Sunday 4 December 2016

ভারতের উগ্র সাম্প্রদায়িক বর্ণ হিন্দু ব্রাহ্মণ ধর্মগুরুদের আশ্রম মন্দিরে সেক্স দর্শন ।

ভারতের উগ্র সাম্প্রদায়িক বর্ণ হিন্দু ব্রাহ্মণ ধর্মগুরুদের আশ্রম মন্দিরে সেক্স দর্শন ।

ইন্ডিয়াতে আধ্যাত্মিক গুরুদের কমতি নেই বললেই চলে। তাদের বিভিন্ন ধর্ম বিরোধী কার্যকলাপ সকলেরই কম-বেশি জানা রয়েছে। তাদের কেউ কেউ স্বর্গে যাবার অগ্রিম টিকেট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তাদের মধ্যে অনেকেই বিপরীত লিঙ্গের সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ধরণের অদ্ভুদ কেলেঙ্কারিতে তারা লিপ্ত। গতকাল তাদের মধ্যে একজন অন্য ধর্ম বিষয়ক মন্তব্য করে সমালোচনার সৃষ্টি করেছেন। একজন সাংবাদিক আমাদের এক নামকরা ধর্মগুরু (হুজুর)কে আচমকা প্রশ্ন করে বসলেন-আচ্ছা, সন্তান লাভের আশায় আগত বন্ধা নারীরা তাদের পিরিয়ডের ১৩ দিবসে এসে আপনার ফু-দেয়া ডিম খায়, তারপর অজ্ঞান হয়ে যায়। এভাবে কয়েক মাস গেলেই অনেকের বাচ্ছা হয়, কিন্তু প্রস্ন হচ্ছে-প্রায় সব বাচ্ছাদের চেহেরা এক রকম কেন? এই প্রস্নের পরের ঘঠনা রক্তকান্ড, যা মিডিয়া তোলপাড করেছে অনেকদিন। ভারতেও এধরনের ধর্মগুরুদের অভাব নেই। এঁদের কেউ কেউ নিজেকে দাবি করেন অবতার বলে, কেউ বা ভগবান কেউ বা সাধু, ঋষি । যেমন-http://www.wonderslist.com/10-curious-scandals-of-indian-swamis/

১. সাধ্বী দেবা ঠাকুর:
মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জোর করেই নির্বিজকরণ করিয়ে দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করলেন ভারতের হিন্দু মহাসভার অন্যতম শীর্ষ নেত্রী সাধ্বী দেবা ঠাকুর। শনিবার এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “মুসলিম ও খ্রিস্টানদের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রকে জরুরি অবস্থা জারি করতে হবে। সেখানে সব মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জোর করে নির্বিজকরণ করাতে হবে, যাতে তারা সংখ্যা বৃদ্ধি না করতে পারে”। সাধ্বী জানান, হিন্দুদের উচিত অধিক সন্তানের জন্ম দিয়ে সম্প্রদায়ের সংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দেয়া, যাতে সারা বিশ্বে এর প্রভাব পড়ে। এখানেই শেষ নয়। সাধ্বী এর পাশাপাশি আরও একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি জানান, হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তি মসজিদ ও গির্জায় বসাতে হবে। পাশাপাশি, নাথুরাম গডসেকে ‘দেশপ্রেমী’ বলে উল্লেখ করে হরিয়ানায় তাঁর মূর্তি বসানোর জোর সওয়াল করেন তিনি।https://www.google.co.uk/amp/m.rediff.com/amp/news/report/pix-india-10-most-controversial-gurus/20141120.htm?client=ms-android-huawei

২. আধ্যাত্মিক স্বামী রভি সঙ্কর:
গত ডিসেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্টের homosxuality decriminalizing 2009 ল্যান্ডমার্ক ফয়সালা সংস্করন করা হলে, আধ্যাত্মিক স্বামী রবি শংকর টুইটার লিখেছিলেন - " সমকামিতা হিন্দু সংস্কৃতিতে একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। আসলে, প্রভু Ayyappa(বিষ্ণু ও শিব ) হরি – হারা হিসেবেই জন্মগ্রহণ করেন "।http://theinnerwisdomproject.com/books/sex-lies-and-two-hindu-gurus/

পরে তিনি টুইট করেছেন - " সমকামীতা, কোনো অপরাধের মধ্যে পরে না। সবার মাঝেই পুরুষ এবং মহিলার উপাদান আছে। তাদের কর্তৃত্ব মতে, প্রবণতা এবং পরিবর্তনও হতে পারে "। অন্য পোস্টে শ্রী শ্রী লিখেছেন -". কাউকে তার যৌন বৈষম্য এর জন্য মুখোমুখি করা উচিত নয়। এই কিম্ভুতকিমাকার জন্য কাউকে অপরাধী হিসেবে ব্র্যান্ডেড করা ঠিক হবে না "।

https://www.google.co.uk/amp/s/amp.cnn.com/cnn/2015/08/06/us/guru-convicted-of-abusing-followers-children-fled-justice/index.html?client=ms-android-huawei

৩. মহারিসি মহেশ যোগী:
মহেশ যোগী ১৯৬৮ সালে “দ্যা বিটলস আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা” হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। দ্যা বিটলস এর জন লেনন তাদের ভারত সফরের সময় একটি গান প্রচার করেন, গানটির নাম “সেক্সি স্যাডি” ছিল। তারা এর নাম “মহর্ষি” রাখতে চেয়েছিলেন। তখন থেকেই মহেশ যোগীর কলঙ্কের অধ্যায় জানা যায়। তারা ইন্ডিয়া থেকে যাবার সময় গানটি লিখেছিলেন। তারা মহর্ষি এর কুকর্মের কথা জানতে পারেন। তিনি চিকিৎসার নামে মহিলাদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করত। তারপরই তারা ইন্ডিয়া ত্যাগ করেন। মহর্ষি তাদের ইন্ডিয়া ত্যাগ করার কারন জানতে চাইলে তারা বলেন, “আপনি তো মহাজাগতিক। মনের সব কথা বুঝতে পারেন। তাহলে আমাদের মনের কথা জেনে নিন”।http://www.hinduwebsite.com/hinduism/essays/sex-and-gurus.asp

৪. গুরমিত রাম রহিম সিং:
২০০২ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি বেনামী চিঠি পৌঁছালে গুরমিত রাম রহিম সিং আলোচনায় আসেন। চিঠিতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন শোষণের কথা লিখা রয়েছিল। তিনি ডেরাতে বসবাস করত। সেখানে ৩০,৪০ জন মেয়ের চিকিৎসা করা হত। কিন্তু, আসলে সেখানে মেয়েদের পতিতা হিসেবে রাখা হত। চিকিৎসার নামে সেখানে নোংরামি চলত। চিঠিটি সেখানে থাকা একজন মেয়ে লিখেছিলেন। পরবর্তীতে চিঠি অনুযায়ী সেখানে তদন্ত করা হলে, সব অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়।
https://www.amazon.com/Sex-Lies-Hindu-Gurus-Cult/dp/098817510X

৫. ইচ্ছাধারি বাবা ভীম আনন্দ:
২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু পাচারের অভিযোগ গঠন করা হয়। তিনি দিল্লিতে বিমানবালা, শিক্ষার্থী ও বিবাহিত নারীদের ২,৫০,০০০ টাকায় বিক্রয় করে দিত। তার অনেক বড় সংগঠন ছিল এ নিয়ে। এই ইচ্ছাধারি বাবা এসকল কাজ করে প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকা আয় করেন।

ইন্ডিয়াতে এসকল কার্যকলাপ অনেক প্রথম থেকেই চলে আসছে। তবু এদের জন্য পর্যাপ্ত কোন ব্যবস্থা নেই। এখনও প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন তর্কের সৃষ্টি করছেন, তাদের মধ্যেই বিভিন্ন সাধবি বাবা, যোগী, মহারিসি ইত্যাদি আধ্যাত্মিক গুরুগণ।

রামপাল
হরিয়ানা রাজ্যের এই ধর্মগুরুকে গ্রেফতার করতে প্রায় ২৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে ভারক সরকারের। তাঁর আশ্রম থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি বারুদ, বুলেট পুরুফ জ্যাকেট, কমান্ডোদের পোশাক, পেট্রোল বোমা ৫ হাজার লাঠির সঙ্গে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা ও গর্ভ নিরোধক সরঞ্জামই বেশী উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার ১২ একর আশ্রমে তল্লাশি চালিয়ে গোপন সুড়ঙ্গ পথে ঢুকে পুলিশ খোঁজ পেয়েছে ২৪টি সেক্স করার এসি্ কামরা, ম্যাসাজ পার্লার, এলিভেটর, সুইমিং পুলসহ বিলাসবহুল সেক্স সামগ্রী।

চন্দ্রস্বামী:
একাধিক রাজনীতিকদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল তার। রাজীব গান্ধী হত্যায় তাঁর যোগসূত্র ছিল বলে দাবি করা হয়।  রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের নারী যোগানদাতা হিসাবে প্রমাণ মেলে।

ধীরেন ব্রহ্মচারী:
তিনি ইন্দিরা গান্ধীর যোগগুরু ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের ধরণ নিয়ে সেই সময় বিতর্ক ছড়ায়।  কারন
মেয়েদের শরীরের নেশায় মেতে থাকতেন এই সাধক।

গুরমীত রাম রহিম সিং:
ডেরা সাচ্চা সওদা গোষ্ঠীর প্রধান গুরু। সিরসায় গোষ্ঠীর সদর দফতরে মহিলা ভক্তদের ধর্ষণের অভিযোগে সমালোচনা তাঁর বিরুদ্ধে।

আসারাম বাপু:
আশ্রমের গুরুকুলে দুই বালকের হত্যার অভিযোগে প্রথম খবরে আসেন। মহিলা ভক্তদের ধর্ষণের দায়ে আপাতত জেলবন্দি। ধরা পড়েছেন তাঁর ছেলেও।

নিত্যানন্দ স্বামী:
এক দক্ষিণী অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর যৌনসম্পর্কের ভিডিও ফুটেজ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয় তাঁকে নিয়ে।

স্বামী প্রেমানন্দ:
তিরুচিরাপল্লি আশ্রমের এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ১৩ জন মহিলাকে ধর্ষণ করার প্রমাণ মেলে। এক শ্রীলংকার নাগরিককে হত্যার অভিযোগও ছিল।

স্বামী সদাচারী:
একসময় প্রভাবশালী ছিলেন খুবই। যৌনপল্লী চালানোর দায়ে আপাতত জেলে আছেন।

স্বামী ভীমানন্দ জি মহারাজ :
১৯৯৭ সালে দেহ ব্যবসা চালানোর দায়ে লাজপত নগর থেকে গ্রেফতার হন। জেল থেকে বেরিয়ে নিজেকে সাই বাবার শিষ্য বলে পরিচয় দেন।

মহাঋষি মহেশ যোগী:
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ধর্মগুরু বলে দাবি। দেশের নানা জায়গায় ও বাইরের একাধিক দেশে আশ্রম রয়েছে। মহিলা ভক্তদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াসহ টাকা পয়সা নয়-ছয়ের অভিযোগ ওঠে।

ভগবান রজনীশ:
রাজনীতি, ধর্ম, যৌনতা-সহ নানা বিষয়ে ছকভাঙা মতামতের জন্য বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন। ঘন্টার পর ঘন্টা আধ্যাত্মিক সেক্স সাধনার নামে যৌন চর্চা বিশ্বব্যাপী আলোডন সৃষ্টি করে।

স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাধে মা:
ভারতে ধর্ম গুরুদের নিয়ে অনেকদিন থেকে  বিতর্ক চলছে। তা এখন নতুন মাত্রা পাচ্ছে। স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাধে মাকে নিয়ে বিতর্ক যেন আর থামছেই না। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেন ‘বিগ বস’ খ্যাত অভিনেত্রী ডলি বিন্দ্রা। ডলির অভিযোগ, এক ভক্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তাঁকে জোর করেছিলেন রাধে মা।

তাঁর কথায়, ‘‘রাধে মা আমাকে এক অচেনা লোকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার জন্য জোর করেছিলেন। প্রথমে আমি তাতে রাজি না হলে আমাকে প্রাণে মারাও হুমকি দেন ওর অনুরাগীরা।’’ কিন্তু এ নিয়ে রাধে মা-র বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জানাননি ডলি।

কারণ তিনি মনে করেন, রাধে মা-র ক্ষেত্রে এ ধরনের কাজ খুব স্বাভাবিক। এমনকি সকলের সামনে রাধে মা-র ছেলেও ডলির শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ।

সানি লিওনের ভক্ত এই ধর্মগুরু রাধে মা বারবারই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি প্রয়াত কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রমোদ মহাজনের পুত্র রাহুল মহাজন তাঁর টুইটারে মিনি স্কার্ট পরা রাধে মা-র কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন।

রাহুল লেখেন— গেস হু? ছবিতে ধর্মগুরুর ভূমিকায় নয়, মিনি স্কার্টে লাস্যময়ী ভঙ্গিমায় দেখতে পাওয়া যায় তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘হট অ্যান্ড সেক্সি’ রাধে মাকে দেখে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় রাহুল মহাজনের টুইটার অ্যাকাউন্টটি। এর পরই রাধে মা-র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। যার নবতম সংযোজন ডলির অভিযোগ।
- See more at: http://www.onnodiganta.com/article/detail/4215#sthash.QZ9JhRXg.dpuf

No comments:

Post a Comment