প্রত্যেক চন্দ্র মাসে কিছু নফল রোজা রাখার ফজিলত ।
আসুন আমরা আমাদের জীবনকে সুন্দর আনন্দময় করতে প্রতি মাসে এই নফল রোজা গুলো রাখার চেষ্টা করি । আল্লাহ আমাদের সহায়ক হোক ।
আইয়ামে বীযের রোযা প্রত্যেক চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখের রোজার ফজিলত ।
প্রত্যেক চাঁদ মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখকে আইয়ামে বীয বলে। এ হচ্ছে শুক্লপক্ষের বিশেষ কয়েকটি দিন। এগুলোকে বলা হয় আইয়ামে বীয- (উজ্জ্বল জোস্না প্লাবিত তারিখগুলো)। নবী (স) এ দিনগুলোর রোযার বড়ো তাকীদ করতেন।
হযরত কাতাদাহ বিন মালহান (রা) বলেন, নবী (সা) আমাদেরকে তাকীদ করতেন যে, আমরা যেন চাঁদের তের, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রোযা রাখি। তিনি বলতেন, এ তিন রোযা সওয়াবের দিক দিয়ে হামেশা রোযা রাখার বরাবর। (আবু দাউদ, নাসায়ী)।
প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা
হাদিসে এসেছে—
عن أبي هريرة رضى الله عنهقال : أوصاني خليلي صلى الله عليه وسلم بثلاث : صيام ثلاثة أيام من كل شهر، وركعتي الضحى، وأن أوتر قبل أن أنام ( رواه البخاري)
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলেন, আমার বন্ধু আমাকে তিনটি বিষয়ের উপদেশ দিয়েছেন : প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখা, দ্বি-প্রহরের পূর্বে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা ওনিদ্রার পূর্বে বিতিরের নামাজ আদায় করা। (বোখারি)
এ তিনটি রোজা আদায় করলে পূর্ণ বছর নফল রোজা আদায়ের সওয়াব লাভের কথা এসেছে। একটি নেক আমলের সওয়াব কমপক্ষে দশগুণ দেয়াহয়। তিন দিনের রোজার সওয়াব দশগুণ করলে ত্রিশ দিন হয়। যেমন আবু কাতাদা রা. হতে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে—
صوم ثلاثة أيام من كل شهر ورمضان إلى رمضان صوم الدهر ( رواه مسلم)
প্রত্যেক মাসে তিনটি রোজাও এক রমজানের পর পরবর্তী রমজানে রোজা পালন পূর্ণ বছর রোজা পালনের সমান। ( মুসলিম)
মাসের যে তিন দিন রোজা রাখা হবে সে তিন দিনকে হাদিসের পরিভাষায় বলা হয় ‘আইয়ামুল বিজ’। এ তিন দিন হল চান্দ্র মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখ। বিজ শব্দের অর্থ আলোকিত। এ তিন দিনের রাতগুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চাঁদের আলোতে আলোকিত থাকে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রোজা গুরুত্বসহকারে আদায় করতেন। হাদিসে এসেছে—
عن ابن عباس رضى الله عنهما قال : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يفطر أيام البيض في سفر ولا في حضر (رواه النسائي)
ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসাফির ও মুকিম কোন অবস্থাতেই এ রোজা ত্যাগ করতেন না। ( নাসায়ি)।
সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোজার ফজিলত:
নবী (স) স্বয়ং সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন এবং সাহাবীগণকে রাখার তাকীদ করতেন। হযরত আয়েশা (রা) বলেন, নবী (সা) সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। (তিরমিযি, নাসায়ী)
উম্মতকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যে নবী (সা) বলেন,সোম ও বৃহস্পতিবার আমল (আল্লাহর দরবারে) পেশ করা হয়। আমি চাই যে, যেদিন আমার আমল পেশ করা হয় সেদিন রোযা রাখি। (তিরমিযি)
একবার সাহাবীগণ নবী (স)কে সোমবার রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জবাবে বললেনঃ ঐদিন আমার জন্ম হয়েছিল এবং ঐদিনই আমার ওপর কুরআন নাযিল হওয়া শুরু হয়। (মুসলিম)।
সপ্তাহে দু’দিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা পালন সুন্নত। হাদিসে এসেছে—
عن أبي قتادة رضى الله عنهأن رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل عن صوم يوم الاثنين، فقال : ذلك يوم ولدت فيه ويوم بعثت فيه أوأنزل علي فيه ( رواه مسلم)
আবু কাতাদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সোমবারে সিয়াম পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন এ দিনে আমার জন্ম হয়েছে এবং এ দিনে আমাকে নবুওয়াত দেয়া হয়েছে বা আমার উপর কোরআন নাজিল শুরু হয়েছে। ( মুসলিম)
হাদিসে এসেছে :—
عن أبي هريرة رضى الله عنهعن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: تعرض الأعمال يوم الاثنين والخميس، فأحب أن يعرض عملي وأنا صائم (رواه الترمذي رواه مسلم بغير ذكر الصوم)
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। কাজেই আমি পছন্দ করি যখন আমার আমল পেশ করা হবে তখন আমি রোজা অবস্থায় থাকব।’ (মুসলিম ও তিরমিজি।
একদিন পর পর রোজা পালন,
রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—
أحب الصيام إلى الله صيام داود، وكان يصوم يوما ويفطر يوما. (رواه مسلم)
‘আল্লাহর কাছে (নফল রোজার মধ্যে) সবচেয়ে প্রিয় রোজা হল দাউদ আ.-এর রোজা । তিনি একদিন রোজা রাখতেন ও একদিন ভঙ্গ করতেন।’ ( মুসলিম)।
নফল রোজার ফজিলত:
রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরিফে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক বস্তুর জাকাত আছে, শরীরের জাকাত রোজা।’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘রোজা ঢালস্বরূপ এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার সুদৃঢ় দুর্গ।’ (নাসায়ি)।
হজরত ইবনে খুজাইমা ও হাকিম আবু ইমাম বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আপনি আমাদের কিছু আমল করার উপদেশ দান করুন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রোজা অবলম্বন করো, এর সমকক্ষ কোনো আমল নেই।’ তাঁরা পুনরায় বললেন, আমাদের কোনো আমল বলে দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রোজা অবলম্বন করো, এর সমতুল্য কোনো আমল নেই।’ তাঁরা পুনরায় একই প্রার্থনা করলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) পুনরায় একই আদেশ করলেন। (সুনানু নাসায়ি)।
হজরত মুআজ ইবনে আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস ছাড়া অন্য সময় আল্লাহ তাআলার জন্য একটি রোজা রাখবে; দ্রুতগামী ঘোড়া ১০০ বছরে যত দূর রাস্তা অতিক্রম করতে পারে, দোজখ তার কাছ থেকে তত দূরে অবস্থান করবে।’ (তিরমিজি ও নাসায়ি)।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার জন্য একটি রোজা রাখবে, আল্লাহ তাআলা তার মুখমণ্ডল দোজখের আগুন থেকে ৭০০ বছরের রাস্তা দূরে রাখবেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
হজরত আবু দারদা (রা.) ও হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার জন্য পালনকৃত একটি রোজার ফলে জাহান্নাম (ওই রোজাদার ব্যক্তি থেকে) আসমান-জমিনের দূরত্বে অবস্থান করবে।’ (তিরমিজি ও তাবরানি)।
হজরত ওমর (রা.) ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দোজখ রোজাদার ব্যক্তি থেকে ১০০ বছরের দূরত্বে থাকবে।’ (তাবরানি)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য যে ব্যক্তি একটি রোজা পালন করবে, একটি কাকের সারা জীবন উড়ে যত দূর পথ অতিক্রম করা সম্ভব, জাহান্নাম তার কাছ থেকে তত দূরে থাকবে।’ (তরিকুল ইসলাম)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি কেউ এক দিন নফল রোজা রাখে, তবে তার যে সওয়াব হবে, তা পৃথিবীর সমান স্বর্ণ দান করলেও তার সমান হবে না।’ (তাবরানি ও আবু ইয়ালি)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদার ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়। (বায়হাকি)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, হাদিসে কুদসিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, রোজা আমারই জন্য, আমি নিজেই তার প্রতিদান দেব; রোজা আমারই জন্য আমি নিজেই তার প্রতিদান।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
আসুন আমরা আমাদের জীবনকে সুন্দর আনন্দময় করতে প্রতি মাসে এই নফল রোজা গুলো রাখার চেষ্টা করি । আল্লাহ আমাদের সহায়ক হোক ।
আইয়ামে বীযের রোযা প্রত্যেক চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখের রোজার ফজিলত ।
প্রত্যেক চাঁদ মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখকে আইয়ামে বীয বলে। এ হচ্ছে শুক্লপক্ষের বিশেষ কয়েকটি দিন। এগুলোকে বলা হয় আইয়ামে বীয- (উজ্জ্বল জোস্না প্লাবিত তারিখগুলো)। নবী (স) এ দিনগুলোর রোযার বড়ো তাকীদ করতেন।
হযরত কাতাদাহ বিন মালহান (রা) বলেন, নবী (সা) আমাদেরকে তাকীদ করতেন যে, আমরা যেন চাঁদের তের, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রোযা রাখি। তিনি বলতেন, এ তিন রোযা সওয়াবের দিক দিয়ে হামেশা রোযা রাখার বরাবর। (আবু দাউদ, নাসায়ী)।
প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা
হাদিসে এসেছে—
عن أبي هريرة رضى الله عنهقال : أوصاني خليلي صلى الله عليه وسلم بثلاث : صيام ثلاثة أيام من كل شهر، وركعتي الضحى، وأن أوتر قبل أن أنام ( رواه البخاري)
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলেন, আমার বন্ধু আমাকে তিনটি বিষয়ের উপদেশ দিয়েছেন : প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখা, দ্বি-প্রহরের পূর্বে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা ওনিদ্রার পূর্বে বিতিরের নামাজ আদায় করা। (বোখারি)
এ তিনটি রোজা আদায় করলে পূর্ণ বছর নফল রোজা আদায়ের সওয়াব লাভের কথা এসেছে। একটি নেক আমলের সওয়াব কমপক্ষে দশগুণ দেয়াহয়। তিন দিনের রোজার সওয়াব দশগুণ করলে ত্রিশ দিন হয়। যেমন আবু কাতাদা রা. হতে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে—
صوم ثلاثة أيام من كل شهر ورمضان إلى رمضان صوم الدهر ( رواه مسلم)
প্রত্যেক মাসে তিনটি রোজাও এক রমজানের পর পরবর্তী রমজানে রোজা পালন পূর্ণ বছর রোজা পালনের সমান। ( মুসলিম)
মাসের যে তিন দিন রোজা রাখা হবে সে তিন দিনকে হাদিসের পরিভাষায় বলা হয় ‘আইয়ামুল বিজ’। এ তিন দিন হল চান্দ্র মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখ। বিজ শব্দের অর্থ আলোকিত। এ তিন দিনের রাতগুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চাঁদের আলোতে আলোকিত থাকে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রোজা গুরুত্বসহকারে আদায় করতেন। হাদিসে এসেছে—
عن ابن عباس رضى الله عنهما قال : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يفطر أيام البيض في سفر ولا في حضر (رواه النسائي)
ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসাফির ও মুকিম কোন অবস্থাতেই এ রোজা ত্যাগ করতেন না। ( নাসায়ি)।
সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোজার ফজিলত:
নবী (স) স্বয়ং সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন এবং সাহাবীগণকে রাখার তাকীদ করতেন। হযরত আয়েশা (রা) বলেন, নবী (সা) সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। (তিরমিযি, নাসায়ী)
উম্মতকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যে নবী (সা) বলেন,সোম ও বৃহস্পতিবার আমল (আল্লাহর দরবারে) পেশ করা হয়। আমি চাই যে, যেদিন আমার আমল পেশ করা হয় সেদিন রোযা রাখি। (তিরমিযি)
একবার সাহাবীগণ নবী (স)কে সোমবার রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জবাবে বললেনঃ ঐদিন আমার জন্ম হয়েছিল এবং ঐদিনই আমার ওপর কুরআন নাযিল হওয়া শুরু হয়। (মুসলিম)।
সপ্তাহে দু’দিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা পালন সুন্নত। হাদিসে এসেছে—
عن أبي قتادة رضى الله عنهأن رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل عن صوم يوم الاثنين، فقال : ذلك يوم ولدت فيه ويوم بعثت فيه أوأنزل علي فيه ( رواه مسلم)
আবু কাতাদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সোমবারে সিয়াম পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন এ দিনে আমার জন্ম হয়েছে এবং এ দিনে আমাকে নবুওয়াত দেয়া হয়েছে বা আমার উপর কোরআন নাজিল শুরু হয়েছে। ( মুসলিম)
হাদিসে এসেছে :—
عن أبي هريرة رضى الله عنهعن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: تعرض الأعمال يوم الاثنين والخميس، فأحب أن يعرض عملي وأنا صائم (رواه الترمذي رواه مسلم بغير ذكر الصوم)
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। কাজেই আমি পছন্দ করি যখন আমার আমল পেশ করা হবে তখন আমি রোজা অবস্থায় থাকব।’ (মুসলিম ও তিরমিজি।
একদিন পর পর রোজা পালন,
রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—
أحب الصيام إلى الله صيام داود، وكان يصوم يوما ويفطر يوما. (رواه مسلم)
‘আল্লাহর কাছে (নফল রোজার মধ্যে) সবচেয়ে প্রিয় রোজা হল দাউদ আ.-এর রোজা । তিনি একদিন রোজা রাখতেন ও একদিন ভঙ্গ করতেন।’ ( মুসলিম)।
নফল রোজার ফজিলত:
রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরিফে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক বস্তুর জাকাত আছে, শরীরের জাকাত রোজা।’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘রোজা ঢালস্বরূপ এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার সুদৃঢ় দুর্গ।’ (নাসায়ি)।
হজরত ইবনে খুজাইমা ও হাকিম আবু ইমাম বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আপনি আমাদের কিছু আমল করার উপদেশ দান করুন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রোজা অবলম্বন করো, এর সমকক্ষ কোনো আমল নেই।’ তাঁরা পুনরায় বললেন, আমাদের কোনো আমল বলে দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রোজা অবলম্বন করো, এর সমতুল্য কোনো আমল নেই।’ তাঁরা পুনরায় একই প্রার্থনা করলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) পুনরায় একই আদেশ করলেন। (সুনানু নাসায়ি)।
হজরত মুআজ ইবনে আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস ছাড়া অন্য সময় আল্লাহ তাআলার জন্য একটি রোজা রাখবে; দ্রুতগামী ঘোড়া ১০০ বছরে যত দূর রাস্তা অতিক্রম করতে পারে, দোজখ তার কাছ থেকে তত দূরে অবস্থান করবে।’ (তিরমিজি ও নাসায়ি)।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার জন্য একটি রোজা রাখবে, আল্লাহ তাআলা তার মুখমণ্ডল দোজখের আগুন থেকে ৭০০ বছরের রাস্তা দূরে রাখবেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
হজরত আবু দারদা (রা.) ও হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার জন্য পালনকৃত একটি রোজার ফলে জাহান্নাম (ওই রোজাদার ব্যক্তি থেকে) আসমান-জমিনের দূরত্বে অবস্থান করবে।’ (তিরমিজি ও তাবরানি)।
হজরত ওমর (রা.) ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দোজখ রোজাদার ব্যক্তি থেকে ১০০ বছরের দূরত্বে থাকবে।’ (তাবরানি)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য যে ব্যক্তি একটি রোজা পালন করবে, একটি কাকের সারা জীবন উড়ে যত দূর পথ অতিক্রম করা সম্ভব, জাহান্নাম তার কাছ থেকে তত দূরে থাকবে।’ (তরিকুল ইসলাম)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি কেউ এক দিন নফল রোজা রাখে, তবে তার যে সওয়াব হবে, তা পৃথিবীর সমান স্বর্ণ দান করলেও তার সমান হবে না।’ (তাবরানি ও আবু ইয়ালি)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদার ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়। (বায়হাকি)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, হাদিসে কুদসিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, রোজা আমারই জন্য, আমি নিজেই তার প্রতিদান দেব; রোজা আমারই জন্য আমি নিজেই তার প্রতিদান।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
No comments:
Post a Comment