Saturday 24 October 2015

ডিফেন্স আইনজীবী শিশির মনিরকে হয়রানি কেন ?? স্বৈরাচার খুনী হাসিনার ফাঁসি দেয়া যেহেতু লক্ষ্য তা দিয়ে দিলেই হয়, ট্রাইব্যুনাল নামক প্রহসন মূলক বিচারের কি দরকার?

ডিফেন্স আইনজীবী শিশির মনিরকে হয়রানি কেন ??

স্বৈরাচার খুনী হাসিনার
ফাঁসি দেয়া যেহেতু লক্ষ্য তা  দিয়ে দিলেই হয়, ট্রাইব্যুনাল নামক প্রহসন মূলক বিচারের কি দরকার?

সূফি বরষণ
অবৈধ খুনী হাসিনা সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাই বলেই আইনজীবীদের হয়রানী করছে॥
কারণ তার প্রতিহিংসা চারিতার্থ করতেই কথিত বিচারের নাটক ॥
এইভাবে হাসিনা ডিক্টেটর শাসন পুরোপুরি ভাবে কায়েম করেছে ॥
কিন্তু তার হিংস্র শা�সন বেশি দিন স্থায়ী হবে না॥
সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ব্যতীত অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিনকে আটক করায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টিমের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অতিসত্ত্বর তাকে মুক্তি প্রদানের দাবী জানাচ্ছি।

এদিকে ডিফেন্স টিমের প্রধান আইনজীবী শিশির মুহম্মদ মনিরের বাসায় কয়েক দফায় গোয়েন্দা পুলিশ হানা দিয়েছে গ্রেপ্তার করার জন্য ॥ তিনি পলায়ন করে আছেন ॥
� মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় আটক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর নিজামী ও সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিনকে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের কড্ডার মোড় থেকে গত বৃহস্পতিবার (২২/১০/২০১৫)বেলা ২.০০ ঘটিকার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। রাজশাহী গামী ন্যাশনাল ট্রাভেলস্ এর একটি গাড়ি (গাড়ি নং- ৮০৩২) থেকে তাকে তুলে নেয়া হয়।আসাদ উদ্দিন এর ছোট ভাই মাহমুদুর রহমান উক্ত পরিবহনের সুপারভাইজার এর সাথে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান যে, ডিবি-পুলিশ রাতেই আসাদ উদ্দিনকে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে এবং বর্তমানে তিনি ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।

আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মামলায় আপিল বিভাগে রিভিউ শুনানীর কয়েকদিন পূর্বে তার আইনজীবী আসাদ উদ্দিনকে আটক ও আরেক আইনজীবী শিশির মনিরের বাসায় পুলিশি তল্লাশী ডিফেন্স আইনজীবীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার শামিল।

উল্লেখ্য যে, ২৩/১০/২০১২ ও ২৯/১১/২০১২ ইং তারিখের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশে ডিফেন্স আইনজীবীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান থেকে আইন-শৃখলা বাহিনীকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
কথিত ট্রাইব্যুনাল বা আদালত থাকলে আইনজীবী থাকবে এটাই স্বাভাবিক ঘটনা । কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলে তাঁকে আইনের আশ্রয় পাবার অধিকার দিতে হবে এটা মানুষের মানবাধিকার  । দুই পক্ষের আইনজীবী ছাড়া ট্রাইব্যুনাল বা আদালত চলতে পারে না কিংবা ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয় না । বিচার ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়॥ এটা বুঝার জন্য আইনের  বই পড়ার বা ডিগ্রীর দরকার হয় না। সাধারণ  জ্ঞান যার আছে এমন সবাই এটি বুঝেন।

তাহলে কেন ট্রাইব্যুনালের আইনজীবীদের হয়রানী করা হচ্ছে? আওয়ামিলীগ কি তাহলে আইনজীবীদের উপস্থাপিত যুক্তি ও তথ্য কে ভয় পাচ্ছে?

পৃথিবীর কোথাও মামলার আইনজীবীকে গুম, গ্রেপ্তার বা হয়রানীর নজীর আছে? 
আছে বাংলাদেশে। 
এবং সেটা জামায়াত নেতাদের আইনজীবীদের ক্ষেত্রে ।
আওয়ামী লীগ একটি কথিত প্রহসন মূলক বিচার কে অনেক আগেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে ॥ আর এখন আইনজীবীদের হয়রানী করার মাধ্যমে অবৈধ সরকার আরও বেশি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ॥

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

No comments:

Post a Comment