Saturday 20 August 2016

আর্য বা ব্রাহ্মণ্য দর্শন একটি নষ্টা দর্শনের নাম। সেখানে নারী ভোগপণ্য হিসেবে হিন্দু দর্শন: পতিতা তৈরী করে অথবা দেবদাসী বানায় ।


# নারীদের সাথে কোনো স্থায়ী বন্ধুত্ব হতে পারে না। নারীদের হৃদয় হচ্ছে হায়েনাদের হৃদয়। (ঋগবেদ ১০:৯৫:১৫)। 
# বিধবা নারীরা পুনরায় বিয়ে করতে পারবে না। তাদেরকে বরং নিরামিষভোজী ও অত্যন্ত দ্বীনহীনভাবে বাকি জীবন কাটাতে হবে। (মনুসংহিতা ৫)।

 # একজন স্বামী যতই খারাপ হোক না কেন, তথাপি একজন কর্তব্যনিষ্ঠ স্ত্রী সেই স্বামীকে দেবতা হিসেবে ক্রমাগত পূজা করবে। (মনুসংহিতা ৫:১৫৪)। 


সূফি বরষণ 
নারী কখনো জননী, কখনো কন্যা অথবা স্ত্রী। এই সবই নারীর অবস্থান। হিন্দু ধর্মে  নারী কি শুধুমাত্র ভোগপণ্য, সন্তান উৎপাদন ছাড়া তার কি কোন নিজস্ব সত্তা নেই? আর্য দর্শন বা ব্রাহ্মণ্য দর্শন একটি নষ্টা দর্শনের নাম। সেখানে নারীকে ভোগপণ্য হিসেবে হিন্দু দর্শন: পতিতা তৈরী করে অথবা দেবদাসী বানায়। যে দর্শনে নারী সাধারণ সম্মান টুকুও নেই। আসলে ভারতীয় উপমহাদেশে যতসব অশান্তি দাঙ্গা হিংসা বিদ্বেষের মূলে এই উগ্র সাম্প্রদায়িক ধর্ম ব্রাহ্মণ্য দর্শন।   এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে প্রায় ৪২০০ ধর্ম এবং প্রায় ২৮৭০ টা গডের উৎপত্তি হয়েছে বিভিন্ন একেশ্বরবাদী এবং বহুঈশ্বরবাদীদের বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে(কোন এক *Ricky Gervais* দার্শনিকের মতে)।কিন্তু প্রতিটা ধর্মই নারীদের কম বেশী পুরুষতান্ত্রিক সমাজে করে রেখেছে পুরুষের ভোগ্যপণ্য কিংবা দাসী করে।আসুন এবার দেখা যাক,হিন্দু ধর্মে নারীদের অবস্থান সম্পর্কে জেনে নিই।

হিন্দু শাস্ত্রমতে স্ত্রীলোক অত্যান্ত ঘৃন্য জীব। মনু সংহিতার ৯ম অধ্যায় ১৪নং শ্লোকে বলা হয়েছে "স্ত্রীরা পুরুষের সৌন্দর্য বিচার করে না, যুবা কি বৃদ্ধ তাও দেখে না । সুরুপ হোক বা কুরুপ হোক পুরুষ পেলই তার সাখে সম্ভোগের জন্য লালায়িত হয়।" আবার স্কন্ধ পুরানের নাগর খন্ডে ৬০ নং শ্লোকে বলা হয়েছে " নারী জাতির অধরে পিযুষ এবং হৃদয়ে হলাহল পুর্ণ। সুতরাং তাদের অধর আস্বাদন করা এবং হৃদয় পীড়ন করা কর্তব্য।"

উক্ত ধর্মীয় কিধানের কারনেই কুমারী হিন্দু মেয়েদের মন্দিরে সেবাদাসী বা দেবদাসী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়ে থাকে এবং তারা শেষ পযর্ন্ত সেবায়েত, মোহন্ত , পুরোহিতদের লালসার বস্তুতে পরিনত হয়। সতীদাহ প্রথা অনুযায়ী বিধবা স্ত্রীকে স্বামীর চিতায় তোলা হয়, তখন তার মর্মন্তুদ আর্তচিৎকার যাতে বাইরে শোনা না যায়, তজ্জন্য জোরে জোরে বাদ্য বাজানো হতো। ঠিক তেমনি মন্দিরে কুমারী সেবাদাসীদের উপর সেবায়েৎরা বলৎকার করার সময় মেয়েটির আর্তনাদ বাইরে শোনা না যায় তার জন্য মন্দিরে জোরে জোরে কাসর ঘন্টা বাজানো হতো। এখনও ভারতের কোন কোন অঞ্চলে এ সেবাদাসী বা দেবদাসী প্রথা প্রচলিত আছে এবং মন্দিরে কাসর ঘন্টা বাজানো পুজার অপরিহায্য অঙ্গ। বৈদিক সংস্কৃতিতে ঐ ধরনের যৌন নিষ্টুরতার এবং অশ্লীলতার বহু ইতিহাস রয়েছে। পাঠক চাইলে সবগুলো পোস্ট করা হবে।

শিবপুজা:
শিব পুরাণ, মার্কন্ডেয় পুরাণ ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, একদা দূর্গার সাথে সঙ্গমকালে শিব এত বেশী উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন যে, তাতে দুর্গার প্রাননাশের উপক্রম হয়। দুর্গা মনে মনে শ্রীকৃষ্ণকে স্বরন করতে থাকেন, এমন সময় শ্রীকৃষ্ণ আর্ভিভূত হয়ে নিজ হস্তস্থিত সুদর্শন চক্রধারা আঘাত করল উভয়ের সংযুক্ত যৌনাংঙ্গ কেটে আসে। ঐ সংযুক্ত যৌনাঙ্গের মিলিত সংস্করনের নাম বানলিঙ্গ বা শিবলিঙ্গ যা হিন্দু সমাজের একটি প্রধান পূজ্য বস্তু এবং ঐ শিবলিঙ্গের পুজার জন্য বহু বড় বড় শিব মন্দির গড়ে উঠেছে। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে কাসর ঘন্টা বাজিয়ে হিন্দু সমাজ মহাসমারোহে ঐ শিবলিঙ্গ পুজা করে থাকে।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণশ্বরে শিবের সঙ্গমের অবস্থান প্রদর্শনের জন্য পর পর বারটি মন্দির রয়েছে। ঐ মন্দিরগুলিতে সঙ্গমকালীন সময়ের বাররকমের প্রমত্তাবস্থা প্রদর্শন করা হয়েছে। এতে প্রতিদিন হাজার হাজার মহিলা দর্শনার্থীর সমাগম হয়। সেখানে পুরুষ খুবই কম যেতে দেখেছি।

বালখিল্য মুনি:
প্রজাপতি দক্ষের একশত পাঁচটি কন্যার মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠা সতীর বিয়ে হয়েছিল মহাদেবের সাথে। ব্রক্ষ্মা-বিষ্ণু সহ সকল দেবতাই এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলে। দক্ষের অনুরোধে ব্রক্ষ্মাকে এই বিয়েতে পৌরহিত্যের ভার নিতে হয়। বিবাহ অনুষ্ঠানকালে বেদীতে উপবিষ্টা ঘোমটায় ঢাকা সতীর প্রতি দৃষ্টি পড়তেই চতুরানন অর্থাৎ, চার মুখবিশিষ্ট ব্রক্ষ্মা উপস্থিত সকলের অজান্তে সতীর সর্বশরীর দর্শন করে কামতাড়িত হয়ে পড়েন। কিন্তু ঘোমটার কারনে সতীর মুখ দেখা যাচ্ছিল না । কৌশলে সতীর মুখ দেখার জন্য ব্রক্ষ্মা তখন যজ্ঞকুন্ডে কাঁচা কাঠ নিক্ষেপ করেন। ফলে প্রচন্ড ধোঁয়া চারিদিকে ছেয়ে যায় এবং বেদীতে উপবিষ্ট সকলের চোখ বন্ধ হয়ে যায়। এই সুযোগে ব্রক্ষ্মা ঘোমটা সরিয়ে সতীর মুখ দর্শন করেন।

এমনিতেই সতীর সর্বাঙ্গ দর্শন করে ব্রক্ষ্মা কামাতুর হয়ে পড়েছিলেন এখন মুখ দর্শন করে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না, ঐ বেদীর উপরই ব্রক্ষ্মার বীর্য স্খলিত হয়ে পড়ে। কেউ দেখে ফেলবে ভয়ে ব্রক্ষ্মা সেই বীর্যকে বালি চাপা দিয়ে ফেলেন। পরে ঐ বীর্য হতে ৮৮ হাজার মুনির জন্ম হয়, যাদের বলা হয় বালখিল্য মুন। সুত্র : স্কন্ধ পুরানর, নাগর খন্ড, ৭৭ অধ্যায়

রাধা কৃষ্ণ, দোল পুজা এবং হোলি খেলা:
রাধা কৃষ্ণ লীলা সম্পর্কে ব্রক্ষ্ম বৈবর্ত পুরানে বর্নিত আছে ব্রক্ষ্মা বলছেন " হে বৎস! আমার আজ্ঞানুসারে আমার নিয়োজিত কার্য করিতে উদযুক্ত হও।" জগদ্বিধাতা ঈশ্বরের বাক্য শ্রবন করিয়া রাধা কৃষ্ণকে প্রণাম করত: নিজ মন্দিরে গমন করিলেন। ব্রক্ষ্মা প্রস্থান করিলে দেবী রাধিকা সহাস্যবদনে সকটাক্ষ নেত্রে কৃষ্ণের রদনমন্ডল বারংবার দর্শন করত: লজ্জায় মুখ আচ্ছাদন করিলেন। অত্যান্ত কামবানে পীড়িত হওয়াতে রাধিকার সর্বাঙ্গ পুলকিত হইল। তখন তিনি ভক্তিপূর্বক কৃষ্ণকে প্রণাম করত: তাহার শয়নাগারে গমন করিয়া কস্তুরী কুম্কুম মিশ্রিত চন্দন ও অগুরুর পন্ক কৃষ্ণের বক্ষে বিলেপন করিলেন এবং স্বয়ং কপালে তিলক ধারন করিলেন।

তৎপর কৃষ্ণ রাধিকার কর ধারন করিয়া স্বীয় বক্ষে স্থাপন করত: চতুর্বিধ চুম্বনপূর্বক তাহার বস্ত্র শিথিল করিলেন। হে সুমে । রতি যুদ্ধে ক্ষুদ্র ঘন্টিকা সমস্ত বিচ্ছিন্ন হইল, চুম্বনে ওষ্ঠরাগ, আলিঙ্গনে চিত্রিত পত্রাবলী, শৃঙ্গারে করবী ও সিন্দুর তিলক এবং বিপরীত বিহারে অলন্কাঙ্গুর প্রভৃতি দূরীভুত হইল। রাধিকার সরসঙ্গম বশে পুলকিত হইল। তিনি মুর্ছিতা প্রায় হইলেন। তার দিবা-রাত্রি জ্ঞান থাকিল না। কামশাস্ত্র পারদর্শী কৃষ্ণ অঙ্গ-প্রতঙ্গ দ্বারা রাধিকার অঙ্গ-প্রতঙ্গ আলিঙ্গন করত: অষ্টবিধ শৃঙ্গার করিলেন, পুর্নবার সেই বক্রলোচনা রাধিকাকে করিয়া হস্ত ও নখ দ্বারা সর্বাঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত করিলেন।

শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক নিষ্টুরভাবে শরীর ক্ষত-বিক্ষত হওয়ায় এবং সারা রাতভর যৌন নিপীড়নের কারণে প্রভাতকালে দেখা গেল রাধিকার পরিহিত বস্ত্র এত বেশী রক্ত রঞ্জিত হয়ে পড়েছে যে, লোক লজ্জায় রাধিকা ঘরের বাইরে আসতে পারছেন না। তখন শ্রীকৃষ্ণ দোল পুজার ঘোষনা দিয়ে হোলি খেলার আদেশ দেন। সবাই সবাইকে রঙ দ্বারা রঞ্জিত করতে শুরু করে। তাতে রাধিকার বস্ত্রে রক্তের দাগ রঙের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। সেই থেকে হোলি খেলার প্রচলন শুরু হয়।

এই নারী একেক সময়ে এক এক জায়গায় স্থান পায়। বিয়ের আগে বাবার বাড়ীর অধীনে কন্যার অবস্থান হয়। বিয়ের পর সেই কন্যা স্বামীর অধীনে চলে আসে। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলের সংসারে জায়গা পায় প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী। এই ভাবেই নারী একেক জায়গায় ঘুরতে থাকে। কিন্তু আদৌ তার কোন স্থায়ী ঠিকানা জুটে না তার কপালে।তাহলে নারী কি শুধুমাত্র ভোগপণ্য,নারী কি কেবল সন্তান উৎপাদনকারী আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের স্ত্রী নামের দাসী?

আসুন এবার তাহলে জানা যাক হিন্দু/সনাতন ধর্মে নারীর অবস্থান সম্পর্কে কি বলে- হিন্দু ধর্ম বড় ধরণের আঘাত হেনেছে নারী সমাজের প্রতি। "নারী নরকের দ্বার" কথার মধ্যেই হিন্দু ধর্মের মনোভাব পরিষ্কার ফুটে ওঠে। হিন্দু সমাজে নারী-পুরুষের ভূমিকা একেবারেই বিপরীতধর্মী। ধরে নেওয়া হয় নারী সংসারের ভেতরের কাজ সারবে আর পুরুষ করবে বাইরের কাজ। স্বভূমিতে দুজনকেই ক্ষমতাশীল মনে করা হলেও প্রকৃতক্ষেত্রে মেয়েদের স্থান হয় পুরুষের নিচে। তার পর বিবাহকে নারীর জীবনে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে হিন্দু ধর্ম নারী নির্যাতনকে প্রশ্রয় দিয়েছে বলা যায়। কারণ মনে রাখতে হবে হিন্দু ধর্মে বিবাহ বিচ্ছেদের স্বীকৃতি নেই।

স্বামী মারা গেলে বিধবা নারীর বাঁচার অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এই সতীদাহ প্রথা ভারতীয় সমাজে বহুদিন যাবত প্রচলন ছিল। রাজা রাম মোহন রায় বৃটিশ সাহায্যে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করে হিন্দু ধর্মের সংস্কার করেন। এখনো বিধবা হলেই সেই নারীকে সাদা কাপড় পরিয়ে নিরামিষ ভোজী রাখার প্রচলন রয়েছে। হিন্দু ধর্মে বিধবা বিয়ে চালু করেন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর।

আসুন এবারে দেখা যাক প্রাচীন ধর্মে নারীর স্থান কি রকম ছিল। হিন্দুধর্মের মূল গ্রন্থ চারটি বেদ। শুক্লযজুর্বেদের অন্তর্গত শতপথ ব্রাহ্মণে নারীকে তুলনা করে বলা হয়েছে যে - “সে ব্যক্তিই ভাগ্যবান, যার পশুসংখ্যা স্ত্রীর সংখ্যারচেয়ে বেশি” (২/৩/২/৮)। শতপথ ব্রাহ্মণের এই বক্তব্যের হয়তো অধুনা বিভিন্ন দরদী ধর্মবাদীরা ভিন্ন ব্যাখ্যা ভিন্ন যুক্তি দিতে চেষ্টা করবেন, কিন্তু পরবর্তী আরেকটি শ্লোকে আরও স্পষ্টভাবে হিন্দু ধর্মে নারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে সম্যক ধারনা করা যায় - “বজ্র বা লাঠি দিয়ে নারীকে দুর্বল করা উচিৎ, যাতে নিজের দেহ বা সম্পত্তির উপর কোনো অধিকার না থাকতে পারে” (৪/৪/২/১৩) ।

অপরপক্ষে যে নারীরা বেদ-উপনিষদের শ্লোক-মন্ত্র রচনা করেছেন, সেই নারীদেরই উত্তরসূরীদের জন্য মনু বেদসহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠের অধিকার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। “নারীরা ধর্মাজ্ঞ নয়, এরা মন্ত্রহীন এবং মিথ্যার ন্যায় অশুভ” (মনুসংহিতা, ৯/১৮)।

সনাতন ধর্মের মণিষী মনু বলেছেন ‘নারী শৈশবে পিতার, যৌবনে স্বামীর এবং বার্ধ্যকে পুত্রের অধিন থাকবে’। এই উক্তি নারীর চিরকালের বন্দিত্বের কথাকেই স্মরণ করে দেয়। নারীর আজকের যে বন্দি দশা তা মানুষের সামগ্রীক মনুষত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। শাস্ত্রীয় প্রবঞ্চনার প্রধান শিকার নারী।
স্মৃতি বা বেদাদি ধর্মশাস্ত্রে বা কোন ধর্মানুষ্ঠানে শূদ্রকে যেমন কোন অধিকার দেয়া হয়নি, নারীকেও তেমনি স্বভাবজাত দাসী বানিয়েই রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে যাতে কোনরূপ সন্দেহের অবকাশ না থাকে সেজন্যে মনুশাস্ত্রে সুস্পষ্ট বিধান জুড়ে দেয়া হয়েছে-

‘নাস্তি স্ত্রীণাং ক্রিয়া মন্ত্রৈরিতি ধর্মে ব্যবস্থিতিঃ।
নিরিন্দ্রিয়া হ্যমন্ত্রাশ্চ স্ত্রিয়োহনৃতমিতি স্থিতিঃ।।’

স্ত্রীলোকদের মন্ত্রপাঠপূর্বক জাতকর্মাদি কোনও ক্রিয়া করার অধিকার নেই- এ-ই হলো ধর্মব্যবস্থা। অর্থাৎ স্মৃতি বা বেদাদি ধর্মশাস্ত্রে এবং কোনও মন্ত্রেও এদের অধিকার নেই- এজন্য এরা মিথ্যা বা অপদার্থ (৯/১৮) ।

# নারীদের সাথে কোনো স্থায়ী বন্ধুত্ব হতে পারে না। নারীদের হৃদয় হচ্ছে হায়েনাদের হৃদয়। (ঋগবেদ ১০:৯৫:১৫)

# নারীরা কোনো নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলে না। তাদের বুদ্ধিমত্তা নাই বললেই চলে। (ঋগবেদ ৮:৩৩:১৭)

# নারীরা শক্তিহীন বা কর্তৃত্বহীন। তারা পৈত্রিক সম্পত্তির কোনো অংশ পাবে না। (যজুর্বেদ ৬:৫:৮:২)

# নারীরা দৃষ্টিকে নত করে চলবে, সামনের দিকে তাকাবে না। (ঋগবেদ ৮:৩৩:১৯)

# বিধবা নারীরা পুনরায় বিয়ে করতে পারবে না। তাদেরকে বরং নিরামিষভোজী ও অত্যন্ত দ্বীনহীনভাবে বাকি জীবন কাটাতে হবে। (মনুসংহিতা ৫)

# নারীদেরকে অবশ্যই দিন-রাত নিজ পরিবারের পুরুষদের অধীনে থাকতে হবে। তারা যদি কোনো রকম ইন্দ্রিয়াসক্তিতে জড়িয়ে পড়ে তাহলে তাদেরকে অবশ্যই কারো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। (মনুসংহিতা ৯:২)

# শৈশবকালে একজন নারী তার পিতার অধীনে থাকবে, যৌবনে তার স্বামীর অধীনে থাকবে, স্বামী/লর্ড মারা গেলে তার পুত্রদের অধীনে থাকবে। নারীরা কখনোই স্বাধীন হতে পারবে না। এমনকি তারা স্বাধীন হওয়ার যোগ্যই না। (মনুসংহিতা ৫:১৪৮, ৯:৩)

# একজন স্বামী যতই খারাপ হোক না কেন, তথাপি একজন কর্তব্যনিষ্ঠ স্ত্রী সেই স্বামীকে দেবতা হিসেবে ক্রমাগত পূজা করবে। (মনুসংহিতা ৫:১৫৪)

# একজন নারীর স্বামী মারা যাওয়ার পর সেই নারী কখনোই অন্য কোনো পুরুষের নাম মুখে নিতে পারবে না। (মনুসংহিতা ৫:১৫৭)

# স্বামীর প্রতি দায়িত্ব লঙ্ঘনের দ্বারা একজন স্ত্রী এই পৃথিবীতে অসম্মানিত হবে, মৃত্যুর পর তার এই পাপের শাস্তিস্বরূপ একটি শৃগালের গর্ভে বিভিন্ন রোগ দ্বারা নির্যাতিত হতে থাকবে। (মনুসংহিতা ৫:১৬৪)

# নারীদের মৃত্যুর পর তাদের মৃতদেহ সৎকারের সময় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে কিছু পাঠ করা যাবে না। (মনুসংহিতা ২:৬৬)

# পুরুষের উচিত নয় তার মা, বোন, অথবা কন্যার সাথে একাকী বসা, পাছে কী হতে কী হয়। (মনুসংহিতা ২:২১৫)

# নারীরা পুরুষের সৌন্দর্য বা বয়স কোনোটাই বিচার না করে সুদর্শন বা কুৎসিত যা-ই হোক না কেন, পুরুষ হলেই তার প্রতি নিজেকে সঁপে দেয়।(মনুসংহিতা ৯:১৪)

# নারী ও শূদ্ররা বেদ পড়া বা শোনার উপযুক্ত নয়। (সূত্র)

# নদী যেমন সমুদ্রের সাথে মিশে লবনাক্ত সমুদ্রের গুণপ্রাপ্ত হয়, তেমনই নারী বিয়ের পর স্বামীর গুণযুক্ত হন । (মনুসংহিতা ৯:২২)

#স্ত্রীলোকদের বিবাহবিধি বৈদিক সংস্কার বলে কথিত, পতিসেবা গুরুগৃহে বাস এবং গৃহকর্ম তাদের হোমরূপ অগ্নিপরিচর্যা। (মনুসংহিতা ২:৬৭)

#আবার গৃহকর্ম এবং সন্তান উৎপাদন সম্পর্কে বলা হয়েছে - সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্যই নারী এবং সন্তান উৎপাদনার্থে পুরুষ সৃষ্টি হয়েছে। (মনুসংহিতা ৯:৯৬)


বিশ্বের সবচেয়ে বড় পতিতালয়গুলোর একটি কলকাতার সোনাগাছির একটি ছবি(সূত্র: উইকিপিডিয়া)।

পতিতা, শব্দটির অর্থ যেসব নারী সমাজচ্যুত, বা সমাজ থেকে পতিত হয়েছে। এ ঝরে পড়ার প্রক্রিয়াটিও অনেক ক্ষেত্রে হৃদয়বিদারক, কারণ অধিকাংশ সময় পুরুষরা ফুসলিয়ে নারীটিকে নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু কয়েক দশক আগেও যখন এর প্রচলন ছিল না, কিংবা ব্রিটিশ আমলে, যখন নারীরা ছিল আওরত বা গোপনীয় বিষয়, তখন কোন প্রতিষ্ঠান ,কোন গোষ্ঠী মানবইতিহাসের প্রায় সমান বয়সী এ পেশায় লোক যুগিয়ে এসেছে?

শরৎচন্দ্রের ইন্টারমিডিয়েটে পাঠ্য গল্প বিলাসিনী, এতে লেখা আছে মেজোবাবুর বউ বিধবা হওয়ার পর মনের দুঃখে কাশী গমন করে। পরে তাকে যেখান থেকে জমিদার পরিবার নিজেদের মানসম্মান রক্ষার তাগিদে উদ্ধার করে, তা কাশীই বটে! অর্থাৎ খদ্দেরদের কাশী বা খুশির জায়গা। এ কর্ম ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণদের বিশেষ উৎকোচ প্রদানের কাহিনীও গল্পে রয়েছে। ওই সময়কার সাহিত্যে বৈধব্যের ফাঁদে পড়ে হিন্দু মেয়েদের পতিতা হবার প্রচুর কাহিনী রয়েছে। তারচেয়ে বড় কথা, প্রাচীন হিন্দু সাহিত্যে পতিতাবৃত্তিকে সম্মান করা হয়েছে, ফলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি যে গণিকা সরবরাহের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র, এত সন্দেহ নেই।

দূর্গা পুজার সময় দশ ধরনের মাটি প্রয়োজন হয় । তার মধ্যে বেশ্যার দরজার মাটি অপরিহার্য । বলা হয় বেশ্যারা নাকি পুরুষদের কাম (যৌনতা) নীলকন্ঠের মতো ধারন করে সমাজকে নির্মল রাখে বলে বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকা অবশ্য প্রয়োজনীয়।" এ তথ্যের উৎস হল : সানন্দা ১৮ এপ্রিল ১৯৯১ দেহোপজীবিনী সংখ্যা, শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা "গণিকাবৃত্তি : সমাজ, সংস্কার এবং সমীক্ষা" প্রচ্ছদ প্রতিবেদন , পৃস্ঠা: ১৯, হাতের ডান দিকের কলাম ।

অর্থাৎ বেশ্যার অনুপস্থিতিতে দুর্গাপুজা সম্ভব নয়। অবশ্য প্রত্যক্ষদর্শীরা মাত্রই জানে, ওই দিন মন্ডপে মন্ডপে মদ্যপান এবং অশ্লীল গানবাজনা কি পরিমাণে হয়ে থাকে। কারণ দুর্গাপুজা হল ব্রিটিশআমলের সংস্কৃতি। এ পূজা আগে হতো বসন্তকালে। কিন্তু সিরাজউদ্দৌলাকে হটানোর হিন্দু ষড়যন্ত্র যখন সফল হয়, হিন্দুরা তাদের প্রভু ব্রিটিশদের সাথে তাদের বিজয় উদযাপনের জন্য পুজাকে শরৎকালে এগিয়ে নিয়ে আসে।
আর ব্রিটিশরা জাত জলদস্যু। পতিতা ছাড়া তাদের উৎসব অচল। ফলে পতিতাগমন আজও দুর্গাপুজার একটি আবশ্যিক বিষয়।

হিন্দুসমাজ একজন নারীকে সমাজচ্যুত করার, বাজে কাগজের মতো ছুড়েঁ ফেলে দেয়ার এতসব উপায় উদ্ভব করেছে যা বিস্তারিত লিখতে গেলে লেখার পরিসর বেড়েই চলবে। তবু আরেকটি অজানা কিন্তু ভয়ানক নিয়ম সম্পর্কে আমাদের জানা জরুরী। অনেকে শুনেছেন এ প্রবাদ, মেয়েদের জীবনে লগন একবারই আসে। লগন হলো হিন্দুধর্মের পরিভাষা অনুযায়ী, বিবাহের নির্দিষ্ট সময় বা লগ্ন, ঠাকুর ডেকে গণনা করে বের করা হয় বিবাহের লগ্ন। এ পার হয়ে গেলে একজন মেয়ের জীবনে আর লগ্ন আসবে না, অর্থাৎ তাকে অবিবাহিতই থাকতে হবে। অর্থাৎ কোন কারণে যদি বর লগনের সময় না পৌছতে পারে, তখন শুরু হয়ে যেত হুড়োহুড়ি। হিন্দু লেখক সাহিত্যিকদের লেখাতেই এর যথেষ্ট প্রমাণ আছে , বিশেষ করে রম্যলেখকদের মধ্যে। কিন্তু এর ফলে দেখা যেত, আঠারো বছরের মেয়ের বিয়ে হয়েছে আশি বছরের বুড়োর সাথে, কারণ বিয়ের আসরে জাতের কেউ আর পাওয়া যায় নি। আব্বার মুখে শুনেছিলাম, জমিদারের মেয়ের পাত্র যদি পৌঁছতে না পারত তবে কাজের লোকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেয়া হতো, কিন্তু অনাকাঙ্খিত বিয়ে রূপ নেয় ভাঙনে, আর ভাঙনের ফলে ওই মেয়ের ঠাঁই হতো পতিতালয়ে।

এক হিন্দু মহিলার মুখে শুনেছিলাম, হিন্দু মেয়ের বিয়ের আগের দুইদিন টানা, মেয়ে এবং বাবাকে না খেয়ে থাকতে হবে,ধর্মের নিয়ম। কিন্তু সে আর তার বাবা লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়েছিল।


No comments:

Post a Comment