Tuesday 19 April 2016

মুক্তমনার নামে ব্লগারদের লেখাকে পর্ন ও যৌনতায় ভরপুর বললেন হাসিনা ।


হাসিনার ঘোষিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ থাবা বাবা এখন পর্ন ব্লগার !?

সূফি বরষণ

মুক্তমনার নামে ব্লগারদের লেখা পর্ণ ও যৌনতায় ভরপুর সেই কথাই বললেন হাসিনা আর ব্লগারদের এইসব অশ্লীল কুচিন্তা এসেছে হিন্দুদের নানান ধর্ম গ্রন্হাদি ও দেবদেবীর নানান উপাখ্যান থেকে । পৃথিবীতে একটি মাত্র দর্শন আছে যেটা অশ্লীল যৌনতা ও পর্ন নোংরা লেখায় পরিপূর্ণ সেই দর্শনের নাম ব্রাহ্মণ্য দর্শন বা আর্য দর্শন বা সনাতন ধর্ম বা বর্তমান হিন্দু ধর্ম । এই ধর্মের অশ্লীল যৌন কাহিনী থেকেই ব্লগারদের নোংরা সাম্প্রদায়ীক কুত্সিত অরুচি অশুভ অশোভন লেখার সূত্রপাত ঘটে।

হিন্দুধর্ম ভয়াবহ সব অসংখ্য ভয়ংকর রীতি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের বিশাল সংকলন। কালের বিবর্তনে ধর্মীয় বর্বরতার সামান্য কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারলেও গোঁড়ামি আর অশ্লীলতা হিন্দুদের মাঝে এখনও যথেষ্ট পরিমাণেই বিদ্যমান। তাই ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে লেখার জন্য অসংখ্য হিন্দু তরুণ তরুণী মুসলিম নামে ব্লগে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডি খুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে দিনরাত । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নবযুগ ব্লগ , ইশ্টিশন ব্লগ , অচল সিকি ব্লগ , , ধর্মকারী ব্লগ , আমার ব্লগ , বাঙালী হিন্দু বার্তা , আমি হিন্দু , সনাতন ধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইত্যাদি ।

ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর ও বিদ্বেষপূর্ণ ভাষায় ব্লগে লেখালেখি ব্যাপারে অবশেষে মুখ খুলেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন “কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখা এটা কক্ষনো গ্রহনযোগ্য না। এখন একটা ফেশন দাঁড়িয়ে গেছে যে ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই তারা হয়ে গেল মুক্তচিন্তা। আমি তো এখানে মুক্তচিন্তা দেখি না। আমি এখানে দেখি নোংরামি। আমি এখানে দেখি পর্ণ। পর্ণ লেখা লেখে। এত নোংরা নোংরা কথা কেন লিখবে?” পহেলা বৈশাখ গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ধর্মবিদ্বেষী ব্লগারদের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন তিনি। এ ইস্যুতে গত প্রায় একবছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী তার অবস্থান বদলে সুসংহত করতে চাইছেন। যদিও এবারই প্রথম তিনি সরাসরি ‘মুক্তচিন্তা’ শব্দ ও ভাবটাকে সরাসরি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন। তার সেই বক্তব্যের কথাগুলো অবিকল বা পুরোপুরি প্রকাশ করেনি বেশিরভাগ পত্রিকা/টেলিভিশন। যে যার মতো সুবিধাজনক অংশ প্রচার বা প্রকাশ করেছে।

বক্তব্যে এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অংশ “যাকে আমি নবী মানি তার সম্পর্কে নোংরা কথা কেউ যদি লেখে তো সেটা কক্ষনো আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। ঠিক তেমনি অন্য ধর্মেরও যারা তাদের সম্পর্কেও কেউ কিছু যদি লেখে তাহলে এটা কক্ষনো গ্রহণযোগ হবে না।”

শেখ হাসিনা একজন ধার্মিক মানুষ। তাকে ধর্মীয় দিক থেকে একজন লিবারেল মানসিকতা পোষণকারী ব্যক্তি হিসেবেই অনুমান করি। এখন একটা প্রশ্ন উঠতে পারে যে, প্রধানমন্ত্রী যেসব লেখালেখিকে ‘পর্ণ’ ‘নোংরা’ ‘বিকৃত মানসিকতা’র বলছেন সেগুলো কি আসলেই এমন? লেখাগুলোকে এসব অভিধায় অভিহিত করা কি আসলেই সঠিক বা উপযুক্ত? প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় সেগুলো পর্ণ বা নোংরা লেখা- ঐ বক্তব্যের যৌক্তিকতা বুঝতে ওইসব লেখালেখিকে সামনে এনে যাচাই করাটাই উত্তম উপায় হতে পারত। কিন্তু নোংরা আবর্জনা নিয়ে ঘাটাঘাটিও খুব ভাল কাজ নয়।

নোংরা ব্লগ লেখার জন্য সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিদের একজন হচ্ছেন ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া রাজীব হায়দার শোভন। তিনি ব্লগে ‘থাবা বাবা’ নামে পরিচিত ছিলেন। এটা সর্বজন স্বীকৃত তথ্য। অনেকের কাছে এ সংক্রান্ত ক্রীনশট-ভিডিও ইত্যাদি ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে। তার নোংরা ভাষার ইসলামবিদ্বেষী কিছু লেখা নিয়ে খুনের পরপরই প্রথম দিন ইনকিলাবে এবং পরের দিন দৈনিক আমার দেশ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেসব রেকর্ড আছে। অবশ্য ব্লগে ও ফেইসবুকে সর্বাধিক সমালোচিত লেখাগুলোর ‘লিংক’ এখনো বিদ্যমান থাকলেও সেগুলো আর কার্যকর না। ব্লগ/ফেসবুক বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ থেকে সেগুলোতে প্রবেশ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

তবে বিভিন্ন ব্লগে অন্যদের পোস্টে করা ‘থাবা বাবা’র নানা মন্তব্য এখনো পড়া যায়। সামহোয়ারইন ব্লগের “বাঙালি মুসলমানের মন” শিরোনামে এই লিংকের পোস্টটিতে (http://www.somewhereinblog.net/blog/omio_ujjal/29488000 ) ২০১১ সালের ২২ শে নভেম্বর দুপুর ১টা ৯ মিনিটে একটি মন্তব্য করেন থাবা বাবা।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ এর ইনকিলাব এবং পরদিনের  আমার দেশ পত্রিকার কপিগুলোও দেখা যেতে পারে। আগ্রহীরা স্বচক্ষে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ওই লেখাগুলোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ব্যবহৃত অভিধাগুলো সঠিক কিনা।

আরেকটা কথা, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু নিজেই ওই লেখাগুলোকে ‘নোংরা’ ‘পর্ণ’ বলছেন, ফলে আর সাক্ষ্য প্রমাণ দিয়ে তা ‘নোংরা’ জিনিস হিসেবে প্রমাণ করার প্রয়োজনীয়তা থাকে না।

এখন প্রশ্ন হলো এই যৌনতা বা পর্ণ শিক্ষা এলো কোথায় থেকে ?

হিন্দুদের কথিত বড় ধরনের পূজা তথা নগ্নতা প্রদর্শণের মোক্ষম অনুষ্ঠান দূর্গা পুজা।দূর্গা পুজার সময় দশ ধরনের মাটি প্রয়োজন হয় । তার মধ্যে বেশ্যার দরজার মাটি অপরিহার্য । বলা হয় বেশ্যারা নাকি পুরুষদের কাম (যৌনতা) নীলকন্ঠের মতো ধারন করে সমাজকে নির্মল রাখে বলে বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকা অবশ্য প্রয়োজনীয়।"

যৌনতার  প্রথমত হিন্দু ধর্ম গ্রন্হাদির ভাষা সংস্কৃত সাহিত্যচর্চারমাধ্যমেই ভারত যৌনতার ইতিহাসে অবদান রেখেছে, যেখানে যৌনসঙ্গমকেবিবেচনা করা হয়েছে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে; যা নতুন প্রজন্মের যৌন মনোভাবের দর্শন ভিত্তিকতার কেন্দ্রবিন্দু। এটা বেলা যেতে পারে যে, ভারতেরশিল্প এবং সাহিত্যের মাধ্যমেই যৌনশিক্ষার প্রবর্তন ঘটেছে। ভারতের প্রায় সব হিন্দু সমাজে, সাধারণ মানুষ এবং শক্তিশালী শাসক গোষ্ঠির মধ্যে যৌনচর্চার পার্থক্য বিদ্যমান ছিলো। ভোগসর্বস্ব জীবনধারায় ক্ষমতাশীল ব্যাক্তিদের এক্ষেত্রে কোনো সাধারণ নৈতিক মনোভাব ছিলো না।

এ তথ্যের উৎস হল : সানন্দা ১৮ এপ্রিল ১৯৯১ দেহোপজীবিনী সংখ্যা, শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা "গণিকাবৃত্তি : সমাজ, সংস্কার এবং সমীক্ষা" প্রচ্ছদ প্রতিবেদন , পৃস্ঠা: ১৯, হাতের ডান দিকের কলাম ।
অর্থাৎ বেশ্যার অনুপস্থিতিতে দুর্গাপুজা সম্ভব নয়। অবশ্য প্রত্যক্ষদর্শীরা মাত্রই জানে, ওই দিন মন্ডপে মন্ডপে মদ্যপান এবং অশ্লীল গানবাজনা কি পরিমাণে হয়ে থাকে। কারণ দুর্গাপুজা হল ব্রিটিশআমলের সংস্কৃতি। এ পূজা আগে হতো বসন্তকালে। কিন্তু সিরাজউদ্দৌলাকে হটানোর হিন্দু ষড়যন্ত্র যখন সফল হয়, হিন্দুরা তাদের প্রভু ব্রিটিশদের সাথে তাদের বিজয় উদযাপনের জন্য পুজাকে শরৎকালে এগিয়ে নিয়ে আসে।

এবার দেখি পুরাণ কি বলে যৌনতা নিয়ে:
ব্রহ্মা তার কন্যা স্বরস্বতির রুপে মুগ্ধ হয়ে তার সাথে সঙ্গম ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। স্বরস্বতি তার পিতার হাত থেকে বাচার জন্য ভুমির চারদিকে ছুটে বেড়াতে লাগলেন কিন্তু ব্রহ্মার হাত থেকে বাচতে পারলেন না। তারা স্বামী-স্ত্রী রুপে ১০০ বছর বাস করলেন এবং সয়ম্ভুমারু ও শতরুপা নামক এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দিলেন। সয়ম্ভুমারু ও শতরুপাও স্বামী স্ত্রী রুপে বসবাস করতে লাগলেন। Aitreay Brahman III : 33 // Satapatha Brahman 1 : 4 : 7 : 1ff // Matsy Puran III : 32ff // Bhagabati Puran III : 12 : 28ff

আবার,অহল্যা,গৌতম মুনরি স্ত্রী,সদ্য সড়বাতা (গোসল) এবং আদ্র (ভেজা) বস্ত্র পরিহিতা অবস্থায় আশ্রমে প্রত্যাবর্তন কালে পথিমধ্যে গৌতম শিষ্য দেবরাজ ইন্দ্রের সাথে তার সাক্ষাত ঘটে। আদ্র বস্ত্রের মিথ্যা আবরণকে ভেদ করে উদগত যৌবনা অহল্যার রূপ লাবণ্য বিশেষ আকর্ষণীয় হযে় ফুটে উঠায় ইন্দ্রদেবের পক্ষে ধৈর্য ধারণ করা অসম্ভব হযে় পডে়,তিনি গুরুপত্নী অহল্যার সতীত্ব হরণ করেন। ত্রিকালজ্ঞ গৌতম মুনির কাছে একথা অজ্ঞাত থাকে না। তার অভিশাপে অহল্যা প্রস্তরে পরিণত হয়। আর ইন্দ্রদেবের সারা দেহে সহস্র যোনির উদ্ভব ঘটে। সুদীর্ঘকাল পরে ত্রেতাযুগে ঈশ্বরের অবতার রূপে শ্রীরাম চন্দ্র আবির্ভূত হন,তার পদ স্পশে অহল্যার পাষাণত্বঅপনোদিত হয়। (পঞ্চ পুরাণ,ষষ্ঠ খণ্ড,৬৯০ পৃষ্ঠা,মহাভারত,কৃত্তীবাসী রামায়ণের আদিকাণ্ডের ৬৫১ পৃষ্ঠা) এবার আরও কিছু দেব দেবীর যৌনতার বর্ণনা  ॥

১।
যম ও যমী, যমজ ভাই-বোন। সূর্যদেবের ঔরসে ও উষাদেবীর গর্ভে তারা জন্মলাভ করে। যমী একদিন যমকে বলে- "তোমার সহবাসের জন্য আ অভিলাষিনী, গর্ভাবস্থা হতে তুমি আমার সহচর। বিধাতা মনে মনে চিন্তা করে রেখেছেন যে, তোমার ঔরসে আমার গর্ভে আমাদের পিতার এক নাতি জন্মাবে। তুমি পুত্রজন্মদাতা পতির ন্যায় আমার শরীরে প্রবেশ কর।" (ঋকবেদ মন্ডল-৯, সুক্ত ১০)
সেই ঘটনাকে স্মরনীয় করে রাখতে হিন্দুরা প্রতিবছর 'ভাইফোঁটা' নামক এক উৎসব পালন করে। ঐদিন যম আর যমীর অনুপ্রেরণায় হিন্দু ছেলেরা তাদের আপন বোনকে নিয়ে কল্পনা করে আর ভাবে- "ঈশ! আমার বোনটাও যদি যমীর মত হত..."

২।
রাম ও সীতাকে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই জানি। কিন্তু বৌদ্ধ দশরথ জাতক অনুযায়ী- রাম ও সীতা হল ভাই-বোন, পরে তাদের মধ্যে বিবাহ হয়। "দশরথ জাতক" অনুযায়ী রামের জনক রাজা দশরথ ও জননী রানী কৌশল্যার মধ্যে ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল, তথাপি তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। ঋগ্বেদ- এ দেখা যায় দম্ভ নিজ বোন মায়াকে, লোভ নিজ বোন নিবৃত্তিকে, কলি নিজ বোন নিরুক্তিকে বিয়ে করেছিল।

৩।
শুধু ভাইবোন নয়, হিন্দু ধর্মে এমনকি মা-ছেলে, পিতা-কন্যার বিয়েতেও কোন নিষেধ নেই। ঋগ্বেদ-এ উল্লেখ আছে- পূষণ তার বিধবা মাকে বিয়ে করে দ্বিধিষূ অর্থ্যাৎ বিধবার স্বামী হয়েছিল। হিন্দুশাস্ত্র মৎস পুরাণে বর্ণিত আছে- ইশ্বর ব্রক্ষ্মা নিজ কণ্যা শতরুপার প্রতি প্রণয়াশক্ত হন এবং হিন্দুদের আদি মানব মনুর জন্ম হয় তাদের মিলন থেকেই।

৪।
পঞ্চপান্ডবের নোংরামি সবাই জানেন, তারপরও মনে করিয়ে দেই। পঞ্চপান্ডব ছিল পাঁচ ভাই। এক বাজিতে জিতে পাঁচ ভাইয়ের একজন (অর্জুন) দ্রৌপদীকে লাভ করেছিল। দ্রৌপদীকে বাড়ি এনে পাঁচ ভাই মাতা কুন্তিকে আহবান করে বলল- এসো দেখে যাও কি এনেছি। মাতা কুন্তি না দেখেই উত্তর করল-" যা এনেছিস পাঁচ ভাই মিলে ভাগ করে খা"। মাতার আদেশ মোতাবেক পাঁচ ভ্রাতাই দ্রৌপদীকে বিয়ে করে ভাগ করে খেয়েছিল...

৫।
হিন্দু মেয়েদের আদর্শ হল সীতা। সীতা নাকি সতি নারীর আদর্শ। সেই আদর্শের আসল রুপ দেখুন- "“সীতা স্বইচ্ছায় রাবন কে করলেন দেহ দান, আর রাবন সীতাকে করলেন বীর্য দান। তাই সীতার গর্ভে রাবনের বীর্যে দুজন জমজ সন্তানের জন্ম হয় যাদের নাম হলঃ ‘লব’ আর ‘কুশ’। [রামায়ন ২:১৯-২১]

৬।
ইসলামে ৪টা বিয়ে জায়েজ- আর এটা নিয়ে হিন্দুদের সে কি আস্ফালন। অথচ হিন্দুদের দেবতা কৃষ্ণ ১৩০০০ মতান্তরে ১৬০০০ টা বিয়ে করছিলো!! এত্তগুলা বিয়ে করেও তার খায়েস মেটেনি তাই সে মামী রাধিকার দিকেও হাত বাড়িয়েছিল। রাধিকা ধর্ষণের সেই ঘটনাকে স্মরন করেই আজ গাওয়া হয় "কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে"...

৭। '
'অপবিত্র নারীর উচিত শান্তচিত্তে শিবের (কামরূপের) উপাসনা করা। অতঃপর তার উচিত কোন ব্রাহ্মণের নিকট নিজেকে সমর্পণ করা এরূপ ভেবে যে 'ইনিই কামরূপে যৌনতৃপ্তি লাভের উদ্দেশ্যে এসেছেন।' এবং ঐ আবেদনময়ী নারীর উচিত ব্রাহ্মণের সকল মনঃকামনা পূর্ণ করা।তের মাস যাবৎ তার এই পন্থাতেই ঘরে আগত (যৌনতৃপ্তি লাভের নিমিত্তে) যেকোনো ব্রাহ্মণকে সম্মান দেখানো উচিত আর এতে সম্ভ্রান্ত নারী এমনকি বেশ্যাদের জন্যও কোন পাপ নেই।'' (সূত্রঃ মৎস্য পুরাণ ৭০:৪০-৬০, মহাভারত ৩:২:২৩)

৮।
সরস্বতী-পুরাণ বলে, ঊর্বশীকে দেখে স্বমেহন (কবিরাজি বাংলায় হস্তমৈথুন) করতেন ব্রহ্মা। তাঁর শুক্রাণু জমা হত একটি পাত্রে সেই পাত্রে জন্ম হয় ঋষি অগস্ত্য এবং অগস্ত্য জন্ম দেন সরস্বতীর। এই সূত্র অনুযায়ী সরস্বতী ব্রহ্মার নাতনি আবার অন্য সূত্র বলে, ব্রহ্মার শুক্রাণু থেকে সরাসরি জন্ম হয় সরস্বতীর। কিন্তু আত্মজার রূপ দেখে মুগ্ধ হন প্রজাপতি। তিনি তাঁর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতে চান। জন্মদাতার কামনা থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান সরস্বতী। কিন্তু শেষ অবধি হার মানতে হয় ব্রহ্মার কামনার কাছে। ব্রহ্মা এবং সরস্বতী স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকেন পদ্ম ফুলে। প্রায় ১০০ বছর ধরে। তাঁদের পুত্রের নাম 'স্বায়ম্ভুব মনু' এবং কন্যা 'শতরূপা'। কিন্তু এরপরেও ব্রহ্মার বিকৃত যৌন কামনা কমেনি। এতে বিদ্যা এবং জ্ঞানের দেবী সরস্বতী অভিশাপ দেন ব্রহ্মাকে। বলেন, দেবতাদের মূলস্রোতে থাকবেন না প্রজাপতি ব্রহ্মা। অর্থাৎ তিনি পূজিত হবেন না। সত্যি হিন্দু দেবতাদের মূলধারার মধ্যে পড়েন না ব্রহ্মা। তাঁর রাজস্থানের পুষ্কর ছাড়া তাঁর মন্দির এবং অর্চনা বিরল। কুপিত হয়ে সরস্বতী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। দেবী থেকে রূপান্তরিত হন নদীতে।
অতঃপর তারাও দুজন দুজনের সাথে সহবাস করে এবং তাদের মিলনের ফলে ব্রহ্মা দুজন দৌহিত্র ও দুজন দৌহিত্রা লাভ করেন। (মৎস্য পুরাণ ৩ঃ৩২; ভগবত পুরাণ্ ৩ঃ১২-২৮)

ভেবে দেখুন হিন্দুদের ধর্মের দেবতা/ভগবান/অবতাররাই যদি এমন চরিত্রের হয়, তাহলে হিন্দুরা নিজেরা ভাল হবে কেমন করে??? প্রশ্ন জাগে মনে, হিন্দুরা কি তাদের এসব ধর্মগ্রন্থগুলো পড়ে না? যদি পড়ে তাহলে কি তারা এসব নোংরামি দেখে না? যদি দেখে তাহলে কি তাদের কাছে মনে হয় না এটা ধর্মের নামে আসলে একটা অধর্ম?উত্তরটা হল কিছু হিন্দু আসলে এগুলা ভয়েই পড়ে না, কারন পড়লে তো বাপ-দাদাদের পুরাতন ধ্যান-ধারনা আচার-প্রথা হুমকির সম্মুখীন হবে। আর যারা পড়ে তারা শেষমেষ উপায় না পেয়ে নাস্তিক হয়ে যায়, নাস্তিক হয়ে গেলেও দেবতাদের কর্মকান্ড তাদের মনের মধ্যে রয়েই যায়। যার দরুন তারা মনের অজান্তেই দেবতাদেরকে অনুসরন করতে থাকে।

এজন্যই আমরা দেখতে পাই- হিন্দুরা কিভাবে নিজের আপন মা-বোনদের সাথে যৌন সম্পর্ক কল্পনা করে চটি গল্প লিখে ইন্টারনেট ভরিয়ে ফেলেছে। আর এর ভয়ংকর কুপ্রভাব আমরা আজ আমাদের সমাজ জীবনে দেখতে পাচ্ছি ॥ যার নির্মম করুণ চিত্র সংবাদ আকারে এসেছে কলকাতার এক ইনস্টেস পরিবার  ॥ যারা এক সময়ে এসে নিজের মানবিক মূল্যবোধ আর নৈতিক অবক্ষয়ের কথা ভেবে হয়ে যায় সাইকো বা করে আত্মহত্যা॥ মনোবিজ্ঞানীরা বলছে এসব ইনস্টেস অবাস্তব কল্প কাহিনি নতুন প্রজন্মের মনোজগতে কুপ্রভাব ফেলতে পারে॥ যা সমাজ জীবন যা সভ্যতার জন্যে ভয়ংকর হুমকি হয়ে দেখা দিয়ে পারে॥ তাই মানবিক মূল্যবোধ জাগানো অতি জরুরী ॥ হিন্দু ধর্ম ও সমাজ পতনের মূলে এবং দুই থেকে আড়াই হাজার বৎসর ধরে দলে দলে হিন্দুরা অন্য ধর্মে যাবার পিছনে যৌনতা পর্ণ বিশেষ ধর্ম গ্রন্হাদির অবদান আছে।

এবার মূল আলোচনায় আসি। বলা হয়ে থাকে হিন্দুধর্মের মূল গ্রন্থ বেদ। এজন্য অনেকে হিন্দুধর্মকে বৈদিক ধর্ম হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন। হিন্দুধর্মের বেদ চারটি; যথা ঋগে¦দ, সামবেদ, অথর্ববেদ ও যজুর্বেদ। এই যজুর্বেদ দুই ভাগে বিভক্ত—একটি হচ্ছে কৃষ্ণযজুর্বেদ বা তৈত্তরীয় সংহিতা অন্যটি শুক্লযজুর্বেদ; এই শুক্লযজুর্বেদ আবার দুই ভাগে বিভক্ত, একটি শতপথ ব্রাহ্মণ এবং বৃহদারণ্যকোপনিষদ। শুক্লযজুর্বেদের অন্তর্গত শতপথ ব্রাহ্মণে নারীকে তুলনা করা হয়েছে এভাবে, “সে ব্যক্তিই ভাগ্যবান, যার পশুসংখ্যা স্ত্রীর সংখ্যার চেয়ে বেশি” (২/৩/২/৮)। শতপথ ব্রাহ্মণের এ বক্তব্যকে হয়তো দরদী ধর্মবাদীরা ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে যৌক্তিকতা দিতে চেষ্টা করবেন, কিন্তু পরের আরেকটি শ্লোকে পাওয়া যায় হিন্দু ধর্মের দৃষ্টিতে নারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থান; “বজ্র বা লাঠি দিয়ে নারীকে দুর্বল করা উচিৎ, যাতে নিজের দেহ বা সম্পত্তির উপর কোনো অধিকার না থাকতে পারে” (৪/৪/২/১৩)। এর থেকে স্পষ্ট কোনো বক্তব্যের আর প্রয়োজন আছে? বৃহদারণ্যকোপনিষদে ঋষি যাজ্ঞবাল্ক্য বলেন, “স্ত্রী স্বামীর সম্ভোগকামনা চরিতার্থ করতে অসম্মত হলে প্রথমে উপহার দিয়ে স্বামী তাকে ‘কেনবার’ চেষ্টা করবে, তাতেও অসম্মত হলে হাত দিয়ে বা লাঠি দিয়ে মেরে তাকে নিজের বশে আনবে” (৬/৪/৭, ১/৯/২/১৪)। দেবীভাগবত-এ নারীর চরিত্র সম্পর্কে বলা আছে (৯:১): “নারীরা জোঁকের মত, সতত পুরুষের রক্তপান করে থাকে। মুর্খ পুরুষ তা বুঝতে পারে না, কেননা তারা নারীর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে পড়ে। পুরুষ যাকে পতœী মনে করে, সেই পতœী সুখসম্ভোগ দিয়ে বীর্য এবং কুটিল প্রেমালাপে ধন ও মন সবই হরণ করে।”

বাহ্! হিন্দুরা না-কি মাতৃজ্ঞানে দেবীর (দূর্গা, কালি, মনসা, স্বরসতী, লক্ষী) পূজা করে? ‘নারী’ সম্পর্কে যাদের ধর্মীয় বিধানে এমন হীন বক্তব্য রয়েছে, তারা দেবীর পূজা করলেই কী আর না-করলেই কী? (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম থেকে পঞ্চম শতকের মধ্যে রচিত) বৃহদারণ্যক উপনিষদে দেখা যায়, খ্যাতনামা ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য এবং অন্যান্য ঋষিদের সাথে এক সভায় ঋষি বাচাক্লুর কন্যা গার্গী ব্রহ্মজ্ঞান নিয়ে তর্কে লিপ্ত হয়ে নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। একসময় যাজ্ঞবল্ক্য ক্রুদ্ধ হয়ে বলে উঠেন, “হে গার্গী, আর বেশি প্রশ্ন করো না, তাহলে তোমার মাথা খসে পড়ে যাবে!” (৩/৬/১); যাজ্ঞবল্ক্যের বক্তব্যে গার্গী থেমে গেলেন পরবর্তীতে স্বীকার করলেন, ব্রহ্মবিদ্যায় যাজ্ঞবল্ক্যকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না (৩/৮/১-১১)। আবার যে নারীরা বেদের-উপনিষদের শ্লোক-মন্ত্র রচনা করেছেন, সেই নারীদের উত্তরসূরীদের জন্য মনু বেদসহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠের অধিকার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, “নারীরা ধর্মজ্ঞ নয়, এরা মন্ত্রহীন এবং মিথ্যার ন্যায় (অশুভ)এই শাস্ত্রীয় নিয়ম” (মনুসংহিতা, ৯/১৮)।

হিন্দুধর্মের ইতিহাসে সেই কুখ্যাত সতীদাহ বা সহমরণের কথা প্রথম জানা যায় অথর্ববেদে, “... জীবিত নারীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতের বধু হতে” (১৮/৩/৩); “এই নারী পতিলোকে যাচ্ছে, এ প্রাচীন রীতি অনুসরণ করছে...” (১৮/৩/৩/১)। এ প্রাচীন রীতি কত পুরানো? এটি আর্য না প্রাগার্য সংস্কৃতি? কারণ আমরা ইন্দো-ইয়রোপীয় অন্য সভ্যতাগুলিতে আমরা সহমরণের কথা তো পাই না। উত্তরগুলো আমার জানা নেই। তবে পাঠক, আপনারা হয়তো ইতিহাস পাঠের কারণে জানেন, এই বাংলায় ১৮১৫ সাল থেকে ১৮২৮ সাল পর্যন্ত মাত্র তের বছরে ব্রাহ্মণ্যবাদীর দল পুণ্যলাভের আশায় আর নারীর সতীত্ব (?) রক্ষার ধুয়া তুলে ৮১৩৫ জন নারীকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে সতী বানিয়েছিল! একটু ভাবুন তো, একটি নিরাপরাধ মেয়েকে টেনে-হিচড়ে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলছে, পাশে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন সক্কলে দাঁড়িয়ে ‘বল হরি বল’ কীর্তন গেয়ে নিজেদের স্বর্গে যাবার আয়োজন করছে, ভাবতেই তো গা গুলিয়ে উঠে! মানুষ কী পরিমাণ পাষণ্ড-হারামি-ধর্মান্ধ হলে এরকম কাজ করতে পারে? ‘ধর্ম’ নামক আফিমীয় মাদক মানুষকে কতটুকু নিবোর্ধ-মানবিকতাশূণ্য বানিয়ে দেয়, তারই উদাহরণ হতে পারে উপমহাদেশের এই সতীদাহ প্রথা।

মনুসংহিতা এবং নারী : হিন্দু আইনের মূল উৎস হচ্ছে এই ‘মনুসংহিতা’ এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছেও এটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হিসেবে বিবেচ্য। এই ধর্মগ্রন্থে নারীর কর্তব্য সম্পর্কে বলা হয়েছে,“বৈবাহিকো বিধিঃ স্ত্রীণাং সংস্কারো বৈদিকঃ স্মৃতঃ/পতিসেবা গুরৌ বাসো গৃহার্থোহগ্নিপরিক্রিয়া॥” (২:৬৭), অর্থাৎস্ত্রীলোকদের বিবাহবিধি বৈদিক সংস্কার বলে কথিত, পতিসেবা গুরুগৃহেবাস এবং গৃহকর্ম তাদের (হোমরূপ) অগ্নিপরিচর্যা; আবারও বলে দেয়া হয়েছে নারীর কর্তব্যগৃহকর্ম এবং সন্তান উৎপাদন (৯:২৬)। সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্যই নারী এবং সন্তান উৎপাদনার্থে পুরুষ সৃষ্টি হয়েছে (৯:৯৬)।

সাধ্বী নারী কখনো জীবিত অথবা মৃত স্বামীর অপ্রিয় কিছু করবেন না (৫:১৫৬)। স্বামী মারা গেলে স্ত্রীদের কি করতে হবে“কামন্তু ক্ষপয়েদ্দেহং পুস্পমূলফলৈঃ শুভৈঃ/ন তু নামাপি গৃহ্নীয়াৎ পত্যৌ প্রেতে পরস্য তু॥” (৫:১৫৭), সহজ ভাষায় বাংলা করলে হয়, স্ত্রী সারা জীবন ফলমূল খেয়ে দেহ ক্ষয় করবেন, কিন্তু অন্য পুরুষের নামোচ্চারণ করবেন না। কিন্তু স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কি করবেন, “ভার্যায়ৈ পূর্বমারিণ্যৈ দত্ত্বাগ্নীনন্ত্যকর্মণি/পুনর্দারক্রিয়াং কুর্যাৎ পুনরাধানমেব চ॥” (৫:১৬৮), এই শ্লোকেরও বাংলা শুনুন, দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ করে স্বামী আবার বিয়ে এবং অগ্ন্যাধ্যান করবেন। সত্যি! নারী-পুরুষের মধ্যে কী চমৎকার সমতা!! কেহ কেহ বলেন, ‘মনুবাদ’ থেকেই না-কি ‘মানবতাবাদ’ এসেছে! দারুন! ধন্য মোরা মনুর প্রতি! আবার এই ‘মনুবাদ’ না-কী হিন্দু আইনের উৎস! নারীর গুণাবলী নিয়ে মনু বলেন, নারীর কোনো গুণ নেই, নদী যেমন সমুদ্রের সাথে মিশে লবনাক্ত (সমুদ্রের গুণপ্রাপ্ত) হয়, তেমনই নারী বিয়ের পর স্বামীর গুণযুক্ত হন (৯:২২)। নারীর স্বাধীনতা সম্পর্কে মনুর সংহিতাতে বলা আছে : “অস্বতন্ত্রাঃ স্ত্রিয়ঃ কার্য্যাঃ পুরুষৈঃ স্বৈর্দ্দিবানিশম্/ বিষয়েষু চ সজ্জন্ত্যঃ সংস্থাপ্যা আত্মনো বশে॥” (৯:২), অর্থাৎ স্ত্রীলোকদের স্বামীসহ প্রভৃতি ব্যক্তিগণ দিনরাত পরাধীন রাখবেন, নিজের বশে রাখবেন...; আবার এর পরেই আছে বিখ্যাত সেই শ্লোক : “পিতা রক্ষতি কৌমারে ভর্ত্তা রক্ষতি যৌবনে/রক্ষতি স্থবিরে পুত্রা ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি॥” (৯:৩)

অর্থাৎ স্ত্রীলোককে পিতা কুমারী জীবনে, স্বামী যৌবনে ও পুত্র বার্ধক্যে রক্ষা করে; (কখনও) স্ত্রীলোক স্বাধীনতার যোগ্য নয়। এখন যারা (সনাতনবাদীরা) নারীমুক্তির বিষয়ে নিজ ধর্মের পক্ষে সাফাই গান, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, এই শ্লোক দেখে তারা কী ব্যাখ্যা দেবেন? নিশ্চয়ই আমতা আমতা করে ছলনা-শঠতার মাধ্যমে যৌক্তিকতা (বাস্তব উপযোগিতা) দানের চেষ্টা করবেন, কিংবা অস্বীকার করে বসবেন, আদৌ এ ধরনের কোনো শ্লোক কোথাও নেই! নারী সম্পর্কে ঘৃণ্য দৃষ্টিভঙ্গি ছড়িয়ে আছে সমগ্র মনুসংহিতা জুড়েই; নারীনিন্দায় মনুসংহিতা শ্লীলতার সীমা অতিক্রম করে গেছে। মনুর দৃষ্টিতে নারী স্বভাবব্যভিচারিণী, কামপরায়ণা; কাম, ক্রোধ, পরহিংসা, কুটিলতা ইত্যাদি যত খারাপ দোষ আছে, সবই নারীর বৈশিষ্ট্য, এসবই দিয়ে নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে! তবু সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এসব কিছুই নজরে আসে না, তাঁরা উদয়-অস্ত খুঁজে বেড়ান ইসলামধর্ম, খ্রিস্টানধর্ম, বৌদ্ধধর্ম নারীদের কোন্ অধিকার দিয়েছে, আর কোন্ অধিকার দেয়নি!

ধর্মগুরু, ঈশ্বরতুল্য মনু ঠিক কী পরিমাণ নারী-বিদ্বেষী হলে বলতে পারেন : “নৈতা রূপং পরীক্ষন্তে নাসাং বয়সি সংস্থিতিঃ/সুরূপং বা বিরূপং বা পুমানিত্যেব ভুঞ্জতে॥“ (৯:১৪), অর্থাৎ “যৌবনকালে নারী রূপ বিচার করে না, রূপবান বা কুরূপ পুরুষ মাত্রেই তার সঙ্গে সম্ভোগ করে।” (বাহ্! মনে হয় তাদের নিজেদের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র!); আসুন, একই রকম আরেকটি মনুর শ্লোক দেখি“স্বভাব এস নারীনাং নরাণামিহ দূষণম্/অতোহর্থান্ন প্রমাদ্যন্তি প্রমদাসু বিপশ্চিতঃ॥” (২:২১৩) অর্থাৎ “নারীর স্বভাবই হলো পুরুষদের দূষিত করা...”!

মহাভারত এবং নারী : সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে আরেকটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে মহাভারত; যদিও ইদানীং অনেকে একে মহাকাব্য হিসেবে বিবেচনা করেন, তবে বেশিরভাগ ধর্মাবলম্বীদের কাছে ধর্মগ্রন্থ হিসেবে ‘মহাভারতের কথা অমৃতসমান’ বিবেচিত হয়। পণ্ডিতেরা বলেন মহাভারতের রচনাকাল খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে খ্রিস্টাব্দ চতুর্থ শতকের মধ্যে এবং কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের কাল (যদি বাস্তবে কখনো সে যুদ্ধ ঘটে থাকে) মোটের উপর খ্রিস্টপূর্ব নবম শতক। মহাভারতেও নারী সম্পর্কে মনুসংহিতার প্রভাব পড়েছে তীব্রভাবে, এসেছে নারী সম্পর্কে অনেক হীন বক্তব্য; যার সামান্য কয়েকটি আগ্রহীদের জন্য তুলে ধরা হচ্ছে : মহাভারতের অসংখ্য চরিত্রের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হচ্ছে ভীষ্ম, তাঁর মধ্যেও স্পষ্টরূপে মনুর ছায়া পরিলক্ষিত হয়, তিনি বলেন (১৩/৩৮), “উহাদের (স্ত্রীলোকদের) মত কামোন্মত্ত আর কেহই নাই। ... কাষ্ঠরশি যেমন অগ্নির, অসংখ্য নদীর দ্বারা যেমন সমুদ্রের ও সর্বভূত সংহার দ্বারা অন্তকের তৃপ্তি হয় না, তদ্রুপ অসংখ্য পুরুষ সংসর্গ করিলেও স্ত্রীলোকের তৃপ্তি হয় না।”। ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরও গুরু ভীষ্মের মতোই, তাঁর মুখেও শোনা যায় তীব্র নারীনিন্দা, “উহারা (নারীরা) ক্রিয়া-কৌতুক দ্বারা পুরুষদিগকে বিমোহিত করে।

উহাদিগের হস্তগত হইলে প্রায় কোনো পুরুষই পরিত্রাণ লাভ করিতে পারে না। গাভী যেমন নূতন নূতন তৃণভক্ষণ করিতে অভিলাষ করে, তদ্রুপ উহারা নূতন নূতন পুরুষের সহিত সংসর্গ করিতে বাসনা করিয়া থাকে” (১৩/৩৯)। আবারো পঞ্চপাণ্ডবের মহাজ্ঞানী পিতামহ ভীষ্মের উপলব্ধি, “মানুষের চরিত্রে যত দোষ থাকতে পারে, সব দোষই নারী ও শূদ্রের চরিত্রে আছে। জন্মান্তরীয় পাপের ফলে জীব স্ত্রীরূপে (শূদ্ররূপেও) জন্মগ্রহণ করে” (ভীষ্মপর্ব ৩৩/৩২); “স্ত্রীগণের প্রতি কোন কার্য বা ধর্ম নেই। (কারণ) তারা বীর্যশূণ্য, শাস্ত্রজ্ঞানহীন।” (অনু, ১৩/৩৯) এরপরেও নাকি মহাভারতের কথা অমৃতসমান! (সূত্র : মনুসংহিতা ও নারী, পৃষ্ঠা ৭২-৭৬) “তুলাদণ্ডের একদিকে যম, বায়ু, মৃত্যু, পাতাল, দাবানল, ক্ষুরধার বিষ, সর্প ও বহ্নিকে রেখে অপরদিকে নারীকে স্থাপন করিলে ভয়ানকত্বে উভয়ে সমান-সমান হবে” (অনুশাসনপর্ব ৩৮)। ব্রাহ্মণ্যধর্মের ‘সম্পূর্ণ ধর্মগ্রন্থ’ রূপেই এখন গীতার স্থান; এবং কারো কারো কাছে আধুনিক ধর্মগ্রন্থ! গীতাকে বলা হয়, শ্রীভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী, ভগবদগীতা। কিন্তু এই গীতাতেও দেখি ভগবানের কণ্ঠে মনুর বক্তব্য! শ্রীমদ্ভগবদগীতায় পঞ্চপাণ্ডবের শ্রেষ্ঠ বীর শ্রীমান অজুর্নের মুখে শুনি—“অধর্মাভিভাবাৎ কৃষ্ণ প্রদুষ্যন্তি কুলস্ত্রিয়ঃ/স্ত্রীষু দুষ্টাসু বার্ষ্ণেয় জায়তে বর্ণসঙ্করঃ॥” (গীতা, ১:৪০) অর্থাৎ “হে কৃষ্ণ, অধর্মের আবির্ভাব হলে কুলস্ত্রীরা ব্যভিচারিণী হয়। হে বার্ষ্ণেয়, কুলনারীগণ ব্যভিচারিণী হলে বর্ণসংকরের সৃষ্টি হয়”। এর পরেই বর্ণসঙ্কর সৃষ্টি হলে কি হয়, তারও উত্তর রয়েছে : “সঙ্করো নরকায়ৈব কুলঘœানাং কুলস্য চ/পতন্তি পিতরো হ্যেষাং লুপ্তপিণ্ডোদকক্রিয়াঃ॥” (গীতা, ১:৪১) অর্থাৎ বর্ণসঙ্কর, কুলনাশকারীদের এবং কুলের নরকের কারণ হয়। শ্রাদ্ধ-তর্পণাদি ক্রিয়ার লোপ হওয়াতে ইহাদের পিতৃপুরুষ নরকে পতিত হয়।”

এই উক্তিগুলো পঞ্চপাণ্ডবের এক ভাই অর্জুনের; মেনে নিচ্ছি ভগবদগীতায় শ্রী ভগবানের উক্তিই প্রামাণ্য, অর্জুনের নয়। কিন্তু এ প্রসঙ্গে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের বক্তব্য খণ্ডন তো করেনই নি, বরঞ্চ সে বক্তব্যকে পুরোপুরি সমর্থন করে এবং অর্জুনকেও ছাড়িয়ে গিয়ে নারীদের ‘পাপযোনি’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন : “মাং হি পার্থ ব্যপাশ্রিত্য যেহ্যপি স্যুঃ পাপযোনয়ঃ/স্ত্রিয়ো বৈশ্যাস্তথা শূদ্রাস্তেপি যান্তি পরাং গতিম্॥” (গীতা, ৯:৩২) অর্থাৎ “আমাকে আশ্রয় করে স্ত্রী, বৈশ্য, শূদ্র এসব পাপযোনিরাও পরম গতি লাভ করে থাকে”। এরপরই দয়ময় ভগবান ব্রাহ্মণ ও রাজর্ষিদের ভক্তিতে গদগদ হয়ে বলেন : “কিং পুনর্ব্রাহ্মণাঃ পুণ্যা ভক্তা রাজর্ষয়স্তথা/অনিত্যমসুখং লোকমিমং প্রাপ্য ভজস্ব মাম্॥” (৯:৩৩) অর্থ হচ্ছে “পুণ্যশীল ব্রাহ্মণ ও রাজর্ষিগণ যে পরম গতি লাভ করিবেন তাহাতে আর কথা কি আছে? অতএব আমার আরাধনা কর। কারণ এই মর্তলোক অনিত্য এবং সুখশূণ্য।”

পাঠক, বত্রিশ নম্বর শ্লোকে লক্ষণীয় যে, নারীর সাথে বৈশ্য ও শূদ্ররা পাপযোনিভুক্ত, শুধু ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় বাদে! কিন্তু নারী যদি কোনো ব্রাহ্মণের মেয়ে হয় তবুও সে ভগবানের দৃষ্টিতে পাপযোনিভুক্ত। বুঝা যাচ্ছে, ভগবানের কাছে নারীর আলাদা কোনো জাত বা বর্ণ নেই; সব নারীই পাপযোনিভুক্ত। কিন্তু খটকা লাগে, কোনো ব্যক্তির নিজের জন্মের উপর নিজের কি কোনো হাত থাকতে পারে? যদি হাত নাই থাকে, তবে নারী, বৈশ্য, শূদ্ররা পাপযোনিভুক্ত হয় কী করে? তাছাড়া এ ধরনের নোংরা বক্তব্য কী কোনো ধর্মগ্রন্থে থাকতে পারে? এ ধরনের নোংরা বাণী এখানেই শেষ নয়, আরো আছে; প্রচুর পরিমাণে আছে। নারীদের নিয়ে হিন্দু ভগবান থেকে শুরু করে মুনি-ঋষি, ঠাকুর-পুরোহিত, রাজন্যবর্গ কারোর-ই চিন্তার শেষ নেই। নারী অমুক, নারী তমুক! অনেকেই ভাবতে পারেন, হিন্দুধর্মের দৃষ্টিতে নারী বোধহয় কখনোই ভালো নয়? না, না। এরকমটি নয়। হিন্দু মুনি-ঋষিরা ভালো নারী-ধর্মচারী নারীর বৈশিষ্ট্য ঠিক করে দিয়েছেন! তাদের দৃষ্টিতে সতী-সাধ্বী-ধর্মচারিণী হচ্ছে—“ন চন্দ্রসূর্যৌ ন তরুং পুন্নাুো যা নিরীক্ষতে/ভর্তৃবর্জং বরারোহা সা ভবেদ্ধর্মচারিণী॥ (মহাভারত, ১২/১৪৬/৮৮) অর্থাৎ “যে নারী স্বামী ব্যতীত কোনো পুংলিঙ্গান্ত (নামের বস্তু), চন্দ্র, সূর্য, বৃক্ষও দর্শন কওে না, সে-ই ধর্মচারিণী।” ওরেবাব্বা! দেখলেন তো!

ধর্মচারিণী হতে হলে কি কি গুণ থাকা প্রয়োজন? এতো দেখি পর্দাপ্রথা থেকেও চূড়ান্ত ও উন্মত্ত সংস্করণ! সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এরপরেও কোন মুখে দাবি করেন, তাদের ধর্ম প্রগতিশীল, তাদের ধর্মে নারী সম্পর্কে কোনো বাজে ধারণা নেই? না জেনে দাবি করে বসলে আমার কিছু বলার নেই? কিন্তু জেনে-শুনে যারা এগুলো গোপন করে নিজেদের ধর্ম যুগোপযুগী, নারী-মুক্তির পক্ষে কিংবা নারী-মুক্তি হিন্দু ধর্মেই রয়েছে বলে সাফাই গান, তাদের জন্য বাংলা ভাষায় একটা ভদ্র শব্দ প্রচলিত আছে, তা হল ‘চশমখোর’! হিন্দুধর্ম নারীকে বিন্দুমাত্র মানুষের মূল্য দেয় না; নারী শুধুমাত্র পণ্য, নারীর নিজস্ব কোনো অধিকার নেই, নেই স্বাধীনতা; এখনো হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিয়ের সময় কন্যাদান করা হয় পুরুষের (স্বামী/প্রভু) কাছে যজ্ঞ-মন্ত্র ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতা মেনেই। বৈদিকযুগ থেকেই বিয়ের সময়ই কন্যাদান নয়, অহরহই যে কোনো অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে ক্ষত্রিয় রাজা বা ঠাকুর-পুরোহিত-ব্রাহ্মণদের মনোরঞ্জনের জন্য নারীদের দান করা হতো, দেখুন পবিত্র মহাভারতের কিছু নমুনা : মহাভারতের কথিত শ্রেষ্ঠ সত্যবাদী যুধিষ্ঠির নিজেও যজ্ঞে-দানে-দক্ষিণায় বহুশত নারীকে দান করে দিতেন অবলীলায় অতিথিরাজাদের আপ্যায়নে (আশ্বমেধিকপর্ব ৮০/৩২, ৮৫/১৮)! রাজাদের লালসার তো শেষ নেই! শুধু ক্ষত্রিয় রাজারা ভোগের জন্য নারী পেলে তো হবে না, অমৃতের সন্তান ব্রাহ্মণেরা কী দোষ করলো তবে! চিন্তার কিছু নেই, ওদের জন্যও ব্যবস্থা আছে। শ্রাদ্ধের-দক্ষিণার তালিকাতে পুরোহিত ব্রাহ্মণদের নারী দান করার বিধান রয়েছে, দেখুন : আশ্রমবাসিকপর্ব ১৪/৪, ৩৯/২০, মহাপ্রস্থানপর্ব ১/৪, স্বর্গরোহণপর্ব ৬/১২,১৩।

যাহোক, এই ইহজগতে না হয় দুদর্মনীয় কামভোগের একটা ব্যবস্থা করা গেল, কিন্তু মৃত্যুর পর কী হবে? মরণের পরেও তো সুখ-শান্তির ব্যবস্থা থাকা চাই। চিন্তা নেই, তারও রেডিমেড ব্যবস্থা আছে। যুদ্ধক্ষেত্রে বীরের মতো যুদ্ধ করে মারা গেলে স্বর্গে পাওয়া যাবে অসংখ্য সুন্দরী নারী। প্রমাণ চাই তো নিশ্চয়ই! দেখুন : বনপর্ব ১৮৬-১৮৭, কর্ণপর্ব ৪৯/৭৬-৭৮, শান্তিপর্ব ৬৪/১৭, ৩০; ৯৬/১৮, ১৯, ৮৩, ৮৫, ৮৬, ৮৮, ১০৬; রামায়ণের অযোধ্যাকাণ্ড ৭১/২২, ২৫, ২৬, সুন্দরকাণ্ড ২০/১৩। (সূত্র : প্রাচীন ভারত সমাজ ও সাহিত্য, পৃষ্ঠা ৬৩)।

ব্লগার ইস্যুতে হাসিনার আগের মন্তব্য:

উপরে আমরা দেখলাম ‘পর্ন’ ‘নোংরা’ ও ‘বিকৃত মানসিকতা’ নিয়ে লেখা ধর্মবিদ্বেষী ব্লগগুলোর ব্যাপারে শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান। তিনি তাতে বলেছেন যে এ ধরনের লেখায় তিনি নিজেই কষ্ট পান।

এখন আমরা দেখবো এসব ‘পর্ণ’র অন্যতম নেতৃস্থানীয় লেখক রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবা ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খুন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তার সম্পর্কে কী মন্তব্য করেছিলেন?

১৬ ফেব্রুয়ারি দৈনিক প্রথম আলোর প্রিংন্ট সংস্করণে প্রকাশিত “জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী” শিরোনামের সংবাদটিতে অনলাইনে একটি ভিডিও যোগ করে দেয়া হয়। রাজীব হায়দারের বাসায় তার মাকে সান্তনা দিতে যাওয়া শেখ হাসিনা রাজীব ওরফে থাবা বাবা সম্পর্কে যা বলেছেন চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত সেই ভিডিও ক্লিপটি থেকে তার বক্তব্যের শেষাংশটি তুলে ধরা হল-

“এই যে তরুণ সমাজ তারা মনে হল একাত্তরের পর আবার সমগ্র বাঙালী জাতির চেতনায় এতটা উন্মেষ ঘটাতে পেরেছে। আর সেই চেতনা যখন তারা এমন জাগ্রত করলো সে সময় প্রথম শহীদ সে। এবং এটা সবাই ধরেই নিতে পারে কারা করছে। তবে এটুকু কথা দিতে পারি এদের ছাড়বো না।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আরো কিছু বলার আগে ওইদিনের প্রথম আলোর আরেকটি সংবাদের উদ্ধৃতি দিতে চাই। “রাজীব দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ: তোফায়েল” শিরোনামের ওই সংবাদটিতে লেখা হয়েছে, “আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ব্লগার রাজীব দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ। রাজীব চলে গেছেন, কিন্তু তাঁর রক্ত দিয়ে উজ্জীবিত করে গেছেন তরুণ প্রজন্মকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল থেকে শাহবাগের কর্মসূচি আবারও লাগাতার করা হয়েছে।

সহায়ক গ্রন্থপঞ্জি
১. সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (ভূমিকা, অনুবাদ, টীকা), ২০০২, মনুসংহিতা, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা।

২.   শ্রী জগদীশচন্দ্র ঘোষ (সম্পাদিত), ১৯৯৭, শ্রীমদ্ভগবদগীতা, প্রেসিডেন্সী লাইব্রেরী, কলকাতা।

৩. কল্যাণী বন্দ্যোপাধ্যায়, ১৯৯৮, ধর্ম ও নারী, এলাইড পাবলিশার্স, কলকাতা।

৪. কঙ্কর সিংহ, ২০০৫, মনুসংহিতা ও নারী, র‌্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন, কলকাতা।

৫. সুকুমারী ভট্টাচার্য, ২০০২, প্রাচীন ভারত সমাজ ও সাহিত্য, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা।

৬. সা’দ উল্লাহ্, ২০০২, নারী অধিকার ও আইন, সময় প্রকাশন, ঢাকা।

৭.  মাহমুদ শামসুল হক, ১৯৯৬, নারীকোষ, তরফদার প্রকাশনী, ঢাকা।

৮.   প্রবীর ঘোষ, ১৯৯৪, যুক্তিবাদের চোখে নারী-মুক্তি, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা।

৯. ধর্ম ও নারী - সৈয়দ শাহজাহান

১০. ধর্ম ও নারী প্রাচীন ভারত : কঙ্কর সিংহ

১১. ধর্ম, নারী ও যৌনতা : শামসুদ্দোহা শোয়েব
প্রকাশক: শুদ্ধস্বর

১২. ধর্ম ও সমাজে নারী: মাসউদ আহমদ

১৩. নারী : হুমায়ুন আজাদ

১৪. সমাজ ও ধর্ম : মাহমুদা ইসলাম

১৫. ধর্ম ও নারীর অধিকার: মমতাজ দৌলতানা

১৬. মহাবিশ্বে মানুষ ও ধর্ম: নরেন্দ্র কুমার মন্ডল

১৭. ধর্ম ও যুবক জীবন: ডাঃ লুৎফর রহমান

১৮. ধর্ম ও প্রগতি : জয়ন্তানুজ বন্দ্যোপাধ্যায়

১৯. শ্রীকৃষ্ণ ও ভাগবত ধর্ম: জগদীশ চন্দ্র ঘোষ

২০. সনাতন ধর্ম : মত ও মতান্তর: রণজিৎ কর
২১. sufiborshan.blogspot.co.uk
http://sufiborshan.blogspot.co.uk/2015/06/blog-post_8.html
২২. ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন আর্টিকেল এবং নিউজ

1 comment:

  1. নেহাত শুয়োরের বাচ্চা এবং জামাত শিবিরের অবৈধ সন্তান না হলে নিজের মনগড়া রেফারেন্স দিয়ে, সম্পূর্ণ ধর্মকে না জেনে এরকম ব্লগ লেখা সম্ভব না কারো পক্ষে....

    ReplyDelete