'শেখ মুজিবের লাশটা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া উচিত ছিল'-কর্ণেল তাহের !
১৫ আগষ্ট নিয়ে মর্সিয়া ক্রন্দন করে কি হবে যদি কোন শিক্ষাই আমরা নিতে না পারি? আগষ্ট হত্যাকান্ডের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল জাসদের।সেজন্য আগ্রহীদের উচিত হবে জাসদ সম্পর্কে জানা।এই পোষ্টটি জাসদের উত্থান-পতন নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে জাসদের কয়েকজন নেতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছুটা ধারনা পাওয়া যায় কি ছিল তাদের মনোভাব এবং সে সময়ের পরিস্থিতি।কোন গাল-গল্প নয়, রেফারেন্স ভিত্তিক ইতিহাস পাঠ জরুরী।এই লেখাটি সেরকমই।
লেখক গবেষক মহিউদ্দিন আহমদের মতে, ''বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাল্ট তৈরিতে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রেখেছিলেন সিরাজুল আলম খান। মুজিব তাকে একরকম ব্ল্যাংক চেক দিয়েছিলেন। এককথায় সিরাজ ছিলেন শেখ মুজিবের সবচেয়ে ‘আস্থাভাজন শিষ্য’। এটাই ছিল সিরাজুল আলম খানের ক্ষমতার ভিত্তি। দুজনের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় দুজনই দুর্বল হয়ে পড়েন। মুজিব নিহত হওয়ার সংবাদ শুনে সিরাজ দুঃখ পেয়েছিলেন সন্দেহ নেই। তবে তিনি মনে করতেন, এটা ছিল অনিবার্য। শেখ মুজিব নিজেই এই পরিণতি ডেকে এনেছিলেন"।
এই সিরাজুল ইসলামই ছাত্রলীগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে জাসদ করেন।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সিরাজুল আলম খানের পর্যবেক্ষণটাও ছিল চমকপ্রদ, তিনি বলেন:
‘বঙ্গবন্ধুর নামে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধকালীন সময়ের নেতা হলেন তাজউদ্দীন। জামায়াতে ইসলামি হলো পাকিস্তানী ফোর্স আর আওয়ামী লীগ ছিল এন্টি লিবারেশন ফোর্স। আওয়ামী লীগ তো ছয় দফা থেকে এক ইঞ্চিও আগে বাড়তে চায়নি। এদের সত্যিকার চেহারা জানতে পারলে মানুষ এদের থুথু দেবে। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তাজউদ্দীনের নাম আসা উচিৎ এক নম্বরে। অথচ তিনিই হলেন এর প্রথম ক্যাজুয়ালটি’ (জাসদের উত্থানপতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি, পৃষ্ঠা- ৬৯-৭১)।
জাসদ এক সময় ঘোষণা দিয়ে অস্ত্র নেয় আওয়ামীলীগের মোকাবেলা করতে।বিশেষ করে রক্ষীবাহিনীকে মোকাবেলা করতে তারা গণবাহিনী তৈরি করে।জাসদ নেতা বাদল সাহেব যেমন বলেছেন; 'আমরা বঙ্গবন্ধু সরকারের রক্তাক্ত বিরোধীতা করেছি, আমরা মেরেছি এবং মরেছি'। জাসদের ২০ হাজার কর্মি এই লড়াইয়ের বলি হয়।জাসদের নেতারা বঙ্গবন্ধুর ওপর এতটাই চটে ছিল যে তার লাশকে কবর দিতেও অপারগ ছিল তাদের সামরিক এক নেতা।বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর, কর্নেল তাহেরের মন্তব্য ছিল;
‘ওরা বড় রকমের একটা ভুল করেছে। শেখ মুজিবকে কবর দিতে এ্যালাও করা ঠিক হয়নি। এখনতো সেখানে মাজার হবে। উচিৎ ছিল লাশটা বঙ্গোপসাগরে ফেলা দেওয়া।’
একজন মুক্তিযোদ্ধার মুখে মাত্র ৪ বছরের মাথায় মুক্তি আন্দোলনের সর্বোচ্চ নেতার ব্যপারে এরকম দৃষ্টিভঙ্গি কি কেবলি রাজনীতিগত? ক্ষমতার লড়াই? আদর্শিক? এই প্রশ্নগুলোই তরুণ প্রজন্মের অধ্যয়ন জরুরী।মর্সিয়া ক্রন্দন করে কোন লাভ নেই।কাউকে নায়ক বা ভিলেনও বানানোর দরকার নেই, কেননা আমরা জানি কে নায়ক আর কে ভিলেন।আমাদের দরকার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে আগানো।
১৫ আগষ্ট নিয়ে মর্সিয়া ক্রন্দন করে কি হবে যদি কোন শিক্ষাই আমরা নিতে না পারি? আগষ্ট হত্যাকান্ডের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল জাসদের।সেজন্য আগ্রহীদের উচিত হবে জাসদ সম্পর্কে জানা।এই পোষ্টটি জাসদের উত্থান-পতন নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে জাসদের কয়েকজন নেতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছুটা ধারনা পাওয়া যায় কি ছিল তাদের মনোভাব এবং সে সময়ের পরিস্থিতি।কোন গাল-গল্প নয়, রেফারেন্স ভিত্তিক ইতিহাস পাঠ জরুরী।এই লেখাটি সেরকমই।
লেখক গবেষক মহিউদ্দিন আহমদের মতে, ''বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাল্ট তৈরিতে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রেখেছিলেন সিরাজুল আলম খান। মুজিব তাকে একরকম ব্ল্যাংক চেক দিয়েছিলেন। এককথায় সিরাজ ছিলেন শেখ মুজিবের সবচেয়ে ‘আস্থাভাজন শিষ্য’। এটাই ছিল সিরাজুল আলম খানের ক্ষমতার ভিত্তি। দুজনের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় দুজনই দুর্বল হয়ে পড়েন। মুজিব নিহত হওয়ার সংবাদ শুনে সিরাজ দুঃখ পেয়েছিলেন সন্দেহ নেই। তবে তিনি মনে করতেন, এটা ছিল অনিবার্য। শেখ মুজিব নিজেই এই পরিণতি ডেকে এনেছিলেন"।
এই সিরাজুল ইসলামই ছাত্রলীগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে জাসদ করেন।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সিরাজুল আলম খানের পর্যবেক্ষণটাও ছিল চমকপ্রদ, তিনি বলেন:
‘বঙ্গবন্ধুর নামে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধকালীন সময়ের নেতা হলেন তাজউদ্দীন। জামায়াতে ইসলামি হলো পাকিস্তানী ফোর্স আর আওয়ামী লীগ ছিল এন্টি লিবারেশন ফোর্স। আওয়ামী লীগ তো ছয় দফা থেকে এক ইঞ্চিও আগে বাড়তে চায়নি। এদের সত্যিকার চেহারা জানতে পারলে মানুষ এদের থুথু দেবে। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তাজউদ্দীনের নাম আসা উচিৎ এক নম্বরে। অথচ তিনিই হলেন এর প্রথম ক্যাজুয়ালটি’ (জাসদের উত্থানপতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি, পৃষ্ঠা- ৬৯-৭১)।
জাসদ এক সময় ঘোষণা দিয়ে অস্ত্র নেয় আওয়ামীলীগের মোকাবেলা করতে।বিশেষ করে রক্ষীবাহিনীকে মোকাবেলা করতে তারা গণবাহিনী তৈরি করে।জাসদ নেতা বাদল সাহেব যেমন বলেছেন; 'আমরা বঙ্গবন্ধু সরকারের রক্তাক্ত বিরোধীতা করেছি, আমরা মেরেছি এবং মরেছি'। জাসদের ২০ হাজার কর্মি এই লড়াইয়ের বলি হয়।জাসদের নেতারা বঙ্গবন্ধুর ওপর এতটাই চটে ছিল যে তার লাশকে কবর দিতেও অপারগ ছিল তাদের সামরিক এক নেতা।বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর, কর্নেল তাহেরের মন্তব্য ছিল;
‘ওরা বড় রকমের একটা ভুল করেছে। শেখ মুজিবকে কবর দিতে এ্যালাও করা ঠিক হয়নি। এখনতো সেখানে মাজার হবে। উচিৎ ছিল লাশটা বঙ্গোপসাগরে ফেলা দেওয়া।’
একজন মুক্তিযোদ্ধার মুখে মাত্র ৪ বছরের মাথায় মুক্তি আন্দোলনের সর্বোচ্চ নেতার ব্যপারে এরকম দৃষ্টিভঙ্গি কি কেবলি রাজনীতিগত? ক্ষমতার লড়াই? আদর্শিক? এই প্রশ্নগুলোই তরুণ প্রজন্মের অধ্যয়ন জরুরী।মর্সিয়া ক্রন্দন করে কোন লাভ নেই।কাউকে নায়ক বা ভিলেনও বানানোর দরকার নেই, কেননা আমরা জানি কে নায়ক আর কে ভিলেন।আমাদের দরকার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে আগানো।
No comments:
Post a Comment