Saturday 22 April 2017

বাংলাদেশের মাটিতে সর্বাধিক সক্রিয় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা “র”


বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার মদ্ধে  বাংলাদেশের মাটিতে সর্বাধিক সক্রিয়
 ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উইং “র”

'' মন্ত্রী, এমপি, আমলা, রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবি, লেখক, কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিল্পী, প্রকাশক, অফিসার, কর্মচারী পর্যায়ের লোকজনই শুধু নয়। ছাত্র, শ্রমিক, কেরানী, পিওন, রিক্সাওয়ালা , ঠেলাওয়ালা, কুলি, টেক্সিড্রাইভার, ট্রাভেল এজেন্ট, ইন্ডেটিং ব্যবসায়ী, সিএন্ডএফ এজেন্ট, নাবিক, বৈমানিক, আইনজীবি সহ বিভিন্ন স্তরে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা “র” এজেন্ট সক্রিয় রয়েছে।''

বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল,এন জিও,সরকারী প্রতিস্টান,বানিজ্য অ্যাসোসিয়েশন থেকে শুরু করে প্রতিটি সরকারী বেসরকারি গুরুত্বপুর্ন প্রতিস্টানের মধ্যে রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উইং এর কর্মীরা সক্রিয় আছে। বাঙ্গালদেশের তাদের প্রধানতম রিক্রুটিং মাধ্যম হচ্ছে "ইন্ডিয়ান কালচারাল সেন্টার"। ঢাকা শহরের অন্তত দুইটি মসজিদ এর ইমাম অথবা সহকারি হিসাবে "র"
কর্মকর্তা কাজ করছে। চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, গোপালগঞ্জ ও সিলেটের একাধিক মাদ্রাসার শিক্ষক কভারে "র" অফিসার কর্মরত আছেন।বাংলাদেশের প্রতিটা গ্যারিসন শহরের প্রবেশ মুখে এবং আশেপাশে একাধিক "র" সার্ভেইলেন্স পোস্ট এ "র" অফিসাররা কর্মরত আছে।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি (আমার জানা মতে) যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখামুখি হওয়া জামাতের একজন নেতা(এখনো চার্জ গঠন করা হয় নি) "র" এর পুরানো সক্রিয় কর্মী। এছাড়া বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতা তৈরীর জন্য রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উইং কে দায়ি করা হয়।

খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা নিয়ে এই হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের চক্রান্ত চালানো হয়েছিলো। এটার পেছনেও র' এর হাত ছিল।
'' মন্ত্রী, এমপি, আমলা, রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবি, লেখক, কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিল্পী, প্রকাশক, অফিসার, কর্মচারী পর্যায়ের লোকজনই শুধু নয়। ছাত্র, শ্রমিক, কেরানী, পিওন, রিক্সাওয়ালা , ঠেলাওয়ালা, কুলি, টেক্সিড্রাইভার, ট্রাভেল এজেন্ট, ইন্ডেটিং ব্যবসায়ী, সিএন্ডএফ এজেন্ট, নাবিক, বৈমানিক, আইনজীবি সহ বিভিন্ন স্তরে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা “র” এজেন্ট সক্রিয় রয়েছে।''
আসুন এক নজরে
বাংলাদেশে র এর অপতৎপরতার একটা বায়পিক দেখে নিই:
১। কাদেরিয়া বাহিনী সৃষ্টি
২। শান্তি বাহিনী গঠন
৩।সশস্ত্র বাহিনীতে অভ্যুথান
৪। জিয়া হত্যা
৫। স্বাধীন বঙ্গ ভুমি আন্দোলন
৬। ভারতের তালপট্টি দখল
৭।১৯৮৮ সালে বন্যায় ভারতীয় হেলিকপ্টার সাহায্যের নামে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছবি তোলার চেষ্টা।
৮। পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক ও পারমানবিক শক্তি অর্জনের চেষ্টা এরশাদ র কে অসুন্তস্ট করে। ফলে তাকে সরাতে গ্রিন সিগনাল দেয় র।
৯।গারো ল্যান্ড আন্দোলনের পিছে
১০। চট্রগ্রামে বন্দর টিলা নৌ ঘাটিতে বিশৃঙ্খলাতে ইন্ধন।
১১।রাজিব গান্ধী হত্যায় বাংলাদের হাত আছে বলে অপ্রচার।
১২। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা সৃষ্টি
১৩। মিলিটারি ইন্টিলিজেন্সে র অনুপ্রবেশ ও গুরুত্বপূর্ণ খবর পাচার
১৪।রাজশাহিতে র এজেন্ট এবং গুপ্তচর হিন্দু বউদ্ধ-খৃস্টান পরি সধের নেতা গ্রেফতার।
১৫। দুই বাংলা একত্রিত করার অপ্রচার
১৬। বাংলাদেশকে খণ্ড খণ্ড করার উস্কানি দান
১৭। শান্তিবাহিনীর পিছনে র, যে কারনে সে সময় শান্তিবাহিনী সমস্যার সমাধান হয় নি।
১৮।ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পেছনে র
১৯। বাংলাদেশর যোগাযোগ ক্ষেত্রে আড়ি পাতছে র
২০।বাংলাদের স্পর্শ কাতর পদের রদবদলে পছন্দের লোক বসাতে তৎপর র
২১। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে অপ্রচার করে র
২২।রেস্টুরেন্ট , কম্পিউটার ফার্মের আড়ালে র তথ্য সংগ্রহ করে চলছে।
২৩। বিডিয়ার বিদ্রহের পিছে র এর হাত।
২৪। গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস
২৫। বিডিয়ার হত্যাকান্ড
২৬। পাট শিল্প ধ্বংস
২৭। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন করা
এম আই-এর স্ক্যানারে বাংলাদেশ
কিছু দিন হলো এম আই-এর স্ক্যানারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ স'ান দখল করেছে বলে ‘ইন্ডিয়া টুডে’র ঐ খবরে বলা হয়েছে। এর কারণ হলো এই যে- আসামের উলফা, মনিপুরের ইউ এন এল এফ এবং আসামের কামতাপুর মুক্তিফ্রন্ট বাংলাদেশে বসে তাদের তৎপরতা চালাচ্ছিল। হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার কিছু দিনের মধ্যেই উলফা এবং ইউ এন এফের পুরা নেতৃত্বকে ভারতের কাছে হস-ান-র করা হয়েছে।

‘র’-এর সাফল্য
ভারতীয় নাগরিক জয়শ্রী বাজোরিয়া ইন্টারনেটে লিখিত নিবন্ধে ‘র’-এর সাফল্য সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে (১) বাংলাদেশ সৃষ্টিতে তাদের ভূমিকা (২) আফগানিস-ানে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস-ার (৩) ১৯৭৫ সালে সিকিমের ভারতভুক্তি এবং (৪) ভারতের পারমাণবিক কর্মসূচির নিরাপত্তা বিধান। এই নিবন্ধটি ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘হলিডের’ চলতি মাসের ২ তারিখে ছাপা হয়েছে। নিবন্ধটি দেয়া হয়েছে একটি বড় ইনসেট। সেই ইনসেটে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী, সিকিমের ভারতভুক্তি এবং মিয়ানমারে চীনবিরোধী শক্তিকে কিভাবে ‘র’ আর্থিক ও সামরিক সাহায্য করছে সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় ‘র’-এর তৎপরতা সম্পর্কে যেসব তথ্য দেয়া হচ্ছে সেসব তথ্য জাসদ নেতা আ স ম আবদুর রবের তথ্যকে জোরালো সমর্থন দেয়। এসব তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশে ‘র’ এর নেটওয়ার্ক বিশাল, বিস-ৃত ও ব্যাপক।
র –RAW ভারতের বৈদেশিক গুপ্তচর একটি সংস্থা। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন র। ধারনা করা হয় ১৯৭১ এ পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে র এর ভুমিকা অপসীম। এর ৪ বছর পর র এর সার্বিক সহযোগিতায় ভারত সিকিম দখল করে। তাই র সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে The Illustrated Weekly of India------ RAW’s major trumps in external intelligence in Bangladesh & Sikkim.

সেই ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর হতে আজ প্রজন্তু র বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে তাদের তৎপরতা অবৈধ ভাবে জারি রেখেছে এদেশের কিছু গাদ্দার এবং তাদের নিজস্ব লোক দিয়ে। বাংলাদের প্রতিটি দলে যেমন আছে লিগে, আছে বি এন পি বা জামাত বা জাতীয় পাটিতে এদের সমান পদচারনা। র বাংলাদেশে তাদের গুপ্তচর বৃত্তি চালু রেখেছে যত না তাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে, তারচেয়ে তাদের প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশকে হীনবল করে তোলা। বাংলাদেশকে সকল ক্ষেত্রে দুর্বল করে দেশকে ভারতী অধিপত্যের গোলামে পরিণত করা। তাদের এই গুপ্তচরবৃত্তি এমন নীতি নৈতিক বিবর্জিত যে বাংলাদের রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সামরিক বাহিনী, ধর্মীয় সহ সকল ক্ষেত্রে তাঁরা তাদের কালো থাবা বসিয়ে দিয়েছে নিজেদের স্বার্থে। তবে র এর বড় সাফল্য বর্তমান সরকার। এ ছাড়া তাদের এর একটি বড় সাফল্য বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী ,সাংবাদিক, নেতা, সাংস্কৃতিক সেবী বা ধর্মীয় নেতা ও জনগণের একটা বিরাট অংশকে ভারতীয় মতাদর্শের অনুকূলে প্রভাবিত করা। তাই আজ দেখা যায় বাংলাদেশে আইএসআই ঘাটি গেড়েছে বা কলকাতায় বা অন্যজায়গায় বোমা সহ বাংলাদেশের জঙ্গিরা বোমা সহ ধরা পড়েছে বলে ভারতীয় অভিযোগের বরাতে এদেশের দালাল মিডিয়া নেচে উঠে কোমর বেধে । এদের একটিই চাওয়া ভারত প্রভু যা চায় তার স্বার্থ রক্ষা করা। আর জনগণের বিরাট একটা অংশ তা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে থাকে। অথচ র এর অকাম কু কাম গুলি থেকে যায় চোখের আড়ালে।

No comments:

Post a Comment