আকাশে রক্তিম চাঁদ এই শতাব্দী মুসলমানদের জন্য অশনি সংকেত॥
সূফি বরষণ
বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী:
সাত দিন পর পৃথিবী স্বাক্ষী হতে চলেছে বিরল এক সুপারমুন বা রক্তিমচাঁদ। এ সময় চাঁদ স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় ১৪ শতাংশ বড় ও ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল দেখাবে। এদিন পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের সর্বনিম্ন দূরত্ব থাকবে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার কিলোমিটার। গত ৩২ বছরে পৃথিবীর এতো কাছে আসেনি চাঁদ। কমপক্ষে এক ঘন্টা ১২ মিনিট স্থায়ী হবে সুপার মুন।
সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ- একই সরল রেখায় অবস্থানের কারণে সৃষ্ট এ অবস্থাকে বলা হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের আগে ও পরে সূর্যের আলো পড়ায় চাঁদের রং কমলা ও লাল হওয়ায় একে বলা হয় ব্লাডমুন বা রক্তিমচাঁদ। উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল, অস্ট্রেলিয়া ও পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশ থেকে দেখা যাবে চাঁদের এ দৃশ্য।
সুপারমুন হচ্ছে কক্ষপথে পৃথিবীর থেকে চাঁদের খুব কাছাকাছি অবস্থানে সংঘটিত পূর্ণিমা। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় পৃথিবীর থেকে কক্ষপথে চাঁদের নিকটতম অবস্থানকে বলা হয় পেরিজি এবং দূরতম অবস্থানকে বলা হয় অ্যাপজী ।
প্রতি ১৪টি চান্দ্র মাস সম্পন্ন হওয়ার পর একটি সুপারমুন ঘটে থাকে। অর্থাৎ একটি সুপারমুন সংঘটিত হওয়ার পরে ১৫তম পূর্ণিমাটি হচ্ছে সুপারমুন। সময়ের হিসেবে এটি ১ বছর ১মাস ১৮ দিন। এছাড়া আগামী বছরের সুপারমুনের তারিখ হচ্ছে ১৪ নভেম্বর ২০১৬।
একুশ শতকের মধ্যে ২৫ নভেম্বর, ২০৩৪ এবং ৬ ডিসেম্বর, ২০৫২ সালে চাঁদ পৃথিবীর বেশি নিকটে থাকবে। এর আগে ১৯৩০ সালের ১৪ জানুয়ারি চাঁদ সবচেয়ে কাছে এসেছিলো, এরকম আবার ঘটবে ২২৫৭ সালের ১ জানুয়ারি।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববাসী দেখবে পেরিজি মুন অর্থাৎ ওই দিনে পৃথিবী থেকে চাঁদ খুব নিকটেই অবস্থান করবে।তবে বাংলাদেশের মুন লাভারদের জন্য আক্ষেপ রয়েই গেলো। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের সুপারমুন বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না।
চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ প্রথমে কমলা রঙ ধারণ করবে । পরে ধীরে ধীরে রক্তবর্ণের হবে । গ্রহণ মিলিয়ে যাওয়ার সময় ধীরে ধীরে চাঁদের রঙ বাদামি হয়ে যাবে । চাঁদের এই লাল বর্ণ ধারণ করার জন্যই জ্যোতির্বিদরা নাম দিয়েছেন ‘ব্লাড মুন’ বা রক্তিম চাঁদ। বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই জানিয়েছিলেন, ২০১৫ সালেও ঘটবে এমন আরও দু’টি চন্দ্রগ্রহণ। যেখানে বিশ্ববাসী দেখবে তৃতীয় ও চতুর্থ রক্তিম চন্দ্রগ্রহণ। এত কাছাকাছি সময়ে এরকম বিস্ময়কর চারটি চন্দ্রগ্রহণ গত দুই হাজার বছরের মধ্যে একটি বিরল ঘটনা।
সাধারণত গ্রহণের সময় চাঁদ অন্ধাকারে ঢাকা পড়লেও, গেল বছর দু’বার দেখা গিয়েছে রক্তবর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। এবছর চাঁদকে রক্তবর্ণ রূপে আরও একবার দেখা যাবে। এখন প্রশ্ন হতে পারে তাতে কি? স্বাভাবিক একটি বিষয় নিয়ে বলার কি আছে। জ্বি, আপনার আমার না বলার থাকলেও বিষয়টি নিয়ে বেশ তুলকালাম চলছে বিশ্বব্যাপী। আর এক্ষেত্রে আপনার আমারও কিছু বলার থাকতেই পারে। কিন্তু কেনো এই তোলপাড়? রক্তিমচাঁদ মহাকাশে ঘটে যাওয়া বিরল ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যিশু খ্রিষ্ট পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। তিনি পুনরায় ফিরে আসার আগে পৃথিবীতে কিছু প্রাকৃতিক পরিবর্তন দেখা দেবে। তার মধ্যে রক্তিম চাঁদ অন্যতম। খ্রিষ্ট ধর্মযাজকরা বলছেন, বাইবেলে যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থানের আগে এ সংকেত দেখা যাবে বলে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু একথা কতটুকু সত্য যখন খোদ খ্রিস্টানরা বলে, ঈসা আঃ তাদের পাপের কারণে মৃত্যুবরণ করেছে??!! আর ফিরে আসবেন না?॥
এদিকে জ্যোতির্বিদরা বলছেন, চলতি বছরের ৪ এপ্রিল রক্তিমচাঁদ দেখা গেল এবং আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আবারও দেখা যাবে॥ গতবছরের ১৫ এপ্রিল ও ০৮ অক্টোবর চন্দ্রগ্রহণের সময় দেখা গেছে রক্তিমচাঁদ।
একজন মার্কিন পাদ্রির মতে, বিরল এ ঘটনার ভবিষ্যতবাণী অনেক বছর আগেই বাইবেলে উল্লেখ রয়েছে। কিং জেমস বাইবেল সংস্করণ অনুযায়ী, সূর্য অন্ধকারে ছেয়ে যাবে ও চাঁদে দেখা দেবে রক্তিম আভা। আর এটাই হবে মহান যিশু খ্রিষ্টের আগমনী বার্তা। তবে কি সত্যিই এই মানবমর্তের সকল অন্যায় দূর করতে যীশু আসছেন খুব শিগগিরই?
এই দীর্ঘ আলোচনার পর সামান্য কিছু কথা বলি, অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পড়ে এটা বুঝতে পারলাম যে, ইহুদিরা বর্তমানে শয়তানের উপাসনা করার পাশাপাশি বিভিন্ন উপদেবতারও উপাসনা করে॥ এরা বিশ্বে ওয়ান ওয়াল্ড অর্ডার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে॥ সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে এবং দেবতাদের খুশি করতে ইহুদিরা পৃথিবীতে মুসলমানদের মধ্যে রক্তের বণ্যা ভাসিয়ে দিয়েছে ও দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও দিবে ॥ সেটা আপনারা আগামী ২৮ তারিখের পর কিছু ঘটনা প্রত্যক্ষ করবেন ॥ কারণ গত ৪ এপ্রিলের রক্তিমচাঁদের পরই ভারতের মধ্য প্রদেশে দাঙ্গা লাগিয়ে মুসলমানদের হত্যা করা হয়?॥ এবং একই সময় সৌদি আরব ও ইয়ামেনের মাঝে যুদ্ধ লাগানো হয়?॥ গতবছরের ১৫ এপ্রিল ও ০৮ অক্টোবর রক্তিমচাঁদ সময়ে গাজায় মুসলমানদের উপরে বর্বর হামলা চালানো হয় । গত দুইহাজার বছরের মধ্যে পরপর চার বার রক্তিমচাঁদ দেখা যাওয়ার মানে হলো, পৃথিবী এখন অস্থির সময় অতিক্রম করছে॥ ইহুদিদের পরিকল্পিত ফর্মুলায় পাপে পাপে পৃথিবী এখন পরিপূর্ণ ॥
আসলে ব্লাডমুনকে ইহুদিরা তাদের জন্য অশুভ সংকেত মনে করে ॥ তাই ইহুদি রাব্বিরা মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই বলে বেড়াচ্ছে যে, যীশু খ্রীষ্ট পৃথিবীতে আগমন করছে॥ তাই আবারও পৃথিবীতে ইহুদিরা তাদের শয়তানের উপদেবতাদের খুশি করতে মুসলমানদের মাঝে রক্তের বণ্যা ভাসিয়ে দিবে॥ তাই এরা অনেক অঘটন ঘটাতে পারে ॥ নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে ॥ বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী মূলক এইসব কথা সত্য হতেও পারে আবার নাও হতে পারে॥ আপনারাই আপনাদের বিবেক দিয়ে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন॥ কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
খুব কাজের টপিক। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।আপনার এই পোস্ট অনেক উপকারে আসবে আমার বিশ্বাস । এর আগেও একটা টিপস্ পেয়েছিলা এই টিপসইটও অনেক উপকারী। যার দরকার হবে দেখতে পারেন। আবারো লেখককে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না। তবে এরকম আরো একটি লেখা পড়েছিলাম ।। http://muktomoncho.com/archives/2362
ReplyDeleteআপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ॥ আমার লেখা কষ্ট করে পড়ার জন্য ॥ শুভকামনা রইল আপনার জন্য ॥
ReplyDelete