সূফি বরষণ
বাংলাদেশের বাঙালী আর তথাকথিত কলকাতার বাঙালী এক জাতি নয় । কারণ দুটি ভিন্ন সংস্কৃতি ভিন্ন সামাজিক নিয়ম নীতির ভিন্ন পোশাক ভিন্ন বিশ্বাস ভিন্ন ধর্মীয় রেওয়াজ দুটি জাতির । এরা কোনো কালেই এক এবং অভিন্ন জাতি ছিল না। বর্তমানে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক আর কলকাতার বাঙালীরা ভারতীয় নাগরিক । কলকাতার বাঙালী হিন্দুরা বাংলাদেশের সাথে একই দিনে বাংলা নববর্ষ পালন করে না বরং সব সময় একদিন পরে করে। এবং তারা বাংলা সনে শেষে সন না লিখে হিন্দু বৈষ্ণব নিয়ম অনুযায়ী শকাব্দ লিখে । ইলিশ আমাদের কৃষ্টি ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। ইলিশ কলকাতার কোনো সংস্কৃতি বা কালচার নয় এটা এদের নয় বাংলাদেশের তাই এবার ষড়যন্ত্র করে বলছে বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখের সাথে ইলিশের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই!? উদ্দেশ্যে গোপনে সস্তায় ইলিশ খাওয়ার জন্য । প্রশ্ন হলো বৈশাখের সাথে মঙ্গল শোভাযাত্রার কোনো সম্পর্ক আছে কি!?
১৯০৫ বঙ্গভঙ্গের সময় কলকাতার উচ্চ বর্ণ হিন্দু ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করে বঙ্গ মাতার অঙ্গ ছেদ বলে। আর সেই সাথে জুড়ে দেয় বন্দে মাতেরাম স্লোগান। কারণ তখন কোনো নির্বাচন ব্যবস্থা ছিলনা উচ্চ বর্ণ হিন্দু ইংরেজদের দালালী করে দেড়শ বছর বাংলার মুসলমানদের উপরে অত্যাচার নির্যাতন জুলুম লুটপাট চালায় ।
তাই আর বেশি করে বাংলা মুসলমানদের শোষণ করার জন্য বরং হিন্দুরা বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে। ১৯৩৫ সালে যখন ব্রিটিশ সরকার নির্বাচন ব্যবস্হা চালু করে তখন ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে মুসলিমরা জয়ী হয় । তখন মুসলমানদের সংখ্যা ছিল ৬০% উপরে । ভারত ভাগের আগ পর্যন্ত মুসলমানদের হাতে বাংলার ক্ষমতা থাকে । উচ্চ বর্ণ হিন্দু যখন দেখলো কলকাতার হিন্দুরা বাংলাদেশের সাথে থাকলে তাদের স্বার্থ সংস্কৃতি রক্ষা হবে না বলে, ঠিক ৪২ বছর পর ১৯৪৬ সালে কলকাতায় ও বিহারে মুসলমানদের হত্যা মাধ্যমে ভারতের সাথে থাকা সিদ্ধান্ত নেই। হিন্দুরা ১৯০৫ সালে বাংলা ভাগের বিরোধিতা করে আবার ১৯৪৭ সালে সেই হিন্দুরাই বাংলা ভাগ করে ভারতের সাথে থেকে যায়। পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানদের সাথে এক থাকতে অস্বীকার করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং ভারতের সাথে থাকার জন্য দাঙ্গা লাগিয়ে হাজার হাজার মুসলমানদের হত্যা করে।
প্রথমটি ঘটেছিল ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর। যেটি পরবর্তীতে ১৯১১ সালের ২০ আগস্ট রদ করা হয়। প্রথম বিভাজনটি রদ করা হয় কলকাতাভিত্তিক হিন্দু এলিট শ্রেনীর বড় ধরনের রাজনৈতিক প্রতিরোধের মুখে। এর ঠিক বিপরীত ভূমিকা নিয়ে দ্বিতীয় ঘটনায় কলকাতার হিন্দু এলিটরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভাজন নিশ্চিত করে। উভয় সময়ে তাদের উদ্দেশ্য একই ছিল। পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের ওপর সাম্প্রদায়িক বিচারে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখা।
বাঙালী হিন্দু অভিজাত শ্রেণীর কাছে ‘বাঙলার সংস্কৃতি রক্ষার দায়িত্ব’-এর স্পষ্ট অর্থ ছিল এককভাবে হিন্দুদের সংস্কৃতি এবং ‘জাতিরাষ্ট্র’র অর্থ ছিল শুধু হিন্দুদেও জন্য একটি রাষ্ট্র। তারা এরপর থেকে প্রচার করতে থাকেন যে, ১৯৪৭ সালের বাঙলা ভাগের পক্ষে লড়ে যাওয়া বাঙলার হিন্দুদের ‘দেশপ্রেমের দায়িত্ব’।
বাঙালা ভাগ ঠেকাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া সাবেক বেঙ্গল মুসলিম লীগের উল্লেখযোগ্য রাজনীতিবিদ আবুল হাশিম তার স্মৃতিচারণে লিখেছেন, ‘বাঙলাকে ভাগ করতে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং হিন্দু মহাসভার যৌথ আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায় এবং কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকাগুলোর ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছিল’[আবুল হাশিম, ইন রেট্রোস্পেক্ট, বাংলাদেশ বুক কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, চট্টগ্রাম, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ১৫৬]।
পশ্চিমবঙ্গের একজন ইতিহাসবিদ জয়া চ্যাটার্জিও লিখেছেন, ‘কংগ্রেস এবং হিন্দু মহাসভার প্রাদেশিক শাখাগুলোর মদদে পশ্চিমবঙ্গের বিরাট সংখ্যক হিন্দু ১৯৪৭ সালে বাঙলা ভাগ করে ভারতের অধীনে আলাদা একটি হিন্দু প্রদেশ সৃষ্টির জন্য ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালায় [জয়া চ্যাটার্জি, ‘বেঙ্গল ডিভাইডেড: হিন্দু কম্যুনালিজম এন্ড পার্টিশন: ১৯৩২-১৯৪৫’, ক্যামব্রিজ ইউনিভাসির্টি প্রেস, নিউ দিল্লি, ১৯৯৬, পৃষ্ঠা ২২৭]।
১৯৪০ সালের দিকেও হিন্দুদের একটি বড় অংশকে বাঙলা ভাগের পক্ষে সম্মত করা খুব সহজ ছিল না। কারণ তাদের অনেকেই ঊনবিংশ শতাব্দির প্রথম দশকে ঘটা বিভাজনের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমের কথা বলে লড়াই করেছিলেন। তারপরেই কম্যুনিস্ট হিন্দু নেতারা দেশপ্রেমকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করলেন। ১৯৪৭ সালের ৪ এপ্রিল মহাসভা নেতা এনসি চ্যাটার্জি পশ্চিমবঙ্গের হোগলী জেলার তারকেশ্বরে অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক বাঙলা হিন্দু সম্মেলনে বলেন, ‘পুরানো কিছু স্লোগানকে বারবার কপচানো এবং কিছু আকর্ষনীয় শব্দের দাস হয়ে থাকার নাম দেশপ্রেম নয়। বাঙলার ইতিহাসের সবচেয়ে মহিমান্বিত অধ্যায় ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের দ্বারা আরোপিত বিভাজনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। কিন্তু আমরা যদি পুরানো স্লোগানের চুড়ান্ত পরিণতি না বুঝে সেগুলো আওড়াতে থাকি তাহলে আমাদেরকে মাতৃভূমির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার অপরাধে অপরাধী হতে হবে। স্বদেশী আন্দোলনের সময় বিভাজনের বিরোধিতা ছিল সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, যারা চেয়েছিল বাঙলাকে ভাগ করে উভয় প্রদেশে হিন্দুদেরকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করার মাধ্যমে (ভারতের) স্বাধীনতার জন্য কাজ করা সবচেয়ে প্রভাবশালী জাতীয়তাবাদী শক্তিটিকে দুর্বল করে ফেলতে। আর আজকে আমরা বিভাজন দাবি করছি জাতীয়তাবাদী শক্তির বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ঠেকাতে এবং বাঙলার সংস্কৃতিকে রক্ষা করে বাঙলার হিন্দুদের জন্য একটি আলাদা ভূখন্ড- অর্জন করতে যেটি একটি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে ভারতের অংশ হবে’ [জয়া চ্যাটার্জি এভাবে এনসি চ্যাটার্জিকে উদ্ধৃত করেছেন [জয়া চ্যাটার্জি, ‘বেঙ্গল ডিভাইডেড: হিন্দু কম্যুনালিজম এন্ড পার্টিশন: ১৯৩২-১৯৪৫’, ক্যামব্রিজ ইউনিভাসির্টি প্রেস, নিউ দিল্লি, ১৯৯৬, পৃষ্ঠা ২৪১]।
কেন তখন বাঙলা ভাগের পক্ষে দাঁড়ানো এখানকার হিন্দুদের জন্য কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে বিষয়ে যুক্তি দিয়ে এনসি চ্যাটার্জি বলেছেন, ‘আজকে আমাদের বিভাজন দাবিটি সেই একই আদর্শ এবং উদ্দেশ্যে থেকে উদ্গত যেটি হচ্ছে, জাতীয়তাবাদী শক্তির বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ঠেকানো এবং বাঙলার সংস্কৃতিকে রক্ষা করে বাঙলার হিন্দুদের জন্য একটি আলাদা ভূখন্ড – অর্জন করা যেটি একটি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে ভারতের অংশ হবে’ [প্রাগুক্ত]। এভাবে কংগ্রেস এবং হিন্দু মহাসভা মিলে বাঙলাকে ধর্মীয় বিবেচনায় ভাগ করার ব্রিটিশ পরিকল্পনায় সমর্থন যোগাতে বাঙলার হিন্দুদেরকে প্ররোচিত করে। ১৯৪৭ এর মে মাসে এই দাবির পক্ষে দল দুটি যৌথভাবে কলকাতায় বিশাল জনসমাবেশের আয়োজন করে। ওই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইতিহাসবিদ স্যার জদুনাথ সরকার [জয়া চ্যাটার্জি, উপরে উল্লিখিত, পৃষ্ঠা, ২৫০]।
প্রধানত কলকাতা ভিত্তিক হিন্দু অভিজাত শ্রেণী, যারা ‘ভদ্রলোক শ্রেণী’ বলেও পরিচিত ছিল, তখনকার মুসলিম লীগ শাসিত বাঙলাকে ভাগ করার পেছনের আন্দোলন রচনায় মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। ভাগ হওয়াতে এই অভিজাত শ্রেনীর বিশেষ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সুবিধা ছিল। এ বিষয়ে জয়া চ্যাটার্জি লিখেছেন, ‘জমিদারি প্রথা দ্রুত ভেঙ্গে পড়ার কারণে এবং ক্ষমতা হারানোর পর হতাশাগ্রস্ত ভদ্রলোক শ্রেনী মূলধারার জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে থেকে সরে এসে তাদের ঐতিহ্যগত সুবিধাদি রক্ষায় নিজেদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে। ভাগ হয়ে গেলে বিভিন্নভাবে প্রদেশটির ওই অংশের যেসব এলাকায় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে সেগুলোতে তাদের রাজনৈতিক প্রভাব পূনপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত ছিল। ওইসব এলাকায় ‘মুসলিম শাসনের’ সম্ভাবনা এবং অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি তিক্ততার সৃষ্টি করে এবং ওই এলাকাগুলোতেই ভাগ হওয়ার পক্ষে আন্দোলন সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেতে থাকে’ [প্রাগুক্ত , পৃষ্ঠা ২৫৩]।
হিন্দু ভদ্রোলোক শ্রেনীর অর্থনৈতিক সুবিধার বিষয়ে চ্যাটার্জি লিখেছেন, ‘প্রচারণায় ব্যক্তিস্বার্থের শক্তিশালী হিসেব নিকেশ উপস্থিত ছিল যা শুধু চমৎকারভাবে উপস্থাপনই করা হয়নি, বরং এর পেছনে ভাল পরিমাণ অর্থও ঢালা হয়েছিল। কলকাতা এবং কলকাতার বাইরের ব্যবসায়ীরা, হোক বাঙালী বা বহিরাগত, বাঙলা বিভাগের পক্ষে প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল’ [প্রাগুক্ত , পৃষ্ঠা ২৫৪]। ১৯৪৭ সালের মে মাসের ১ তারিখ কলকাতা ভিত্তিক দ্য স্ট্যাটসম্যান পত্রিকার একটি প্রতিবেদনের বরাতে হারুন-উর-রশীদ লিখেছেন, ‘কলকাতার বাঙালী এবং অবাঙালী হিন্দুদের বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের এক সভায় আলাদা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের দাবির সমর্থনে একটি রেজুলেশন পাশ করে। লক্ষ্য অর্জনে বার্লা, গোয়েনকা, জালান, ড্রাইভার এবং নলিনি রঞ্জন সরকারের সমন্বয়ে একটি প্রভাবশালী কমিটিও গঠন করা হয়।’ [হারুন-উর-রশীদ, দ্য ফোরশেডোয়িং অব বাংলাদেশ: মুসলিম লীগ এন্ড মুসলিম পলিটিক্স: ১৯০৬-১৯৪৭’, পূণমার্জিত ও বর্ধিত সংস্করণ, সেকন্ড ইম্প্রেশন, ২০১২, দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ঢাকা, পৃষ্ঠা ২৫৯]।
বিভক্ত বাঙলার পক্ষে কংগ্রেস এবং হিন্দু মহাসভার অব্যাহত প্রচারণার মুখে ১৯৪৭ এর ২০ জুন শেষ পর্যন্ত বাঙলার হিন্দু এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাগুলোর আইনপ্রণেতাদের একটি যৌথ সভা হয় আইনসভার চেম্বারে। পরদিন কলকাতা ভিত্তিক দৈনিক দ্য স্ট্যাটসম্যান রিপোর্ট করে যে, আইনসভার স্পীকার নূরুল আমিনের (১৮৯৭-১৯৭৪) সভাপতিত্বে ওই যৌথ সভায় ভারতের সাথে যোগ দেয়ার পক্ষে ৯০ জন আইনপ্রণেতা মত দেন। অন্যদিকে পাকিস্তানে যোগ দেয়ার পক্ষে মত দেন ১২৬ জন। এরপর হিন্দুপ্রধান এবং মুসলিমপ্রধান জেলাগুলোর আইনপ্রণেতারা বাঙলা ভাগ হবে কিনা, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠকে বসেন।
হিন্দুপ্রধান জেলাগুলোর আইনপ্রণেতাদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বর্ধমানের মহারাজাধিরাজ। তাদের মধ্যে ৫৮ জন বিভাজনের পক্ষে ভোট দেন এবং বাকি মুসলিম লীগের ২১ জন বিপক্ষে ভোট দেন। ৫৮ জনের সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষ আরো সিদ্ধান্ত নেয় যে, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলো ভারতে যোগদান করবে। অন্যদিকে, মুসলিমপ্রধান জেলাগুলোর আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ১০৬ জন (যার ১০০ জনই মুসলিম লীগের) বাঙলা ভাগের বিপক্ষে ভোট দেন। বাকি ৩৫ জন পক্ষে ভোট দেন। একপর্যায়ে হিন্দুপ্রধান এলাকাগুলোর আইনপ্রণেতাদের সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে ১০৭-৩৪ ভোটে মুসলিমপ্রধান এলাকার আইনপ্রণেতারা প্রস্তাবিত পাকিস্তানে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নিন্ম বর্ণের হিন্দুদের প্রতিনিধি পাঁচ আইনপ্রণেতা এবং খ্রিস্টানদের প্রতিনিধিত্বকারী একজন মুসলিম লীগের পক্ষে ভোট দেন। [২১ জুনের স্ট্যাটসম্যানের রিপোর্টটি সফর আলী আকন্দের ‘লীগ মুভমেন্ট এন্ড দ্য মেকিং অব বাংলাদেশ’, ইউপিএল, ঢাকা, ২০১৩, এর ১৬ পৃষ্ঠায় রয়েছে।] উল্লেখ্য, বেঙল ন্যাশনাল কংগ্রেসের সাথে তাল মিলিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার বেঙল শাখার সাথে সংশ্লিষ্ট আইনপ্রণেতারা বাঙলা ভাগের পক্ষে ভোট দেন [আবুল হাশিম, পূর্বোল্লিখিত, পৃষ্ঠা ১৮২] অতঃপর বাঙলা হিন্দু ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকার ভিত্তিতে দুইভাগে ভাগ হয়ে গেল এবং পূর্ববাঙলা পাকিস্তানের সাথে যোগ দিল।
No comments:
Post a Comment