Monday 16 January 2017

রবীন্দ্রনাথ ছিলেন আগাগোড়া হিন্দু জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী।



রবীন্দ্রনাথ জম্মগত ভাবে মুসলিম বিদ্বেষী এবং বাংলাদেশের বিদ্বেষী হলেও এই রবীর লিখা এবং চুরি করা সুরের গাওয়া গান আমাদের জাতীয় সংগীত। খোদ ভারতের জাতীয় সংগীত নিয়েও আছে সাংঘাতিক রকমের জোচ্চুরি।

যাক আজকে এই জাতীয় সঙ্গীত বিষয়ে না লিখে বাংলাদেশের পাঠক যারা এখনো রবীদা বলতে অজ্ঞান তাদের জন্য ৪৩টি পতিতালয়ের মালিক রবীদার কিছু লিখার অংশ নিয়ে এলামঃ


১। মোতাহার হোসেন চৌধুরী শান্তি নিকেতনে কবিগরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনার লেখায় ইসলাম ও বিশ্বনবী সম্পর্কে কোনো কথা লেখা নেই কেন? উত্তরে কবি বলেছিলেন, 'কোরআন পড়তে শুরু করেছিলুম কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারিনি আর তোমাদের রসুলের জীবন চরিতও ভালো লাগেনি।
[ তথ্যসূত্র: বিতণ্ডা,লেখক সৈয়দ মুজিবুল্লা, পৃ -২২৯ ]"


২। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ছিলেন আগাগোড়া হিন্দু জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। এজন্যই উগ্রহিন্দুরা তাকে জাতীয় কবি হিসেবে মেনে নিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ তার কবিতায় মারাঠা দুস্য শিবাজীর প্রসংশা করেছেন।
কবির ‘প্রায়শ্চিত্ত’ নামক নাটকে প্রতাপাদিত্যের উক্তি- ‘খুন করাটা যেখানে ধর্ম, সেখানে না করাটাই পাপ। যে মুসলমান আমাদের ধর্ম নষ্ট করেছে তাদের যারা মিত্র তাদের বিনাশ না করাই অধর্ম।’
 এই দুস্য শিবাজী সম্পর্কে জানতে পড়ুন আমার এই পোস্ট - http://is.gd/LZrgeL

৩।  বঙ্গভঙ্গ হলে আসাম ও বাংলার রাজধানী হবে ঢাকা। আর ঐ বঙ্গে মুসলমানরা হবে সংখ্যাগুরু এবং হিন্দুরা হবে সংখ্যালঘু। তাই নবাব সলিমুল্লাহ’র নেতৃত্বে পূর্ববঙ্গের এবং ভারতের বহু মুসলিম নেতাই বঙ্গভঙ্গকে সমর্থন করলেন। কিন্তু হিন্দু নেতা ও বুদ্ধিজীবিরা একত্রে আন্দোলন শুরু করে এই কবিগরূর নেতৃত্বেই।
বঙ্গভঙ্গ বিরোধী ১৯০৫ সালের ২৪ ও ২৭শে সেপ্টেম্বর দুটো সমাবেশের সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ এবং ১৬ই অক্টোরব ‘রাখীবন্ধন’ নামক অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি নিজেই। কিন্তু বঙ্গভঙ্গ রদ করার জন্য হিন্দুদের কি স্বার্থ ছিলো ??? এর উত্তরে বিমলানন্দ শাসমল ‘ভারত কী করে ভাগ হলো’ নামক বইয়ে লিখেছে-
“ডঃ আম্বেদকর লিখেছেন: বাঙালী হিন্দুদের বাংলা বিভাগের বিরোধীতা করার প্রধান কারণ ছিলো, পূর্ববঙ্গে বাঙালী মুসলমানরা যাতে যোগ্য স্থান না পেতে পারে”
[সূত্র: বই-‘ভারত কী করে ভাগ হলো’, পৃ:২৫; এ এক অন্য ইতিহাস-১৫৮]



৪।  রবীন্দ্রনাথের বঙ্গভঙ্গ বিরোধীতার মূল কারণ ছিলো এ অঞ্চলে ছিলো তার বেশিরভাগ জমিদারি। বঙ্গভঙ্গ হলে ঠাকুর পরিবারে বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে। যেটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি সে। এ অঞ্চলের মানুষের রক্তচুষে খেয়ে বেচে থাকতো ঠাকুরপরিবারের মত জমিদাররা। তারা নানান ছুঁতোয় প্রজাদের থেকে খাজনা আদায় করতেন।

যেমন:
- গরুর গাড়ি করে মাল নিলে ধূলো উড়তো, তখন ‘ধূলট’ নামক কর দিতে হতো।
- প্রজারা নিজের যায়গায় গাছ লাগলেও এক প্রকার কর দিয়ে গাছ লাগাতে হতো। সেই করের নাম ‘চৌথ'।
- প্রজাদের গরু-মহিষ মরে গেলে ভাগাড়ে ফেলতে হলে কর দিতে হতো। তার নাম ‘ভাগাড় কর’। - নৌকায় মাল উঠালে বা নামালে দিতে হতো ‘কয়ালী’ নামক কর।
- ঘাটে নৌকা ভিড়লে যে কর দিতে হতো তার নাম ‘খোটাগাড়ি কর" ।
- জমিদার সাথে দেখা করলে দিতে হতো ‘নজরানা’।
- জমিদার কখন জেলে গেলে তাকে ছাড়িয়ে আনতে উল্টো প্রজাদের দিতে হতো ‘গারদ সেলামি’।
[সূত্র: বই-গণ অসন্তোষ ও উনিশ শতকের বাঙালী সমাজ, লেখক: স্বপন বসু]



৫। রবীন্দ্রনাথের জমিদারি সম্পর্কে অধ্যাপক অমিতাভ চৌধুরী লিখেছেন:
“রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সামন্তবাদী প্রজাপীড়ক জমিদার ছিলেন। তার দফায় দফায় খাজনা বৃদ্ধি এবং জোর জবরদস্তি করে আদায়ের বিরুদ্ধে ইসমাইল মোল্লার নেতৃত্বে শিলাইদহে প্রজাবিদ্রোহ হয়েছিলো।
[সূত্র: জমিদার রবীন্দ্রনাথ, দেশ ১৪৮২ শারদীয় সংখ্যা, অধ্যাপক অমিতাভ চৌধুরী]



 ৬। চারিদিকে নিষ্ঠুরতা ও দুর্নামের প্রতিকূল বাতাসকে অনুকূল করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাইভেট সেক্রেটারী অমিয় চক্রবর্তী একবার বিশাল জমিদারীর একটি ক্ষুদ্র অংশ দরিদ্র প্রজাসাধারণের জন্য দান করার প্রস্তাব করেছিলেনঠাকুরমশাই ইজিচেয়ারে আধাশোয়া অবস্থা থেকে সোজা হয়ে বলেছিলেন, “বল কিহে অমিয়। আমার রথীন (কবির একমাত্র পুত্রের নাম) তাহলে খাবে কী?
[সুত্র: অন্নদাশঙ্কর রায়ের রচনা থেকে উদ্ধৃত পুস্তকরবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক চিন্তাধারা: আবু জাফর]


৭। অন্নদাশঙ্কর রায় বলেছিলেন, “জমিদার হিসেবে ঠাকুর পরিবার ছিল অত্যাচারী। গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিলবুট পরে প্রজাকে লাথি মেরেছেনপায়ে দলেছেন দেবেন ঠাকুর। এটাই রেকর্ড করেছিল হরিনাথ মজুমদার। যিনি মহর্ষি বলে পরিচিততিনি একইরকমভাবে মানুষকে পদাঘাতে দলিত করেন। গ্রাম জ্বালাবার কথাও আছে। আবুল আহসান চৌধুরীর কাছে এর সমস্ত ডকুমেন্ট আছে। সমগ্র ঠাকুর পরিবার কখনো প্রজার কোন উপকার করে নাই। স্কুল করা,দীঘি কাটানো এসব কখনো করে নাই। মুসলমান প্রজাদের টিট করার জন্য নমশূদ্র প্রজা এনে বসতি স্থাপনের সাম্প্রদায়িক বুদ্ধি রবীন্দ্রনাথের মাথা থেকেই এসেছিলকাঙাল হরিনাথ মজুমদার তার গ্রাম্যবার্তা প্রকাশিকাপত্রিকায় ঠাকুর পরিবারের প্রজাপীড়নের কথা লিখে ঠাকুর পরিবারের বিরাগভাজন হয়েছিলেন” 
[সুত্রঃ দৈনিক বাংলাবাজার১৪.০৪.১৯৯৭ এবং ১.৫.১৯৯৭ সংখ্যা]



৮। জমিদারদের বড়দেবতা হলো অর্থ আর স্বার্থ। অর্থ আর স্বার্থলাভ করতে ঠাকুর পরিবারের জমিদার হিসেবে দুর্নামের কালো দিক আড়াল করে রাখলেও প্রকৃত ইতিহাসের পাতা থেকে তা মোছা যাবে না। ঠাকুর পরিবারের এই মহর্ষি জমিদারদের প্রতি কটাক্ষ করে হরিনাথ লিখেছেন, “ধর্মমন্দিরে ধর্মালোচনা আর বাহিরে আসিয়া মনুষ্যশরীরে পাদুকাপ্রহারএকথা আর গোপন করিতে পারি না
[সুত্রঃ অশোক চট্টোপাধ্যায়, প্রাক বৃটিশ ভারতীয় সমাজপৃষ্ঠা ১২৭১৯৮৮]

৯। সিরাজগঞ্জে প্রজা নির্যাতনের দলিলও ইতিহাসে পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের বদলির আদেশ হয়েছিল এবং যে যে জমিদার উপরের আবরণের গুণে তপস্বী বলিয়া গভর্নমেন্টে পরিচিত ছিলেনতাহারা যে বিড়াল তপস্বী তা প্রমাণিত হয়েছিল। এসবের ফলশ্রুতিতে হরিনাথকে ঐ জমিদারের বিষনজনে পড়তে হয়েছিল” 
[ সুত্রঃ অশোক চট্টোপাধ্যায়প্রাক বৃটিশ ভারতীয় সমাজপৃ ১২৮]
১০।  রবীন্দ্রনাথ তার ‘কণ্ঠরোধ’ নামক প্রবন্ধে বলে, "কিছুদিন হইল একদল ইতর শ্রেণীর অবিবেচক মুসলমান কলিকাতার রাজপথে লোষ্ট্রন্ড হস্তে উপদ্রবের চেষ্টা করিয়াছিল। তাহার মধ্যে বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে- উপদ্রবের লক্ষ্যটা বিশেষ রূপে ইংরেজদেরই প্রতি। তাহাদের শাস্তিও যথেষ্ট হইয়াছিল। প্রবাদ আছে- ইটটি মারিলেই পাটকেলটি খাইতে হয়; কিন্তু মূঢ়গণ (মুসলমান) ইটটি মারিয়া পাটকেলের অপেক্ষা অনেক শক্ত শক্ত জিনিস খাইয়াছিল।"
[সুত্রঃ ভারতী, বৈশাখ-১৩০৫]

১২। বঙ্কিমচন্দ্রের মুসলিম বিদ্বেষপূর্ণ সাহিত্যের পক্ষে রবীন্দ্রনাথ লিখেছে, "মুসলমান বিদ্বেষ বলিয়া আমরা আমাদের জাতীয় সাহিত্য বিসর্জন দিতে পারি না। মুসলমানদের উচিত নিজেদের জাতীয় সাহিত্য নিজেরাই সৃষ্টি করা। 
[তথ্যসূত্র: ভারতী পত্রিকা, একশ বছরের রাজনীতি, লেখক,আবুল আসাদ]

  


১৩। রবীন্দ্রনাথ কী রকম ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী ছিল, তা একটা প্রমাণেই বুঝা যাবে। তার ‘রীতিমত নভেল’ নামক ছোটগল্পে সে লিখেছে -
@ আল্লাহো আকবর শব্দে বনভূমি প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠেছে। 
একদিকে তিন লক্ষ যবন (মুসলিম) সেনা অন্য দিকে তিন সহস্র আর্য (হিন্দু) সৈন্য। 
... পাঠক, বলিতে পার ... কাহার বজ্রমতি ‘হর হর বোম বোম’ শব্দে
তিন লক্ষ ম্লেচ্ছ কণ্ঠের ‘আল্লাহো আকবর’ ধ্বনি নিমগ্ন হয়ে গেলো। 
ইনিই সেই ললিতসিংহ। কাঞ্চীর সেনাপতি। ভারত-ইতিহাসের ধ্রুব নক্ষত্র। @

শুধু ‘রীতিমত নভেল’ই নয়। রবীন্দ্রনাথ তার ‘সমস্যাপুরণ’, ‘দুরাশা’ ও ‘কাবুলীওয়ালা’ গল্পে মুসলমানদের জারজ, চোর, খুনি ও অবৈধ সম্পর্ক কারী হিসেবে উপস্থাপন করেছে, যেখানে সে নিজেই ছিল পতিতালয়ের মালিক !! 
তাছাড়া ‘সমস্যাপুরণ’ গল্পে দেখিয়েছে, মুসলিম নারীর গর্ভে পিতা কৃষ্ণগোপালের ঔরষে জন্ম নেয়া ভাইয়ের পরিচয় পিতার মুখ থেকে শুনে ছেলে বিপিনচন্দ্র বিস্ময়ে উচ্চারণ করে ‘যবনীর গর্ভে?’ কৃষ্ণগোপাল বলে, ‘হ্যাঁ বাপু।’
মুসলিমরা আজ ইতিহাস নিয়ে না পড়ালেখা করার কারণে তাদের যা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে তাই  তারা গিলে খাচ্ছে, কিন্তু একটু যাচাই করার দরকার ও তারা করে না। করলে তারা কবেই এই রবীগরুকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করত। 

তবি রবী গরুকে তাদের ভালো না লেগে উপায় নেই যারা পতিতালয় এবং নিজের বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে লুচ্চামি করতে পারে। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধী যত কর্ম কান্ড আছে, তাঁর পুরোধা এই রবীন্দ্রনাথ ! হালের রাস্ট্রধর্ম মামলার ১৫ জন বাদীই ছিল খাঁটি রবীন্দ্র পুজারী। এছাড়া আমি দেখেছি যারাই মাদ্রাসাকে জঙ্গীবাদের আখড়া বলেছে তারা প্রত্যেকেই একেকজন রবীন্দ্র পুজারী।

পরিশেষে রবি গরুর বাংলাদেশীদের প্রতি মুগ্ধতা দেখিয়ে তার একটা মহান (!) বানী দিয়ে শেষ করব !

“ সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী
রেখেছ বাঙ্গালী করে মানুষ করনি” ।

সুতরাং আমরা বা আপনারা কবি গরুর চোখে মানুষ নই। 
ধন্যবাদ , ধন্যবাদ সবাইকে !http://www.animeshraiarko.com/2016/05/blog-post_5.html?m=1

No comments:

Post a Comment