Thursday 30 July 2015

একটি রায়ের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় প্রমাণ করে আমরা মানসিক বিকারগ্রস্ত সমাজের মানুষ নামের পশু ॥

একটি রায়ের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় প্রমাণ করে আমরা মানসিক বিকারগ্রস্ত সমাজের মানুষ নামের পশু ॥

সূফি বরষণ
জাতীয় সংসদে 'সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী একবার দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, "আমার পিতা ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের পূর্বপর্যন্ত পাকিস্তানের অনুগত ছিলেন।  শেখ মুজিবুর রহমানও পাকিস্তানের জেলে থাকা পর্যন্ত সে দেশের প্রতি অনুগত ছিলেন। মুজিব অখন্ড পাকিস্তান চেয়ে ছিল ॥ শেখ মুজিব ২১ বার শপথ করে জানিয়েছিলেন যে তিনি পাকিস্তান ভাঙার সঙ্গে জড়িত নন। উলফা নেতা জেলখানায় থেকেও জানিয়েছেন যে তিনি আসামের স্বাধীনতা চান, মুক্তিযোদ্ধা অনুপ চেটিয়ার বুকের যে পাটা আছে, হাসিনার পিতার তাও ছিল না। আওয়ামী লীগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের কারখানা। আমি নিজেও কিছুদিন মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যখন শেখ হাসিনার পাশে ছিলাম, তখন আমি ছিলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা॥"
সেটা অন্য বিষয় আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না ॥

দেশের কথিত আদালত সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রেখেছে। ধরে নেয়া যাক, সালাউদ্দিন কাদের তার কৃত অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ড প্রাপ্য। কিন্তু মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে 'বাস্টার্ড' বলে সম্ভোধন করা একজন জাহাঙ্গীরনগর  বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষকের( শেখ আদনান ফরহাদ)  পক্ষে কতটুকু শোভন?
সেটা যদি লেখা হয় তাঁরই ফেবুর ওয়ালে??!!
ক্ষোভ বা ঘৃণা প্রকাশ  তো আরো অনেক  ভাবে করা যায়। এ জন্য একজনকে বাস্টার্ড বলতে হবে?  তবে, তাদের এ ধরণের জিঘাংসার বর্হিপ্রকাশ দেখলে যে কারো বুঝতে অসুবিধা হবেনা এরা আসলে কারা। রাজনৈতিক কোটায় শিক্ষক হয়ে তার দায় শোধ করতেই কি তাদের এতো বেশি প্রতিক্রিয়াশীল মনোভাব?
এরা আসলেই জ্ঞানপাপী শিক্ষার পবিত্র অঙ্গনকে কূলুষিতকারী॥
আর সেটা মনে হয় দেশবাসীর বুঝতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়॥ আজ শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকই সমাজের সকল শ্রেণি পেশা মানুষের মধ্যে মহামারি আকারে মানবিক মূল্যবোধের
অবক্ষয় দেখা দিয়েছে ॥
অপরাধী তাঁর অপরাধের জন্য শাস্তি পাবে সেটাই সামাজিক ন্যায় বিচারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ॥
অপরাধ বিজ্ঞানের ভাষায় অপরাধীকে ও আত্মাপক্ষ সমর্থন করে কিছু বলতে দিতে হয় ॥ কিন্তু আমরা কেন জানি দিন দিন হিংস্র নেকড়ের মতো জীবন্ত জীবের দেহ থেকে মাংস ছিঁড়ে খাওয়ার মাধ্যমে উল্লাসে লিপ্ত হয়ে
পড়েছি ॥ এর ফল সমাজ ও রাষ্টের জন্যে সুফল বয়ে আনবে না,  অনেক কঠিন মূল্য দিতে হবে॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

Sunday 26 July 2015

অবৈধ ভাবে নির্বাচিতরা বলে সত্য ন্যায় নিষ্ঠা সাথে কাজ করবে !!!??? আজ অবৈধভাবে নির্বাচিতরা সিসিসির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ???

অবৈধ ভাবে নির্বাচিতরা বলে
সত্য ন্যায় নিষ্ঠা সাথে কাজ
করবে !!!???
আজ অবৈধভাবে নির্বাচিতরা সিসিসির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ???

সূফি বরষণ
আবিদা আজাদ নামে অবৈধ সরকারের এক অবৈধ কাউন্সিলর তার ফেবুতে লিখেছে
আজ আমার অনুষ্ঠানিক দায়িত্ব বুঝে পেলাম ? দোয়া করবেন আমরা যেন সত্য ন্যায় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারি ??!!!!!! অবৈধ ভাবে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা জবরদখলকারীরা যখন বলে দোয়া করতে সত্য ন্যায় নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্যে ??!!! তখন এই শব্দ গুলোর পবিত্রতা নষ্ট করা হয় এবং চরম ভাবে অপমানিত করা হয় সততা ন্যায় নিষ্ঠাকে॥ এইসব কথা তাদের মুখে মানায় না যাদের ক্ষমতা গ্রহণ প্রক্রিয়াটাই অবৈধ ॥
অপরদিকে টানা বৃষ্টিপাতে বন্দরনগরীর অধিকাংশ এলাকা যখন পানির নীচে। ঠিক সেই সময়ে এসে নগর পিতার চেয়ারে বসেছেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। পানিবন্দি নগরবাসী এ জন্য সিটি করপোরেশনকে দোষলেও এক সময়ে সিটি করপোরেশনকে দোষারোপকারী আ জ ম নাছিরের কাছে এখন জলাবদ্ধতা বড় কোন সমস্যা নয়! তার কাছে করপোরেশনের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাটাই বড় কাজ। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেসে বললেন এখন জলাবদ্ধতা বড় কোন সমস্যা নয়!
তাহলে নগরবাসীর সমস্যাটা কি ??!!!! আজ রোববার আনুষ্ঠানিভাবে দায়িত্ব গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আর এই সন্ত্রাসী নাছির যখন সাংবাদিকদের কে মাদকসেবী বলেছিল তখনও আমার সাংবাদিক বন্ধুরা কিছুই বলেনি একদম চুপ ??!!! এই নাছিরই যখন সাংবাদিকদের দেখে নেয়া হুমকি দিয়েছিল তখনও চুপ ??!!! এই সাংবাদিকরা আবার চুপ থেকেই কি করে অ�বৈধ ক্ষমতা দখলকারী মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান কাভার করতে যায় ??!!!! সাংবাদিকদের সততা ন্যায় নিষ্ঠা সমাজ ও রাষ্টের প্রতি দায়িত্ব এবং মানবিক মূল্যবোধ আজ কোথায় ??!!!!!!

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

Saturday 25 July 2015

এই না হলে ছাত্রলীগ সিগারেটের দাম আছে তাদের কাছে কিন্তু মানুষের প্রাণের দাম নাই!!!......

এই না হলে ছাত্রলীগ সিগারেটের দাম আছে তাদের কাছে  কিন্তু মানুষের প্রাণের দাম নাই!!!.......

সূফি বরষণ
দিন দিন ছাত্রলীগে দূর্বৃত্ত্ব পরায়ণতা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ॥
যাকে শুধু একটি সন্ত্রাসী জঙ্গী সংগঠনের সাথে তুলনা করা চলে॥ মানুষ এতো হিংস্র জন্তু জানোয়ার হতে পারে সেটা ছাত্রলীগকে না দেখলে বুঝার উপায় ছিল না॥ ছাত্রলীগ একটি ভয়ংকর হিংস্র নরপশুদের দল সেটা বলতে কোনো দ্বিধা নেই ॥
সাম্প্রতিক দপ্তরবিহীন
ঐ যে, সৈয়দ আশরাফ সাহেব  বলেছে (যদিও নেশার ঘোরে) ছাত্রলীগের মত সংগঠন দুনিয়াতে আর নেই................ তার প্রমাণ দিতে হবে না ? আজই  তার হাতেনাতে প্রমাণ দিল??!!! এই সোনার ছেলেদের নিয়ে স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর ॥ আর এরাই নাকি স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বে !!?? আর এই তার নমুনা ॥
ঘটনার শুরু লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সিন্দুরমতি বাজারে॥
বাকিতে সিগারেট না পেয়ে তাজুল হোসেন (২২) নামে মুদি দোকানিকে খুন করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। এ ঘটনায় নাজমুল হাসান লিমন নামে ওই ছাত্রলীগ নেতা ও তার ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সিন্দুরমতি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুদি দোকানি তাজুল একই ইউনিয়নের উত্তর মণ্ডলপাড়ার আবদুস সামাদ মণ্ডলের ছেলে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে বাকিতে সিগারেট না পেয়ে দোকানি তাজুলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান লিমন। একপর্যায়ে লিমন ও তার ভাই লিটনসহ কয়েকজন তাজুলের দোকানে হামলা চালায়। তাজুলকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন তার ভাইয়েরা। এ সময় তাজুল এবং তার অপর চার ভাই আতাউর (৩৪), রেজাউল (২৮), ফারুক (২৬) ও আরিফুল (২৪) আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তাজুল মারা যান॥ এই দেশে এই সমাজে বিশ্বজিৎ তাজুলদের কি বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই॥??!! ॥
আর কতদিন এইভাবে নির্দোষ তাজুলদের প্রাণ যাবে????
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

Wednesday 22 July 2015

আমরা কোন দিকে যাচ্ছি?!!একেই কি বলে সভ্য সমাজ ?? আর নয় বর্ণবাদ ......

আমরা কোন দিকে যাচ্ছি?!!একেই কি বলে সভ্য সমাজ ??
আর নয় বর্ণবাদ ......

সূফি বরষণ
বর্ণবাদের ইতিহাস সুপ্রাচীন। সভ্যতার কোনো আদিম যুগে মানুষে মানুষে ঘৃণা, বিদ্বেষ ও নানা রকম ভেদাভেদ সৃষ্টিতে ইন্ধন জুগিয়েছে মানুষের নিছক গাত্রবর্ণ। মনুষ্যত্বের নিদারুণ অপমান ও নিগ্রহ-নিপীড়নের তা মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তথাকথিত সভ্য মানুষেরাই, সাদা মানুষের দলই, কবির ভাষায় মানুষ ধরার দলই, 'গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে 'লোহার হাতকড়া নিয়ে', কালো আফ্রিকার কালো মানুষদের শৃঙ্খলিত করে বর্ণবৈষম্যবাদের সুদীর্ঘ হিংস্র মানবতাবিরোধী কৃষ্ণ অধ্যায়ের সূচনা করেছিল।

সে অধ্যায় কালো মানুষের লাঞ্ছনায়, রক্তপাতে, নিষ্ঠুর শোষণ-নির্যাতনের অজস্র রক্তাক্ত ঘটনায় বিশ্বসভ্যতার ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে রেখেছে। সাদা চামড়ার মানুষের সীমাহীন বর্বরতা ও হিংস্রতার বিরুদ্ধে, মনুষ্যত্ব ও সমানাধিকারের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে ফুঁসে উঠে রুখে দাঁড়িয়েছে কালো মানুষেরা।

আর তার জবাবে তাদের নির্বিচারে গুলি করে, হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে তথাকথিত সভ্য সাদা মানুষের নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রের সৈন্য-পুলিশ-গুণ্ডা বাহিনী। সারা বিশ্বে আজ পর্যন্ত অগণিত কালো মানুষ ও তাদের অধিকার আন্দোলনের কর্মী-নেতারা অজস্রবার জেল খেটেছে, অকালে প্রাণ দিয়েছে। ষাটের দশকে কৃষ্ণ আফ্রিকাজুড়ে দেশে দেশে কালো মানুষের ব্যাপক জাগরণ হয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসনের অচলায়তন ভেঙে চুরমার করে দিয়ে আফ্রিকার বহু দেশেই কালো মানুষ রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে ছিল ॥

নতুন করে ঘটনার সূত্রপাত
চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে কয়েকজনের বর্ণবাদী মন্তব্যে ফেসবুক প্রতিক্রিয়ায় আশংকার কথা অনেকেই জানিয়েছে ॥
এইবার চট্টগ্রাম টেস্ট বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে আইসিসি। আরেকবার এই রকম হলে চট্টগ্রাম টেস্ট বন্ধ করে দেয়া হবে! দক্ষিণ আফ্রিকার এক কালো খেলোয়াড়কে বাংলাদেশি সমর্থকরা "নিগ্রো" বলে গালি দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকানরা এই নিয়ে ম্যাচ রেফারিকে নালিশ করেছে। ম্যাচ রেফারি জানিয়েছেন আরেকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটলে চট্টগ্রাম টেস্ট বন্ধ করে দেয়া হবে॥
একটা বিষয় আপনাদের ক্লিয়ার করি। "নিগ্রো" এবং "ব্ল্যাক" শব্দ দুটো ব্যবহারের মাঝে খানিক পার্থক্য আছে। বাংলাদেশের মানুষ কালো কেউকে দেখলেই "নিগ্রো" বলে আখ্যায়িত করে।
এটা ঠিক না। এই ভাষাগত এবং আচরণগত মারাত্মক দোষ এখনই সংশোধন করতে হবে ॥ আমাদের আচরণ আজ দিন দিন বড়ই অসভ্য হয়ে যাচ্ছি ॥
বর্তমান বিশ্বের সভ্য সমাজের দেশের মানুষ যা না বলে না করে আমরা তাই করছি॥ বলতে গেলে মাত্রার অতিরিক্ত করছি॥

১৯৬০ সালের ২১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার শার্পভিলে বর্ণবাদবিরোধী শান্তিমিছিলে পুলিশের বর্বর হামলা ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণে ৭০ জন নিহত ও দুই শতাধিক গুরুতর আহত হয়েছিল। এই ঘটনাকে প্রতীকী ঘটনা হিসেবে স্মরণ করে ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২১৪২ ধারা অনুযায়ী ২১ মার্চকে বিশ্ব বর্ণবৈষম্য অবসান দিবস হিসেবে পালনের জন্য সাধারণ অধিবেশনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সারা বিশ্বে এর পর থেকে অ্যাপার্থেড বা বর্ণবাদ-নীতির বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ নির্বিশেষে সব ধরনের নাগরিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে ২১ মার্চ উলি্লখিত দিবস পালন করছে।

রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে তারা সব মানুষের সমানাধিকার কায়েম ও অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা ও সমান সুযোগ-সুবিধা চালুর দাবি জানিয়ে আসছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ও নামিবিয়ায় প্রাক-উপনিবেশ যুগে অ্যাপার্থেড নীতির সবচেয়ে নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং সেখানে ১৯৪৮ সালে সাদা-কালো বৈষম্যের মানবতাবিরোধী নীতি পাস হয়। ওই আইনের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ কালো মানুষকে সেখানে চরম বৈষম্যের শিকারে পরিণত হতে হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলিতদের শুধু আইন করে বঞ্চিত করা হয়, তা-ই নয়, তাদের বাধ্য করা হয় সঙ্গে পাসকার্ড বা পাসপোর্ট রাখতে।

৬০-এর দশকের পর থেকে "নিগ্রো" শব্দটির ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ এর সাথে রয়েছে শত বছরের দাস প্রথা, অত্যাচার ও ডিস্ক্রিমিনেশনের ইতিহাস। তাই এই শব্দটি সভ্য সমাজে এখন আর ব্যবহার করা হয় না।
এখন যদি কেউ নিতান্তই "কালো" বুঝাতে গিয়ে কিছু বলতে চায় তাহলে বলে "ব্ল্যাক আমেরিকান" কিংবা "ব্ল্যাক ব্রিটিশ" বা "ব্ল্যাক আফ্রিকান!" আর আপনি যদি "নিগ্রো" বলেন তাহলে সেটি গালির পর্যায়ে বর্ণবাদী মন্তব্য হয়ে যায়। আশা করছি এইবার বোঝা গেছে "নিগ্রো" শব্দটি কতোটা খারাপ অর্থে ব্যবহার করা হয়॥
আমি দীর্ঘদিন ধরে লিখে চলেছি আমাদের সাম্প্রদায়িক ও বর্ণবাদী মানসিকতার কথা! আপনারা বলেন, এই গুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

এই গুলো নিয়ে লেখার কি আছে! একবার স্টেডিয়ামে গিয়ে ভালো করে শোনার চেষ্টা করবেন আপনার আশপাশের মানুষগুলো কি বলছে, কেমন মন্তব্য করছে! সাকিবের বউকে কেউ উদ্ধার করে ছাড়ছে, কেউ আবার তামিমের বল খুঁজে পাচ্ছে না বউয়ের আচলে থাকায়; কেউ বলছে সৌম্য তো হিন্দু কোটায় দলে আছে, কেউবা আবার বলছে এই খেলোয়াড়রা তো টাকা উড়ায় বেশ্যা পল্লীতে গিয়ে, এইগুলাকে পারিশ্রমিকের টাকা না দেয়াই ভালো! রুবেল তো হ্যাপীকে ফেলে অন্য মাঘী ধরছে॥ হ্যাপী কতো হট!!??

'আমি খুব ভদ্র ভাষার কিছু মন্তব্য আপনাদের বললাম। অন্য মন্তব্যগুলো বলার রুচি আমার নেই, তবে আপনারা খেলোয়াড়দের ফেসবুক পেজে ঘুরলেই বুঝে যাবেন লোকজনদের রুচি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। এই ব্যাপারগুলো যদি এখনই বন্ধ না করা হয়, তাহলে কেবল দর্শকদের বিরূপ আচরণের কারণে আমাদের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে॥

চট্টগ্রাম টেস্টের আরো তিন দিন আছে; এই তিন দিনের মাঝে কোনো দর্শক যদি এই ধরনের মন্তব্য আবার করে বসে, তাহলে আমাদের ক্রিকেটের গত কয়েক মাসের অবদান সম্পূর্ণ ম্লান হয়ে যাবে। এটি মনে রাখবেন, এক গ্লাস দুধে, এক ফোঁটা লেবুর রস পড়লেই কিন্তু দুধ নষ্ট হয়ে যায়!

বিশেষদ্রষ্টব্য:
চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে ‘বর্ণবাদী মন্তব্যে’ সাউথ আফ্রিকার অভিযোগ চারশ’ রানের টার্গেটে তৃতীয় দিন শুরু করবে বাংলাদেশ বৃষ্টির কারণে এক সেশন খেলা হলো নাটাইগার পারফরম্যান্সে আশার উল্টোপিঠে শংকার যে মেঘবৃষ্টির বাধায় চট্টগ্রাম টেস্ট নজর কাড়া স্টাইলে ডেল স্টেইন চট্টগ্রাম টেস্টে ‘ধাক্কাকাণ্ড’প্রোটিয়াদের বোলিং চ্যালেঞ্জ ভালই সামলাচ্ছে টাইগাররা দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং সামর্থ্য পরীক্ষায় মাঠে টাইগাররা বাংলাদেশী ক্রিকেট ধারাভাষ্যকাররা সমালোচনার মুখে॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

Tuesday 21 July 2015

মধ্যম আয়ের দেশের একজন সম্মতি শিক্ষক রাজধানীতে অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করে??!! হাসিনার অবৈধ স্বৈরশাসনের সুফল জনগণ পেতে শুরু করেছে !!


মধ্যম আয়ের দেশের একজন সম্মতি শিক্ষক রাজধানীতে অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করে??!!
হাসিনার অবৈধ স্বৈরশাসনের সুফল জনগণ পেতে শুরু করেছে !!
সূফি বরষণ
ছিঃ ছিঃ এটা একটি জাতির জন্য অনেক বড় লজ্জাকর বিষয়। রাজধানী ঢাকায় একজন সম্মতি শিক্ষক অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করে ॥ এই ডিজিটাল বাংলাদেশ  জাতি আর দেখতে চাই না। দেশের এই দুরাস্থার জন্য অবৈধ হাসিনা সরকারের স্বৈরশাসন দায়ী  ।  একজন শিক্ষক যিনি শিক্ষিত জাতি গড়ার কারিগর তিনি নাকি অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করেন। অবৈধ সরকারের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির খবর শিক্ষককে  জানানো হয় নি কেনো? হাসিনা যে দেশের উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছে এই শিক্ষক রাজধানী ঢাকায় থেকেও জানতে পারেনি কেন????

শিক্ষক আত্মহত্যা যাকাতের জন্য মানুষের মৃত্যুর খবর  এই দেশের অবৈধ সরকার নিশ্চুপ হয়ে তা দেখে??!!!
এইটাই কি তাদের প্রতি অবৈধ দখলকারী সরকারের কর্তব্য??! আমরা ভুলে গেছি অবৈধদের কোনো দায়িত্ব কর্তব্য থাকে না॥
তাদের একটাই কাজ লুটপাট বিরোধী দলের সমর্থকদের হত্যা ॥

কী আর করার মধ্যম আয়ের দেশের সব টাকাইত এখন বুলেট কেনার পেছনে খরচ হয়।সেই বুলেট দিয়ে জনগণের বুকে গুলি চালায়॥ আর বাকী বন্দুকের নল জনগণের দিকে তাক করে রাখা হয়েছে ॥ দেশে শ্রেণি বৈষম্য তৈরী করেছে অবৈধ আওয়ামীরা॥

জনগণের সম্পদ লুট করে বুর্জোয়া সমাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ॥ এইভাবে চলতে থাকলে দেশে ভয়াবহ সামাজিক বৈষম্য মূলক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে॥
ঘটনার শুরু সাভারের একজন শিক্ষক দিয়ে॥

অভাবের তাড়নায় সাভার পৌর এলাকা আড়াপাড়ায় এক গৃহ শিক্ষক আত্নহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম উৎপল মজুমদার (৪৫)। তিনি বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার মৃত জতিন্দ্রনাথ মজুমদারের ছেলে। 
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে পৌর এলাকার আড়াপাড়ার ফকির বাড়ী সংলগ্ন আব্দুস সালামের মালিকানাধীন বাড়ীর ভাড়াটিয়া উৎপল মজুমদার দীর্ঘ প্রায় দশ বছর যাবৎ ভাড়া থেকে বিভিন্ন বাসায় প্রাইভেট টিউশনি করে পাঁচ বছরের একটি মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। সকালে বাসার আড়ার সাথে লাইলনের সুতা দিয়ে গলায় ফাঁস দিলে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে সাভার থানা রোডের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত্যূর আগে তিনি তার পকেটে একটি চিরকুট লেখে গেছেন ।

তাতে তিনি লেখেছেন অভাবের তাড়নায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন এবং তার পাঁচ বছরের মেয়েকে যেন তার পরিবার ঠিক মতো লালন পালন করেন ।
সাভার থানার উপপরিদর্শক লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

Sunday 19 July 2015

বজরঙ্গী ভাইজান মুভিতে মানুষের প্রতি ভালোবাসা ফুটে উঠেছে ॥

আজাইরা  মারামারি এবং বুদ্ধিহীন রসিকতার জন্য সালমান খানের মুভির জুড়ি নেই॥  ভেবেছিলাম “বজরঙ্গী ভাইজান” তার থেকে আলাদা কিছুই হবে না। কিন্তু মুভি দেইখা পুরাই টাশকি। ছবির শেষ দৃশ্য দেখে আমার চোখেও পানি এসে পড়েছিল??! Harshaali Malhotra as Shahida/Munni অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে ॥ কত সুন্দর মিষ্টি একটা মেয়ে ॥
মুভি শেষে দর্শকের মুখে হাসি এবং চোখে পানি দুটোই একসাথে যদি থাকে তাহলে মানতেই হবে দারুন একটা মুভি। মুভিটি দেখে পুনরায় সৎ এবং সুন্দরভাবে চলতে ইচ্ছা হয়। ধর্ম-বর্ণ সবকিছুর ঊর্দ্ধে শুধুমাত্র মানুষকে ভালোবাসাটাই হয়তো জীবনের স্বার্থকতা। মানুষ ভজলে তুই সোনার মানুষ হবি॥ গালাগালি কে গলাগলিতে পরিণত করার মধ্যেই জীবনের প্রকৃত আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় ॥ মানবতা বোধ মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত মানুষই মানুষ কে ভালোবাসতে পারে, এরজন্য জীবন বাজি রাখতে পারে , সেখানেই মনের সুখ খুঁজে পাওয়া যায় চিত্তের প্রশান্তি
মিলে ॥
মানুষের এই ভালোবাসাকে ভাষা বর্ণ ধর্ম সীমান্তের কাঁটাতার দিয়ে বন্দী করা যায় না বা করা ঠিক নয়॥ মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য ॥ মানুষের সেবা ভালোবাসাই পৃথিবীর সেবা ধর্ম ॥
এই ধর্মের জয় অতীতে হয়েছে ভবিষ্যতেও হবে ॥ যারা মানুষে মানুষে ভাষা বর্ণ ধর্মের আর সীমান্তের কাঁটাতার দিয়ে বন্দী করে বিভাজন সৃষ্টি করে চাই , সাম্প্রদায়িকতা বিষ ছড়িয়ে দাঙ্গা লাগাতে চাই এরা মানুষ নামের জানোয়ার কীট॥
এক কথায় দুর্দান্ত একটি মুভি। নিঃসন্দেহে এ বছরের সেরা মুভি।

কে এই বাপ্পাদিত্য বসু সে কি বামপ্থী না কি চরমপন্থী নাকি দেশে উসকানী দিয়ে ধর্মীয় দাঙ্গা লাগালো ষড়যন্ত্রকারী ???

কে এই বাপ্পাদিত্য বসু
সে কি বামপন্থী না কি চরমপন্থী
নাকি দেশে উসকানী দিয়ে ধর্মীয় দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্রকারী????

সূফি বরষণ
এই বসু তাঁর ফেবুর আইডিতে পোস্ট করেছে এই যে এই কুত্তার বাচ্চাকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দাও ॥ কারণ ঐ নামাজি পতাকা বিছিয়ে নামাজ পড়েছিল॥ সে হিসেবে জাতীয় পতাকাকে জায়নামাজ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কি না তা নিয়েই মূলত বিতর্কের সূত্রপাত করেছে বসু ।
কিন্তু এর মধ্যে ধর্মকে টেনে এনে অশ্লীল অশোভন উসকানী মূলক বক্তব্য দেয়া সেটা কতটা যুক্তি সংগত ?? আবার আলোচিত নামাজী ব্যক্তিকে কুত্তাবাচ্চা বলে গালাগালি করে ধরে এনে ফাঁসি দেয়ার দাবি করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো কুখ্যাত খুনী বুসরা
কি চাই॥এরা  কি এইভাবে বলেই যাবে? দেশের আইনকে দৃষ্টতা দেখিয়ে ?॥

ফেসবুকের এক পোস্টে আলোচিত ছাত্রনেতা কুখ্যাত খুনী বাপ্পাদিত্য বসু’র একটি মন্তব্য নিয়ে কেউ কেউ সমালোচনা করছেন। অনেকেই অবশ্য বাপ্পাকে সমর্থনও করেছেন। বাপ্পাদিত্য বসু তার ফেবু আইডিতে পোস্ট  করে লিখে ছিল ‘বিসিবি এন্ড পুলিশ, ফাইন্ড দিস কুত্তারবাচ্চা … এন্ড হ্যাং হিম’।’ এদিকে জাতীয় পতাকাকে জায়নামাজ বানানোর এই ছবি নিয়ে অনেকেই প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে কট্টর মন্তব্য করেন; যা প্রকারান্তরে ধর্মীয় মৌলবাদীত্বকেই উসকে দেয়।
কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন নামাজীকে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দিয়ে ফাঁসির দাবি কারী বসু তার ফেবুর পোষ্টটি ডিলিট করে দিয়েছে ??!!!! কিন্তু সেটা ধর্মীয় উসকানী দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে রণে ভঙ্গ দিয়েছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কারী উগ্র সাম্প্রদায়িক বসু  ॥ কিন্তু এসব কি শুধুই দাঙ্গা লাগানোর জন্য নয় কি ??॥
এই বসুরা কি যুগ যুগ ধরে অবৈধ  স্বৈরাচারদের সাথে থেকে মানুষ মেরে লাশের উপরে নৃত্য ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাবে ???! ॥
১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩সালে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় এই  লগি বৈঠার খুনি বাপ্পাদিত্য বসু শাহবাগের নেতৃত্বে শিরোনামে নিউজ হয় ॥ পাঠকের বুঝায় সুবিধার জন্য সেই নিউজ তুলে ধরছি॥ কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঐ নিউজের পর থেকেই আমার দেশ পত্রিকা স্বৈরাচার হাসিনার রোষানলে পড়ে এবং পত্রিকা জোর করে হাসিনা বন্ধ করে দেয়॥ পত্রিকার সম্পাদক  মাহমুদুর রহমান এখনও বিনা বিচারে জেলে বন্দি ॥

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালের শুক্রবার শাহবাগে ব্লগার পরিচয়ের ছদ্মাবরণে গণমাধ্যম বন্ধের হুমকিদাতা সেই বাপ্পাদিত্য বসুর পরিচয় পাওয়া গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাওয়া বাপ্পাদিত্য ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ভয়ঙ্কর খুনি। সেদিন লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারার পর লাশের ওপর নৃত্য করেছিলেন তিনি। বর্তমানে ওয়ার্কার্স পার্টির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। অভিযোগ, যশোরের বাম-চরমপন্থীদের নিয়ে একটি বিশাল জঙ্গি গ্রুপ রয়েছে তার। যশোর অঞ্চলে খুন-লুটপাটের সঙ্গে জড়িত এরা। তার মামা জীবন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (জনযুদ্ধ) দুর্ধর্ষ ক্যাডার। বর্তমানে তিনি ভারতে আশ্রিত বলে জানা যায়।
এই বাপ্পাদিত্যই এখন মিডিয়ার কল্যাণে মস্ত বড় ব্লগার ও শুদ্ধ তরুণ বনে গেছেন। তার সহপাঠী কয়েকজন জানান, বাপ্পা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই মাদকাসক্ত ছিল। ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাওয়ার পর প্রকাশ্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও চরমপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে শুরু করেন। যশোরে চরমপন্থীদের একটি গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন তিনি। ২৮ অক্টোবর জামায়াতের ডাকা সমাবেশের প্রস্তুুতিকালে একদল সন্ত্রাসী তার নেতৃত্বে হামলা চালায়।
তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বাপ্পাদিত্য বলেন, সেদিন সবকিছু করা হয়েছিল গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। বাপ্পার দাবি, সেদিন রাজপথে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিরোধ করা গিয়েছিল বলেই আজ দেশে গণতন্ত্র আছে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ২৮ অক্টোবর আমরা লগি-বৈঠা নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। লগি-বৈঠা কিন্তু কোনো অস্ত্র না। আজ যেমন আমরা শাহবাগে বাঁশের লাঠির কথা বলছি, এটাও কোনো অস্ত্র না। বাঁশের লাঠি স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীক। আর লগি-লগি বৈঠা গণতন্ত্র রক্ষার। আমরা সেদিন আঘাত করিনি, লগি-বৈঠা দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের মতো অপশক্তিকে প্রতিরোধ করেছিলাম মাত্র। এদিকে এই খুনির পরিচয় প্রকাশ হওয়ার পর তাকে ব্লগার পরিচয় দেয়ায় মিডিয়ার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন ব্লগাররা। তারা শাহবাগের আন্দোলনকে সরকারের সাজানো নাটক আখ্যা দিয়ে এর সঙ্গে তরুণ প্রজন্ম তথা ব্লগারদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেন। বাপ্পাদিত্যের পরিচয় : এই খুনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ২০০২-২০০৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়। ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করায় দ্বিতীয়বর্ষে পড়ার সময় ২০০৫ সালে ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যায় তার। তবে ২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাসকোর্সে ডিগ্রি পাস করেন বাপ্পা। ছাত্রত্ব বাতিলের পর চরমপন্থীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ বেড়ে যায়। ২০০৫-২০০৬ সালে ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ছিলেন বাপ্পা। ২০০৬-২০০৭ সেশনে ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। গত দু’মেয়াদে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
১৯৮৩ সালের ২১ আগস্ট যশোর জেলার সদর উপজেলার রুপদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পাদিত্য বসু। তার পিতার নাম দুলাল চন্দ্র বসু (মৃত)। তিনি রুপদিয়া স্কুলে পড়াশোনা করেন। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াকালে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়ান। এ সময় ধীরে ধীরে চরমপন্থীদের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। একই সময়ে বামপন্থী সংগঠন অরুণোদয় সাংস্কৃতিক সংস্থায় সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন তিনি। রুপদিয়া স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন বসু। যশোরের সিঙ্গিয়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাসের পর ঢাকায় চলে আসেন। তারা তিন ভাই এক বোন। একমাত্র বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। ভাইদের মধ্যে বাপ্পা বড়। তার এক ভাই একটি কম্পিউটার দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। বসুর বাবা দুলাল চন্দ্র বসুরা তিন ভাই। এক ভাই সপরিবারে ভারতে থাকেন। অপর ভাই মারা গেছেন। এলাকায় বসুর পরিচিতি তেমন নেই। তবে ২৮ অক্টোবর পল্টনে লগি-বৈঠার তাণ্ডবের পর এলাকার মানুষ তাকে চিনতে শুরু করেন। বেশিরভাগ মানুষই তাকে চেনেন ২৮ অক্টোবরের খুনি হিসেবে।
যশোরের স্থানীয় এক সাংবাদিক জানান, যশোর অঞ্চলে এখন আর আগের মতো সুবিধা করতে পারছে না চরমপন্থীরা। তাই বাপ্পাদিত্যের মতো দুষ্কৃতিকারীরা অন্যান্য অঞ্চলের চরমপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। তার মামা জীবন চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (জনযুদ্ধ) সক্রিয় ক্যাডার। বর্তমানে তিনি ভারতে আশ্রিত আছে বলে জানা যায়। ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে সরকারের আহ্বানে সাড়া  দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন জীবন। পরে আবার সশস্ত্র আন্দোলনে ফিরে যান।
তিনি জানান, প্রতিবছর ২৮ অক্টোবর জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে যেসব পোস্টার বের হয় সেখানে বাপ্পার ছবি থাকে। আমাদের এলাকায় প্রচুর পোস্টার সাঁটানো হয়। সেই পোস্টার দেখেই মানুষ তাকে চিনে। ঢাকায় রাজনীতি করলেও এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তবে আন্ডারগ্রাউন্ড কিছু সংগঠনের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রয়েছে বলে শোনা যায়।
ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে বাপ্পাদিত্য বসু বলেন, ছাত্রদলের হামলায় ক্যাম্পাসে এসে পরীক্ষা দিতে না পারায় আমার ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যায়। পরে টিএন্ডটি কলেজ থেকে পাসকোর্সে ডিগ্রি পাস করি।

সেদিন বাপ্পাদিত্য বসু ব্লগার পরিচয়ে মঞ্চ থেকে দৈনিক আমার দেশসহ কয়েকটি গণমাধ্যম বন্ধের হুমকি দেন। তিনি বেশ কয়েকটি ইসলামী প্রতিষ্ঠান বন্ধেরও দাবি জানান। তার এমন ঔদ্ধত্য দেখানো নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। পাঠক জানতে চান কে এই ব্লগারবেশী প্রতিক্রিয়াশীল বাপ্পাদিত্য বসু। পরে আমার দেশ-এর এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বাপ্পাদিত্যের আসল পরিচয়। সে ব্লগার বেশ ধারণ করা এক ভয়ঙ্কর খুনি। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টনে জামায়াত-শিবির কর্মীদের লগি-বৈঠা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যার পর তাদের লাশের ওপর নৃত্য করেছিলেন এ বাপ্পাদিত্য বসু ॥