Friday 1 April 2016

প্রাচীন চীন সভ্যতা ও কনফুসীয় ধর্মে নারী: বিশেষ থেরাপি দিয়ে মেয়েদের পা ছোট করে রাখার কুপ্রথা।

বিশ্ব সভ্যতায় নারী পর্ব তিন:
সূফি বরষণ
কনফুসীয় ধর্ম : কনফুসীয় ধর্ম চিনের একটি নৈতিক ও দার্শনিক বিশ্বাস ও ব্যবস্থা যা বিখ্যাত চৈনিক সাধু কনফুসিয়াসের শিক্ষার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ কনফুসিয়াস হলেন কনফুসীয় ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। এটি মূলত নৈতিকতা, সমাজ, রাজনীতি, দর্শন এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও চিন্তাধারা সমূহের সম্মিলনে সৃষ্ট একটি জটিল ব্যবস্থা, যা একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত পূর্ব এশিয়ার সংস্কৃতি ও ইতিহাসে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। অনেকের মতে এটি পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃত হতে পারে। কারণ এই দেশগুলোতে এখন কনফুসীয় আদর্শের বাস্তবায়নের উপর বিশেষ জোর দেয়া হচ্ছে। কনফুসিয় মতবাদ একটি নৈতিক বিশ্বাস এবং দর্শন। কনফুসীয় মতবাদ একটি নৈতিক বিশ্বাস এবং দর্শন। এটাকে ধর্ম বলা হবে কি না এই নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মাঝে মতভেদ আছে। অনেক শিক্ষাবিদ কনফুসীয় মতবাদকে ধর্ম নয়, বরং দর্শন হিসেবে মেনে নিয়েছেন। কনফুসীয় ধর্মের মূলকথা হচ্ছে মানবতাবাদ।http://www.religionfacts.com/confucianism
নারীদের প্রতি প্রাচীন চীনাদের আচরণের উদ্ধৃতি পাওয়া যায় খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে। হু সুয়ান নামক কবির লেখায় এক কবিতায় “নারী হওয়া বড় দুঃখের, পৃথিবীতে কোনো কিছুই নারীর মত এত সস্তা নয়।”
কনফুসিয়াস বলেন- “নারীর মূল কাজ আনুগত্য, শৈশব কৈশোরের পিতার, বিয়ের পর স্বামী, এবং বিধবা হওয়ার পর পুত্রের, এই আনুগত্য হবে প্রশ্নাতীত এবং একচ্ছত্র”।http://www.telegraph.co.uk/…/Chinese-women-with-bound-feet-…
চীন সভ্যতায় : চীন দেশের নারীদের অবস্থার বিবরণ দিতে গিয়ে জনৈকা চীনা নারী বলেন, ‘মানব সমাজে নারীদের স্থান সর্বনিম্নে। অদৃষ্টের কি নির্মম পরিহাস! নারী সর্বাপেক্ষা হতভাগ্য প্রাণী। জগতে নারীর মত নিকৃষ্ট আর কিছু নেই’।

ত্রেতা , দ্বাপর , গ্রীস , মিশর ,রোম , বাইবেল ... ইলিয়াড , ওদিসি , ট্রয়ের হেলেন , সীতা , কুন্তী --- নারী নিয়ন্ত্রণ করেছে ইতিহাসের নদী । অথচ জোয়ান অব আর্কের মতো পায়ের বেড়িতে বাঁধা পড়েছে নারী -- অপ্সরা উর্বশী রম্ভা -- কুমারসম্ভব থেকে শকুন্তলা , ঋদ্ধা সীতা , কুন্তী ... নিজ পুরুষের দ্বারা বিক্রিত হয়ে বদলা ন্যায় ওই পুরুষের দ্বারাই । মনুবাদের শেকল কাটাতে পারেনি বুদ্ধ কিম্বা মহাবীরের ধর্ম । খৃষ্টধর্মেও ধর্মাধিকারে নারীর অনধিকার -- ঘুরে ফিরে নরকের দ্বারই নারী । কয়েকটা লক্ষ্মীবাঈ , রাসমণি , রিজিয়া চাঁদবিবি ভাঙতে পারেনা নারীর শরীরে পুরুষের কর্ষণভূমি । মিতাক্ষরা থেকে শরীয়তী সিদ্ধা শাহবানু আইন -- নারীর বিরুদ্ধে আবালবৃদ্ধবনিতা ।
প্রাচীন চীনে মহিলাদের জীবন ছিল অত্যন্ত দুর্বিষহ। মনুস্মৃতি অনুযায়ী নারীদের প্রকৃতি হলো পৃথিবীতে পুরুষদের কলুষিত করা। মনু বলেছেন, ‘কোন বালিকা, যুবতী বা বৃদ্ধাকে নিজের বাড়িতেও স্বাধীনভাবে কিছু করতে দেয়া ঠিক নয়। বাল্যে নারী থাকবে পিতার নিয়ন্ত্রণে, যৌবনে স্বামীর এবং স্বামী মারা গেলে পুত্রদের নিয়ন্ত্রণে। তাকে কোনও স্বাধীনতা দেয়া যাবে না। কোন নারীকেই পিতা, স্বামী বা পুত্রদের থেকে আলাদা হবার চেষ্টা করতে দেয়া ঠিক নয়। কেননা, এতে তার নিজের ও স্বামীর পরিবারকে হেয় করা হবে। http://anthropology.msu.edu/…/role-of-women-in-ancient-chi…/
চীন দেশে নারীর অবস্থা ছিল আরও করুণ।
চীনা কবি Fu Hsuan লিখেছেন,
How sad it is to be a woman
Nothing on earth is held so cheaf
Boys stand leaning at the door
like Gods follen ont of heaven
their hearts brave in for oceans
The win and dust of a thousand miles.
No one is glad when a girl is born
By her the family sets no store
When she grows if she hids in her room
Afraid to look a man in the face
No one cries when she leaves her home
Sudden as clouds when the rain stops
She bows her head and composes her face
Her teeth are pressed on her red lips
She bows and kneels countless times.
অর্থাৎ নারী হওয়া কত দুঃখের বিষয়; পৃথিবীতে আর কিছুই এত সস্তা নয়। স্বর্গ থেকে আগত দেবতার মত ছেলেরা দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, তাদের হৃদয় সাতসমুদ্র তুচ্ছ করে- উপেক্ষা করে হাজার মাইলের ধূলি ঝড়। মেয়ের জন্ম হলে কেউ খুশি হয় না। পরিবার তার জন্য কিছু জমিয়ে রাখে না। যখন সে বড় হয় সে তার কক্ষে লুকিয়ে থাকে। কোন পুরুষের দিকে তাকাতে ভয় পায়। যখন সে বৃষ্টি শেষে মেঘের মত বাড়ি ছেড়ে চলে যায় কেউ তার জন্য কাঁদে না, সে তার মাথা নীচু রাখে, চেহারা থাকে শান্ত। তার লাল ঠোঁটে সে দাঁত খিঁছিয়ে রাখে, অজস্রবার মাথা নীচু করেও নতজানু হয়। প্রাচীন ভারত অথবা চীনে মেয়েদের যে অবস্থা ছিল একবিংশ শতাব্দীর এই দিনে তার চেয়ে অবস্থা অনেক ভাল হয়েছে তা বলা যাবে না।http://asiasociety.org/education/women-traditional-china
মধ্যযুগীয় চীনা মেয়েদের পা ছোট করে রাখার কুপ্রথা এবং কনফুসীয় অপ-দর্শন:
সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকেই নারীর স্বাভাবিক বিকাশের পথটি রুদ্ধ করতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কত বিধিবিধানই না রচনা করেছে। নারীর স্বাধীনতা খর্ব করতে উদ্ভাবন করেছে অজস্র পদ্ধতি । চীনা মেয়েদের পা ছোট করে রাখা সেই নির্মম ইতিহাসেরই অংশ। আশ্চর্য এই-সেই অমানবিক মানবতাবিরোধী পদ্ধতির পিছনে ছিল তথাকথিত চৈনিক দার্শনিকদের প্রত্যক্ষ মদদ এবং সে সব একদেশদর্শী দার্শনিকদের রচনা নারী সম্বন্ধে হীন মন্তব্যে পরিপূর্ণ। যেমন দার্শনিক কনফুসিয়াস বিশ্বাস করতেন: A husband may marry twice, but his wife must never remarry.এভাবে নারীকে হীন এবং অধঃপতিত করে দেখালে নারীকে বিকলাঙ্গ করে রাখতে সহজ হত ...
আজ নারী স্বাধীনতা স্বীকৃত হলেও প্রাচীন কাল থেকেই চীনা নারীরা ছিল পুরুষতান্ত্রিক সমাজের খেয়ালখুশির শিকার। আর পুরুষ চিন্তাবিদের তাতে সমর্থ ছিল।https://depts.washington.edu/chinaciv/clothing/11qinwom.htm
চিনে কীভাবে উদ্ভব হল ওই কুপ্রথার?
বলা হয়ে থাকে-কোন্ চিনা রাজপুত্রের মেয়েদের ছোট পায়ের ওপর fetish ছিল। fetish মানে- object arousing sexual desire. এর মানে হল: মেয়েদের ছোট পা দেখে সেই চিনা রাজপুত্রের যৌনবোধ জাগ্রত হত । ব্যস। এরপর চিনদেশে মেয়েদের পা ছোট রাখার পদ্ধতি আবিস্কার হল। বলা বাহুল্য পদ্ধতিটি ছিল যন্ত্রণাদায়ক। তথাপি চিনে সমাজে এই ধারণা ছড়িয়ে পড়ল যে -ছোট পা হল আভিজাত্যের প্রতীক, সেই ছোট পা কে বলা হল ‘পদ্ম-পা’।http://www.wsj.com/articles/SB125800116737444883
এতটুকু মেয়েদের বিকলাঙ্গ করা হত:
চীনে মেয়েদের পা ছোট করে রাখার প্রথা প্রচলিত হয় সুং শাসনামলে। সময়কাল- ৯৬০ থেকে ৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ। কারও কারও মতে অবশ্য সপ্তম শতকে এই প্রথার উদ্ভব। প্রথম প্রথম এর চর্চা ছিল সীমিত। পরবর্তীকালে, অর্থাৎ, দশম শতকের পর ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে। কেবলমাত্র অভিজাত সমাজই নয়- এমনকী মধ্যবিত্ত সমাজেও পদ্মপায়ের লোভে মেয়েদের পা বিকৃত করে ফেলা হত। ... কেবল মাত্র নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়েরা রেহাই পেয়েছিল। যেহেতু ওদের কাজ করে খেতে হত।
http://www.damncoolpictures.com/…/chinese-women-with-deform…
যুগ যুগ ধরে চিনা মেয়েদের ওপর এই অমানবিক নির্যাতন চলেছে।
তিন বছর বয়েসি শিশুর পা বিকলাঙ্গ করা হত ;এসময় পায়ের বাঁকা হাড় ও আঙুল ঠিক মতো বিকাশ লাভ করে না। সাধারনত শীতকালে এই বিকৃতিকরণ করা হত। এ সময় ঠান্ডায় পা জমে থাকত বলে ব্যথা কম হত। প্রথমে দুটি পা-ই উষ্ণ ভেষজ ও পশুরক্তে ভিজিয়ে নেওয়া হত। এতে পা নরম হত, আঙুলগুলি বাঁকিয়ে বেঁধে ফেলতে সুবিধে হত। এরপর যদ্দূর সম্ভব পায়ের আঙুলের নখ কেটে ফেলা হত । তারপর ম্যাসেজ করা হত। তুলার ব্যান্ডেজ উষ্ণ ভেষজ ও পশুরক্তে ভিজিয়ে নেওয়া হত। এরপর আঙুল ও বাঁকানো হাড় নীচের দিকে চাপ দিয়ে ভেঙে ফেলা হত! ভাঙা পায়ে শক্ত করে ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে বাঁধা হত। শিশু তীব্র যন্ত্রনায় কাৎরাত। কী আর করা ! প্রথা বলে কথা! মেয়েরা হাঁটত গোড়ালির ওপর ভর রেখে।
http://www.huffingtonpost.com/…/photographs-last-chinese-fo…
পুরুষশাসিত সমাজে পা বিকৃত না করে উপায় ছিল না। তার ওপর এটি হয়ে উঠেছিল ফ্যাশন। কর্মহীন পায়ের মর্যাদা গড়ে উঠেছিল। পা যত ছোট তত অভিজাত। মধ্যবিত্ত সমাজেও চলত প্রতিযোগীতা- কার মেয়ের পা কত ছোট। যদিও মেয়েরা সংসারের কাজ ঠিকঠাক করতে পারত না।
http://www.dailymail.co.uk/…/Han-Qiaoni-102-woman-bound-fee…
বিকলাঙ্গ পায়ের জন্য নির্মিত বিশেষ জুতা।উচ্চবিত্ত সমাজে কন্যার পা ছোট না থাকলে বিয়েই কঠিন হয়ে পড়ত। তবে পা বিকৃতির মূল উদ্দেশ্য ছিল মেয়েরা যাতে স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে না পারে। আমরা জানি প্রাচীন ও মধ্যযুগে চিনা সমাজে দার্শনিক কনফুসিয়াসের (৫৫১-৪৭৯ খ্রিস্টপূর্ব) দারুন সম্মান ছিল। http://www.scmp.com/…/how-cruel-and-sordid-realities-foot-b…
এই নৈতিকতার ধ্বজাধারী ব্যাক্তিটি একবার বলেছিলেন ... A woman's business is simply the preparation and supplying of food and wine. She may take no step of her own motion, and may come to no conclusion in her own mind. Beyond the threshold of her apartments she should not be known for good or evil. She may not cross the boundaries of a state to accompany a funeral. (মেয়েদের কাজ হল রান্নাবান্না করা ও মদ তৈরি করা এবং সেসব পরিবেশন করা। সে স্বেচ্ছায় এক পাও নড়বে না। নিজস্ব বিবেচনায় কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হবে না। বাড়ির বাইরের ভালোমন্দ সম্বন্ধে জানবে না। রাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে শেষকৃত্যে যোগ দেবে না। )
এখন যেন মেয়েদের পা ছোট করে রাখার বিষয়টি অনেকখানি পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে। মেয়েরা যেন হাঁটতে না পারে তাই এই ব্যবস্থা। কারও সাহায্য ছাড়া বেশি দূর যেতে পারত না। যন্ত্রণা হত। http://www.myseveralworlds.com/…/suffering-for-beauty-grap…/
২৮ সেপ্টেম্বর কনফুসিয়ারে জন্মদিন। প্রতি বছরই চিনা বিশ্বে মহাসমারোহে দিনটি পালিত হয়। হংকং-এ কনফুসিয়াসের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্টানে নারীর উপস্থিতি বিস্ময়কর ঠেকতেই পারে।
চিনা সমাজে কনফুসীয় এই নারী বিদ্বেষী কুপ্রথা টিকেছিল প্রায় ১০০০ বছর। ১৯১১ সালে চিনে মাঞ্চু রাজবংশের পতনের পর নতুন প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়। তার পর এই প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়। পথাটিকে ‘চাইল্ড অ্যাবিউজ’ বলে আখ্যাহিত করা হয়। তবে সে সময় যাদের পায়ের বাঁধন খুলে ফেলা হয়েছিল তাদের পায়ে দীর্ঘকাল ক্ষত বহন করতে হয়েছিল। এমন কী ১৯৯০ সালেও কোনও কোনও চৈনিক বৃদ্ধার পায়ের সমস্যা ছিল।
সমগ্র বিশ্বের চোখ এখন প্রচন্ড গতিতে অগ্রসরমান চিনের দিকে । কিন্তু প্রশ্ন হল- চিনা সমাজে মেয়েদের ওপর পুরুষতন্ত্রের শাসন কতখানি শিথিল হয়েছে? চিনে পা বিকৃতির কারণ সম্বন্ধে কোন্ এক চিনা রাজপুত্রের মেয়েদের ছোট পায়ের ওপর fetish এর কথা বলা হয়। আসলে সেই রাজপুত্র রক্ষিতাদের বন্দি করে রাখতেই এক কুপ্রথার জন্ম দিয়েছিল আর সে ‘যথার্থ’ কাজে ফনফুসিয় ‘মহান’ বাণীর দৃঢ় সমর্থন তো ছিলই ...এভাবে পুরুষেরা যুগ যুগ ধরে শাস্ত্রের বাণী ইচ্ছে মতো ব্যাখ্যা করে নিজ উদ্দেশ্য সিদ্ধি করে চলেছে ... http://www.theatlantic.com/…/the-peculiar-history-o…/279718/
হাই হিল। সম্ভবত এই আধুনিক শৈলীর পাদুকাটির পিছনে রয়েছে চিনে মেয়েদের গোড়ালীর ওপর ভর দিয়ে হাঁটার দুঃসহ স্মৃতি ... অনেকে যেমন বলেন বাঙালি মেয়ের হাতে রিনরিন করে বাজা চূড়ি হল পূর্বযুগের দাসত্বের চিহ্ন।
২০০২ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত , চীনা নারীদের মোট লোকসংখ্যা ৬২ কোটি , এটা চীনের মোট লোকসংখ্যার শতকরা ৪৮ দশমিক ৫ ভাগ দখল করে । চীন সরকার নারীদের উন্নয়ন আর অগ্রগতিকে গুরুত্ব দেয় , নারী আর পুরুষের সমতা হচ্ছে চীনের সমাজ উন্নয়নের একটি মৌলিক নীতি ।
চীন সরকার আর সমাজের বিভিন্ন মহলের যৌথ প্রয়াসে , চীনা নারীদের স্থান স্পষ্টভাবে উন্নত হয় , নারীদের গুণ সার্বিবভাবে উন্নত হয় , নারী ব্রতের উন্নয়ন একটি অভূতপূর্ব ভালো সময়ে প্রবেশ করে ।
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

No comments:

Post a Comment