিলানী খান। তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত মেজর জেনারেল মুহাম্মদ রিয়াজ খান ছিলেন এর প্রধান। ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৭ সালের মার্চ পর্যন্ত সংস্থাটির প্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আখতার আবদুর রহমান। তার পরে সংস্থাটির দায়িত্ব দেয়া হয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল হামিদ গুলকে। তিনি দায়িত্বে ছিলেন ১৯৮৯ সালের মে মাস পর্যন্ত।
মে ১৯৮৯ থেকে আগস্ট ১৯৯০ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) শামসুর রহমান কাল্লু। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসাদ দুররানী দায়িত্বে ছেলেন আগস্ট ১৯৯০ থেকে মার্চ ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাভেদ নাসির ছিলেন মার্চ ১৯৯২ থেকে মে ১৯৯৩ পর্যন্ত। তার পর থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাভেদ আশরাফ কাজী। ১৯৯৫ সালে দায়িত্ব দেয়া হয় মেজর জেনারেল নাসিম রানাকে। তাকেও লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। তিনি দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর অক্টোবর ১৯৯৮ থেকে অক্টোবর ১৯৯৯ পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউদ্দীন ভাট, অক্টোবর ১৯৯৯ থেকে অক্টোবর ২০০১ পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহমুদ আহমেদ, অক্টোবর ২০০১ থেকে অক্টোবর ২০০৪ পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইসহাক উল হক, অক্টোবর ২০০৪ থেকে অক্টোবর ২০০৭ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানি।
আইএসআইতে সামরিক ও বেসামরিক উভয় পর্যায়ের লোকই নিয়োগ দেয়া হয়। বেসামরিক প্রার্থীদের নিয়োগ দেয় ফেডারেল পাবলিক সার্ভিস কমিশন। আর সামরিক লোকদের নিয়োগ দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বেসামরিক প্রার্থীদের নিয়োগ পেতে সমসাময়িক বিষয়াবলি, ইংরেজিতে দক্ষতা, বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণী শক্তি, বিশ্বের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্পষ্ট ধারণাসহ অনেকগুলো বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে হয়। এসব বিষয় ছাড়া প্রার্থীর পারিবারিক ঐতিহ্য, ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিষয়ে সরাসরি জিজ্ঞাসার মাধ্যমে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়ার পর তার মেডিক্যাল চেকআপ করা হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রাথমিকভাবে বেসামরিক প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে টেকনিক্যাল পদে সাধারণত বেসামরিক প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয় না। নিয়োগপ্রাপ্তির পর প্রার্থীকে এক বছরের জন্য ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স স্কুলে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। সামরিক প্রার্থীরা এই স্কুলে প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারে। তাদেরও এ সংস্থায় প্রাথমিকভাবে নিয়োগ দেয়ার পর চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
আইএসআই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এ সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধে দেয়া সম্ভব নয়। কলেবর অনেক বড় হবে এজন্য সংস্থাটির সাথে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক; ভারত, আফগানিস্তান, চীন, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশে সংস্থাটির অপারেশন এ প্রবন্ধে উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংস্থাটিকে অনেকগুলো যুদ্ধে সম্পৃক্ত হতে হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে সংস্থাটি বাংলাদেশে বিভিন্ন হত্যাযজ্ঞে সহায়তা করে। অভিযোগ আছে কমিউনিস্টবিরোধী আন্দোলনে আফগানিস্তানে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সিআইএকে সহায়তা করে এ সংস্থা। আফগানিস্তানে জাতিগত দ্বন্দ্বের পেছনেও এ সংস্থার ইন্ধন রয়েছে বলে সিআইএ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা আরএডব্লিউ অভিযোগ করে। কাশ্মীর প্রশ্নে সংস্থাটির যেমন সফলতা রয়েছে তেমনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যর্থতাও কম নয়। গোয়েন্দাগিরিতে সংস্থাটি কখনোই সিআইএ কিংবা কেজিবি’র সমকক্ষ হতে পারেনি। মোসাদের তো নয়ই। সামরিক, অর্থনৈতিক ও গোয়েন্দাগিরিতে মার্কিন সহায়তা অনেকবার দেশটিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। দেশটির বর্তমান অবস্থা তারই ধারাবাহিকতার ফসল।
পাকিস্তানের সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত এবং বিতর্কিত গোয়েন্দাসংস্থার নাম “আইএসআই”। গত শতকে আফগানিস্তানে আফগান মুজাহিদিন, তালেবানদের সহযোগিতার জন্য আলোচিত এই সংস্থাটি। বর্তমানে আমরা ISI বলতে যে সংস্থাটিকে বুঝি, সেটি মুলত জিয়াউল হক ক্ষমতায় আসার পর নতুন রুপে সাজানো আইএসআই। জিয়াউল হক জুলফিকার আলী ভুট্টোকে ক্ষমতাচ্যুত করে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসেন। তখন জিয়াউল হক Lieutenant-General Hamid Gul কে দায়িত্ব দেন ISI এর প্রধান হিসেবে। এর হাতেই নতুন এক আগ্রাসী রূপ পায় ISI আর হয়ে ওঠে ভয়ংকর এক গোয়েন্দা সংস্থা। পাকিস্তানের ভেতরে, ইরান, আফগানিস্তান, ভারত, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, খুব কম দেশে আছে যে দেশে নাসকতামুলক কর্মকান্ড চালানোর অভিযোগ ISI কে নিতে হয়নি। মজার ব্যাপার হল বর্তমানে আমেরিকান ক্রাইম নিউজ আইএসআই-কে পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের এবং সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আইএসাই এর সদর দপ্তর ইসলামাবাদের সোহরাওয়ার্দী নামক জায়গায়। অবশ্যই পাকিস্তানের যত গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে তাদের মধ্যে আইএসআই হল খুবই প্রভাবশালী, দুর্ধর্ষ ও বিখ্যাত।তবে পাকিস্তানের আরো দু’টি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা হল Intelligence Bureau (IB) এবং Military Intelligence (MI)। আইএসাই-কে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার কমান্ড পাওয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং একই সাথে দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংস্থা হিসেবেও পরিচিত।
আইএসআই এর তৎকালীন প্রধান Hamid Gul কে বলা হত “The Father of Taliban”। সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্য আফগানস্তানকে ভিয়েতনাম বানিয়ে ফেলার পেছনে অন্যতম কারিগর ছিলো ISI, এছাড়া CIA-এর অস্ত্র তালেবান বা আলকায়দার হাতে তুলে দেয়া এবং সরাসরি আফগানিস্তানের ভেতরে সোভিয়েত বিরোধী অভিযানে ভুমিকা রাখে ISI উপরন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ু যুদ্ধ জয়ের পেছনে এই সংস্থার অবদান কম না।
মার্কিনরা আগে না হলেও এখন জানে যে, লাদেনকে দীর্ঘদিন লুকিয়ে রেখেছিলো এই ISI। সিআইএ(CIA) এবং NSA এর মত সংস্থা যেখানে লাদেনকে ধরার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে তাঁদের সমস্ত শক্তি নিয়ে, সেখানে প্রায় ১০ টি বছর বিন লাদেন’কে তাঁরা লুকিয়ে রেখে চোর পুলিশ খেলেছে CIA এর সাথে।সুতরাং বুঝতেই পারছেন আমেরিকার ক্রাইম নিউজ কি কারণে আইএস আই কে কি কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার মর্যাদা দিয়েছে।
CIA এর সাবেক প্রধান মাইক হেইডেন বলেছিলেন, তিনি ISI কে বিশ্বাস করতেন না। আবার অবিশ্বাস করার উপাও ছিলো না। কারণ ২০০১ সালের পর যত বড় বড় আলকায়দা নেতা ধরা পড়েছে, সেটা খালিদ শেখ মোহাম্মদ থেকে ৯/১১ এর আগে ধরা খাওয়া রামজি বিন ইউসুফ, অধিকাংশকেই ধরে আমেরিকার কাছে দিয়ে দিয়েছে আইএসআই। যখনই CIA বা মার্কিন প্রশাসনের সন্দেহ হইতো, তখনই আল কায়দা বা তালেবানের কোনো একজনকে ধরিয়ে দিয়ে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতো ISI.
লাদেন হত্যার পর CIA আর ISI এর দুরত্ব আর অবিশ্বাস আরো বেড়েছে। বলা যায় পাকিস্তান নামক দেশটি টিকে আছে মুলত তাঁদের এই গোয়েন্দাসংস্থার উপর ভর করে। তবে পাকিস্তানের অনেক ঝামেলার পেছনেও আছে এই ISI, কারণ এটা চলে একরকম এর নিজেস্ব নিয়মে। এমনকি এর উপর স্বয়ং সে দেশের সরকারের নিয়ন্ত্রন আছে কিনা, সেটা নিয়েই সন্দেহ আছে।আবার এর ভেতরেও আছে নানান ফ্র্যাকশন।সেইসাথে পাকিস্তানের ভেতরে রাজনীতিতে এটা নাক গলায়। পাকিস্তানের রাজণীতি কলুষিত হবার পেছনে অনেক কারনের একটি হল এই আইএসআই।
আইএসআই এর বর্তমান প্রধান হলেন Lieutenant-General Rizwan Akhter যিনি ২০১৪ সালের অক্টোবরে Zaheerul Islamএর স্থলাভিষিক্ত হন।বিশ্বের দুর্ধর্ষ এই গোয়েন্দা সংস্থাটির পেছনে কাজ করে থাকে প্রায় ১০,০০০ অফিসার ও কর্মচারী। বিশ্বের দুর্ধর্ষ যতসব গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারাবাহিক পর্বগুলো সম্পর্কে আরও জানতে আশা করি সঙ্গে থাকবেন।
বুধবার, 27 এপ্রিল 2016, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘তৎপরতা’ নিয়ে উদ্বেগ জানাল পাকিস্তান। পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচি এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ। নয়াদিল্লিতে 'হার্ট অব এশিয়া' সম্মেলনের অবকাশে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে এ উদ্বেগের কথা জানান পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব এজাজ আহমেদ চৌধুরী।
ভারতের পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে পাক-ভারত শান্তি প্রক্রিয়া অচল হয়ে পড়ার পর এই প্রথম দেশ দু’টির মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হলো। এছাড়া, প্রথমবারের মতো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং বা ‘র’ এর নাশকতামূলক তৎপরতার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করল ইসলামাবাদ।
ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদব গত মাসে পাকিস্তানে গ্রেফতার হওয়ার পর নাশকতামূলক তৎপরতার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিকে জানানো হলো। এর আগে আটক যাদবের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। এ ফুটেজে বেলুচিস্তান ও করাচিতে কথিত অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কথা ‘স্বীকার’ করেছেন যাদব।
তথ্যসূত্রঃ
উইকিপেডিয়া
http://english.aljazeera.net/mritems/Documents/2010/6/13/20106138531279734lse-isi-taliban.pdf
http://www.fas.org/irp/world/pakistan/isi/
http://www.atimes.com/atimes/South_Asia/DJ30Df01.html
http://www.ndtv.com/article/world/obama-wont-back-mullens-claim-on-pakistan-137813
No comments:
Post a Comment