Monday 28 September 2015

আজ বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ও হাসিনার জন্মদিন নিয়ে সরল সমীকরণ

আজ বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ও হাসিনার জন্মদিন নিয়ে সরল সমীকরণ 

সূফি বরষণ
আজ বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সকলে মিলে জলাতঙ্ক প্রতিরোধ করি’। তেমনি দেশের জনগণের একটিই স্লোগান এখন, সকলে মিলে জলাতঙ্ক রোগী আওয়ামী কুকুরদের প্রতিরোধ করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ॥ তা না হলে কিভাবে মিলিয়ে যায়  বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ও হাসিনার জন্মদিন একই দিনে ॥ হাসিনা জলাতঙ্ক রোগী এবং জলাতঙ্ক রোগের জীবানু বহনকারী কুকুরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভয়ংকর ॥ সেটা মনে হয় দেশবাশীকে আর প্রমাণ দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নাই॥
আজ হাসিনার জলাতঙ্ক জীবানুর কামড়ের আতঙ্কে জনগণ আতংকিত॥
শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিন আজ সোমবার ২৮ সেপ্টেম্বর । ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার জন্ম। 
জলাতঙ্কের প্রধান বাহক হচ্ছে কুকুর। কুকুরের কামড়ের ফলে এই রোগ হয়॥ আর আওয়ামীদের কে দেশের সবাই কুকুর বা কুত্তা বলে থাকে ॥ এশিয়া ও আফ্রিকায় জলাতঙ্কে আক্রান্ত ৯৯ শতাংশ মানুষ কুকুরের কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। আওয়ামী কুকুরের কামড়ে গত সাত বছরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নিহত এবং কয়েক লাখ পঙ্গু হয়েছে ॥  বাংলাদেশে বছরে জলাতঙ্কে মারা যায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। আওয়ামী কুকুরদের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে বছরে ক হাজার নারী আত্মাহত্যা করে॥ 

জলাতঙ্ক জীবাণু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতেই সারাবিশ্বে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়।
এখন দেশের মানুষকেও আওয়ামী জলাতঙ্ক কুকুরদের সম্পর্কে সতর্ক করে টিকাদান কর্মসূচী বা নিধন কর্মসূচী হাতে নিতে হবে॥
শত বছর ধরেও কুকুর মেরে জলাতঙ্ক প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কয়েক বছর আগে থেকে কুকুরকে টিকাদান কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। কুকুরকে টিকাদান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য অধিদপতরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড সোসাইটি ফর দ্য প্রোটেকশন অব অ্যানিমেলস (ডব্লিউএসপিএ)। ডব্লিউএসপিএ জানায়, জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণে কুকুর নিধন অকার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণের জন্য সারাবিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি কুকুরকে হত্যা করা হয়। কিন্তু তার পরও প্রতিবছর প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ জলাতঙ্কে মারা যায়। পক্ষান্তরে কুকুরকে টিকাদান পদ্ধতি বৈজ্ঞানিক ও কার্যকর উপায়। সেই �লক্ষ্যের আওয়ামী জলাতাঙ্ক
কুকুরের হাত থেকে বাঁচতে হলে এখন দিবসটি উপলক্ষে ওয়ান হেলথ উইং ভয়েস বাংলাদেশ মাসব্যাপী জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা, কুকুরের জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচারণা, শোভাযাত্রা ও স্কুল পর্যায় সচেতনতা সৃষ্টি করছে।
বিশেষদ্রষ্টব্য :আজ  বাংলাদেশের জলাতঙ্ক কুকুর আর আওয়ামী জলাতঙ্ক কুকুরদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই॥ আর হাসিনা হলো এই জীবানু ছড়িয়ে দেয়ার প্রধান আক্রান্ত গ্রস্থ কুত্তা ॥

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

Wednesday 23 September 2015

বাংলাদেশ_ভারত সম্পর্কিয় একটি উচ্চতর গরু বিষয়ক রচনা..

বাংলাদেশ_ভারত সম্পর্কিয় একটি  উচ্চতর গরু বিষয়ক রচনা..

সূফি বরষণ
গো হত্যা পাপ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে গরু রপ্তানি বন্ধ রাখলেও গোমাংস রপ্তানিতে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই ভারত। এমনকি গরুর মাংস রপ্তানিতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে এ বছরও নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী এ দেশটি।
কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে ভারত এখন বাংলাদেশে অবৈধ ভাবে হাজার হাজার গরু সীমান্ত দিতে পাঠাচ্ছে॥ আর যে কারণে বাংলাদেশের  বিক্রির জন্য   গরু লালন পালন কৃষকদের ব্যবসা এবার লাঠে উঠেছে ??!!
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি সংস্থা (ইউএসডিএ) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়, এ বছরও ব্রাজিলকে দ্বিতীয় স্থানে রেখে গরুর মাংস রপ্তানিতে শীর্ষ স্থানটি নিজের জন্যই রেখে দিল ভারত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ জরিপে মহিষের মাংসকেও গরুর মাংস হিসেবে ধরা হয়েছে।
প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৫ অর্থবছরে ভারত ২৪ লাখ টন গরুর মাংস রপ্তানি করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিল রপ্তানি করেছে ২০ লাখ টন এবং তৃতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া রপ্তানি করেছে ১৫ লাখ টন। বিশ্বের গোমাংস রপ্তানির ৫৮.৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে এ তিন দেশ। এর মধ্যে একা ভারত নিয়ন্ত্রণ করে মোট বৈশ্বিক রপ্তানির ২৩.৫ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ২০.৮ শতাংশ। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই) কর্তৃক প্রকাশিত আরেক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ভারতের বেশির ভাগ গরুর মাংস রপ্তানি হয় এশিয়ার দেশগুলোতে। দেশটির রপ্তানি মাংসের ৮০ শতাংশ যায় এশিয়ার দেশগুলোতে, আফ্রিকায় যায় ১৫ শতাংশ। এর মধ্যে এশিয়ার ভিয়েতনামেই যায় মোট রপ্তানির ৪৫ শতাংশ।
২০১১ সাল থেকেই ১৪ শতাংশ হারে বাড়ছে ভারতের গরুর মাংস রপ্তানি। ২০১৪ সালে দেশটির এ বাজার ছিল ৪.৮ বিলিয়ন ডলারের। গত বছর দেশটি বাসমতি চাল রপ্তানি করে যে আয় করে তার চেয়ে বেশি আয় করে গরুর মাংস রপ্তানি থেকে। বাংলাদেশে গরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় তাহলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে ভারত। যার পরিমাণ ৩১ হাজার কোটি রুপি বা ৩৯ হাজার কোটি টাকা।  টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য দেওয়া আছে,
http://m.timesofindia.com/india/Starving-Bangladesh-of-beef-would-cost-India-Rs-31000-crore/articleshow/46790339.cms
হিন্দু ধর্ম গ্রন্থগুলো কি বলে:
হিন্দুদের ধর্মে যে গরুর মাংস খাওয়ার বৈধতা দেওয়া আছে॥ এ বিষয়ে প্রমাণ এখানে তুলে ধরা হলো..
ক . মনুষমৃত্রী অধ্যায় ৫ শ্লোক নম্বর যথাক্রমে ৩০; ৩১; ৩৯; ৪০
খ. ঋগ্ববেদ অধ্যায় ৮৫ শ্লোক নম্বর ১৩
গ. মহাভারত আনুষাণ পর্ব শ্লোক নম্বর ৮৮
ঘ. ---গরু-বৃষের মাংস [বেদ:১/১৬৪/৪৩],
ঙ. ---মহিষের মাংস [বেদ: ৫/২৯/৮],
চ. ---অজের মাংস [বেদ:১/১৬২/৩] খাওয়া হত।
আরও বলা হয়েছে পরস্বিনী গাভী মানুষের ভজনীয় [বেদ:৪/১/৬]।
---গো-হত্যা স্থানে গাভীগণ হত্যা হত [বেদ:১০/৮৯/১৪]।
---ইন্দ্রের জন্য গোবৎস উৎসর্গ করা হয়েছে।
[ঋগ্ববেদ: ১০: ৮৬: ১৪]।
---এমনকি উপনিষদ বলছে: ‘বেদজ্ঞান লাভ করতে হলে, স্বাস্থ্যবান সন্তান লাভ করতে হলে ষাঁড়ের মাংস খাওয়া জরুরি।” [সূত্র: বেদ; ২য় প্রকাশ, পৃ: ১৩, ৬৭; হরফ প্রকাশনী , কলিকাতা]
আরও আছে উদ্বৃতি ঃ
১। Rigveda (10/85/13) declares, “On the occasion of a girl’s marriage oxen and cows are slaughtered.”
২। Rigveda (6/17/1) states that “Indra used to eat the meat of cow, calf, horse and buffalo.”
৩। Vashistha Dharmasutra (11/34) writes, “If a Brahmin refuses to eat the meat offered to him on the occasion of ‘Shraddha’ or worship, he goes to hell.”
৪। Swami Vivekanand said thus: “You will be surprised to know that according to ancient Hindu rites and rituals, a man cannot be a good Hindu who does not eat beef”. (The Complete Works of Swami Vivekanand, vol.3, p. 536)
হিন্দু ধর্মে গরুকে 'পবিত্র গোমাতা' বলা হয়ে থাকে। গরু নানাভাবে মানুষের উপকার করে বলে হিন্দু ধর্মে গো-হত্যা নিষিদ্ধ। তবে আজব হলেও সত্য- গরুর চামড়া দিয়ে যে জুতো তৈরী করে তা ব্যবহার করা কিন্তু হিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ নয় ! তাইলে ভারতের সব মানুষকে জুতা বিহীন চলতে হবে॥ গো মাতার চামড়ার জুতা পড়েই পূজা করছে বা গোমাতার পূজা করে??!!!
গরু মানুষের অনেক উপকারে আসে এটা অস্বীকার করার কিছুই নেই। কিন্তু গরুই একমাত্র প্রাণী নয় যা মানুষের উপকারে আসে। প্রশ্ন ওঠে- গরু কি গাছের চেয়েও বেশি উপকারী? গাছ মানুষের কি কি উপকারে আসে তা বর্ণনা করার প্রয়োজন পড়ে না। গরু না থাকলেও মানুষের জীবন ধারনে কোন অসুবিধা হবে না। কিন্তু গাছ না থাকলে ১ মিনিট বেঁচে  থাকা দুরুহ। সেই গাছ কাটতে হিন্দুদের কোন আপত্তি নেই। অথচ শুধু গরুর বেলাতেই তাদের যত আপত্তি। আসলে এই ধর্মটির যত নিয়ম কানুন, রীতিনীতি আছে তার  সবই সংস্কার থেকে সৃষ্ট। কুসংস্কার ও গোড়ামী হল এই ধর্মের মূলভিত্তি।
বৌদ্ধ যুগের আগে গো মাংস খেতো হিন্দুরা ?
জেনে রাখা ভাল- বৌদ্ধ যুগের আগ পর্যন্ত হিন্দুরা প্রচুর গোমাংস ভক্ষণ করতো। ব্যাসঋষী স্বয়ং বলেছেন, 'রন্তিদেবীর যজ্ঞে একদিন পাচক ব্রাক্ষ্মণগণ চিৎকার করে ভোজনকারীদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বললেন,মহাশয়গণ! অদ্য অধিক মাংস ভক্ষণ করবেন না, কারণ অদ্য অতি অল্পই গো-হত্যা করা হয়েছে; কেবলমাত্র ২১ হাজার গোহত্যা করা হয়েছে। (সাহিত্য সংহিতা-৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা-৪৭৬)
বৌদ্ধযুগের পূর্ব পর্যন্ত হিন্দুরা যে প্রচুর গরু গোশত খেতেন ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রণীত Beef in Ancient India গ্রন্থে, স্বামী ভুমানন্দ প্রণীত 'সোহংগীত', 'সোহং সংহিতা, 'সোহং স্বামী' গ্রন্থগুলোতে, আচার্য্য প্রফুলস্ন চন্দ্র রায়ের 'জাতি গঠনে বাধা' গ্রন্থে উল্লেখ  আছে। এসব গ্রন্থ থেকে জানা যায়, বৌদ্ধযুগের আগ পর্যনত্দ গো-হত্যা, গো-ভক্ষণ মোটেই নিষিদ্ধ ছিল না।  ভারত বর্ষে বেদিক ধর্মের অনুসরণকারীদের বৌদ্ধ পূর্ব যুগে রেওয়াজ ছিল, মধু ও গো-মাংস না খাওয়ালে তখন অতিথি আপ্যায়নই অপূর্ন থেকে যেতো।
এখন প্রশ্ন হলো-ধর্মীয় গ্রন্থে গো-মাংস ভক্ষণের প্রমাণাদি থাকার পরও হিন্দুরা গো-মাংস ভক্ষণ করে না কেন? কেবল মুসলমানরা গরুর গোশত খায় বলে? নাকি শুধুমাত্র বিরোধীতা করার খাতিরে বিরোধীতা করা ।আসলে  মূল কারন আমি আগেই বলেছি- কুসংস্কার। হিন্দু ধর্ম  কুসংস্কারে ভরপুর । কারণ তারা নিজেরা নিজেদের ধর্ম গ্রন্থ পড়ে না ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের কথা শুনে??॥ তাইলে প্রশ্ন হলো বিশ্বের এক নম্বর গরুর মাংস রপ্তানিকারক দেশ হয়েও কেন মুসলমানদের ধর্মীয় বিধান গরু কোরবানি করা নিষিদ্ধ করছে ??? তবে কেন তারা ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র দাবী করে॥ আবার মুসলমানদের সাথে বা ইসলামের সাথে কেন এই স্ববিরোধী আচরণ?? ॥ যেখানে তাদের ধর্ম গ্রন্থে গো মাংস খাওয়ার কথা বলা হয়েছে ???॥
ইন্ডিয়ান টাইমের নিউজ লিংক
http://m.timesofindia.com/business/india-business/Beef-exporter-confidence-returns-in-India/articleshow/39279183.cms
X ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুর নিউজ লিংক
http://m.thehindu.com/news/national/india-on-top-in-exporting-beef/article7519487.ece
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

Monday 21 September 2015

দেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের তিন পরাশক্তির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে অবৈধ সরকার॥ যেকারণে অবৈধ হাসিনা ক্ষমতায়॥

দেশ থেকে  ইসলাম নির্মূলের তিন পরাশক্তির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে অবৈধ সরকার॥
যেকারণে অবৈধ হাসিনা ক্ষমতায়॥

সূফি বরষণ
বিশ্বের তিন প্রধান সামরিক শক্তিশালী দেশ অবৈধ হাসিনার সরকারকে অনৈতিক ভাবে সমর্থন করে??!! নেপথ্যে কাজ করছে বাংলাদেশের বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠীর ইসলামী সংস্কৃতি রীতি নীতি ধ্বংস করে দিয়ে আমাদেরকে ইসলাম বিমুখ করার ষড়যন্ত্র ॥ কারণ আওয়ামী ক্ষমতা চাই তাদের ইসলাম বা দেশ চাই না॥ আর এই তিন প্রধান পরাশক্তি চাই দুনিয়া থেকে ইসলামকে নির্মূল করতে ॥ তাই এরা এদের সহায়ক শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে॥ কারণ এরা ভালো করেই জানে একমাত্র আওয়ামী লীগ দ্বারাই এ দেশ থেকে ইসলাম নির্মূল করা সম্ভব ॥ পরাশক্তির কাছে বড় আতঙ্কের বিষয় বাংলাদেশের বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠী ॥ বাংলাদেশে ইসলাম থেকে মুসলমানদের দূরে সরানো এবং বিভ্রান্ত বা ঐক্য বিনষ্ট করার কাজ চলছে ॥ আপনারা একটু চোখ খোলে দেখুন সব পরিষ্কার বুঝতে পারবেন ॥
আমাদের আগে বিশ্বে আরও 52 টি সামরিক শক্তিশালী দেশ আছে, তাই আমরা আজ নিরাপদ নয়॥ এইজন্য আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছে না ॥ বিশ্বের তিনটি  সামরিক  শক্তিশালী দেশের  খবরদারীর কারণে আজ আমাদের দেশে অগণতান্ত্রিক অবৈধ সরকার ক্ষমতায়॥
বিশ্বের প্রধান সামরিক শক্তিশালী দেশ আমেরিকা দ্বিতীয় রাশিয়া এবং চতুর্থ শক্তিশালী দেশ ভারত অবৈধ হাসিনার সরকারকে অনৈতিক ভাবে সমর্থন করছে ॥
পরাশক্তির দেশ গুলো বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা চাই না তারা চাই ইসলাম ও মুসলমানদেরকে দুনিয়া থেকে �নির্মূল করতে॥
পরমাণু অস্ত্র বাদে অন্যান্য সামরিক দিক বিবেচনায় বিশ্বের ১২৬ টি সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৩ তম। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৩৩ টি রাষ্ট্রের মধ্যে ১৮ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ।

সামরিক শক্তির ভিত্তিতে ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (জিএফপি)’ নামের একটি ওয়েবসাইট মার্কিন গোয়েন্দা দফতর সিআইএ’র প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই ১২৬ টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে।

জিএফপি তালিকার এক নম্বরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া এবং তৃতীয় চীন। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। তবে বৈশ্বিক তালিকার শীর্ষ দশে নেই পাকিস্তান। তালিকায় ১৭ নম্বরে রয়েছে দেশটি।

মিয়ানমারের অবস্থান বিশ্ব তালিকার ৪৪ নম্বরে এবং তালিকার এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে ১৭ নম্বরে থাকা মিয়ানমারের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

Sunday 20 September 2015

আকাশে রক্তিম চাঁদ এই শতাব্দী মুসলমানদের জন্য অশনি সংকেত॥

আকাশে রক্তিম চাঁদ এই শতাব্দী মুসলমানদের জন্য অশনি সংকেত॥

সূফি বরষণ
বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী:
সাত দিন পর পৃথিবী স্বাক্ষী হতে চলেছে বিরল এক সুপারমুন বা রক্তিমচাঁদ। এ সময় চাঁদ স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় ১৪ শতাংশ বড় ও ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল দেখাবে। এদিন পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের সর্বনিম্ন দূরত্ব থাকবে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার কিলোমিটার। গত ৩২ বছরে পৃথিবীর এতো কাছে আসেনি চাঁদ। কমপক্ষে এক ঘন্টা ১২ মিনিট স্থায়ী হবে সুপার মুন।

সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ- একই সরল রেখায় অবস্থানের কারণে সৃষ্ট এ অবস্থাকে বলা হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের আগে ও পরে সূর্যের আলো পড়ায় চাঁদের রং কমলা ও লাল হওয়ায় একে বলা হয় ব্লাডমুন বা রক্তিমচাঁদ। উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল, অস্ট্রেলিয়া ও পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশ থেকে দেখা যাবে চাঁদের এ দৃশ্য।
সুপারমুন হচ্ছে কক্ষপথে পৃথিবীর থেকে চাঁদের খুব কাছাকাছি অবস্থানে সংঘটিত পূর্ণিমা। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় পৃথিবীর থেকে কক্ষপথে চাঁদের নিকটতম অবস্থানকে বলা হয় পেরিজি এবং দূরতম অবস্থানকে বলা হয় অ্যাপজী ।

প্রতি ১৪টি চান্দ্র মাস সম্পন্ন হওয়ার পর একটি সুপারমুন ঘটে থাকে। অর্থাৎ একটি সুপারমুন সংঘটিত হওয়ার পরে ১৫তম পূর্ণিমাটি হচ্ছে সুপারমুন। সময়ের হিসেবে এটি ১ বছর ১মাস ১৮ দিন। এছাড়া আগামী বছরের সুপারমুনের তারিখ হচ্ছে ১৪ নভেম্বর ২০১৬।
একুশ শতকের মধ্যে ২৫ নভেম্বর, ২০৩৪ এবং ৬ ডিসেম্বর, ২০৫২ সালে চাঁদ পৃথিবীর বেশি নিকটে থাকবে। এর আগে ১৯৩০ সালের ১৪ জানুয়ারি চাঁদ সবচেয়ে কাছে এসেছিলো, এরকম আবার ঘটবে ২২৫৭ সালের ১ জানুয়ারি। 
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববাসী দেখবে পেরিজি মুন অর্থাৎ ওই দিনে পৃথিবী থেকে চাঁদ খুব নিকটেই অবস্থান করবে।তবে বাংলাদেশের মুন লাভারদের জন্য আক্ষেপ রয়েই গেলো। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের সুপারমুন বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না।

চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ প্রথমে কমলা রঙ ধারণ করবে । পরে ধীরে ধীরে রক্তবর্ণের হবে । গ্রহণ মিলিয়ে যাওয়ার সময় ধীরে ধীরে চাঁদের রঙ বাদামি হয়ে যাবে । চাঁদের এই লাল বর্ণ ধারণ করার জন্যই জ্যোতির্বিদরা নাম দিয়েছেন ‘ব্লাড মুন’ বা রক্তিম চাঁদ। বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই জানিয়েছিলেন, ২০১৫ সালেও ঘটবে এমন আরও দু’টি চন্দ্রগ্রহণ। যেখানে বিশ্ববাসী দেখবে তৃতীয় ও চতুর্থ রক্তিম চন্দ্রগ্রহণ। এত কাছাকাছি সময়ে এরকম বিস্ময়কর চারটি চন্দ্রগ্রহণ গত দুই হাজার বছরের মধ্যে একটি বিরল ঘটনা।

সাধারণত গ্রহণের সময় চাঁদ অন্ধাকারে ঢাকা পড়লেও, গেল বছর দু’বার দেখা গিয়েছে রক্তবর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। এবছর চাঁদকে রক্তবর্ণ রূপে আরও একবার দেখা যাবে। এখন প্রশ্ন হতে পারে তাতে কি? স্বাভাবিক একটি বিষয় নিয়ে বলার কি আছে। জ্বি, আপনার আমার না বলার থাকলেও বিষয়টি নিয়ে বেশ তুলকালাম চলছে বিশ্বব্যাপী। আর এক্ষেত্রে আপনার আমারও কিছু বলার থাকতেই পারে। কিন্তু কেনো এই তোলপাড়? রক্তিমচাঁদ মহাকাশে ঘটে যাওয়া বিরল ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যিশু খ্রিষ্ট পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। তিনি পুনরায় ফিরে আসার আগে পৃথিবীতে কিছু প্রাকৃতিক পরিবর্তন দেখা দেবে। তার মধ্যে রক্তিম চাঁদ অন্যতম। খ্রিষ্ট ধর্মযাজকরা বলছেন, বাইবেলে যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থানের আগে এ সংকেত দেখা যাবে বলে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু একথা কতটুকু সত্য যখন খোদ খ্রিস্টানরা বলে, ঈসা আঃ তাদের পাপের কারণে মৃত্যুবরণ করেছে??!! আর ফিরে আসবেন না?॥

এদিকে জ্যোতির্বিদরা বলছেন, চলতি বছরের ৪ এপ্রিল রক্তিমচাঁদ দেখা গেল এবং আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আবারও দেখা যাবে॥ গতবছরের ১৫ এপ্রিল ও ০৮ অক্টোবর চন্দ্রগ্রহণের সময় দেখা গেছে রক্তিমচাঁদ।
একজন মার্কিন পাদ্রির মতে, বিরল এ ঘটনার ভবিষ্যতবাণী অনেক বছর আগেই বাইবেলে উল্লেখ রয়েছে। কিং জেমস বাইবেল সংস্করণ অনুযায়ী, সূর্য অন্ধকারে ছেয়ে যাবে ও চাঁদে দেখা দেবে রক্তিম আভা। আর এটাই হবে মহান যিশু খ্রিষ্টের আগমনী বার্তা। তবে কি সত্যিই এই মানবমর্তের সকল অন্যায় দূর করতে যীশু আসছেন খুব শিগগিরই?

এই দীর্ঘ আলোচনার পর সামান্য কিছু কথা বলি, অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পড়ে এটা বুঝতে পারলাম যে,  ইহুদিরা বর্তমানে শয়তানের উপাসনা করার পাশাপাশি বিভিন্ন উপদেবতারও উপাসনা করে॥ এরা বিশ্বে ওয়ান ওয়াল্ড অর্ডার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে॥ সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে এবং দেবতাদের খুশি করতে  ইহুদিরা পৃথিবীতে মুসলমানদের মধ্যে রক্তের বণ্যা ভাসিয়ে দিয়েছে ও দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও দিবে ॥ সেটা আপনারা আগামী ২৮ তারিখের পর কিছু ঘটনা প্রত্যক্ষ করবেন ॥ কারণ গত ৪ এপ্রিলের রক্তিমচাঁদের পরই ভারতের মধ্য প্রদেশে দাঙ্গা লাগিয়ে মুসলমানদের হত্যা করা হয়?॥ এবং একই সময় সৌদি আরব ও ইয়ামেনের মাঝে যুদ্ধ লাগানো হয়?॥ গতবছরের ১৫ এপ্রিল ও ০৮ অক্টোবর  রক্তিমচাঁদ সময়ে গাজায় মুসলমানদের উপরে বর্বর হামলা চালানো হয় । গত দুইহাজার বছরের মধ্যে পরপর চার বার রক্তিমচাঁদ দেখা যাওয়ার মানে হলো, পৃথিবী এখন অস্থির সময় অতিক্রম করছে॥ ইহুদিদের পরিকল্পিত ফর্মুলায় পাপে পাপে পৃথিবী এখন পরিপূর্ণ ॥

আসলে ব্লাডমুনকে ইহুদিরা তাদের জন্য অশুভ সংকেত মনে করে ॥ তাই ইহুদি রাব্বিরা মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই বলে বেড়াচ্ছে যে, যীশু খ্রীষ্ট পৃথিবীতে আগমন করছে॥ তাই আবারও পৃথিবীতে ইহুদিরা তাদের শয়তানের উপদেবতাদের খুশি করতে মুসলমানদের মাঝে রক্তের বণ্যা ভাসিয়ে দিবে॥ তাই এরা অনেক অঘটন ঘটাতে পারে ॥ নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে ॥ বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী মূলক এইসব কথা সত্য হতেও পারে আবার নাও হতে পারে॥ আপনারাই আপনাদের বিবেক দিয়ে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন॥ কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

Thursday 17 September 2015

রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সুন্দরবন ধ্বংস করার সরকারের বড় একটি চক্রান্ত ॥

রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সুন্দরবন ধ্বংস করার সরকারের  বড় একটি  চক্রান্ত ॥

সূফি বরষণ
 এই লেখা শুরু করছি লাতিন আমেরিকার আদিবাসীদের কথা দিয়ে,, লাতিন আমেরিকার আদিবাসীদের মধ্যে বহুল প্রচলিত একটি মন্ত্র চালু আছে , ‘মুনাফার লোভে আমরা একে একে আমাদের পানি, আমাদের 
বন, আমাদের ভূমি, আমাদের বাতাস  বিষাক্ত করার পর দেখব, টাকা ছাড়া আমাদের কাছে আর কিছুই নেই। কেবল তখনই আমরা বুঝব, টাকা খেয়ে আমরা বাঁচতে পারব না।’বাঁচতে গেলে আমাদের বিশুদ্ধ পানি লাগবে, খাদ্য লাগবে, শ্বাস নেওয়ার জন্য বিশুদ্ধ বাতাস লাগবে, আমাদের অস্তিত্বের জন্য বন লাগবে, জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থান লাগবে। অসংখ্য 
প্রাণবিনাশী কাজ করে মানুষ প্রাণী বাঁচতে পারবে না। 
বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবনসহ ওই এলাকার প্রাকৃতিক জীব  বৈচিত্র্য বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে সাউথ এশিয়ান’স ফর হিউম্যান রাইটস (এসএএইচআর) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।

গতকাল বৃহস্পতিবার  জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়।

বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় প্রস্তাবিত কয়লা ভিত্তিক  বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকার মানবাধিকার ও পরিবেশগত প্রভাব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বলে জানায় সংস্থাটির বাংলাদেশ-এর ব্যুরো সদস্য খুশী কবির ॥
একই অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আন্তর্জাতিক  জাতীয় সকল আইন ভঙ্গ করে সরকার রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে। 

বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প পথ আছে কিন্তু সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই। তাই যে কোনো মূল্যে  সুন্দরবনকে  রক্ষা করতে হবে।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষয়ে অনেক প্রশ্নের এখনও কোনো সমাধান হয়নি ?? যেমন : , যে দূরত্বের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি করা হচ্ছে, সেটি আসলে নিষিদ্ধ দূরত্বের মধ্যেই। সুন্দরবনের কাছাকাছি এরকম একটি প্রকল্প বনটির জন্য বড় হুমকি।
কয়লা কোথা থেকে আসবে, কিভাবে পরিবহন করা হবে, কয়লার যেসব আবর্জনা নদীতে জমবে, সেগুলো কিভাবে পরিষ্কার হবে, এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো স্পষ্ট নয়। এসব কারণে সুন্দরবনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলেই আশংকা হচ্ছে। সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়েও পরিবেশবিদদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে।

এর মধ্যেই সেখানকার জলজ প্রাণীর উপর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা যায়। কারণ সেখানের শুশুক বা ডলফিনগুলো সেই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ ॥

বিভিন্ন মহলের এত আপত্তির পরও কেন সরকার বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না, তা নিয়েও  অনেক রহস্য রয়েছে । দক্ষিণের প্রাকৃতিক দেয়াল সুন্দরবনকে  ধ্বংস করার কাজে সরকার কেন নেমেছে তা পরিষ্কার নয়॥ যদি সুন্দরবন না থাকে তবে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় শ্মশানে পরিণত হবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না॥ যখন দেখি বিদ্যুত্ কেন্দ্রের জন্য ভারত অর্থায়ন করছে তখন  সন্দেহ আরও গভীর হয়॥ কারণ ভারত শর্ত দিয়ে ঋণ দিয়েছে যে বিদ্যুত্ কেন্দ্র সুন্দরবনেই স্থাপন করতে হবে??
তাইলে কি আমরা ধরেই নিতে পারি যে ভারতীয় অংশের সুন্দরবনকে সুরক্ষা করে বাংলাদেশের সুন্দরবনকে ধ্বংস করার এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ এটি ॥
দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি রূপকথার গল্পের প্রচলন আছে, একবার দেশের সরকার  সিদ্ধান্ত নিলো যে, আমাদের হাতীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে॥ বয়স্ক বৃদ্ধ হাতীদের কে মেরে শুধু নতুন হাতীদের রাখবো॥ যে কথা সে কাজ ॥ বয়স্ক সব হাতীদের হত্যা করা হলো॥
কিছু কাল পর হঠাৎ করে ঘূর্ণি ঝড় হলো এতে সব হাতী মারা পড়লো॥ এবং জনগণেরও জান মালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়॥ জ্ঞানী লোকেরা এর কারণ 
অনুসন্ধান শুরু করলো॥ 
কারণ হিসেবে জ্ঞানীরা চিহ্নিত করলো॥ নতুন হাতীগুলো বৃদ্ধ বয়স্ক হাতীদের কাছ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সংক্রান্ত জ্ঞান 
ও কিভাবে সংকেত পাঠাতে হয় তা শিক্ষা লাভ করার সমস্ত পায়নি , এর আগে বয়স্ক হাতীদের হত্যা করা হয়॥ প্রকৃতির উপরে যদি আমি আপনি অত্যাচার জুলুম করি তবে আমাদেরকে 
সুনামী সিডর ভোগ করতে হবেই ॥ এই ঘটনা আমাদেরকে তাই বলে॥ তাহলে উপায় কি ?? বাচঁতে চাইলে এখনই পানি বায়ু দূষণ বন্ধ করি॥
পাশাপাশি জীববৈচিত্র বন এবং প্রাকৃতিক বিশাল নেয়ামত সুন্দরবন রক্ষায় আসুন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি ॥
কারণ আমরা বিদ্যুত্হীন সুস্থ ভাবে বাঁচতে চাই আর সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুত্ নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় বাঁচতে চাই না॥ এখন একটাই শ্লোগান সুন্দরবন বাঁচলে আমরা বাঁচবো বাংলাদেশ
বাঁচবে ॥

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ





Sunday 13 September 2015

পর্ব এক.. জামায়াতের রাজনীতিতে ৭৫ বছর ধরে লাল বাতি জ্বলছে এখন সবুজ বাতি জ্বালানোর প্রয়োজন ॥

পর্ব এক..
জামায়াতের রাজনীতিতে ৭৫ বছর ধরে লাল বাতি জ্বলছে এখন সবুজ বাতি জ্বালানোর প্রয়োজন ॥

সূফি বরষণ 
সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রসঙ্গটি যতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে, তা এর আগে আমরা কখনোই সেইভাবে প্রত্যক্ষ করিনি। স্বাধীন বাংলাদেশে তো নয়ই, এমনকি সম্ভবত গত প্রায় এক শ বছরেও আমরা এই ধরনের  প্রশ্নের মুখোমুখি হইনি। এর কারণ কী? এই পরিস্থিতিকে আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করব? রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের করণীয় কী? আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখায় তার কী প্রভাব পড়বে? এ ধরনের প্রশ্ন আমাদের সবার মনের ভেতরেই যে কেবল ঘুরপাক খাচ্ছে তা নয়, আমরা সবাই কমবেশি এ নিয়ে আলোচনাও করছি।

আমরা এ বিষয়ে বেশি করে উৎসাহী হয়েছি সাম্প্রতিক কালে জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও হেফাজতে ইসলাম বলে একটি সংগঠনের উত্থানের কারণে। ধর্মভিত্তিক দলগুলোর বিষয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর আপসমুখী অবস্থান, এই সব দলকে আশু স্বার্থে ব্যবহারের জন্য মরিয়া ভাব॥ এবং এই মরিয়া ভাব শুধুমাত্র দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেই নয় বরং আন্তর্জাতিক ইসলাম বিরোধী  পরাশক্তি আমেরিকা ফ্রান্স জার্মানী রাশিয়া ভারত ইসরাঈল গত দেড়শত বছর ধরে বিভিন্ন দেশের ইসলামী দল বা গ্রুপকে ব্যবহার করেছে এবং করছে, সেই সাথে সৃষ্টি করেছে ইসলামের নামে নতুন দল গ্রুপ এবং ভ্রান্ত মতবাদ ॥

জামায়াত এমনই এক রাজনৈতিক দল যারা ১৯৪১ সালের পর হতে বর্তমান পর্যন্ত কোনো না কোন শক্তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ্য ভাবে ব্যবহার  হয়ে আসছে॥  কিন্তু নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারেনি এখনও ??!! আর সিদ্ধান্ত নিতেও পারছে না আগামী দিনে বাংলাদেশের এবং বিশ্ব রাজনীতিতে জামায়াতের অবস্থান কি হবে॥ তাঁরা আগামী দিনের বাংলাদেশের জন্য কল্যাণ মুখি কি পরিকল্পনা দিতে চাই তাও পরিষ্কার নয়॥ মানে সামাজিক ন্যায় বিচার, সামাজিক নিরাপত্তা, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, পররাষ্ট্র নীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা, বেকারত্ব, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা, ক্ষুধা দারিদ্রসহ এইসব বিষয়ে জামায়াতের কোনো বাস্তব পরিকল্পনা দেশবাসী কাছে পরিষ্কার নয়॥ এইসব বিষয়ে জামায়াত মনে করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে অটোমেটিক সমাধান হয়ে যাবে !!??

এইসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যদি অটোমেটিক হয়ে যায় তবে পুরানো রাজনৈতিক মিত্র আওয়ামী লীগের কাছে নিজেরা নাজেহাল কেন?? রাজনৈতিক সংকটময় অবস্থার কেন পরিবর্তন করতে পারছে না বরং জালে আরও বন্দী হচ্ছে তাঁরা ॥ যে কারণে জামায়াত শুধুমাত্র ইসলামের কথা বলে ভোটের রাজনীতিতে দেশের  দশ ভাগ সমর্থন অর্জন করেছে কিন্তু শতভাগ নয়॥ জামায়াতের সবুজ বাতি জ্বালাতে হলে বুঝতে হবে কোনো জিনিস অটোমেটিক হয় না দীর্ঘ মেয়াদী জনকল্যাণ মূলক  পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হয়॥ যে কারণে জামায়াত আজকের করুণ দশার সম্মুখীন হয়েছে ॥ 

জামায়াতের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বন্ধুহীন হয়ে কোনঠাসা ও একলা চলো নীতি গ্রহণ করে টেকসই রাজনীতি করা বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নয় । নীতি ও আদর্শের সাথে আপস না করেও কৌশলগত কারণে উদারনীতি অনুসরন করে সমর্থনের পরিধি বৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গি জামায়াতের নেই।
বা আছে বলেও দেখা যাচ্ছে না॥
পরাশক্তি মোড়লদের কাছে জামায়াত যেমন শিশু , তেমনি আওয়ামী লীগের মতো পাকা খিলাড়ীর কাছে জামায়াত এখন শিশুই নয় বরং নাজেহাল অবস্থায়
আছে॥ 

জামায়াতের সংস্কারপন্থীদের এক বৈঠকে ‘রাজনৈতিক সংস্কার কৌশল’ শীর্ষক একটি কী নোট পেপার উত্থাপন করা হয়েছিল। মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক সম্পাদিত ‘ কামারুজ্জামানের চিঠি এবং জামায়াতের সংস্কার প্রসঙ্গ’ শীর্ষক গ্রন্থে ওই কী নোট পেপারটি মুদ্রিত হয়েছে। ওই কী নোট পেপারে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশে গত তিন-চার দশকের ইসলামী রাজনীতি প্রত্যাশিত সুফল বয়ে আনতে পারেনি। সেক্যুলার আওয়ামী লীগ, জাতীয়তাবাদী বিএনপি ও সুবিধাবাদী জাতীয় পার্টি ঘুরেফিরে বিভিন্ন মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু এ তিনটি দলের বৈশিষ্ট কম-বেশি একই। মূলত ক্ষমতার মোহ, বস্তুগত স্বার্থলিপ্সা, অসততা ও অদক্ষতা, প্রতিহিংসা পরায়ণতা ইত্যাদি কারণে জাতি খুব বেশি আগাতে পারেনি। ইসলামী দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্যান্য দলগুলোর সাংগঠনিক ও জনভিত্তি উল্লেখ করার মতো নয়।
বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে জামায়াতের ইসলামীর কোনো বিকল্প আপাতত দেখা যাচ্ছে না।

কিন্তু সবচেয়ে পুরানো রাজনৈতিক দল হওয়া সত্বেও জামায়াত নির্বাচনী দৌঁড়ে বেশ পেছনে পড়ে আছে। বাস্তবতা এমন দাঁড়িয়েছে যে, সততার সুনাম থাকা সত্বেও বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে জামায়াতের পক্ষে ভবিষ্যতে এককভাবে সরকার গঠনের মত জনপ্রিয়তা অর্জন করা আদৌ সম্ভব নয় বলে কেউ কেউ অভিমত প্রকাশ করেন।
কারণ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার মতো রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পূর্ববাংলার প্রধান ইসলামী দল ‘জামায়াতে ইসলাম’ ও প্রধান ইসলামী ছাত্রসগংঠন ‘ইসলামী ছাত্রসংঘ’। স্বাধীনতার পরে জামায়াত ‘ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ’ (আইডিএল) ও ছাত্রসংঘ ‘ ইসলামী ছাত্রশিবির’ নামে প্রকাশ্যে আসে।

শিবির নামে প্রকাশ্যে আসার পর সংগঠনটি দ্রুতই জনপ্রিয়তা লাভ করে। আইডিএল নামে আসার পরে জামায়াতও জনপ্রিয়তা পায় এবং তৃতীয় সংসদে ২০টি আসন লাভ করে। পরবর্তীতে স্বনামে ফিরলে আইডিএলের সমান জনপ্রিয়তা ও সংসদীয় আসন কখনোই লাভ করতে পারেনি জামায়াত। বরং জামায়াত নামে ফেরার পর দলটি মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে বড় বিরোধে জড়িয়ে যায়, যার জের ধরে দলটির দুইজন শীর্ষ নেতা আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি হয়েছে। এ দুজনই ছাত্রসংঘের সাবেক নেতা ছিলেন। কামারুজ্জামান শিবিরেরও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন।

মূলতঃ জামায়াতের সিদ্ধান্তে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করতে গিয়ে পাকিস্তানী সেনাদের অপরাধের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল ছাত্রসংঘ। তাই সংগঠনটি ছাত্রশিবির নামে পুনর্গঠিত হওয়ার পর থেকেই জামায়াতের প্রভাবমুক্ত হওয়ার ও মুক্তিযুদ্ধকালীন দায় ঝেরে ফেলতে সচেষ্ট ছিল। অন্যদিকে জামায়াতও সব সময় শিবিরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করেছে। এই নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে শিবিরের মধ্যে প্রথম সমস্যা  হয় ১৯৮২ সালে। পরের পর্বে আসছে জামায়াতের বৃটিশ আমলে ভূমিকা নিয়ে ॥

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ