Sunday 4 October 2015

কে এই রিতা কাতজা?? বিডি নিউজ কি মোসাদের এজেন্ট?? ক্ষমতার জন্য আওয়ামীদের নোংরা রাজনীতি আর কতকাল??

ক্ষমতার জন্য আওয়ামীদের নোংরা রাজনীতি আর কতকাল??


সূফি বরষণ
উইকিপেডিয়ার রিতা কাতজার  সম্পর্কে বলা হয়েছে, যে রিতা খুব ভাল আরবি বলতে পারেন। জন্ম বসরায় একটি ধনি ইরাকি ইহুদি পরিবারে। সাদ্দাম হোসেনের বাথ পার্টি ১৯৬৮ সালে ক্ষমতা দখলের পর রিতা কাতজের বাবা  ইসরাইলের পক্ষে গোয়েন্দাবৃত্তির জন্য ধরা পড়ে॥ তাদের সম্পত্তি জব্দ করা হয় এবং পরিবারের সকলকেই গৃহে অন্তরীন করে রাখা হয়। এরপর রিতা কাতজার  পিতার ইসরাইলের পক্ষে গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রায় অর্ধ লক্ষ ইরাকির হর্ষধ্বনির মধ্যে তাকে বাগদাদের প্রকাশ্য একটি স্কোয়ারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রিতার মা তিন মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান এবং ইরান হয়ে ইসরায়েলে বসতি শুরু করেন। রিতা কাতজকে তার বাবার জন্য আমরা অবশ্যই অভিযুক্ত করতে পারি না। তবে রিতা কাতজা  ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কাজ করেছেন। উইকিপেডিয়া লিখছে, রিতা একজন একনিষ্ঠ জায়নিস্ট সে একসময় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগে কাজ করতো, আর এখন মোসাদের হয়ে কাজ করছে । এবং কখনই ইসরায়েল ছাড়তে চান নি। তিনি বিশ্বাস করেন, ‘I believed that Jews belonged in Israel’।

শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দমন করবার জন্য সবচেয়ে দক্ষ সরকার নয়। কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে এটা এক নতুন ধরণের সংকেত। শেখ হাসিনা তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন বলে মনে হয় না। আর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ  ঘটনা হয়ে মঞ্চে রিতা কাতজা  (Rita Katz) ও তার প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থা ‘সাইট ইন্টেলিজেন্সের (Site Intelligence) আবির্ভাব। এই সাইটের সূত্র ধরেই দাবি করা হচ্ছে ইটালির নাগরিক হত্যার পেছনে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আইএস। রিতা কাতজের সাইট ইন্টেলিজেন্সের তথ্য অনুযায়ী এই হত্যার দায় নিজেই স্বীকার করেছে আইএস। সাইট ইন্টেলিজেন্সের তথ্যই হোল তার একমাত্র প্রমাণ।
মুশকিল হচ্ছে, যে সব দেশ বাংলাদেশ সম্পর্কে সতর্কতা দেবার তারা জঙ্গিবাদের সতর্কতা দিচ্ছে জোরেসোরেই। কিন্তু তাদের এই সতর্কতার ভিত্তি সম্পর্কে কিছুই তারা বাংলাদেশের সরকারকে জানায় নি। ইতালির নাগরিক খুনের সঙ্গে আইএসের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক ও সরকার সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসাবে প্রমাণ করবার জন্য সবসময় প্রাণান্ত সিজার তাভেল্লার হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে কোন প্রকার জঙ্গী সম্পৃক্ততা আছে তা প্রাণপণ এখন অস্বীকার করছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কী এমন পরিবর্তন ঘটল যে নিজেদের থুতু এখন ক্ষমতাসীনরা নিজেরা গিলতে বাধ্য হচ্ছে। আওয়ামীদের এই নোংরা দেশ বিরোধী জঘন্য রাজনীতি আর কতকাল চলবে॥
পশ্চিমারা বলছে বাংলাদেশে জঙ্গী আছে কিন্তু সরকার বলছে নাই নাই॥ 

ফলে তথ্য বলতে এখন একটাইঃ রিতা  কাতজ ও সাইট ইন্টেলিজেন্স। SITE পুরোটা হচ্ছে (Search for International Terrorist Entities)। এটা কোন সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা নয়। একটি প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থা, যার কাজ হচ্ছে সারা দুনিয়ায় জিহাদিদের ওপর নজরদারি করা এবং তা সরকার বা যে কোন প্রাইভেট ক্লিয়েন্টকে তা সরবরাহ করা।
বিডি নিউজ কি মোসাদের এজেন্ট ?
রিতা কাতজা  ও সাইট ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে বিডি নিউজ ২৪ ডট কমের প্রশংসা সূচক অতি আপ্লূত রিপোর্টিংয়ের ধরণ পাঠক আগে একটু দেখে নিতে পারেন। বিডিনিউজ২৪ বলছে, গত বছর সাইট ইন্টেলিজেন্স সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলো। কারণ জিহাদিরা প্রচারের আগেই সাইট ইন্টেলিজেন্স মার্কিন সাংবাদিক স্টিভ জোয়েল সটলফ হত্যার ভিডিও আগেই প্রচার করেছিল। ব্রিটিশ পত্রিকা ইন্ডিপেন্ডেন্টের সূত্র দিয়ে বিডিনিউজ বাংলাদেশের পাঠকদের জানাচ্ছে যে সাইট ইন্টেলিজেন্স ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও দুনিয়া জুড়ে তৎপর জিহাদি’ সংক্রান্ত পরামর্শ দাতা প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশের পাঠকদের একটু ভেবে দেখতে হবে যে রিতা কাতজ সম্পর্কে ইন্টারনেটে যেসব তথ্য অতি অনায়াসেই পাওয়া যায়, বিডি জিউজ ২৪ সেইসব কিছুই উল্লেখ করলো না কেন?
ইহুদি গোয়েন্দা রিতা কাতজার জীবনী লিংক
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Rita_Katz
তার গোয়েন্দা সাইটের লিংক https://en.m.wikipedia.org/wiki/SITE_Intelligence_Group
https://en.m.wikipedia.org/wiki/SITE_Institute

ওয়েবসাইটের লিংক http://www.siteintelgroup.com/
কেন রিতা কাতজার সম্পর্কে বিডি নিউজ ২৪ .কম অত্যধিক উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা ॥ এই হলো লিংক http://m.bdnews24.com/en/detail/bangladesh/1033122
বৃটেনের ইন্ডিপেন্ডেট নিউজ লিংক
http://www.independent.co.uk/news/world/who-are-the-site-intelligence-group-that-distributed-the-sotloff-video-before-the-jihadis-9710732.html
এতো কাল একমত হয়ে বিদেশীরা শেখ হাসিনার বিরোধী দল দমন পীড়ন আইন বহির্ভূত হত্যা, গুম খুন ইত্যাদিকে নীরবে কার্যত সমর্থন দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সিজার তাভেল্লার হত্যার পর তারা এই বার্তাই দিচ্ছে যে গল্পের বাকি অর্ধেকের সঙ্গে তারা এখন আর একমত নয়।  যারা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরেকটি গ্রুপ দ্রুত ধরা পড়বে বলে আশা করেছিলেন তারা এতে খুবই হতাশ হয়েছেন।
আসাদুজ্জামান তেমন কোন ইঙ্গিত দিতে নারাজ। তিনি দাবি করেছেন এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নাই বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিদেশী নাগরিক ও তাদের স্বার্থের ওপর জঙ্গি হামলা বিষয়ে কোনো হুমকির তথ্য বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে নাই, তিনি সেটাও বেশ জোর দিয়েই বলছেন।http://www.bbc.com/bengali/news/2016/07/160702_bangladesh_gulshan_hostage_is_attackers
  জঙ্গী সম্পৃক্ততার সূত্র কোন সরকারী গোয়েন্দা সংস্থা নয়, একটি বিতর্কিত প্রাইভেট ইহুদি বা জায়নিস্ট গোয়েন্দা সংস্থা। এসবের উত্তর আমার কাছে নাই। পাঠককে শুধু ভাবতে ও ঘটনার ওপর নজরদারি তীক্ষ্ণ রাখতে বলব। আপাতত রিতা কাতজ এবং তার গোয়েন্দা সংস্থা কেন বিতর্কিত এবং একই সঙ্গে তাদের সূত্র কেন বিপজ্জনক সে সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলে আজকে আমাদের চিন্তা করার সময় এসেছে । তা না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে ॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

No comments:

Post a Comment