যা বলতে হবে ।
বাংলাদেশের হিন্দু ভাই বোনদের প্রসঙ্গ আসলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ভারতের কথা চলে আসে। যেমন সাতচল্লিশে বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যক তেত্রিশ শতাংশ ছিলো। পাকিস্তান আমলে কমে বাইশ শতাংশের নীচে নেমে আসে। স্বাধীন বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা এখন সাত/ আট শতাংশ হবে। এই হিন্দুরা কোথায় গেল? ভারতে। কেন তারা ভারতে হিজরত অব্যাহত রেখেছেন? হেতু সাম্প্রদায়ীকতার আঘাত। তাই যদি হবে তবে ভারতের ত্রিশ শতাংশ মুসলমানের সংখ্যা ইতিমধ্যেই কমে যাবার কথা ছিলো কারণ বাংলাদেশের চেয়ে হাজারগুন বেশী সাম্প্রদায়ীক ভারত। ভারতে বাংলাদেশের চেয়ে হাজার গুন বেশী সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা হয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে। তো ভারত থেকে তো কোন মুসলমান সাম্প্রদায়ীকতার শিকার হয়ে পাকিস্তানে যেমন হিজরত করেনা তেমনি বাংলাদেশেও আসেনা । বরং ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেতাদের ভাষ্য হলো ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটছে এটা সামাল দিতে তেনারা হিন্দুদের বেশী বেশী সন্তান উৎপাদনের পরামর্শ দিচ্ছেন। তাহলে সাব্যস্ত হলো সাম্প্রদায়ীকতার কারণে কেউ দেশ ত্যাগ করেনা। তাহলে বাংলাদেশের হিন্দু ভাই বোনেরা ভারতে পাড়ি জমান কেন? এর অনেক কারণ আছে যেমন:
এক। ভারত ভাগের সময় একটা গনস্হানান্তরন হয়েছিল ফলে অনেক মুসলমান যেমন ভারত থেকে পাকিস্তান এবং পুর্ব পাকিস্তানে হিজরত করেছিলো তেমনি পাকিস্তান ও পুর্ব পাকিস্তান থেকেও অনেক হিন্দু এবং শিখ ভারতে চলে গিয়েছিল।
দুই। পুর্ব পাকিস্তানের অনেক প্রজাপিড়ক হিন্দু রাজা, জমিদার এবং জোতদার প্রজাদের দ্বারা নিগৃহীত হবার ভয়ে ভারতে চলে যায়।
তিন। অনেক হিন্দু পুর্ব পাকিস্তানে/ বাংলাদেশে নিজ কর্ম ফলে নি:স্ব হয়ে জীবিকার সন্ধানে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে এখনও তা অব্যাহত আছে।
চার। অনেক হিন্দু মামলা মোকদ্দমা এড়াতে ভারতে চলে যায়।
পাঁচ। অনেক হিন্দু আমলা চাকরি শেষে পেনশনের টাকা পয়সা নিয়ে কলকাতায় বসবাসের জন্য যায়।
ছয়। অনেক সন্ত্রাসী হিন্দু আইন শৃংখলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে ভারতে লুকিয়ে থাকে।
সাত। অনেক হিন্দু বড় অকারের ব্যাংক লোন নিয়ে তা পরিশোধ নাকরে ভারতে পালিয়ে যায় ।
আট। অনেক হিন্দু ঝৃণ মহাজনের দায় থেকে পালিয়ে থাকতে ভারতে পাড়ি জমায়।
নয়। বাংলাদেশের প্রায় সকল সচ্ছল হিন্দুর পশ্চিম বাংলায় সেকেন্ড হোম আছে যেখানে তার পরিবারের কিছু লোক ঐসব স্হাপনার দেখভাল করে।
দশ। বাংলাদেশর মারোয়াড়ীরা বিবাহযোগ্যা মেয়েদের ভারতে পাঠিয়ে দেয় ভারতীয় বরের সাথে বিয়ে দেবার জন্য।
এগার । আজকাল অনেক হিন্দু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে কাজের জন্য।
এইসব কারণে সাতচল্লিশ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে এবং কমছে। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো আমাদের কিছু দেশী দালাল এবং কিছু মতলববাজ হিন্দু বিভিন্ন কারণে হিন্দুদের ভারতে চলে যাওয়াকে সাম্প্রদায়ীকতার আঘাতে হচ্ছে দেখাতে প্রাণন্তকর প্রচেষ্টা অব্যাহত ভাবে করে যাচ্ছে।
ইদানিং এই মতলববাজ মহল বলার চেষ্টা করছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কিছু নাই। বাংলাদেশে নাকি সবাই সমান। অর্থাৎ বাংলাদেশের মুসলমানরা জনসংখ্যার নব্বই শতাংশ হবার পরেও সাত শতাংশ হিন্দু, দুই শতাংশ বৌদ্ধ এবং এক শতাংশ খৃষ্টানের সমান। এই সব বলার পিছনে একটি মতলবলবাজী ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে আমার ধারনা হয়। বাংলাদেশে যদি সংখ্যালঘু এবং সংখ্যা গুরুকে সমান করে দেওয়া যায় তবে সরকারি চাকরিতে সবার সমান বা সম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যেমন বাংলাদেশের সাত শতাংশ হিন্দু যদি নব্বই শতাংশ মুসলমানের সমান হয় তবে সরকারী বা জাতীয় চাকরিতে সাত শতাংশ হিন্দু পঞ্চাশ কিংবা ষাট শতাংশ জাতীয় চাকরিতে বহাল হতে কোনো অসুবিধা থাকেনা। হচ্ছেও তাই। আজ কোনো কোনো জরিপে দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে সাত শতাংশ হিন্দু কুড়ি/ উনত্রিশ শতাংশ সরকারি চাকরিতে বহাল হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে তারা জাতীয় চাকরিতে নব্বই শতাংশ মুসলমানকে ছাড়িয়ে পঞ্চাশ শতাংশে বহাল হবে।
এই দেশী মতলবলবাজরা সব সময় ভারতকে মহান হিসাবে উত্থাপনের কসরত করে। কিন্ত ভুলেও উচ্চারণ করেনা ভারতের ত্রিশ শতাংশ মুসলমানের জন্য ভারতের জাতীয় চাকরির কোটা মাত্র দেড় শতাংশ। অর্থাৎ ভারতের ত্রিশ শতাংশ মুসলমান মাত্র দেড় শতাংশ সরকারি পদে চাকরি করে। তাও সেই পদগুলোর দুই/ একটি ছাড়া সব পদই অতী নিন্ম মানের। আমার বলার উদ্দেশ্য এই নয় যে সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করতে হবে। আমি বলতে চাই যারা জাতীয় জনসংখ্যার যত শতাংশ জাতীয় চাকরিতে তাদের কোটা যেন ততশতাংশের বেশী নাহয় । যেমন বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা সাত/ আট শতাংশ। সরকারি চাকরিতে হিন্দর সংখ্যা সাত/ আট শতাংশের বেশী যেন নাহয়। এটা নিশ্চিত করা নাহলে সমাজে অসংগতির সৃষ্টি হবে এবং রেশারেশী বৃদ্ধি পাবে যা কাম্য নয়।
জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান ।
প্রাক্তন মহাপরিচালক বিডিআর ।
বাংলাদেশের হিন্দু ভাই বোনদের প্রসঙ্গ আসলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ভারতের কথা চলে আসে। যেমন সাতচল্লিশে বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যক তেত্রিশ শতাংশ ছিলো। পাকিস্তান আমলে কমে বাইশ শতাংশের নীচে নেমে আসে। স্বাধীন বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা এখন সাত/ আট শতাংশ হবে। এই হিন্দুরা কোথায় গেল? ভারতে। কেন তারা ভারতে হিজরত অব্যাহত রেখেছেন? হেতু সাম্প্রদায়ীকতার আঘাত। তাই যদি হবে তবে ভারতের ত্রিশ শতাংশ মুসলমানের সংখ্যা ইতিমধ্যেই কমে যাবার কথা ছিলো কারণ বাংলাদেশের চেয়ে হাজারগুন বেশী সাম্প্রদায়ীক ভারত। ভারতে বাংলাদেশের চেয়ে হাজার গুন বেশী সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা হয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে। তো ভারত থেকে তো কোন মুসলমান সাম্প্রদায়ীকতার শিকার হয়ে পাকিস্তানে যেমন হিজরত করেনা তেমনি বাংলাদেশেও আসেনা । বরং ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেতাদের ভাষ্য হলো ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটছে এটা সামাল দিতে তেনারা হিন্দুদের বেশী বেশী সন্তান উৎপাদনের পরামর্শ দিচ্ছেন। তাহলে সাব্যস্ত হলো সাম্প্রদায়ীকতার কারণে কেউ দেশ ত্যাগ করেনা। তাহলে বাংলাদেশের হিন্দু ভাই বোনেরা ভারতে পাড়ি জমান কেন? এর অনেক কারণ আছে যেমন:
এক। ভারত ভাগের সময় একটা গনস্হানান্তরন হয়েছিল ফলে অনেক মুসলমান যেমন ভারত থেকে পাকিস্তান এবং পুর্ব পাকিস্তানে হিজরত করেছিলো তেমনি পাকিস্তান ও পুর্ব পাকিস্তান থেকেও অনেক হিন্দু এবং শিখ ভারতে চলে গিয়েছিল।
দুই। পুর্ব পাকিস্তানের অনেক প্রজাপিড়ক হিন্দু রাজা, জমিদার এবং জোতদার প্রজাদের দ্বারা নিগৃহীত হবার ভয়ে ভারতে চলে যায়।
তিন। অনেক হিন্দু পুর্ব পাকিস্তানে/ বাংলাদেশে নিজ কর্ম ফলে নি:স্ব হয়ে জীবিকার সন্ধানে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে এখনও তা অব্যাহত আছে।
চার। অনেক হিন্দু মামলা মোকদ্দমা এড়াতে ভারতে চলে যায়।
পাঁচ। অনেক হিন্দু আমলা চাকরি শেষে পেনশনের টাকা পয়সা নিয়ে কলকাতায় বসবাসের জন্য যায়।
ছয়। অনেক সন্ত্রাসী হিন্দু আইন শৃংখলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে ভারতে লুকিয়ে থাকে।
সাত। অনেক হিন্দু বড় অকারের ব্যাংক লোন নিয়ে তা পরিশোধ নাকরে ভারতে পালিয়ে যায় ।
আট। অনেক হিন্দু ঝৃণ মহাজনের দায় থেকে পালিয়ে থাকতে ভারতে পাড়ি জমায়।
নয়। বাংলাদেশের প্রায় সকল সচ্ছল হিন্দুর পশ্চিম বাংলায় সেকেন্ড হোম আছে যেখানে তার পরিবারের কিছু লোক ঐসব স্হাপনার দেখভাল করে।
দশ। বাংলাদেশর মারোয়াড়ীরা বিবাহযোগ্যা মেয়েদের ভারতে পাঠিয়ে দেয় ভারতীয় বরের সাথে বিয়ে দেবার জন্য।
এগার । আজকাল অনেক হিন্দু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে কাজের জন্য।
এইসব কারণে সাতচল্লিশ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে এবং কমছে। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো আমাদের কিছু দেশী দালাল এবং কিছু মতলববাজ হিন্দু বিভিন্ন কারণে হিন্দুদের ভারতে চলে যাওয়াকে সাম্প্রদায়ীকতার আঘাতে হচ্ছে দেখাতে প্রাণন্তকর প্রচেষ্টা অব্যাহত ভাবে করে যাচ্ছে।
ইদানিং এই মতলববাজ মহল বলার চেষ্টা করছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কিছু নাই। বাংলাদেশে নাকি সবাই সমান। অর্থাৎ বাংলাদেশের মুসলমানরা জনসংখ্যার নব্বই শতাংশ হবার পরেও সাত শতাংশ হিন্দু, দুই শতাংশ বৌদ্ধ এবং এক শতাংশ খৃষ্টানের সমান। এই সব বলার পিছনে একটি মতলবলবাজী ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে আমার ধারনা হয়। বাংলাদেশে যদি সংখ্যালঘু এবং সংখ্যা গুরুকে সমান করে দেওয়া যায় তবে সরকারি চাকরিতে সবার সমান বা সম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যেমন বাংলাদেশের সাত শতাংশ হিন্দু যদি নব্বই শতাংশ মুসলমানের সমান হয় তবে সরকারী বা জাতীয় চাকরিতে সাত শতাংশ হিন্দু পঞ্চাশ কিংবা ষাট শতাংশ জাতীয় চাকরিতে বহাল হতে কোনো অসুবিধা থাকেনা। হচ্ছেও তাই। আজ কোনো কোনো জরিপে দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে সাত শতাংশ হিন্দু কুড়ি/ উনত্রিশ শতাংশ সরকারি চাকরিতে বহাল হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে তারা জাতীয় চাকরিতে নব্বই শতাংশ মুসলমানকে ছাড়িয়ে পঞ্চাশ শতাংশে বহাল হবে।
এই দেশী মতলবলবাজরা সব সময় ভারতকে মহান হিসাবে উত্থাপনের কসরত করে। কিন্ত ভুলেও উচ্চারণ করেনা ভারতের ত্রিশ শতাংশ মুসলমানের জন্য ভারতের জাতীয় চাকরির কোটা মাত্র দেড় শতাংশ। অর্থাৎ ভারতের ত্রিশ শতাংশ মুসলমান মাত্র দেড় শতাংশ সরকারি পদে চাকরি করে। তাও সেই পদগুলোর দুই/ একটি ছাড়া সব পদই অতী নিন্ম মানের। আমার বলার উদ্দেশ্য এই নয় যে সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করতে হবে। আমি বলতে চাই যারা জাতীয় জনসংখ্যার যত শতাংশ জাতীয় চাকরিতে তাদের কোটা যেন ততশতাংশের বেশী নাহয় । যেমন বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা সাত/ আট শতাংশ। সরকারি চাকরিতে হিন্দর সংখ্যা সাত/ আট শতাংশের বেশী যেন নাহয়। এটা নিশ্চিত করা নাহলে সমাজে অসংগতির সৃষ্টি হবে এবং রেশারেশী বৃদ্ধি পাবে যা কাম্য নয়।
জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান ।
প্রাক্তন মহাপরিচালক বিডিআর ।
No comments:
Post a Comment