পর্ব চার ক_
স্বাধীনতার পর বাঙালীর প্রথম বুদ্ধিভিত্তিক দৈন্যদশা শুরু হয় জাতীয় সংগীত ও রবীন্দ্র পূজার মধ্য দিয়ে ॥
স্বাধীনতার পর বাঙালীর প্রথম বুদ্ধিভিত্তিক দৈন্যদশা শুরু হয় জাতীয় সংগীত ও রবীন্দ্র পূজার মধ্য দিয়ে ॥
বিতর্কিত রবি বাবু আমার সোনার বাংলা গানটি চুরি করেছিলেন ॥
সূফি বরষণ
রবীন্দ্রনাথের মত অতুলনীয় সৌভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে খুব কম সাহিত্যিকই জন্মেছেন। তাঁর রচনাসমূহ নিয়ে ভক্তদের মাতামাতি, উচ্চ প্রশংসা, জীবনের সর্ব আবেগের প্রকাশ রয়েছে এখনও আছে ॥ তাদের মুখে রবীন্দ্রনাথের গান বা রবীন্দ্রনাথ ছাড়া বাঙালিত্ব অসম্পূর্ণ ! ইত্যাদি উচ্ছ্বাসভরা কথাবার্তা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তবে, তাঁর গান নিয়ে যা হয় সেটাকে ঠিক মাতামাতি শব্দটা দিয়ে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না। কারণ তারা রবীন্দ্রনাথের গানকে একরকম প্রার্থনা সংগীত বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরই পূজারীর দল। যে ভাবগম্ভীর পবিত্রতা নিয়ে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করা হয় বা শোনা হয়, তা দেখলেই যে কেউই একে পূজোর আচার আচরণ ভেবে ভুল করে বসে থাকতে পারেন। ভেবে বসে থাকতে পারেন যে, একদল পূজারী গভীর ভক্তিভরে তাঁদের কোনো প্রাণপ্রিয় দেবতার উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য পরিবেশন করে চলেছেন। এর পূজারীর দল রবীন্দ্র সংগীত ছাড়া পৃথিবীতে যে অন্য কোনো সংগীত থাকতে পারে, আর সেগুলো যে এর থেকেও ভাল হতে পারে সেটা কোনোভাবে মেনে নিতে রাজি ননই??। অনেকেই খুব ‘গৌরবের সাথে’ এবং নির্দ্বিধায় বলে দেন যে, রবীন্দ্র সংগীত ছাড়া অন্য কোনো সংগীতই শোনেন নাই????!।॥ কিন্তু এখন যে ঘটনা আমি আপনাদের কে বলবো তা শুনে আপনাদের চোখে মুখে বিস্ময় জাগবে॥
রবীন্দ্রনাথদের পৈত্রিক জমিদারী ছিল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে। ১৮৮৯ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারী দেখাশোনার জন্য এখানে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
এখানেই গগন হরকরার সাথে পরিচয় ঘটে রবীন্দ্রনাথের। গগন হরকরার জন্ম শিলাইদহের আড়পাড়া গ্রামে। কাজ করতেন ডাক বিভাগে ডাক হরকরা হিসাবে। তিনি একজন বিশিষ্ট
কুষ্টিয়ার শিলাইদহের বাউল শিল্পী গগন দাসের গান "আমি কোথায় পাব তারে" থেকে রবীন্দ্রনাথ "আমার সোনার বাংলা" এবং অবশেষে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত "আমার সোনার বাংলা" রচনা করেছিলেন ॥ এবং গানটির একটি লাইনও হুবহু কপি করেছিলেন ॥
রবীন্দ্রনাথদের পৈত্রিক জমিদারী ছিল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে। ১৮৮৯ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারী দেখাশোনার জন্য এখানে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
এখানেই গগন হরকরার সাথে পরিচয় ঘটে রবীন্দ্রনাথের। গগন হরকরার জন্ম শিলাইদহের আড়পাড়া গ্রামে। কাজ করতেন ডাক বিভাগে ডাক হরকরা হিসাবে। তিনি একজন বিশিষ্ট
কুষ্টিয়ার শিলাইদহের বাউল শিল্পী গগন দাসের গান "আমি কোথায় পাব তারে" থেকে রবীন্দ্রনাথ "আমার সোনার বাংলা" এবং অবশেষে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত "আমার সোনার বাংলা" রচনা করেছিলেন ॥ এবং গানটির একটি লাইনও হুবহু কপি করেছিলেন ॥
রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং গগন হরকরার মূল গান "আমি কোথায় পাব তারে"-এর সুরটি ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে তাঁর "আমার সোনার বাংলা" গানটিতে ব্যবহার করেন॥ বাংলার মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য বঙ্গভঙ্গ করা হয় ॥ কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ও উচ্চ হিন্দুরা এর বিরোধীতা শুরু করে ॥
তিনি একটি বৈধ কাজকে অবৈধ ভাবে বন্ধ করতে আর একটি বড় ধরনের জঘন্য অপরাধ করেন যেটা ক্ষমার অযোগ্য ॥ যেমন বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলন করাটা ছিল আত্মাঘাতী (বাঙালী মুসলমানদের জন্য ) এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক কাজ, তেমনি না বলে গগন হরকরার গানের সুর চুরি করা ছিল বড় অপরাধ ॥ এবং সেই সময় গগণ হরকরা জীবিত থাকলেও তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি!!??? কারণ কি একটিই রবীন্দ্রনাথ জমিদার আর গগণ হরকরা তাঁরই সামান্য প্রজা ?? আজ ইতিহাসের কাঠগড়ায় রবীন্দ্রনাথ দুই জায়গায় বড় একজন জঘন্য অপরাধী॥
আপনারাই বলেন বাংলার মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ন্যায্য দাবি বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে একটি চুরি করা আরএক বাঙালীর গান আমার সোনার বাংলা কি করে আমাদের জাতীয় সংগীত হয়??
তিনি একটি বৈধ কাজকে অবৈধ ভাবে বন্ধ করতে আর একটি বড় ধরনের জঘন্য অপরাধ করেন যেটা ক্ষমার অযোগ্য ॥ যেমন বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলন করাটা ছিল আত্মাঘাতী (বাঙালী মুসলমানদের জন্য ) এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক কাজ, তেমনি না বলে গগন হরকরার গানের সুর চুরি করা ছিল বড় অপরাধ ॥ এবং সেই সময় গগণ হরকরা জীবিত থাকলেও তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি!!??? কারণ কি একটিই রবীন্দ্রনাথ জমিদার আর গগণ হরকরা তাঁরই সামান্য প্রজা ?? আজ ইতিহাসের কাঠগড়ায় রবীন্দ্রনাথ দুই জায়গায় বড় একজন জঘন্য অপরাধী॥
আপনারাই বলেন বাংলার মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ন্যায্য দাবি বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে একটি চুরি করা আরএক বাঙালীর গান আমার সোনার বাংলা কি করে আমাদের জাতীয় সংগীত হয়??
অধ্যাপক মনসুরুদ্দিনের "হারামণি" গ্রন্থের ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, "শিলাইদহে যখন ছিলাম, বাউল দলের সঙ্গে আমার সর্বদাই দেখাসাক্ষাৎ ও আলাপ-আলোচনা হত। আমার অনেক গানেই আমি বাউলের সুর গ্রহণ করেছি এবং অনেক গানে অন্য রাগ রাগিণীর সঙ্গে আমার জ্ঞাত বা অজ্ঞাত-সারে বাউল সুরের মিলন ঘটেছে। এর থেকে বোঝা যাবে বাউলের সুর ও বাণী কোন্ -এক সময়ে আমার মনের মধ্যে সহজ হয়ে মিশে গেছে। আমার মনে আছে, তখন আমার নবীন বয়স, শিলাইদহ অঞ্চলেরই এক বাউল কলকাতায় একতারা বাজিয়ে গেয়েছিল—
আমি কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে!
হারায়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশে
দেশ-বিদেশে বেড়াই ঘুরে"॥
একজন ব্লগার প্রশ্ন তুলেছিলেন "একটি চুরি করা গান কেন হবে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত?" এই প্রশ্ন শুধুমাত্র একজন ব্লগারেরই নয় এখন এই প্রশ্ন সকলের ॥
সবার সন্দেহ দূর করার জন্য একটি সফটওয়্যারের নাম বলছি Shazam এটি ডাউনলোড করে, Shazam ওপনে করে জাতীয় বাজান দেখবেন কিছুই আসছেনা কিন্তু গগণ হরকরার গানটা বাজান দেখবেন সাথে সাথে এসে পড়েছে ॥ কারণ এই গানটা অরজিনাল আদি সুর আদি
গান ॥ রবীন্দ্রনাথ বেঈমান প্রতারক হলেও সফটওয়্যার বেঈমানী বা প্রতারণা করেনি ॥ সত্যকে যতই চাপা দিয়ে রাখা হোক না কেন শত শত বছর পর হলেও তা প্রকাশ পাবেই॥
যে সোনার বাংলা গানটা গীতাণ্জলী গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত এবং যে বইটির জন্য রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁর আংশিক দাবিধার কিন্তু গগণ হরকরা দাসও ॥ কিন্তু প্রতারক লোভী রবির কিরণে হারিয়ে গেল গরীব গগণ হরকরা ॥
আমার মনের মানুষ যে রে!
হারায়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশে
দেশ-বিদেশে বেড়াই ঘুরে"॥
একজন ব্লগার প্রশ্ন তুলেছিলেন "একটি চুরি করা গান কেন হবে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত?" এই প্রশ্ন শুধুমাত্র একজন ব্লগারেরই নয় এখন এই প্রশ্ন সকলের ॥
সবার সন্দেহ দূর করার জন্য একটি সফটওয়্যারের নাম বলছি Shazam এটি ডাউনলোড করে, Shazam ওপনে করে জাতীয় বাজান দেখবেন কিছুই আসছেনা কিন্তু গগণ হরকরার গানটা বাজান দেখবেন সাথে সাথে এসে পড়েছে ॥ কারণ এই গানটা অরজিনাল আদি সুর আদি
গান ॥ রবীন্দ্রনাথ বেঈমান প্রতারক হলেও সফটওয়্যার বেঈমানী বা প্রতারণা করেনি ॥ সত্যকে যতই চাপা দিয়ে রাখা হোক না কেন শত শত বছর পর হলেও তা প্রকাশ পাবেই॥
যে সোনার বাংলা গানটা গীতাণ্জলী গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত এবং যে বইটির জন্য রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁর আংশিক দাবিধার কিন্তু গগণ হরকরা দাসও ॥ কিন্তু প্রতারক লোভী রবির কিরণে হারিয়ে গেল গরীব গগণ হরকরা ॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
সূফি বরষণ
No comments:
Post a Comment