ব্রিটিশের ভারত ত্যাগের দিন উপেক্ষার বিষয় নয়।
বদরুদ্দীন উমর |
আজ ১৫ আগস্ট। ভারতের সব থেকে বড় জাতীয় উৎসবের দিন। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে মীর জাফরদের বেঈমানির ফলে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় শুধু এক নবাবের পরাজয় ছিল না। সেই পরাজয়ের দিনটিতে ভারতে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার ভিত্তি রচিত হয়েছিল। সেই শাসন ভারতীয় জনগণের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিণতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছিল ১৪ ও ১৫ আগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারতীয় ইউনিয়ন নামে নির্ধারিত অঞ্চলে। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল পূর্ব বাংলাতেও ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হতো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখানে ১৪ আগস্ট আর পালিত হয় না। বস্তুতপক্ষে এ দিবসটি পরাধীনতার দিবস হিসেবেই পরিত্যক্ত হয়েছে।
পাকিস্তান দুই অঞ্চল নিয়ে গঠিত হলেও পূর্ব পাকিস্তান হয়ে দাঁড়িয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকশ্রেণীর লুটপাটের ক্ষেত্র। প্রথম থেকেই পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের অভাব ছিল। আর এ কারণেই সৃষ্টি হয়েছিল সেই অবস্থা। পাকিস্তানে মুসলিম লীগ ছিল ক্ষমতাসীন দল, ভারতে যেমন ছিল কংগ্রেস। কিন্তু মুসলিম লীগের মূল ও নির্ধারক নেতৃত্বের অবস্থান ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে। পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম লীগ নেতারা পশ্চিম পাকিস্তানি নেতাদের হুকুম মতোই চলতেন। কাজেই পূর্ব পাকিস্তানে পশ্চিমের শোষণ-নির্যাতন সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা বা দাঁড়ানোর কোনো ব্যাপার তাদের দিক থেকে ছিল না। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী প্রায় সবটাই গঠিত ছিল পশ্চিম পাকিস্তানিদের দ্বারা। তাতে বাঙালিদের উপস্থিতি ছিল নামমাত্র। পাকিস্তান সরকারের আমলাতন্ত্রেরও অবস্থান ছিল একই রকম। উচ্চপর্যায়ের সব অফিসারই ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানি অথবা ভারত থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যাওয়া লোকরা। করাচি ছিল পাকিস্তানের রাজধানী এবং সব ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র। ফাইন্যান্স, ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রা ইত্যাদি সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হতো সেখান থেকেই। তাছাড়া ভারত থেকে পাকিস্তানে আসা বড় ব্যবসায়ীরাও প্রায় সবাই গিয়েছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে।
অর্থাৎ সব দিক দিয়েই ক্ষমতার কেন্দ্র ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে। ক্ষমতার ভারসাম্যের এই বড় রকম অভাবের কারণেই পূর্ব পাকিস্তান হয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানকেন্দ্রিক কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণের অধীন। এই নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেই বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত স্বাধীন হয়েছিল।
কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত ভূখণ্ডের জন্য ১৪ ও ১৫ আগস্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ দিবস। কারণ ১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ আগস্টের মধ্যরাতে ভারতের জনগণের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনবিরোধী সংগ্রাম একটা পরিণতি লাভ করেছিল। দুই রাষ্ট্রে বিভক্ত হওয়া শাসকশ্রেণী ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে ক্ষমতাসীন হলেও ব্রিটিশের ভারত ত্যাগের পরিস্থিতি ও শর্ত ভারতের জনগণের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং জনগণের অনেক আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই তৈরি হয়েছিল। এ কারণে ব্রিটিশের ভারত ত্যাগের দিন হিসেবে এই দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব খর্ব করার উপায় নেই। সে চেষ্টা কেউ করলে সেটা হবে এক ধরনের মূর্খতারই শামিল।
১৯৭১ সালে পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিমা শাসন উচ্ছেদ হয়েছিল।
এ অঞ্চলের জনগণের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানকেন্দ্রিক পাকিস্তান সরকারের শোষণ-নির্যাতনের পরিণতিতেই সেটা ঘটেছিল। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের জনগণও যে ভারত সরকারের শাসনের অধীনে ৬৮ বছর ধরে পরম সুখে জীবনযাপন করছেন এমন নয়। ভারতে বড় পুঁজির দাপট সর্বত্র। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে অবস্থারও তারতম্য আছে। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদির সঙ্গে কাশ্মীর, বিহার, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর বিরাট পার্থক্য। বিশেষত কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ খুব শক্তিশালী। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে যেভাবে প্রায় হাজার মাইলের দূরত্ব ছিল- সে দূরত্ব অথবা তার কাছাকাছি দূরত্ব যদি এই রাজ্যগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় অঞ্চলের থাকত, তাহলে তারাও এতদিনে ভারত থেকে হয়তো আলাদা হয়ে যেত।
১৪ ও ১৫ আগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতা দিবস। এ দুই রাষ্ট্র এদিন স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উৎসব পালন করে। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন হওয়ার পর ১৪ আগস্টকে আর স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা যায় না। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, এ দিবসটি প্রায় দু’শ বছর শাসন করার পর ব্রিটিশের ভারত ত্যাগের দিবস হিসেবে ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যহীন হয়ে পড়েছে।
সেটা মনে করলে ভারতে সিপাহি অভ্যুত্থান থেকে নিয়ে তার আগে ও পরে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের জনগণ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছেন, অগণিত দেশপ্রেমিক তাদের হাতে জীবন দিয়েছেন, কারাগারে বন্দি থেকেছেন এবং নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছেন তার প্রতি অশ্রদ্ধাই প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এখন ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালনের কোনো যৌক্তিকতা না থাকলেও এ কারণে এ দিবসটি উপেক্ষার ব্যাপার নয়। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি যে জাতির দায়বদ্ধতা থাকে, সে জাতির পক্ষে ব্রিটিশের ভারত ত্যাগের দিবস হিসেবে ১৪ আগস্টকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। কারণ এ দিবসের ওপর আলোচনা প্রকৃতপক্ষে ভারতে ব্রিটিশ শাসন এবং তার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বিষয়েই আলোচনা। এর গুরুত্ব ঠুনকো দেশপ্রেমের অজুহাত দিয়ে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
১৫.০৮.২০১৫
বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
http://www.jugantor.com/old/sub-editorial/2015/08/16/308653
বদরুদ্দীন উমর |
আজ ১৫ আগস্ট। ভারতের সব থেকে বড় জাতীয় উৎসবের দিন। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে মীর জাফরদের বেঈমানির ফলে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় শুধু এক নবাবের পরাজয় ছিল না। সেই পরাজয়ের দিনটিতে ভারতে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার ভিত্তি রচিত হয়েছিল। সেই শাসন ভারতীয় জনগণের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিণতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছিল ১৪ ও ১৫ আগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারতীয় ইউনিয়ন নামে নির্ধারিত অঞ্চলে। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল পূর্ব বাংলাতেও ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হতো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখানে ১৪ আগস্ট আর পালিত হয় না। বস্তুতপক্ষে এ দিবসটি পরাধীনতার দিবস হিসেবেই পরিত্যক্ত হয়েছে।
পাকিস্তান দুই অঞ্চল নিয়ে গঠিত হলেও পূর্ব পাকিস্তান হয়ে দাঁড়িয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকশ্রেণীর লুটপাটের ক্ষেত্র। প্রথম থেকেই পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের অভাব ছিল। আর এ কারণেই সৃষ্টি হয়েছিল সেই অবস্থা। পাকিস্তানে মুসলিম লীগ ছিল ক্ষমতাসীন দল, ভারতে যেমন ছিল কংগ্রেস। কিন্তু মুসলিম লীগের মূল ও নির্ধারক নেতৃত্বের অবস্থান ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে। পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম লীগ নেতারা পশ্চিম পাকিস্তানি নেতাদের হুকুম মতোই চলতেন। কাজেই পূর্ব পাকিস্তানে পশ্চিমের শোষণ-নির্যাতন সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা বা দাঁড়ানোর কোনো ব্যাপার তাদের দিক থেকে ছিল না। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী প্রায় সবটাই গঠিত ছিল পশ্চিম পাকিস্তানিদের দ্বারা। তাতে বাঙালিদের উপস্থিতি ছিল নামমাত্র। পাকিস্তান সরকারের আমলাতন্ত্রেরও অবস্থান ছিল একই রকম। উচ্চপর্যায়ের সব অফিসারই ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানি অথবা ভারত থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যাওয়া লোকরা। করাচি ছিল পাকিস্তানের রাজধানী এবং সব ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র। ফাইন্যান্স, ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রা ইত্যাদি সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হতো সেখান থেকেই। তাছাড়া ভারত থেকে পাকিস্তানে আসা বড় ব্যবসায়ীরাও প্রায় সবাই গিয়েছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে।
অর্থাৎ সব দিক দিয়েই ক্ষমতার কেন্দ্র ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে। ক্ষমতার ভারসাম্যের এই বড় রকম অভাবের কারণেই পূর্ব পাকিস্তান হয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানকেন্দ্রিক কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণের অধীন। এই নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেই বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত স্বাধীন হয়েছিল।
কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত ভূখণ্ডের জন্য ১৪ ও ১৫ আগস্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ দিবস। কারণ ১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ আগস্টের মধ্যরাতে ভারতের জনগণের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনবিরোধী সংগ্রাম একটা পরিণতি লাভ করেছিল। দুই রাষ্ট্রে বিভক্ত হওয়া শাসকশ্রেণী ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে ক্ষমতাসীন হলেও ব্রিটিশের ভারত ত্যাগের পরিস্থিতি ও শর্ত ভারতের জনগণের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং জনগণের অনেক আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই তৈরি হয়েছিল। এ কারণে ব্রিটিশের ভারত ত্যাগের দিন হিসেবে এই দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব খর্ব করার উপায় নেই। সে চেষ্টা কেউ করলে সেটা হবে এক ধরনের মূর্খতারই শামিল।
১৯৭১ সালে পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিমা শাসন উচ্ছেদ হয়েছিল।
এ অঞ্চলের জনগণের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানকেন্দ্রিক পাকিস্তান সরকারের শোষণ-নির্যাতনের পরিণতিতেই সেটা ঘটেছিল। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের জনগণও যে ভারত সরকারের শাসনের অধীনে ৬৮ বছর ধরে পরম সুখে জীবনযাপন করছেন এমন নয়। ভারতে বড় পুঁজির দাপট সর্বত্র। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে অবস্থারও তারতম্য আছে। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদির সঙ্গে কাশ্মীর, বিহার, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর বিরাট পার্থক্য। বিশেষত কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ খুব শক্তিশালী। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে যেভাবে প্রায় হাজার মাইলের দূরত্ব ছিল- সে দূরত্ব অথবা তার কাছাকাছি দূরত্ব যদি এই রাজ্যগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় অঞ্চলের থাকত, তাহলে তারাও এতদিনে ভারত থেকে হয়তো আলাদা হয়ে যেত।
১৪ ও ১৫ আগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতা দিবস। এ দুই রাষ্ট্র এদিন স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উৎসব পালন করে। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন হওয়ার পর ১৪ আগস্টকে আর স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা যায় না। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, এ দিবসটি প্রায় দু’শ বছর শাসন করার পর ব্রিটিশের ভারত ত্যাগের দিবস হিসেবে ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যহীন হয়ে পড়েছে।
সেটা মনে করলে ভারতে সিপাহি অভ্যুত্থান থেকে নিয়ে তার আগে ও পরে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের জনগণ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছেন, অগণিত দেশপ্রেমিক তাদের হাতে জীবন দিয়েছেন, কারাগারে বন্দি থেকেছেন এবং নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছেন তার প্রতি অশ্রদ্ধাই প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এখন ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালনের কোনো যৌক্তিকতা না থাকলেও এ কারণে এ দিবসটি উপেক্ষার ব্যাপার নয়। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি যে জাতির দায়বদ্ধতা থাকে, সে জাতির পক্ষে ব্রিটিশের ভারত ত্যাগের দিবস হিসেবে ১৪ আগস্টকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। কারণ এ দিবসের ওপর আলোচনা প্রকৃতপক্ষে ভারতে ব্রিটিশ শাসন এবং তার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বিষয়েই আলোচনা। এর গুরুত্ব ঠুনকো দেশপ্রেমের অজুহাত দিয়ে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
১৫.০৮.২০১৫
বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
http://www.jugantor.com/old/sub-editorial/2015/08/16/308653
No comments:
Post a Comment