পর্ব এক। কাদিয়ানী মতবাদ কি? তারা কেন অমুসলিম একটি পর্যালোচনা।
সূফি বরষণ
কিছু দিন আগে আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মাওলানা আব্দুল হালিম আমাকে পরামর্শ দেন বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যেন কাদিয়ানী মতবাদের �উপরে একটি প্রবন্ধ লিখি। আমাকে অনেক ব্যস্ততা মধ্যদিয়ে অনেক কাজ করতে হয়, আবার তারওপর বিভিন্ন জনের বিভিন্ন আবদা�র রক্ষা করতে হয়। ওস্তাদের আদেশ ফেলতে পারিনা, কারণ আমার জীবনে আজকের অবস্থানে আসার পিছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তিনির স্থান সবার উপরে। আলোচনার শুরুতেই বলে রাখার দরকার কাদিয়ানী বা আহমদিয়াদের প্রধান কার্যালয় দক্ষিণ লন্ডনের মর্ডেনে। যে ভ্রান্ত মতবাদ ওপনেবেশিক শাসন আমলে ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেই অর্থ প্রবাহের ধারা এখনও অব্যাহত আছে।
কাদিয়ানী মতবাদ কি?: এই সম্পর্কে ব্রিটিশ বাংলাদেশী সমকালীন গবেষক রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিভিন্ন মতবাদের উপরে বিজ্ঞপন্ডিত
ড. কামরুল হাসান তাঁর লেকচারে বলেন, কাদিয়ানীরা মনে করে হযরত মুহম্মদ সা: শেষ নবী নয় বরং মুহম্মদ সা: এর নবুয়াতের সিল মোহর নিয়ে আরও অনেক নবী আসবে আর তারই ধারাবাহিকতা হলো মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী। তারা আরও মনে করে তাদের সম্প্রদায় শ্রেষ্ঠ উম্মাহ এবং অন্য সবাই জাহান্নামে যাবে আর শুধুমাত্র তারাই জান্নাতে যাবে। আরও একটি বিষয় হলো তাদের বাদে অন্য কেউ প্রকৃত মুসলিম নয়।
কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় ইমাম ও খলিফা, মির্জাপুত্র বশীরুদ্দীন মাহমুদ ১৯১৫ সনে ‘হাকীকাতুন নবুওয়াহ’ নামে একটি বই লিখে প্রচার করেছেন। তিনি এটি কাদিয়ানী লাহোরী গ্রুপের বিরুদ্ধে লিখেছেন এবং তাতে মির্জা সাহেবের স্বতন্ত্র-শরঈ নবী হওয়ার বিষয় ‘দালীলিক’ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। বইটির প্রচ্ছদে বড় অক্ষরে লেখা আছে, ‘প্রতিশ্রুত ঈসা মসীহ-ইমাম মাহদীর নবুওত ও রেসালাত অকাট্য দলীলে প্রমাণিত।’
বইয়ের ১৮৪-২৩৩ পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ পৃষ্ঠাব্যাপী ‘দলীল-প্রমাণ’ দ্বারা মির্জা সাহেবের নবুওত প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে মূলত লাহোরী গ্রুপের মত খন্ডন করে বিশ প্রকার ‘দলীল’ দেওয়া হয়েছে। তার মাঝে সপ্তম দলীল এমন, ‘খোদ মির্জা সাহেব নিজেকে নবী ও রাসূল বলে উল্লেখ করেছেন এবং সুস্পষ্টভাবে নবুওত ও রেসালাত দাবী করেছেন’।
এখানে আরও একটি বিষয় বলে রাখার দরকার কাদিয়ানী সম্প্রদায় দুটি গ্রুপে বিভক্ত ।
বইটির কিছু কিছু বক্তব্য আমরা আমাদের পাঠকের সামনেও তুলে ধরছি। এগুলি আমরা মির্জা সাহেবের মূল কিতাবেও পড়েছি। এখানে আলোচ্য বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ক্ষান্ত হচ্ছি।
১. আমি ঐ আল্লাহর কসম করে বলছি, যার হাতে আমার প্রাণ, তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন এবং আমাকে ‘নবী’ বলে নাম দিয়েছেন। (হাকীকাতুন নুবুওয়াহ, পৃ. ৬৮)
২. আল্লাহর হুকুম অনুসারে আমি একজন নবী। (‘আখবারে আম’ পত্রিকায় ২৬ মে ১৯০৮ঈ.তে প্রকাশিত মির্জা সাহেবের সর্বশেষ চিঠি)
৩. আমাদের দাবি হলো, আমি নবী ও রাসূল। (বদর, ৫ মার্চ ১৯০৮ঈ.)
৪. সুতরাং এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী পৃথিবীতে ভূমিকম্প হওয়া এবং নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেওয়া আমার নবুওতের নিদর্শন। স্মরণ রাখা উচিৎ, পৃথিবীর এক এলাকাতে আল্লাহর কোনো রূলকে মিথ্যুক সাব্যস্ত করা হলে অন্য এলাকার অপরাধীরাও তখন পাকড়াও-এর শিকার হয়। (হাকীকাতুল ওহী, পৃ. ১৬২)
৫. বিভিন্ন এলাকায় শতশত পাহাড়ী মানুষ ভূমিকম্পের আঘাতে হতাহত হয়েছে। তাদের কী অপরাধ ছিলো! কোন্ জিনিসকে তারা মিথ্যা মনে করতো! সুতরাং মনে রাখতে হবে, যখন আল্লাহর কোনো নবীকে অস্বীকার করে মিথ্যুক বলার অপচেষ্টা করা হয়, তা বিশেষ কোনো সম্প্রদায় করুক অথবা বিশেষ কোনো ভূখন্ডের অধিবাসীরা করুক, আল্লাহ তাআলা তখন ব্যাপক আজাব ও শাস্তি নামিয়ে দেন। (হাকীকাতুল ওহী, পৃ. ৮-৯)
৬. আল্লাহ তাআলা তাঁর নিয়ম অনুযায়ী কোনো নবী প্রেরণ করার আগ পর্যন্ত আজাব মূলতবি করে রাখেন। … এখন সে নবীর আগমন হয়ে গেছে। তাই তাদেরকে অপরাধের শাস্তি দান করার সময়ও এসে গেছে। (তাতিম্মা হাকীকাতুল ওহী, পৃ. ৫২)
৭. কঠিন আযাব কেবল তখনি আসে, যখন নবীর আগমনের পরও তাকে অস্বীকার করা হয়। কুরআন মাজীদে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, (অর্থ) আমি কখনো কাউকে শাস্তি দেই না, যতক্ষণ না (তার কাছে) কোনো রাসূল পাঠাই।’-সূরা বনী ইসরাঈল, (১৭) : ১৫
তাহলে আসল বিষয়টা বুঝতে এত বিলম্ব কেন যে, পুরো দেশ দুর্ভিক্ষের করালগ্রাসে পরিণত হয়েছে, একের পর এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ওহে বেখবর! খোঁজ নিয়ে দেখ, তোমাদের মাঝে আল্লাহ তাআলা হয়ত কোনো নবী পাঠিয়েছেন, যাকে তোমরা অস্বীকার করে চলেছ! (যার ফলে এ-সমস্ত দুর্যোগ তোমাদের পিছু ছাড়ছে না)-তাজাল্লিয়াতে এলাহিয়া, পৃ. ৮-৯
৮. আল্লাহ তাঁর নবীকে বিনা সাক্ষ্যে ছেড়ে দিতে চাননি।-দাফেউল বালা, পৃ.৮ ।
৯. আল্লাহ তাআলা ‘কাদিয়ান’ অঞ্চলকে প্লেগ মহামারী থেকে রক্ষা করবেন। কেননা এটি তার প্রিয় রাসূলের বিচরণ ক্ষেত্র!-প্রাগুক্ত, পৃ. ১০
১০. প্রকৃত খোদা তিনি, যিনি কাদিয়ানে আপন রাসূলকে প্রেরণ করেছেন। (দাফেউল বালা, পৃ. ১১; মির্জা মাহমুদকৃত হাকীকাতুন নুবুওয়াহ-এর সূত্র অবলম্বনে, পৃ. ২১২, ২১৪)
মির্জা সাহেব এগুলি নিজের ভাষায় ব্যক্ত করেছেন। পাঠক! ইনসাফের সাথে ভেবে দেখুন এবং এসব বাক্যে ভিন্ন কোনো ব্যাখ্যার অবকাশ আছে কি না নিজেই বিচার করুন।
এই দুটি আলোচনা মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর ‘প্রতিশ্রুত ঈসা মসীহ-ইমাম মাহদী’ দাবির সত্যতা সম্পর্কে জানতে আপনাকে সাহায্য করবে… এরপর আশা করি এই ভ্রান্ত মতবাদ সম্পর্কে আর নতুন ব্যাখ্যার দরকার নেই।
গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কি প্রতিশ্রুত ঈসা আ.?
https://www.youtube.com/watch?v=w24jwYvnPaI&list=PLEKjfSe2aCmBIxwjPC2s4xX6FnMWRx0jj&index=2
গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কি প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদি?
https://www.youtube.com/watch?v=dmFZn9jQdHk&list=PLEKjfSe2aCmBIxwjPC2s4xX6FnMWRx0jj&index=1a
শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী সম্পর্কে কিছু কথা...মার্চ ১৭, ২০১৪ ইন ইসলাম"। কারবালা ও একজন ইমাম হোসাইন (৪র্থ পর্ব)আগস্ট ১৭, ২০১৪ ইন ইতিহাস।
আবার আর একটি গ্রুপ বলেন, কাদিয়ানিরা নিজেদের কমিউনিটিতে আহমাদিয়া নামে পরিচিত। মির্জা গোলাম আহমেদকে তারা নবী বলে মনে করে না। মনে করে একজন প্রতিশ্রুত মসীহ্ হিসেবে। আরও খোলাসা করে বলতে গেলে গোলাম আহমেদ ১৪ শতকের একজন মুজাদ্দিদ বা সমাজ সংস্কারক, প্রতিশ্রুত মসীহ্ এবং ঈমাম মাহাদি। মুসলমান ধর্মে ঈসার দ্বিতীয় বার আগমনের যে কথা বলা হয়েছে তা পরিপূর্ণ হয়েছে গোলাম আহমেদের মাধ্যমে। তাদের যুক্তি হল, স্বর্গ থেকে ঈসার আগমন আসলে রূপক অর্থে ব্যবহৃত। ইসলামের মুক্তির জন্য স্বর্গ থেকে কাউকে পাঠাতে হবে এটা তারা মেনে নিতে পারেনা। তারা মনে করেন এই মুক্তি দাতা মানুষের মধ্য থেকেই কেউ হবেন এবং তিনিই মির্জা গোলাম আহ্মেদ।
বেশিরভাগ দেশেই সংখ্যালঘু আহমদিয়ারা সামাজিক ভাবে স্বীকৃত নয়। আর তাদের উপাসনালয় সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে মুসলমানদের মসজিদের মতো। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান সরাকারিভাবে আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করে। বাংলাদেশের তাদের এখনও এই সম্মানে ভূষিত করা না হলেও দাবি অব্যাহত আছে অমুসলিম ঘোষণা করার ।
বিস্তারিতঃ http://bn.wikipedia.org/wiki/আহ্মদি
কাদিয়ানীদের মুখোশ উন্মোচন: মুসলমানদের ইমান আকীদা ও ধর্মবিশ্বাসের আঘাত হানার জন্য ভারতের শিখ পরিবারে জন্ম নেওয়া 'মির্যা গোলাম আহমেদ' উনবিংশ শতাব্দির অন্যতম ফেতনা। নিজের আল্লাহ নবী হিসাবে জাহির করে পশ্চিমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিভিন্ন মুসলিম দেশে এরা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। আমাদের দেশেও রয়েছে এদের বেশ আকারের একটা ঘাঁটি যাদের প্রধান কাজ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করা এবং খিষ্ট্রীয়করন প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে এদের বিরাট একটা অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের খিষ্ট্রান আধ্যূষিক এলাকা হিসাবে বিভক্তির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। পশ্চিমা বিভিন্ন এনজিও ও মিশনারীগুলো তাদেরকে সাহায্য করে যাচ্ছে। এদের ধর্ম বিশ্বাস বেশ জগাখিঁচুরী টাইপের মুসলমান-খিষ্ট্রান মিশানো। ইতিমধ্যে তারা 'আহমদিয়া মুসলিম জামাত' নামে একটি সম্প্রদায় গঠন করে এবং পরবর্তীতে আহমদিয়ারা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে লাহোর আহ্মদিয়া আন্দোলন ,আহ্মদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় নামে। লাহোর আহ্মদিয়া আন্দোলন মনে করে আহ্মদিয়া জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মির্যা গোলাম একজন মুজাদ্দিদ (সংস্কারক), প্রতিশ্রুত মসীহ্, ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু খ্রিস্ট হিসাবে।
তারা কায়মনো বাক্যে স্বীকার করে যে মুহাম্মদ(সঃ)সর্বশেষ নবী। অপরদিকে আহ্মদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় এর মতে মির্যা গোলাম আহ্মেদ একজন মুজাদ্দিদ (সংস্কারক), প্রতিশ্রুত মসীহ্, ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু পাশাপাশি মুহাম্মদ(সঃ)এর প্রদর্শিত পথে পাঠানো একজন নবী। তাদের মতে নবুয়াতের সমাপ্তি মানে আর কোন নতুন নবী আসতে পারবেননা তা নয়, নতুন নবী আসতে পারবেন তবে তা অবশ্যই হতে হবে মুহাম্মদ(সঃ) যে পথ-প্রদর্শন করে গেছেন সেই পথে কিন্ত্ত কখনই নতুন কোন মতবাদ নিয়ে নয়।
১৯'শ শতকের শেষের দিকে মির্যা গোলাম নিজেকে একজন সংস্কারক
,প্রতিশ্রুত মসীহ্,ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু খ্রিস্ট হিসাবে দাবী করেন।তিনি বলেন যে তার আগমন হয়েছে ইসলাম কে তার আসল অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে।তাই তিনি প্রতিঠা করেন আহ্মদিয়া মুসলিম জামাতের। মুসলমানগণ প্রথম থেকেই আহ্মদিয়াদের বিরোধিতা করে আসছে। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান সরকার আহ্মদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করে। পাকিস্তানের মত বাংলাদেশ মূলধারার মুসলমানদের পক্ষ থেকে আহ্মদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য আন্দোলন হতে থাকে। কিন্তু এখনো তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়নি। এই সুযোগে তাদের এজেন্ট "দৈনিক প্রথম আলো" দৈনিক কালেরকন্ঠ, বিবিসির মাধ্যমে বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে আলোচনায় আসে এবং তাদের পক্ষে অনেক ভ্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করছে।
তারা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ্ যীশুকে সশরীরে (জীবন্ত অবস্থায়) বেহেস্তে তুলে নিয়ে যান্নি।তিনি এই পৃথিবীতেই স্বাভাবিক মৃত্যবরণ করেছেন এবং মৃত্যুর পর বেহেস্তবাসি হয়েছেন। যীশুর আগমন হবে এবং তা হবে মুহাম্মদ(সঃ)এর উম্মতদের মধ্য থেকে। কেননা যদি ইসলাম ধর্মকে পুনর্গঠনের জন্য বেহেস্ত হতে যীশুকেই পাঠাতে হয় তাহলে মুসলমানরা কি ভূমিকা পালন করবে? যীশুর দায়িত্ব পালন করার জন্য তাই মুসলমানদের মধ্য থেকে উঠে আসবেন কেউ,যিনি ইসলাম ধর্মের পুনর্গঠনের জন্য কাজ করবেন।আর ইনি হলেন মির্যা গোলাম আহমেদ ।তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো যে বাঙ্গালী নাস্তিক বুদ্ধিজীবি জাফর ইকবাল, ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন কাদিয়ানী এবং যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তা,প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমাণ্ডার অ্যাডমিরাল রবার্ট উইলার্ড তাদের জন্য পূর্ব তীমুর কিংবা দক্ষিণ সূদানের মতো একটি আধ্যূষিক রাষ্ট্র করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও রয়েছে লর্ড এরিক এভেরির, যার ব্লগেই তিনি তার সম্পর্কে লিখেছেন তিনি Founder, Parliamentarians for East Timor, 1988; এই এভেরী ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক ভূমি কমিশন গঠন করে পুর্ব তিমুর বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে অন্যতম ভুমিকা পালন করেছিলেন।এভেরি্র সাথে একসাথে কাজ করে যাচ্ছেন এ্যাড সুলতানা কামাল চক্রবর্তী (স্বামী শ্রী রঞ্জন চক্রবর্তী) , ড. স্বপন আদনান (সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), ব্যারিষ্টার সারা হোসেন (স্বামী ডেভিড বার্গমান), ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরদা প্রমুখ ।তাদের একটাই উদ্দেশ্য পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিভক্ত করে কাদিয়ানিদের সহায়তায় খ্রিষ্টান আধ্যূষিক এলাকা হিসাবে ঘোষণা। আমরা যদি এখন সচেতন না হয়ে তবে পরিনাম খুবই ভয়াবহ। তার আগে প্রয়োজন মুখোশের আড়ালে বুদ্ধিজীবিদের সনাক্ত করা। কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষনা একং পাবর্ত্য চট্টগ্রামের মিশনারীদের ও এনজিও দের অপতৎপরতা বন্ধ করার জন্য হেফাজতে ইসলাম ২টি দাবি করেছিল। সরকারের উচিত এদিকে নজর দেওয়া।
সূফি বরষণ
কিছু দিন আগে আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মাওলানা আব্দুল হালিম আমাকে পরামর্শ দেন বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যেন কাদিয়ানী মতবাদের �উপরে একটি প্রবন্ধ লিখি। আমাকে অনেক ব্যস্ততা মধ্যদিয়ে অনেক কাজ করতে হয়, আবার তারওপর বিভিন্ন জনের বিভিন্ন আবদা�র রক্ষা করতে হয়। ওস্তাদের আদেশ ফেলতে পারিনা, কারণ আমার জীবনে আজকের অবস্থানে আসার পিছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তিনির স্থান সবার উপরে। আলোচনার শুরুতেই বলে রাখার দরকার কাদিয়ানী বা আহমদিয়াদের প্রধান কার্যালয় দক্ষিণ লন্ডনের মর্ডেনে। যে ভ্রান্ত মতবাদ ওপনেবেশিক শাসন আমলে ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেই অর্থ প্রবাহের ধারা এখনও অব্যাহত আছে।
কাদিয়ানী মতবাদ কি?: এই সম্পর্কে ব্রিটিশ বাংলাদেশী সমকালীন গবেষক রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিভিন্ন মতবাদের উপরে বিজ্ঞপন্ডিত
ড. কামরুল হাসান তাঁর লেকচারে বলেন, কাদিয়ানীরা মনে করে হযরত মুহম্মদ সা: শেষ নবী নয় বরং মুহম্মদ সা: এর নবুয়াতের সিল মোহর নিয়ে আরও অনেক নবী আসবে আর তারই ধারাবাহিকতা হলো মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী। তারা আরও মনে করে তাদের সম্প্রদায় শ্রেষ্ঠ উম্মাহ এবং অন্য সবাই জাহান্নামে যাবে আর শুধুমাত্র তারাই জান্নাতে যাবে। আরও একটি বিষয় হলো তাদের বাদে অন্য কেউ প্রকৃত মুসলিম নয়।
কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় ইমাম ও খলিফা, মির্জাপুত্র বশীরুদ্দীন মাহমুদ ১৯১৫ সনে ‘হাকীকাতুন নবুওয়াহ’ নামে একটি বই লিখে প্রচার করেছেন। তিনি এটি কাদিয়ানী লাহোরী গ্রুপের বিরুদ্ধে লিখেছেন এবং তাতে মির্জা সাহেবের স্বতন্ত্র-শরঈ নবী হওয়ার বিষয় ‘দালীলিক’ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। বইটির প্রচ্ছদে বড় অক্ষরে লেখা আছে, ‘প্রতিশ্রুত ঈসা মসীহ-ইমাম মাহদীর নবুওত ও রেসালাত অকাট্য দলীলে প্রমাণিত।’
বইয়ের ১৮৪-২৩৩ পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ পৃষ্ঠাব্যাপী ‘দলীল-প্রমাণ’ দ্বারা মির্জা সাহেবের নবুওত প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে মূলত লাহোরী গ্রুপের মত খন্ডন করে বিশ প্রকার ‘দলীল’ দেওয়া হয়েছে। তার মাঝে সপ্তম দলীল এমন, ‘খোদ মির্জা সাহেব নিজেকে নবী ও রাসূল বলে উল্লেখ করেছেন এবং সুস্পষ্টভাবে নবুওত ও রেসালাত দাবী করেছেন’।
এখানে আরও একটি বিষয় বলে রাখার দরকার কাদিয়ানী সম্প্রদায় দুটি গ্রুপে বিভক্ত ।
বইটির কিছু কিছু বক্তব্য আমরা আমাদের পাঠকের সামনেও তুলে ধরছি। এগুলি আমরা মির্জা সাহেবের মূল কিতাবেও পড়েছি। এখানে আলোচ্য বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ক্ষান্ত হচ্ছি।
১. আমি ঐ আল্লাহর কসম করে বলছি, যার হাতে আমার প্রাণ, তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন এবং আমাকে ‘নবী’ বলে নাম দিয়েছেন। (হাকীকাতুন নুবুওয়াহ, পৃ. ৬৮)
২. আল্লাহর হুকুম অনুসারে আমি একজন নবী। (‘আখবারে আম’ পত্রিকায় ২৬ মে ১৯০৮ঈ.তে প্রকাশিত মির্জা সাহেবের সর্বশেষ চিঠি)
৩. আমাদের দাবি হলো, আমি নবী ও রাসূল। (বদর, ৫ মার্চ ১৯০৮ঈ.)
৪. সুতরাং এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী পৃথিবীতে ভূমিকম্প হওয়া এবং নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেওয়া আমার নবুওতের নিদর্শন। স্মরণ রাখা উচিৎ, পৃথিবীর এক এলাকাতে আল্লাহর কোনো রূলকে মিথ্যুক সাব্যস্ত করা হলে অন্য এলাকার অপরাধীরাও তখন পাকড়াও-এর শিকার হয়। (হাকীকাতুল ওহী, পৃ. ১৬২)
৫. বিভিন্ন এলাকায় শতশত পাহাড়ী মানুষ ভূমিকম্পের আঘাতে হতাহত হয়েছে। তাদের কী অপরাধ ছিলো! কোন্ জিনিসকে তারা মিথ্যা মনে করতো! সুতরাং মনে রাখতে হবে, যখন আল্লাহর কোনো নবীকে অস্বীকার করে মিথ্যুক বলার অপচেষ্টা করা হয়, তা বিশেষ কোনো সম্প্রদায় করুক অথবা বিশেষ কোনো ভূখন্ডের অধিবাসীরা করুক, আল্লাহ তাআলা তখন ব্যাপক আজাব ও শাস্তি নামিয়ে দেন। (হাকীকাতুল ওহী, পৃ. ৮-৯)
৬. আল্লাহ তাআলা তাঁর নিয়ম অনুযায়ী কোনো নবী প্রেরণ করার আগ পর্যন্ত আজাব মূলতবি করে রাখেন। … এখন সে নবীর আগমন হয়ে গেছে। তাই তাদেরকে অপরাধের শাস্তি দান করার সময়ও এসে গেছে। (তাতিম্মা হাকীকাতুল ওহী, পৃ. ৫২)
৭. কঠিন আযাব কেবল তখনি আসে, যখন নবীর আগমনের পরও তাকে অস্বীকার করা হয়। কুরআন মাজীদে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, (অর্থ) আমি কখনো কাউকে শাস্তি দেই না, যতক্ষণ না (তার কাছে) কোনো রাসূল পাঠাই।’-সূরা বনী ইসরাঈল, (১৭) : ১৫
তাহলে আসল বিষয়টা বুঝতে এত বিলম্ব কেন যে, পুরো দেশ দুর্ভিক্ষের করালগ্রাসে পরিণত হয়েছে, একের পর এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ওহে বেখবর! খোঁজ নিয়ে দেখ, তোমাদের মাঝে আল্লাহ তাআলা হয়ত কোনো নবী পাঠিয়েছেন, যাকে তোমরা অস্বীকার করে চলেছ! (যার ফলে এ-সমস্ত দুর্যোগ তোমাদের পিছু ছাড়ছে না)-তাজাল্লিয়াতে এলাহিয়া, পৃ. ৮-৯
৮. আল্লাহ তাঁর নবীকে বিনা সাক্ষ্যে ছেড়ে দিতে চাননি।-দাফেউল বালা, পৃ.৮ ।
৯. আল্লাহ তাআলা ‘কাদিয়ান’ অঞ্চলকে প্লেগ মহামারী থেকে রক্ষা করবেন। কেননা এটি তার প্রিয় রাসূলের বিচরণ ক্ষেত্র!-প্রাগুক্ত, পৃ. ১০
১০. প্রকৃত খোদা তিনি, যিনি কাদিয়ানে আপন রাসূলকে প্রেরণ করেছেন। (দাফেউল বালা, পৃ. ১১; মির্জা মাহমুদকৃত হাকীকাতুন নুবুওয়াহ-এর সূত্র অবলম্বনে, পৃ. ২১২, ২১৪)
মির্জা সাহেব এগুলি নিজের ভাষায় ব্যক্ত করেছেন। পাঠক! ইনসাফের সাথে ভেবে দেখুন এবং এসব বাক্যে ভিন্ন কোনো ব্যাখ্যার অবকাশ আছে কি না নিজেই বিচার করুন।
এই দুটি আলোচনা মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর ‘প্রতিশ্রুত ঈসা মসীহ-ইমাম মাহদী’ দাবির সত্যতা সম্পর্কে জানতে আপনাকে সাহায্য করবে… এরপর আশা করি এই ভ্রান্ত মতবাদ সম্পর্কে আর নতুন ব্যাখ্যার দরকার নেই।
গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কি প্রতিশ্রুত ঈসা আ.?
https://www.youtube.com/watch?v=w24jwYvnPaI&list=PLEKjfSe2aCmBIxwjPC2s4xX6FnMWRx0jj&index=2
গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কি প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদি?
https://www.youtube.com/watch?v=dmFZn9jQdHk&list=PLEKjfSe2aCmBIxwjPC2s4xX6FnMWRx0jj&index=1a
শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী সম্পর্কে কিছু কথা...মার্চ ১৭, ২০১৪ ইন ইসলাম"। কারবালা ও একজন ইমাম হোসাইন (৪র্থ পর্ব)আগস্ট ১৭, ২০১৪ ইন ইতিহাস।
আবার আর একটি গ্রুপ বলেন, কাদিয়ানিরা নিজেদের কমিউনিটিতে আহমাদিয়া নামে পরিচিত। মির্জা গোলাম আহমেদকে তারা নবী বলে মনে করে না। মনে করে একজন প্রতিশ্রুত মসীহ্ হিসেবে। আরও খোলাসা করে বলতে গেলে গোলাম আহমেদ ১৪ শতকের একজন মুজাদ্দিদ বা সমাজ সংস্কারক, প্রতিশ্রুত মসীহ্ এবং ঈমাম মাহাদি। মুসলমান ধর্মে ঈসার দ্বিতীয় বার আগমনের যে কথা বলা হয়েছে তা পরিপূর্ণ হয়েছে গোলাম আহমেদের মাধ্যমে। তাদের যুক্তি হল, স্বর্গ থেকে ঈসার আগমন আসলে রূপক অর্থে ব্যবহৃত। ইসলামের মুক্তির জন্য স্বর্গ থেকে কাউকে পাঠাতে হবে এটা তারা মেনে নিতে পারেনা। তারা মনে করেন এই মুক্তি দাতা মানুষের মধ্য থেকেই কেউ হবেন এবং তিনিই মির্জা গোলাম আহ্মেদ।
বেশিরভাগ দেশেই সংখ্যালঘু আহমদিয়ারা সামাজিক ভাবে স্বীকৃত নয়। আর তাদের উপাসনালয় সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে মুসলমানদের মসজিদের মতো। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান সরাকারিভাবে আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করে। বাংলাদেশের তাদের এখনও এই সম্মানে ভূষিত করা না হলেও দাবি অব্যাহত আছে অমুসলিম ঘোষণা করার ।
বিস্তারিতঃ http://bn.wikipedia.org/wiki/আহ্মদি
কাদিয়ানীদের মুখোশ উন্মোচন: মুসলমানদের ইমান আকীদা ও ধর্মবিশ্বাসের আঘাত হানার জন্য ভারতের শিখ পরিবারে জন্ম নেওয়া 'মির্যা গোলাম আহমেদ' উনবিংশ শতাব্দির অন্যতম ফেতনা। নিজের আল্লাহ নবী হিসাবে জাহির করে পশ্চিমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিভিন্ন মুসলিম দেশে এরা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। আমাদের দেশেও রয়েছে এদের বেশ আকারের একটা ঘাঁটি যাদের প্রধান কাজ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করা এবং খিষ্ট্রীয়করন প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে এদের বিরাট একটা অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের খিষ্ট্রান আধ্যূষিক এলাকা হিসাবে বিভক্তির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। পশ্চিমা বিভিন্ন এনজিও ও মিশনারীগুলো তাদেরকে সাহায্য করে যাচ্ছে। এদের ধর্ম বিশ্বাস বেশ জগাখিঁচুরী টাইপের মুসলমান-খিষ্ট্রান মিশানো। ইতিমধ্যে তারা 'আহমদিয়া মুসলিম জামাত' নামে একটি সম্প্রদায় গঠন করে এবং পরবর্তীতে আহমদিয়ারা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে লাহোর আহ্মদিয়া আন্দোলন ,আহ্মদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় নামে। লাহোর আহ্মদিয়া আন্দোলন মনে করে আহ্মদিয়া জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মির্যা গোলাম একজন মুজাদ্দিদ (সংস্কারক), প্রতিশ্রুত মসীহ্, ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু খ্রিস্ট হিসাবে।
তারা কায়মনো বাক্যে স্বীকার করে যে মুহাম্মদ(সঃ)সর্বশেষ নবী। অপরদিকে আহ্মদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় এর মতে মির্যা গোলাম আহ্মেদ একজন মুজাদ্দিদ (সংস্কারক), প্রতিশ্রুত মসীহ্, ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু পাশাপাশি মুহাম্মদ(সঃ)এর প্রদর্শিত পথে পাঠানো একজন নবী। তাদের মতে নবুয়াতের সমাপ্তি মানে আর কোন নতুন নবী আসতে পারবেননা তা নয়, নতুন নবী আসতে পারবেন তবে তা অবশ্যই হতে হবে মুহাম্মদ(সঃ) যে পথ-প্রদর্শন করে গেছেন সেই পথে কিন্ত্ত কখনই নতুন কোন মতবাদ নিয়ে নয়।
১৯'শ শতকের শেষের দিকে মির্যা গোলাম নিজেকে একজন সংস্কারক
,প্রতিশ্রুত মসীহ্,ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু খ্রিস্ট হিসাবে দাবী করেন।তিনি বলেন যে তার আগমন হয়েছে ইসলাম কে তার আসল অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে।তাই তিনি প্রতিঠা করেন আহ্মদিয়া মুসলিম জামাতের। মুসলমানগণ প্রথম থেকেই আহ্মদিয়াদের বিরোধিতা করে আসছে। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান সরকার আহ্মদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করে। পাকিস্তানের মত বাংলাদেশ মূলধারার মুসলমানদের পক্ষ থেকে আহ্মদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য আন্দোলন হতে থাকে। কিন্তু এখনো তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়নি। এই সুযোগে তাদের এজেন্ট "দৈনিক প্রথম আলো" দৈনিক কালেরকন্ঠ, বিবিসির মাধ্যমে বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে আলোচনায় আসে এবং তাদের পক্ষে অনেক ভ্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করছে।
তারা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ্ যীশুকে সশরীরে (জীবন্ত অবস্থায়) বেহেস্তে তুলে নিয়ে যান্নি।তিনি এই পৃথিবীতেই স্বাভাবিক মৃত্যবরণ করেছেন এবং মৃত্যুর পর বেহেস্তবাসি হয়েছেন। যীশুর আগমন হবে এবং তা হবে মুহাম্মদ(সঃ)এর উম্মতদের মধ্য থেকে। কেননা যদি ইসলাম ধর্মকে পুনর্গঠনের জন্য বেহেস্ত হতে যীশুকেই পাঠাতে হয় তাহলে মুসলমানরা কি ভূমিকা পালন করবে? যীশুর দায়িত্ব পালন করার জন্য তাই মুসলমানদের মধ্য থেকে উঠে আসবেন কেউ,যিনি ইসলাম ধর্মের পুনর্গঠনের জন্য কাজ করবেন।আর ইনি হলেন মির্যা গোলাম আহমেদ ।তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো যে বাঙ্গালী নাস্তিক বুদ্ধিজীবি জাফর ইকবাল, ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন কাদিয়ানী এবং যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তা,প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমাণ্ডার অ্যাডমিরাল রবার্ট উইলার্ড তাদের জন্য পূর্ব তীমুর কিংবা দক্ষিণ সূদানের মতো একটি আধ্যূষিক রাষ্ট্র করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও রয়েছে লর্ড এরিক এভেরির, যার ব্লগেই তিনি তার সম্পর্কে লিখেছেন তিনি Founder, Parliamentarians for East Timor, 1988; এই এভেরী ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক ভূমি কমিশন গঠন করে পুর্ব তিমুর বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে অন্যতম ভুমিকা পালন করেছিলেন।এভেরি্র সাথে একসাথে কাজ করে যাচ্ছেন এ্যাড সুলতানা কামাল চক্রবর্তী (স্বামী শ্রী রঞ্জন চক্রবর্তী) , ড. স্বপন আদনান (সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), ব্যারিষ্টার সারা হোসেন (স্বামী ডেভিড বার্গমান), ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরদা প্রমুখ ।তাদের একটাই উদ্দেশ্য পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিভক্ত করে কাদিয়ানিদের সহায়তায় খ্রিষ্টান আধ্যূষিক এলাকা হিসাবে ঘোষণা। আমরা যদি এখন সচেতন না হয়ে তবে পরিনাম খুবই ভয়াবহ। তার আগে প্রয়োজন মুখোশের আড়ালে বুদ্ধিজীবিদের সনাক্ত করা। কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষনা একং পাবর্ত্য চট্টগ্রামের মিশনারীদের ও এনজিও দের অপতৎপরতা বন্ধ করার জন্য হেফাজতে ইসলাম ২টি দাবি করেছিল। সরকারের উচিত এদিকে নজর দেওয়া।
No comments:
Post a Comment