দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য
জাফর ইকবালের মতো নর্দমার কীটরা গণধোলায়ই প্রাপ্য
সূফি বরষণ
জাফর ইকবালের মতো নর্দমার কীটবিশেষের উপরে যদি বৃষ্টির বদলে ঢান্ডা বা জুতা পেটা করা হয় তবুও তার ফ্যাসিস্ট অপরাধী চেহারা আড়াল করার সুযোগ নাই! এই জ্ঞানপাপী কুলাঙ্গার বৃষ্টিতে ভিজে বসেছিল মিডিয়ার জন্য কোনো প্রকার মন খারাপ হওয়াতে নয়॥ এইসব জাতীয় আবর্জনাদের কি আর মান অপমান আছে??
এই রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট অমানুষ শাহবাগে দাঁড়িয়ে দৈনিক আমারদেশ হত্যায় শামিল হয়েছিল, এই নিকৃষ্টতম বাঙালি সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে বছরের পর বছর অন্তরীণ করে রাখতে রাষ্ট্রকে উস্কানি যুগিয়ে ছিল। এই হায়েনার কথা কখনো ভুলে যাই না, যে কুলাঙ্গার জাফর বিরোধী দলের দুই থেকে পাঁচ লাখ সদস্যকে হত্যার প্রস্তাব দিয়েছে অনির্বাচিত সরকারকে। কাজেই ছাত্রলীগ যদি ওকে পিটিয়ে লুলা করে তাঁর স্ত্রীকে বিশেষ মালিশ প্রদান করে তবুও একজন রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট হিসেবে জাফর দায়মুক্তি পেতে পারে না।
সে এতোই কাপুরুষ যে, নিজের স্ত্রীকে রক্ষা করা তো পরের কথা নিজেকেই রক্ষা করতে পারেনি !!??
যাদের কে তিনি বিশেষ চেতনার ফিল্টার দিয়ে তৈরী করেছেন তাদের হাত থেকে ॥ তাইলে কি ফিল্টারের চেতনার অভাব আছে ?? নাকি ফিল্টার বিকল হয়ে গেছে ॥
আমরা মানবতার শত্রু জাফর ইকবালের গ্রেপ্তার ও বিচার চাই। তবে তার ফাঁসি চাই না, কারণ নীতিগতভাবে আমি ফাঁসি বিরোধী।
জাফর ইক বালের মতো পাচাটা কুত্তারা এর চেয়ে বেশি কি আশা করতে পারে না॥ এটাই এদের যথাযোগ্য প্রাপ্য ॥
যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সে স্লোগানের এতো বড় অপমান আমার জীবনে দেখিনি বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অধ্যাপক জাফর ইকবাল।
জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা যদি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে থাকে তাহলে এর শিক্ষক হিসেবে আমার গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়া উচিৎ।’ বল তোর চেতনার সোনার ছেলে ॥ মুখে ছাত্রলীগ বলতে কি ভয় করে??
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চড়াও হয়ে তাদের মারধর করার ঘটনায় এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্যই ছাত্রলীগের কর্মীদের ব্যবহার করেছেন, এমন অভিযোগ এনে তিনি বলেন, উপাচার্য যদি মনে করেন এভাবে আন্দোলন থামানো সম্ভব, তাহলে সেটা ভুল করছেন।
ছাত্রলীগের এমন ন্যাক্কারজনক হামলায় নিস্তব্ধ, নির্বাক হয়ে গেছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। অভিমানে আঝোর ধারায় বৃষ্টিতে ভিজছেন তিনি। লজ্জা আর ঘৃণা তার চোখেমুখে ভর করেছে। অন্য শিক্ষকদের মাথায় ছাতা থাকলেও জাফর ইকবাল ছাতা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে বসে আছেন। অন্য শিক্ষকরা তার পাশে ভিড় করে আছেন।
রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের।
এদিকে শাবি ভিসি আমিনুল হক ভূইয়া রোববার বিকাল ৩ টায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এরইমধ্যে ভিসিকে সমর্থন দিয়ে আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভোর সাড়ে ৫টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। আন্দোলনরত শিক্ষকরা ব্যানার নিয়ে সেখানে যান সকাল সাড়ে ৭টার দিকে।
সকাল সাড়ে ৮টায় শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এলে ছাত্রলীগ কর্মীরা ব্যানার কেড়ে নেয় এবং শিক্ষকদের গলা ধাক্কা দিয়ে এবং মারধর করে সরিয়ে দেয়। তাদের ধাক্কায় ড. জাফর ইকবালের স্ত্রী প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হক মাটিতে পড়ে যান। এসময় সুযোগ পেয়ে ভিসি ভবনে ঢুকে দোতলায় নিজের কার্যালয়ে চলে যান।
প্রফেসর ইয়াসমিন হক ছাড়াও মারধরের শিকার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূস, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল গণি, প্রফেসর এ ন ক সমাদ্দার, মোস্তফা কামাল মাসুদ, এসোসিয়েট প্রফেসর মো. ফারুক উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
No comments:
Post a Comment