Tuesday 6 October 2015

কে এই ভারতী জৈন?? হাসিনার নির্দেশে কোটি টাকার বিনিময়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদূত এই নিউজ ছাপায় টাইমস অফ ইন্ডিয়ায়॥

কে এই ভারতী জৈন?? হাসিনার নির্দেশে কোটি টাকার বিনিময়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদূত এই নিউজ ছাপায় টাইমস অফ ইন্ডিয়ায়॥

সূফি বরষণ
সাংবাদিক ভারতী জৈন নয়া দিল্লির টাইমস অফ ইন্ডিয়ার  সিনিয়র সহকারী সম্পাদক॥ তিনি নিউজ করেন যে সব বিষয়ে , কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নিরাপত্তা সংস্থা, নির্বাচন কমিশন ও 'মৌলিক' রাজনৈতিক বীট, কংগ্রেস এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলো অন্যতম॥  1996 সাল থেকে নিরাপত্তা বিষয়েও রিপোর্ট লিখছেন ॥, সন্ত্রাসবাদ ও অভ্যন্তরীণ শত্রুতা সম্পর্কিত বিষয় সমুদয় মধ্যেও তিনি একজন অন্যতম ভারতীয় সাংবাদিক ॥ তিনি পড়াশুনা করেছেন Jesus And Mary কলেজ এবং Holy Child Auxilium, Vasant Vihar, হাইস্কুলে ॥ এবং নয়া দিল্লিতে বসবাস করেন ॥
সাংবাদিক ভারতী জৈন লিংক
http://timesofindia.indiatimes.com/toireporter/author-Bharti-Jain.cms
জামাতের বিরুদ্ধে নিউজের লিংক
http://m.timesofindia.com/india/Indian-intel-rules-out-IS-link-to-Bangla-murders/articleshow/49236241.cms
॥ভারতী জৈনের লেখা নিউজের মূল বক্তব্য দুই লাইন , তিনি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার একজন অফিসের সূত্র উল্লেখ করে বলেন যে, বাংলাদেশের দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার পিছনে আই এস নয় বরং জামায়াত জড়িত??॥ জামায়াত নেতাদের ফাঁসির দন্ড থেকে বাঁচাতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হয়॥ পশ্চিমাদের দৃষ্টি আকর্ষণের  জন্যই হত্যা ॥
এই দুই লাইনের নিউজকেই বাংলাদেশের প্রথমআলো সমকাল বিডিনিউজ অত্যধিক রঙ ছড়িয়ে বলে বেড়াচ্ছে জামায়াত জঙ্গী জঙ্গী ??!! এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের শক্তিশালী গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তাধীন বিষয়ে কিভাবে ভারত ধারণামূলক নিউজ করে?॥ ভারতের ঐ গোয়েন্দা অফিসার কিভাবে বুঝলো এটা জামায়াত ঘটিয়েছে? তাহলে কি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ক্রেতা হাতিয়ে নেওয়া লক্ষ্যে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র এই দুই বিদেশী নাগরিকে হত্যা করেছে ?॥
আসল ঘটনা আরও গভীরে আগে যে আওয়ামী লীগ বই ছাপিয়ে এবং প্রামাণচিত্র নিয়ে পশ্চিমা প্রভুদের দেখাতো বাংলাদেশে জঙ্গী ভরপুর এই জঙ্গীদের দমনের জন্য তাদেরকে ক্ষমতায় রাখা জরুরী ॥ দুই বিদেশী হত্যার পর এখন সেই আওয়ামী লীগ বলছে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গী নেই॥ এই হত্যার ঘটনায় কোনো জঙ্গী সংগঠন জড়িত নয়?! আর পশ্চিমারা বলছে বাংলাদেশে জঙ্গী জঙ্গী ?? মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেই বসেছে বাংলাদেশের আইএস জঙ্গী দমনে আমেরিকা  বদ্ধপরিকর!!? এই অবস্থায় অবৈধ সরকার যখন পশ্চিমাদের চাপে পড়ে তখনই হয় জঙ্গী নাটকের আসল দৃশ্য  মঞ্চস্থ ॥
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ন্ত্রিত অবৈধ সরকারকে রক্ষা করতে ভারতে  বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর নয়া দিল্লির বাসায় এক নৈশ ভোজনের নামে বৈঠক হয়॥ ঐ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা সংস্থা র এর কমান্ডিং অফিসার অভিজিৎ এবং সাংবাদিক ভারতী জৈন॥ সেই নৈশ ভোজনেই টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় জামায়াতকে জড়িয়ে নিউজ ছাপানোর জন্য কোটি টাকা দিয়ে রফাদফা হয়॥  এইভাবেই চলে নাটকের ঘটনার সূত্রপাত আর বাকী দৃশ্য আপনাদের জানা ॥
এবার নিজের সম্পর্কে দুকলম বলি, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে জামায়াত শিবিরকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি ॥ একথা পরিষ্কার করে বলতে পারি জামায়াত কোনো জঙ্গী সংগঠন নয় বা জঙ্গী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কর্মকান্ডেও জড়িত নয়॥ যারা অপপ্রচার করে তারাও একথা ভালো করে জানে॥ শুধুমাত্র ইসলামী রাজনীতি করার কারণে জামায়াতে কপাল পুড়েছে॥ এর আগেও  ভারতের গোয়েন্দা সূত্র উল্লেখ করে  সারদার অর্থ কেলেঙ্কারির সাথে জামায়াতকে জড়িয়ে বায়োবীয় নিউজ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিল॥
এখানে আরো একটু বলি অতীতে জামায়াত অনেক নেতা কর্মীকে বহিস্কার করেছে শুধুমাত্র উগ্র জঙ্গী সংগঠনের সাথে জড়িয়ে যাওয়ার কারণে ॥ বহিস্কিতরা যদি জঙ্গী হয় সেই দায়তো জামায়াতের নয়॥ সরকার বিদেশীদের চাপে পড়ে ঘটনায় জড়িত প্রকৃত জঙ্গীদের আড়াল করে জামায়াতের উপরে দোষ চাপিয়ে অবৈধ ক্ষমতায় থাকতে চাইছে এটা পাগলের কাছেও পরিষ্কার ॥ কিন্তু সরকার কি জানে না সারা দেশে জালের মতো বিস্তার করে আছে অর্ধশত জঙ্গী সংগঠন, এ বিষয়ে আর একদিন লিখবো॥
ভারতী জৈন ফেবুর লিংক
https://m.facebook.com/toi.bharti.jain
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের ওয়েবসাইটের লিংক এবং সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী
http://www.bdhcdelhi.org/index.php/high-commissionn/high-commissioner
সিলেটের সন্তান সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ২০০১ সালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে কূটনীতিকের দায়িত্ব পালন করেন।
সেন্ট্রাল সুপেরিয়র সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান পররাষ্ট্র বিভাগে যোগ দেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম। ১৯৭১ সালের ৪ আগস্ট ওয়াশিংটন ডিসির পাকিস্তান দূতাবাসে দায়িত্ব পালনকালে তিনি অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। পরে ওয়াশিংটনেই স্বাধীন বাংলাদেশের দূতাবাস স্থাপন করেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর লাভ করেন।

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

No comments:

Post a Comment