Monday, 10 August 2015

পর্ব তিন কউপমহাদের রাজনীতিতে রক্ত দেয়া নেয়ার খেলা চলছে এবং ভবিষ্যতেও কি চলবে ????নেহেরুর যেভাবে মৃত্যু হয়॥

পর্ব তিন   ক
উপমহাদের রাজনীতিতে রক্ত দেয়া নেয়ার খেলা চলছে এবং ভবিষ্যতেও কি
চলবে ???? নেহেরুর যেভাবে মৃত্যু হয়॥

সূফি বরষণ
১৯৬২ সালের ১ম ভারত-চীন যুদ্ধের পরে নেহেরু অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কাশ্মীরে কিছুদিন বিশ্রাম নেন। ১৯৬৪ সালের মে মাসে কাশ্মীর থেকে ফেরার পরে নেহেরু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। অবশেষে ১৯৬৪ সালের ২৭ মেনেহেরু তার কার্যালয়ে মৃত্যু বরণ করেন। আসলে তিনি ছিলেন একজন ক্যানসারের রোগী এবং এই রোগেই মারা যান ॥
তাঁরও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি ॥  এছাড়াও আমি এই ধারাবাহিক আলোচনার ভূমিকায় এবং গান্ধীজির মৃত্যুর কারণ নিয়ে যেসব কথা তুলে ধরে ছিলাম প্রায় সব গুলো কারণই নেহেরুর সাথে প্রযোজ্য ॥ তাই আলোচনা দীর্ঘ না করে এটুকু বলা যায় ৪৭ এ ভারত ভাগ করতে, বিশাল দাঙ্গা লাগিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ হত্যার নায়ক কিন্তু এই নেহেরু॥ আবার নেতাজি সুভাষকে হত্যাকারী হিসেবে অভিযোগের আঙুলি ঐ নেহেরুর দিকে॥ এখানেই শেষ নয় দীর্ঘকাল নেতাজির পরিবারের প্রতি নজরধারী করার গোপন তথ্য ফাঁস হয় কিছু কাল আগে আর এটা করতেন নেহেরু॥  
১৯৭০ সালের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর থেকে নির্বাচিত এমপি (সভ্য) এম এ মোহাইমেন সাহেব তাঁর লেখা ইতিহাসের আলোকে  দেশ বিভাগ ও কায়েদে আযম জিন্নাহ নামক বইয়ের ভূমিকায় লিখেছেন ১৯৪৫ সালে ক্যাবিনেট মিশন প্লান গ্রহণ করে তিনি( জিন্নাহ) ভারতকে এক রাষ্ট্র রাখতে স্বীকৃত হয়েছিলেন কিন্তু জওহরলাল নেহরু গান্ধীজি প্যাটেল প্রভৃতি লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সহযোগিতায় ভারতকে বিভক্ত করে ফেলেছিল যখন তাঁরা মাউন্টব্যাটেনের কাছ থেকে আশ্বাস পেল পান্জাব ও বাংলাদেশ ভাগ করে দেয়া হবে॥
উপরন্তু আসামকেও পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতকে দিয়ে দেয়া হবে তখন ভারতের বৃহত্তর অংশের মালিক হওয়ার লোভে কংগ্রেস নেতারা ভারত বিভাজনে সম্মত হয়ে গেলেন ॥ এই হলো গান্ধী ও নেহেরুর আসল চেহারা যারা সারা ভারতবর্ষে দাঙ্গা লাগিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করে এবং শরণার্থী বানায়॥
বর্তমান ভারতের প্রতিষ্ঠাকল্পে ‘আধুনিক ভারতের জনক’ পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
জওহরলাল নেহেরু ১৯১৬ সালে কামালা নেহেরুকে বিয়ে করেন। তাদের সন্তান ইন্ধিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৭ সালে ।
কামালা নেহেরু যক্ষ্মারোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য সুইজারল্যান্ডে প্রেরিত হন। কিন্তু তিনি ঐ অসুখেই ১৯৩৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। কামালা নেহেরুর মৃত্যুর পর নেহেরু তাঁর সমস্ত শক্তি এবং সময়ের সবটুকু স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য নিয়োজিত করেন।
দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে হিসেবে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা এবং সর্বশেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের স্ত্রী লেডি মাউন্টব্যাটেন এডউইনার সাথে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। লর্ড এবং লেডি মাউন্টব্যাটেনের কন্যা পামেলা মাউন্টব্যাটেন তার বই ‘India Remembered’ এ তার মা এবং নেহেরুর সুসম্পর্কের কথা লিখেছেন।
‘A Special Relationship’ এ তিনি লিখেছেন ”আমার মায়ের বেশ ক’জন প্রেমিক ছিল এবং আমার বাবা এসবে অভ্যস্ত ছিলেন। এটি শুরুতেই তার মন ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু নেহেরুর ব্যাপারে তা ছিল ভিন্ন….. ” ॥  এই লিংকের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন নেহেরু কিভাবে দায়ী নেতাজির হত্যার পেছনে ॥ http://www.bengali.kolkata24x7.com/netaji-didnt-die-in-plane-crash-he-was-killed-former-bodyguard.html

‘বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু৷ তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল’, এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন একদা নেতাজির দেহরক্ষী তথা আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রাক্তন সেনা জগরাম যাদব(৯৩)। শুধু তাই নয়, নেতাজির মৃত্যুর জন্য পরোক্ষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে দায়ী করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, আইবি-র কিছু নথি থেকে নেতাজির পরিবারের উপর নেহেরুর নজরদারির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। যা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। এক সাক্ষাৎকারে জগরাম যাদব দাবি করেছেন, ‘নেতাজিকে নিয়ে সমস্যায় ছিলেন নেহেরু’৷ এ প্রসঙ্গে ১৯৪৫ সালের চট্টগ্রাম জেলে থাকাকালীন এক অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে জগরাম জানান, ‘চট্টগ্রাম জেলে থাকাকালীন আমরা খবর পাই, যে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে নেতাজি বেঁচে আছেন। কারণ, নেতাজি একসময়ে আমাদের জানিয়েছিলেন, যে বিভ্রান্তি ছড়াতে তাঁর মৃত্যু নিয়ে গুজব রটানো হতে পারে’৷ আর ঠিক সেটাই হয়েছে৷
নেতাজির পরিবারের পিছনে টিকটিকি লাগিয়েছিলেন নেহরু
জগরাম যাদব  জানিয়েছেন, ‘সুভাষের জনপ্রিয়তা ও জনমানসে গ্রহণযোগ্যতা যে নিজের তুলনায় অনেক বেশি তা বুঝতে পেরেছিলেন নেহেরু৷ তাই নেতাজিকে খুন করতে পিছপা হন নি’। এছাড়াও নেতাজির প্রাক্তন দেহরক্ষীর দাবি, ‘১৯৪৯ সালে চিনের স্বাধীনতার পর চিনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে যান এক দূত৷ তিনি জানান, নেতাজি রাশিয়াতে রয়েছেন এবং দেশে ফিরতে চান। রাষ্ট্রদূত কে এম পানিকরের অনুপস্থিতিতে এই খবর জানতে পারেন সেনাবাহিনীর আইনজীবী ব্রিজ ঠক্কর। খবর শুনে উৎফুল্ল ঠক্কর প্রথমেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহেরুকে তা জানান। চিন থেকে ভারতে আসা পরের বিমানেই ঠক্করকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, ওই কাজের জন্য ব্রিজ ঠক্কর যোগ্য নন’৷
৯৩ বছরের জগরাম যাদবের মতে, ‘তাঁর মতো অনেকেই এ কথা বিশ্বাস করেন যে নেতাজিকে খুন করা হয়েছিল’ তবে নেতাজির পরিবারের উপর নেহেরুর নজরদারি ইস্যুতে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। ১৯৪৩-৪৪ সালে প্রায় ১৩ মাস নেতাজির দেহরক্ষী ছিলেন জগরাম। ১৯৪৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ সরকার যাদবকে বরখাস্ত করে৷ এরপর তিনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মিতে যোগ দেন৷ পাঁচ থেকে ছ’বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন৷ এবং মাসে ২৫ টাকা করে মাইনা পেতেন৷ তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করেন৷
দীর্ঘ আলোচনার পর এটাই পরিষ্কার বুঝা যায় নেহেরু একজন হত্যাকারী ষড়যন্ত্রকারী যে কারণে তার ও তাঁর পরিবারের কারোই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি আর হওয়ার কথাও নয়॥ এইসব নেতার দুই হাত রক্তে রাঙানো ॥ তাই হত্যাকারীর এই পরিণতিই হওয়ার কথা॥
মুক্ত বুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

No comments:

Post a Comment