Friday, 27 November 2015

একজন কিংবদন্তি মহানায়ক জিয়াউর রহমান কেবল ‘রাষ্ট্রপতি’ই নন; তিনি আমাদের ‘রাষ্ট্রপিতা

একজন কিংবদন্তি মহানায়ক জিয়াউর রহমান কেবল ‘রাষ্ট্রপতি’ই নন; তিনি আমাদের ‘রাষ্ট্রপিতা।

সূফি বরষণ
দলীয় কার্যনির্বাহী সভায় অবৈধ  হাসিনা বলেছে, ‘জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রপতি বলা যাবে না!! এর  প্রতিক্রিয়া হিসেবে  আজকের এই লেখা ॥ যে অবৈধ খুনী হাসিনা দেশকে একটি মৃত্যুপুরী বানিয়ে রেখেছে আর এক স্বৈরাচার এরশাদকে সাথে নিয়ে ॥ সে এখন ক্ষমতার দম্ভে বড় বড় বুলি আওরায়!!??? বড়ই বেশারাম মহিলা হাসিনা ভুলে গেছে যে জিয়াউর রহমানের কারণেই বাকশালীরা আবারও দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পাই॥

মূষিক-সভার এক বৈঠকে অবৈধ ডিক্টেটর হাসিনা বলেছে, ‘জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রপতি বলা যাবে না।’

যিনি মহান স্বাধীনতার ঘোষক, যিনি বাংলাদেশের স্থপতি, যিনি একটি জাতির স্রষ্টা, যিনি আধুনিক বাংলার রূপকার তাঁকে শুধু রাষ্ট্রপতি বলে সম্বোধন করলে কেবল তাঁর কীর্তিকেই খাটো করা হয় না বরং বক্তার মূর্খতাও প্রকাশ পায়॥

জিয়াউর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এক রাষ্ট্রনায়কের নাম। তিনি একজন অকুতোভয় শহীদ দেশ গড়তে গিয়ে যিনি জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি ছিলেন বঞ্চিত-ক্ষুধাতাড়িত-দিশেহারা এক জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তনের সফল কারিগর। যিনি  খোদা প্রদত্ত সেরা নেয়ামত বাংলাদেশের জনগণের জন্য ॥
সুতরাং শহীদ জিয়াউর রহমান কেবল ‘রাষ্ট্রপতি’ই নন, তিনি আমাদের রাষ্ট্রপিতা।

আসলে জিয়াউর রহমানের নামটির মধ্যেই অবৈধ হাসিনা সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন॥  কারণ জিয়া নামটি শুনলেই মনে হয়:

১. বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক
২. জেড ফোর্সের অধিনায়ক
৩. বীর উত্তম
৪. বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
৫. বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা
৬: সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাদাতা
৭. বিচার বিভাগের স্বাধীনতাদাতা
৮. বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাঠামোর স্থপতি
৯. ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা বাংলার রাখাল রাজা
১০. সমগ্র মুসলিম বিশ্বের একতার প্রতীক
১১. প্রেস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাতা
১২. শিশু একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা
১৩. শিশুদের মেধা বিকাশে নতুন কুঁডি অনুষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা
১৪. ভারতীয় পানি আগ্রাস রোধে এবং পরিবেশ জীব বৈচিত্র রক্ষা বিনাশ্রমে বিনা অর্থ ব্যয়ে অসংখ্য খাল নদী খনন ও সংস্কার করেন॥ ১৫. সারা দেশের পরিত্যক্ত পুকুর ডোবা জলাশয় সংস্কার করেন॥
১৬. ধর্ম ভিত্তিক দলসহ সকল দলের রাজনীতি করার স্বাধীনতা দান করেন যা শেখ মুজিব বাকশালের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করে রেখেছিল॥
১৭. জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট নিমকো প্রতিষ্ঠাতা॥
জানালেন প্রধানমন্ত্রী
১৮. সত্যোজ্জ্বল অতীত, যোগ্য নেতৃত্ব, সততা ও স্বচ্ছতা
১৯. অসহায়, দরিদ্র ও অধিকারবঞ্চিত মানুষের প্রতি তার ছিল অগাধ ভালোবাসা, তার নেতৃত্বে খুঁজে পায় তাদের স্বপ্নের ভবিষ্যত্
২০.তার যোগ্য নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ-বাকশালের একনায়কতান্ত্রিক স্বেচ্ছাচারিতার হাত থেকে রক্ষা পায় দেশ
২১. তিনি উপহার দিয়েছিলেন জাতিসত্তার নতুন এক বিনির্মাণ— বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, যা ছিল আধুনিক ও হাজার বছরের ইতিহাস নির্ভর
২২. জাতীয় জীবনে যে হতাশা ও নেতিবাচক অবস্থা তৈরি হয়েছিল তা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে দেশবাসীকে তিনি নতুন স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ করে জাগিয়ে তুলেছিলেন উন্নয়নের রাজনীতিতে
২৩. প্রতিটি ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের মানুষ খুঁজে পেয়েছিল তাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ। ফলে কর্ম ও উত্পাদনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল
২৪. তার নেতৃত্বে ফিরে আসে জনগণের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার
২৫. সর্বোপরি শহীদ জিয়ার যোগ্যতা, দেশপ্রেম, সততা ও স্বচ্ছতায় আকৃষ্ট হয়ে দেশের মেধাসম্পন্ন গুণী মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে। তারই আদর্শ ও অনুপ্রেরণা লালন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বার বার দেশ পরিচালনা করে এসেছে। এখনো বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে তার প্রতিষ্ঠিত দল বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম করে যাচ্ছে॥
জিয়াউর রহমান, এরশাদকে সাবেক রাষ্ট্রপতি বললে আদালত অবমাননা হবে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন॥ পঞ্চম সংশোধনী নিয়ে উচ্চ আদালতের রায়ের পর জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদের নামের আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলে অভিহিত করলে তা আদালত অবমাননা হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ, সংসদীয় বোর্ড ও নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের এক যৌথসভায় অবৈধ  প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানকে আর রাষ্ট্রপতি বা সাবেক রাষ্ট্রপতি বলা যাবে না। যদি রাষ্ট্রপতি বলা হয়, তবে সেটা হাইকোর্টের রায়কে লঙ্ঘন করা হবে। কারণ তাঁর ক্ষমতা অবৈধ। সেটা ঘোষণা হয়ে গেছে এবং তাঁর মাধ্যমে যে মার্শাল অর্ডিন্যান্স, অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা বা যেসব আইন যা কিছু হয়েছিল সব কিন্তু বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কাজেই এখন সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ বা জিয়াউর রহমান কেউ কিন্তু আর সাবেক প্রেসিডেন্ট না। সেটা বলা যাবে না। কারণ তাঁরা অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী।
 ১৬ কোটি জনগনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্লজ্জভাবে হাসিনা-রওশন-এরশাদ-ইনু-রাশেদ খানগংরা ভারতীয় অপ-শক্তির ইন্ধনে নির্বিচারে হত্যা,গুম, জেল,জুলুম,নির্যাতন,হামলা,মামলা ও গন গ্রেফতার চালিয়ে বাংলাদেশকে দুঃশাসন ও স্বৈরাচারের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে।

 এমতাবস্থায় দেশে পুনরায় সুশাসন, গনতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গন-আন্দোলনের মাধ্যমে এ স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানোর জন্য মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের লক্ষ লক্ষ সৈনিক তৈরি আজ॥ যুগ যুগ ধরে জিয়া থাকবে কোটি মানুষের হূদয়ে  শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ধন হয়ে ॥ আর হাসিনার মতো নর্দমার কীটবিশেষ কে মানুষ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী জালিম হিসেবে ঘৃণার সাথে স্মরণ করবে॥

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

No comments:

Post a Comment