বিতর্কিত রবীন্দ্রনাথের গান দিয়েই ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শুরু ?
ভারতের স্বাধীনতা দিবসেও কাশ্মিরে কারফিউ!?
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হলো কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বিতর্কিত জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ এই গানটা রচনা করেন ।
অত্যাচারী ব্রিটিশ রাজা পঞ্চম জর্জের সম্মানে ১৯১১সালে এই বিতর্ক গানটি রাজাকে গেয়ে শুনানো হয়েছিল । সেই সময় রাজা খুশি হয়ে বর্ণ হিন্দুদের দাবী মুখে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়। ভারত সফরে আসা রাজা পঞ্চম জর্জের সম্মানে ১৯১১ সালে লেখা রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে বিতর্ক শুরু থেকেই। মুসলমানদের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের অংশ হিসেবেই রবীন্দ্রনাথ ইংরেজদের খুশি করতেই এই গান লিখেছিলেন।
আর সেই গানই ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের জাতীয় সঙ্গীত করা হয়। ভারতের ৭০তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে আজ (১৫ আগস্ট)। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করছে দেশটি।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লায় ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি বলেন, 'এটা কোনো সাদামাটা সকাল নয়। এটা স্বপ্নের প্রত্যাশার সকাল, ১২৫ কোটি ভারতীতবাসীর আকাঙ্ক্ষার সকাল।'
স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরে কারফিউ : ভারতশাসিত কাশ্মীরে স্বাধীনতা দিবসে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা রুখতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
রবি বাবুর গান নিয়ে আবার ফিরে এলো সেই পুরনো বিতর্ক! আবার সে পুরনো প্রস্তাব! পাল্টে যাবে জাতীয় সঙ্গীত? বাদ পড়বে ‘অধিনায়ক’ শব্দটি? বিতর্কটি ফিরিয়ে আনলেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিংহ ২০১৫ সালে, এখনও সেই বিতর্ক বন্ধ হয়নি ।
রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কল্যাণ সিংহ বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে লেখা জাতীয় সঙ্গীতে ‘অধিনায়ক’ শব্দটির ইংরেজদের সন্তুষ্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ তখন ‘অধিনায়ক’ বা শাসক তাঁরাই। শুধু আপত্তি তোলাই নয়, কল্যাণ সিংহ ‘অধিনায়ক’-এর জায়গায় ‘জনগণমন মঙ্গল গায়ে’ ব্যবহার করার প্রস্তাবও দেন।
কিন্তু ‘অধিনায়ক’ নিয়ে এই বিতর্ক নতুন নয়। ১৯১১-এ গানটি লেখার পরেই বিতর্ক শুরু হয়। এই সময়ে ভারত সফরে এসেছিলেন রাজা পঞ্চম জর্জ। তবে ১৯৩৭-এ পুলিনবিহারী সেনকে লেখা এক চিঠিতে অবশ্য এই অভিযোগ খণ্ডন করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে’ গানটির স্বরলিপি পাওয়া যায় না। তাই গানটি কবে কোথায় রচিত হয়, তাও জানা যায় না। ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে গানটি প্রথম গাওয়া হয়। গাওয়া হয়েছিল সমবেত কণ্ঠে। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে গানের মহড়া হয়েছিল ডাক্তার নীলরতন সরকারের হ্যারিসন রোডের (বর্তমানে মহাত্মা গান্ধী রোড) বাসভবনে। পরদিন ‘দ্য বেঙ্গলি’ পত্রিকায় গানটির ইংরেজি অনুবাদসহ এই সংবাদের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আদি ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’র মাঘ ১৩১৮ অর্থাৎ জানুয়ারি ১৯১২ সংখ্যায় ‘ভারত-বিধাতা’ শিরোনামে প্রকাশিত এই গানটি ব্রহ্মসঙ্গীত আখ্যায় প্রচারিত হয়েছিল। সেই বছর ব্রাহ্মদের সবচেয়ে বড়ো উৎসব মাঘোৎসবেও গানটি গীত হয়।
আবার গানের ‘সিন্ধু’ শব্দটিকে পরিবর্তিত করে ‘কাশ্মীর’ শব্দটি যোজনা করার দাবি ওঠে ২০০৫ সালে। যাঁরা দাবি তুলেছিলেন, তাঁদের যুক্তি ছিল, ১৯৪৭ সালের ভারত-বিভাগের পর সিন্ধু প্রদেশের পুরোটাই পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই দাবির বিরোধীরা পাল্টা যুক্তি দেন, জাতীয় সংগীতে ‘সিন্ধু’ শব্দটি কেবলমাত্র সিন্ধু প্রদেশ নয়, বরং সিন্ধু নদ ও ভারতীয় সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ সিন্ধি ভাষা ও সংস্কৃতিরও পরিচায়ক। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই যুক্তি মেনে জাতীয় সঙ্গীতের ভাষায় কোনরূপ পরিবর্তনের বিপক্ষে মত দেন।
গানে দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ এই শব্দটি দুটো নিয়েও বিতর্ক আছে ।
মূল গানটা
জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ
বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গ
তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিস মাগে,
গাহে তব জয়গাথা।
জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে ॥
অহরহ তব আহ্বান প্রচারিত, শুনি তব উদার বাণী
হিন্দু বৌদ্ধ শিখ জৈন পারসিক মুসলমান খৃস্টানী
পূরব পশ্চিম আসে তব সিংহাসন-পাশে
প্রেমহার হয় গাঁথা।
জনগণ-ঐক্য-বিধায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে ॥
পতন-অভ্যুদয়-বন্ধুর পন্থা, যুগ-যুগ ধাবিত যাত্রী।
হে চিরসারথি, তব রথচক্রে মুখরিত পথ দিনরাত্রি।
দারুণ বিপ্লব-মাঝে তব শঙ্খধ্বনি বাজে
সঙ্কটদুঃখত্রাতা।
জনগণপথপরিচায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে॥
ভারতের স্বাধীনতা দিবসেও কাশ্মিরে কারফিউ!?
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হলো কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বিতর্কিত জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ এই গানটা রচনা করেন ।
অত্যাচারী ব্রিটিশ রাজা পঞ্চম জর্জের সম্মানে ১৯১১সালে এই বিতর্ক গানটি রাজাকে গেয়ে শুনানো হয়েছিল । সেই সময় রাজা খুশি হয়ে বর্ণ হিন্দুদের দাবী মুখে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়। ভারত সফরে আসা রাজা পঞ্চম জর্জের সম্মানে ১৯১১ সালে লেখা রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে বিতর্ক শুরু থেকেই। মুসলমানদের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের অংশ হিসেবেই রবীন্দ্রনাথ ইংরেজদের খুশি করতেই এই গান লিখেছিলেন।
আর সেই গানই ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের জাতীয় সঙ্গীত করা হয়। ভারতের ৭০তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে আজ (১৫ আগস্ট)। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করছে দেশটি।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লায় ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি বলেন, 'এটা কোনো সাদামাটা সকাল নয়। এটা স্বপ্নের প্রত্যাশার সকাল, ১২৫ কোটি ভারতীতবাসীর আকাঙ্ক্ষার সকাল।'
স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরে কারফিউ : ভারতশাসিত কাশ্মীরে স্বাধীনতা দিবসে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা রুখতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
রবি বাবুর গান নিয়ে আবার ফিরে এলো সেই পুরনো বিতর্ক! আবার সে পুরনো প্রস্তাব! পাল্টে যাবে জাতীয় সঙ্গীত? বাদ পড়বে ‘অধিনায়ক’ শব্দটি? বিতর্কটি ফিরিয়ে আনলেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিংহ ২০১৫ সালে, এখনও সেই বিতর্ক বন্ধ হয়নি ।
রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কল্যাণ সিংহ বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে লেখা জাতীয় সঙ্গীতে ‘অধিনায়ক’ শব্দটির ইংরেজদের সন্তুষ্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ তখন ‘অধিনায়ক’ বা শাসক তাঁরাই। শুধু আপত্তি তোলাই নয়, কল্যাণ সিংহ ‘অধিনায়ক’-এর জায়গায় ‘জনগণমন মঙ্গল গায়ে’ ব্যবহার করার প্রস্তাবও দেন।
কিন্তু ‘অধিনায়ক’ নিয়ে এই বিতর্ক নতুন নয়। ১৯১১-এ গানটি লেখার পরেই বিতর্ক শুরু হয়। এই সময়ে ভারত সফরে এসেছিলেন রাজা পঞ্চম জর্জ। তবে ১৯৩৭-এ পুলিনবিহারী সেনকে লেখা এক চিঠিতে অবশ্য এই অভিযোগ খণ্ডন করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে’ গানটির স্বরলিপি পাওয়া যায় না। তাই গানটি কবে কোথায় রচিত হয়, তাও জানা যায় না। ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে গানটি প্রথম গাওয়া হয়। গাওয়া হয়েছিল সমবেত কণ্ঠে। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে গানের মহড়া হয়েছিল ডাক্তার নীলরতন সরকারের হ্যারিসন রোডের (বর্তমানে মহাত্মা গান্ধী রোড) বাসভবনে। পরদিন ‘দ্য বেঙ্গলি’ পত্রিকায় গানটির ইংরেজি অনুবাদসহ এই সংবাদের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আদি ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’র মাঘ ১৩১৮ অর্থাৎ জানুয়ারি ১৯১২ সংখ্যায় ‘ভারত-বিধাতা’ শিরোনামে প্রকাশিত এই গানটি ব্রহ্মসঙ্গীত আখ্যায় প্রচারিত হয়েছিল। সেই বছর ব্রাহ্মদের সবচেয়ে বড়ো উৎসব মাঘোৎসবেও গানটি গীত হয়।
আবার গানের ‘সিন্ধু’ শব্দটিকে পরিবর্তিত করে ‘কাশ্মীর’ শব্দটি যোজনা করার দাবি ওঠে ২০০৫ সালে। যাঁরা দাবি তুলেছিলেন, তাঁদের যুক্তি ছিল, ১৯৪৭ সালের ভারত-বিভাগের পর সিন্ধু প্রদেশের পুরোটাই পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই দাবির বিরোধীরা পাল্টা যুক্তি দেন, জাতীয় সংগীতে ‘সিন্ধু’ শব্দটি কেবলমাত্র সিন্ধু প্রদেশ নয়, বরং সিন্ধু নদ ও ভারতীয় সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ সিন্ধি ভাষা ও সংস্কৃতিরও পরিচায়ক। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই যুক্তি মেনে জাতীয় সঙ্গীতের ভাষায় কোনরূপ পরিবর্তনের বিপক্ষে মত দেন।
গানে দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ এই শব্দটি দুটো নিয়েও বিতর্ক আছে ।
মূল গানটা
জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ
বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গ
তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিস মাগে,
গাহে তব জয়গাথা।
জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে ॥
অহরহ তব আহ্বান প্রচারিত, শুনি তব উদার বাণী
হিন্দু বৌদ্ধ শিখ জৈন পারসিক মুসলমান খৃস্টানী
পূরব পশ্চিম আসে তব সিংহাসন-পাশে
প্রেমহার হয় গাঁথা।
জনগণ-ঐক্য-বিধায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে ॥
পতন-অভ্যুদয়-বন্ধুর পন্থা, যুগ-যুগ ধাবিত যাত্রী।
হে চিরসারথি, তব রথচক্রে মুখরিত পথ দিনরাত্রি।
দারুণ বিপ্লব-মাঝে তব শঙ্খধ্বনি বাজে
সঙ্কটদুঃখত্রাতা।
জনগণপথপরিচায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে॥
No comments:
Post a Comment