দিল্লির টাকাই কখনোই কোলকাতা চলে না বরং বাংলাদেশের টাকায় কোলকাতা চলে।
বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা চোরাই পথে পাঠানো অর্থে চলে কোলকাতা। এটাই সত্য কথা আপনি মানেন আর নাই মানেন। সেই ব্রিটিশ আমলে থেকে বাংলাদেশের টাকায় কোলকাতার নগর গড়ে উঠে । পশ্চিমাদেশের বিভিন্ন রির্সাস বলছে, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে যে কোন ইউরোপীয় দেশ থেকে অর্থনীতিতে এগিয়ে যাবে। বর্তমানে এদেশের একজন রিক্সাওয়ালা গোল্ডলিফ সিগারেট পান করে, ট্যাক্সি ড্রাইভার ব্যানসন হেজেজ আর ডেইলি লেবার প্রখর রোদে বসে একাই এক লিটার ফ্রিজের ঠান্ডা আরসি কোলা পান করে। এটাই অর্থনৈতিক সক্ষমতা কথা বলে এমনকি বিদেশী রেমিটেন্সে আরও বেশি ঘুরছে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাঁকা।
বাংলাদেশের কোন নেংটা পোলাপান যখন কোলকাতায় ঘুরতে গিয়ে ব্যানসন হেজেজ সিগারেট পান করে তখন লোকেরা বলে - দাঁদা দাদা ব্যানসন খাঁচ্চেন? আমাদের এখানে শুধু মিঠুন দাঁদাই ব্যানসন খায়!?।
কোলকাতায় গিয়ে বাংলাদেশের কেউ যদি ১ কেজি আঙ্গুর কিনে খায় কোলকাতার লোকেরা বলে- দেঁক দেঁক আঙ্গুর খাঁচ্চে। কারণ এরা অর্ধেকটা ডিম আদা কাপ চা খেয়ে অভ্যস্ত। এমনকি একমাত্র বাংলাদেশে বেড়াতে এলে পেট পুরো খায় ফ্রীতে কিন্তু কোলকাতায় কোনো দিন পেট পুরে খায় না সবসময়ই আদা পেট খেয়ে দিন যাপন করে।
হলিউডের নায়কেরা যে ধরনের পোশাক পরে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ছেলেরা সেই মানের পোশাক পরে। প্রায় ৪০ বছর প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। বাংলাদেশে এমন কোনো হিন্দু পরিবার পাওয়া যাবে না যারা সারা জীবন আয় করে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ না করে।
প্রত্যেকেই বাংলাদেশের সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশের টাকা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে জমি কেনে, বাড়িঘর বানায়, দোকানপাট কেনে অথবা ব্যংকে টাকা জমায়। আর এদেশের মুচি মেথর নিম্নবর্নের হিন্দুলোকেরা বাড়িঘর জমিজমা সব বেচে ইন্ডিয়ায় যায় আর এক বছর পরে নিঃস্ব হাতে ফিরে এসে বলে- ‘‘দাদা, এই নাকে খত দিলাম আর কোনদিন কাজের উদ্দেশ্যে ইন্ডিয়া যাবো না’’। কারণ ওখানে মানুষ বসবাস করে না বরং মানুষ নামের যতো সব জানোয়ারের বসবাস । এজন্যই শেখ হাসিনা এক জনসভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন :- আপনাদের এক পা থাকে বাংলাদেশে আর এক পা থাকে ইন্ডিয়ায়।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি কোন বৈষম্য নেই। সংখ্যালঘুদের প্রতি অত্যাচার নির্যাতন শধু কাগজে কলমে, ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের অপপ্রচার । তবে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন যখন ভারতে যায় তখন অত্যাচার, নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হয়। তার বড় প্রমাণ ছিটমহলের হিন্দুরা ভারতে গিয়ে চরম নিষ্ঠুরতা ও অত্যাচারের শিকার হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে।
বাংলাদেশি হিন্দুরা ভারতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়, তাদের পুরো টাকাই মার যায়। দুঃখের বিষয় এরা না যেতে পারে ভারতীয় পুলিশের কাছে, না পারে বাংলাদেশি পুলিশের কাছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু রপ্তানী বন্ধ হলেও বন্ধ হয়নি ২টি জিনিস।
১. সন্ত্রাস, সন্ত্রাসে ব্যবহৃত অস্ত্র। গুলসান হলি অটিজনে সন্ত্রাসী হমলায় ব্যবহৃত সব অস্ত্র আসে ভারত থেকে। আরও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সন্ত্রাসী জঙ্গী হামলার অস্ত্র ভারত থেকে এসেছিল তা প্রমাণিত হয়।
২. ফেনসিডিল, বিভিন্ন মাদক। পশ্চিমবঙ্গ কিভাবে চলে ???উত্তর বাংলাদেশে মাদক চোরাচালানে পাঠানো বিক্রির টাকায় কোলকাতা চলে। পশ্চিমবঙ্গের মালদাহ জেলা এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকের ৩৫টির বেশি কারখানা আছে যার উৎপাদিত সব মাদক চোরাই পথে বাংলাদেশে বিক্রি করে ।
বাংলাদেশ থেকে পঞ্চাশ লক্ষের বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকের চোরাই পথে পাঠানো অর্থে। দিল্লির টাকাই কখনই চলে না কোলকাতা।
এই হচ্ছে বাংলাদেশ যা ধর্মের ভিত্তিতে স্বাধীন হয়নি। এদেশে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, উচ্চপদসহ সকল সম্প্রদায়ের লোক সম্মানীত কাজে পেশায় কর্মরত আছে। সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি সহ বিশ্ব মানচিত্রে এক অনন্য অর্থনৈতিক টাইগার বাংলাদেশ। এটা সম্পূর্ন কনসেপ্ট ও ফিলোসফির ব্যাপার যে পশ্চিমবঙ্গ মাদার তেরেসার রোগ শোক ভুখা নাংগা বেলেগাছী মার্কা হয়ে দিল্লীর কলোনী থাকবে না পূর্ব জার্মানীর মতো অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ঢাকার সাথে থাকবে? সময় এসেছে দিল্লির গোলামী করবে নাকি বাংলাদেশের সাথে এসে স্বাধীন হবে। এটা কোলকাতার ঘটির দেশে নিচু ইতর হিন্দুরা পারবে বলে মনে হয় না কারণ এদের মানসিকতায় খারাপ ।
No comments:
Post a Comment