Sunday 11 September 2016

উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন ইসকন কারা? কে তাদের চালায়? বাংলাদেশে তাদের উদ্দেশ্য কি?


সূফি বরষণ
ক.
সিলেটে ইসকন মন্দির থেকে উস্কানি ছড়িয়ে দাঙ্গার আয়োজন করা হয়েছিল। এবং ইসকনদের নিয়ে সমালোচনা মূলক লেখা ফেইসবুকে লেখায় আব্দুর রহমান নামে মসজিদের একজন সম্মানিত ইমামকে হত্যা করা হয়।। তবে শুধু মুসলিমদের সাথে নয়, মূলধারার হিন্দু দাবীদারদের সাথেও ইস্কনের বিরোধ অনেক। এই ইসকনিরা মূল ধারার হিন্দুদের মানুষ ও মনে করে না অনেক ক্ষেত্রে। ইসকনের কথা হচ্ছে আমরা শুধু শ্রীকৃষ্ণের পূজা করব আর কোন দেবদেবীর পূজা করব না। কিন্তু হিন্দু ধর্মের প্রধান ৩ জন দেবতা হলেন ব্রক্ষা, বিষ্ণু ও শিব। হিন্দু ধর্ম কখনই শুধু শ্রীকৃষ্ণ নির্ভর নয়। তাই স্বামী প্রভুপাদের নতুন ধরনের এই হিন্দু সংগঠন চালু করাতে প্রথমেই উনাকে বাধা দিয়েছিলো মূল ধারার সনাতন হিন্দুরা।

ইসকন বা ISKCON হলো The International Society for Krishna Consciousness (ISKCON)। http://www.iskcon.org/
ইসকন একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন। এ সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য  মধ্যযুগের চৈতন্য’র থেকে আগত। চৈতন্য’র অনতম থিউরী হচ্ছে- “নির্যবন করো আজি সকল ভুবন”। যার অর্থ- সারা পৃথিবীকে যবন মানে মুসলমান মুক্ত করো। ইসকন নামক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা কিন্তু ভারতে নয়, আমেরিকার নিউইয়র্কে আজ থেকে মাত্র ৫০ বছর আগে, ১৯৬৬ সালে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। অবাক হওয়ার মত বিষয়, এ ব্যক্তি ভারতে কোন হিন্দু শিক্ষালয়ে লেখাপড়া করেনি, লেখাপড়া করেছে খ্রিস্টানদের চার্চে। পেশায় সে ছিলো ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী, কিন্তু হঠাৎ করেই তার মাথায় কেন হিন্দু ধর্মের নতুন সংস্করণের ভুত চাপলো, কিংবা কোন শিক্ষাবলে চাপলো তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। স্বামী প্রভুপাদ নতুন ধরনের হিন্দু সংগঠন চালু করতেই প্রথমেই তাতে বাধা দিয়েছিলো মূল ধারার সনাতন হিন্দুরা। অধিকাংশ হিন্দুই তার বিরুদ্ধচারণ শুরু করে। কিন্তু সেই সময় স্বামী প্রভুপাদের পাশে এসে দাড়ায় জে. স্টিলসন জুডা, হারভে কক্স, ল্যারি শিন ও টমাস হপকিন্স-এর মত ইহুদী-খ্রিস্টানদের চিহ্নিত এজেন্টরা।  এই হারভে কক্স ছিলেন একজন খ্রিস্টিয়ান গবেষক, যে কিনা সোশ্যাল খ্রিস্টিনারি নিয়ে গবেষণা করতেন। যার মূল ছিল দরিদ্র জনগণ। ধারনা করা হয় প্রভুপাদ এই বিশয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে দরিদ্র শ্রেনীকে টার্গেট করে তার মিশন নিয়ে এগিয়ে যায়।

খ.
ইসকন হচ্ছে হিন্দুদের মধ্যে পশ্চিমাদের তৈরী নতুন কৌশল।  ভারতবর্ষে হিন্দুদের উপরে নেতৃত্ব দখল করতে চাই। এজন্য ইসকনে সাদা চামড়া লোক বেশি দেখবেন। ইসকনকে উপর দিয়ে অতিহিন্দু মনে হলেও এরা হিন্দুদের মধ্যে বিভ্রান্তি চালু করতেই বেশি তৎপর। যার কারণে মূল সনাতন হিন্দু ও ইসকনদের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক, রয়েছে ধর্মীয় বহু অমীল। ইসকনিরা এমন অনেক কিছু চালু করেছে, যা মূল হিন্দু ধর্মে নেই।
সংগঠনটি মুলত এনজিও টাইপ। এরা নিম্নবর্ণের হিন্দুদের দলে ভিড়িয়ে দল ভারি করে। এ কারণে তাদের আস্তানাগুলো হয় নিম্নবর্ণের হিন্দুদের আস্তানার পাশে। যেমন ঢাকা শহরে স্বামীবাগ মন্দিরের পাশে ইসকন মন্দির হওয়ার কারণ, স্বামীবাগে রয়েছে বিশাল মেথর পট্টি। এই মেথর পট্টির নিচুবর্ণের হিন্দুদের নিয়ে তারা দল ভারি করে। সিলেটেও ইসকনদের প্রভাব বেশি। কারণ চা শ্রমিকদের একটি বিরাট অংশ নিচু বর্ণের হিন্দু। এদেরকে দলে নিয়ে সহজে কাজ করে তারা।

বর্তমানে ইসকন চালায় ডাইরেক্ট ইহুদীরা। ইসকনের মূল নীতিনির্ধারকদের প্রায় অর্ধেক হচ্ছে ইহুদী। এটি আমার কোন দাবি নয়, এক ইসকন নেতারই দাবি। (http://goo.gl/xS3sfH) হিন্দুদের সকল পূজা আর রথযাত্রাগুলোরই ব্যানারে লেখা থাকে আয়োজনে ‘ইসকন’। ‘ইসকন’ নামের একটি উগ্র মৌলবাদী সংগঠন অংশই দিয়ে থাকে ।  ইসকনরা ব্যাপকভাবে প্রচার করে থাকে ‘পঞ্চগব্য’ নামের একটি খাবারের। যেটা কিনা তৈরি হয় ঘি, দুধ, মাখন আর গোবর ও গোমূত্র দিয়ে। শুধু এতটুকুই নয়, তারা গরুর গোবর ও গোমূত্র দিয়ে আরো নানা রকম খাবার তৈরি করে। এমনকি তারা চায় তাদের সব খাবারেই যেন এই গোবর ও গোমূত্র মেশানো থাকে। গরুর গোবর ও গোমূত্র সংগ্রহের জন্য তাদের বড় বড় গরুর খামারও আছে। https://m.youtube.com/watch?v=IVrEN32kUKk

ইন্টারনেটে ইসকনের গোশালা ডট কম  http://goshala.com/
নামে একটি ওয়েবসাইটও আছে। এখানে তারা গোবর ও গোমূত্র খেতে সবাইকে উৎসাহ দিয়ে অনেক বিজ্ঞাপনও প্রচার করছে ।  কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, ‘ইসকন’ নামক এই উগ্র মৌলবাদী সংগঠনটির মূল আয়ের উৎস হলো গরুর মূত্র ও গোবরের ব্যবসাই নয় বরং হিন্দু ধনী ও আমলাদের থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় আর বাকী অর্থের যোগান আসে মোসাদ ও ভারতীয় গোয়েন্দের মাধ্যমে ।

এছাড়া আপনি যদি ইস্কন ভার্সাস হিন্দুজম লিখে অনলাইনে সার্চ দেন হাজার হাজার লিংক পাবেন। বাংলাদেশে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় জগতে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টির মূল ইন্ধনদাতা হচ্ছে এই ইসকন। ইসকন নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে। এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে। মূলতঃ এটা ইহুদীদের একটি সংগঠন বলে জানা গেছে। এই সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে উস্কানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি।”. গোয়েন্দা সংস্থা সাবেক সেনাপ্রধানদের কথা- ‘বাংলাদেশে র’ নামক বইটির ১৭১ পৃষ্ঠায় স্পষ্ট লেখা আছে- ‘ইকসন হচ্ছে একটি ইহুদী সংগঠন’। আসলে ইহুদীরাই ইসকন নাম দিযে হিন্দুদের ভেতর ঢুকে গেছে, এবং ভারতবর্ষে তাদের কার্যসিদ্ধি করছে। এখন দেখা যাক, কি হয়।

বর্তমানে প্রশাসনে "ইসকন" এর সবচেয়ে বড় বোমা হোলও "এস কে সিনহা"। এই এস কে সিনহা একজন ইসকন সদস্য। সামু ব্লগে আরেক ইসকনি সদস্য ছিল যার মূল কাজ ছিল হিন্দুদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে উস্কানো, বিপ্লব কান্তি দে ওরফে ভ্রান্তি দে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ঘোষিত ৮৪ জন ইসলাম বিদ্বেেষী ব্লগারের তালিকায় ও তার নাম ছিল। এতেই প্রমানিত হয়, এই ইহুদী দের টাকায় পরিচালিত সংগঠন "ইসকন" এর মূল কাজ হোলও বাংলাদেশে দাঙ্গা সৃস্টি করা। একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে বিভিন্ন গুপ্ত হত্যার পিছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এবং উগ্র জঙ্গী ইসকন সদস্যরা জড়িত ।

গ.
উগ্র সংগঠন ইসকনরা বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক উসকানী দিয়ে দাঙ্গা লাগানোর নমুনা। যেমন,
১.  বাংলাদেশে সনাতন মন্দিরগুলো দখল করা এবং সনাতনদের মেরে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়া। যেমন স্বামীবাগের মন্দিরটি আগে সনাতনদের ছিলো, পরে ইসকনরা কেড়ে আগেরদের ভাগিয়ে দেয়। এছাড়া পঞ্চগড়েও সনাতনদের পিটিয়ে এলাকাছাড়া করে ইসকনরা। ঠাকুরগাও-এ সনাতন হিন্দুকে হত্যা করে মন্দির দখল করে ইসকন। এছাড়া অতিসম্প্রতি সিলেটের জগন্নাথপুরে সনাতনদের রথযাত্রায় হামলা চালিয়েছে ইসকন নেতা মিণ্টু ধর। (খবরের সূত্র-http://goo.gl/XwkLvm,http://goo.gl/7hegYE)

২. বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে সাম্প্রদায়িক হামলা করা। বছর খানেক আগে ঢাকাস্থ স্বামীবাগে মসজিদের তারাবীর নামাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো ইসকন। নামজের সময় ইসকনের গান-বাজনা বন্ধ রাখতে বলায় তারা পুলিশ ডেকে এনে তারাবীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে বিষয়টি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এবার হলো সিলেটে।

৩. বাংলাদেশে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরী করে, উগ্রহিন্দুত্ববাদের বিস্তৃতি ঘটানো। যেমন- জাতীয় হিন্দু মহাজোট, জাগো হিন্দু, বেদান্ত, ইত্যাদি। বর্তমান অনলাইন জগতে যে ধর্ম অবমাননা তার ৯০% করে ইসকন সদস্যরা।

৪. বাংলাদেশে সম্প্রতিক সময়ে চাকুরীতে প্রচুর হিন্দু প্রবেশের অন্যতম কারণ-ইসকন হিন্দুদের প্রবেশ করানোর জন্য প্রচুর ইনভেস্ট করে। যে কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে হিন্দুদের শতকরা ৩০ ভাগ। যদিও বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা মাত্র ২% ।

৫. সিলেটে রাগীব রাবেয়া মেডিকলে কলেজের ইস্যুর পেছনে রয়েছে ইসকন। ইসকন আড়াল থেকে পুরো ঘটনা পরিচালনা করে এবং পঙ্কজগুপ্তকে ফের লেলিয়ে দেয়। এখন পঙ্কজগুপ্ত জমি পাওয়ার পর সেই জমি নিজেদের দখলে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিচারবিভাগে ইসকনের প্রভাব মারাত্মক বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ খোদ প্রধানবিচারপতিও একজন ইসকন সদস্য। (http://goo.gl/g3w0KK)।

৬. পুরান ঢাকায় এইবার রমজানের সময় মুসলমানদের মসজিদ দখলের চেষ্টা ।
৭. ২০১২ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে সনাতনী মন্দির দখল করে নেওয়ায় ইস্কনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
সুত্রঃ http://archive.is/JbP92

৮.  ২০১৫ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা এলাকায় ইসকন পরিচালিত বাসুদেব মুকুন্দ ধাম মন্দির দখল করার জন্য পার্শ্ববর্তী সুজন শেখর দত্তের হামলা, যা ইতিপুর্বে ইস্কন দখল করেছিল ।
সুত্রঃhttp://archive.is/svfYW

সবার শেষ কথা হচ্ছে- বাংলাদেশে যদি এখনই ইসকনকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের বিপদ অপেক্ষা করছে, যেই বিপদে বাংলাদেশে স্বাধীনতা হারালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

ঘ.
এবার একটু ভালো করে বুঝেনিন ইসকনদের আসল চেহারা।।
ইসকন শিব দেবতাকে দেখতেই পারে না। ইসকনের বই পত্রে আত্মা, পরকাল, পুনজন্ম নিয়ে একটি আলাদা ধারনা দেয়া হয়েছে যেটা সনাতন ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। যেমন ইসকনিদের মতে যেই সব হিন্দু কালী ভক্ত বা লোকনাথ ভক্ত তারা কোনদিন ও স্বর্গে যেতে পারবে না। তারা বারবার খালি পুনজন্ম নিবে। আর ইসকনিরা বলে শুধু তারাই হল প্রকৃত হিন্দু। ইসকনিরা অন্য হিন্দুদের কে হিন্দু বলে স্বীকারই করে না। দেখেন এক হিন্দু পণ্ডিত ইসকন সম্পর্কে কি বলছে- ” what a bunch of loosers! They say that THEY ONLY will go to paradise while others who pray to shiva/durga/kali will never go to heaven and they will come back to earth each time UNTIL they realise that krishna as per their iskCON idea is the ONLY way!! What fools they are….
অর্থ্যাৎ ইসকন যে খৃষ্টান মিশনারীদের একটা চাল এতে আমার আর কোন সন্দেহ নাই। ইসকনের নিজস্ব কোন টার্গেট নাই। এই খৃস্টান মিশনারীরা ইসকনের মাধ্যমে হিন্দুদের একটা বিশাল অংশ কে তাদের নিজেদের হাতে রাখবে। সবাই চায় তার দল ভারী হোক। খৃস্টানরা যেমন কাদিয়ানী বাহাই তৈরি করছে ইহুদীরা যেমন শিয়া মতবাদ তৈরি করছে ঠিক তেমনি এই ইসকনও পশ্চিমাদের তৈরি। মূল ধারার হিন্দুরা যত তাড়াতাড়ি এই জিনিসটা বুঝবে ততই মঙ্গল। তবে অর্থোডক্স খৃষ্টানরা ইসকন বিরোধী। রাশিয়ার অর্থোডক্স খৃষ্টানরা ইসকনের সব মন্দির ভেংগে ফেলেছে। অর্থোডক্সরা প্রচন্ড রকম ভাবে মূর্তিপূজা বিরোধী। এরপর ইসকনীদের মায়াকান্না দেখুন www.savetemple.com/

সনাতন ধর্মীদের সাথে ইসকনীদের এই ঝামেলা গুলি এই ওয়েবসাইটে খুব সুন্দর ভাবে বলা হইছে।http://sivapurana.blogspot.com/2013/05/why-iskcon-is-wrong.html

পশ্চিম বাংলার মায়াপুর শহরে এদের সবচে বড় আস্তানা। সেখনে ৩০০০ একর জায়গার উপর তাদের স্থাপনা। এবং আসে পাশের প্রায় সব জমি তারা কিনে নিয়েছে এবং সেখানে স্থায়িভাবে ২০০০ এর বেশি সাদা চামরার মানুষ স্থায়ি ভাবে থাকে আর প্রতিদিন অন্তত ১০০০ সাদা চামরা ভিজিট করতে আসে। এরা খুব বড় পরিসরে বিশাল বিশাল এবং আন্তর্জাতিকমান ঠিক রেখে ডিজাইন করে মন্দির তৈরি করে। ইসকনেরা সারাদিন বসে বসে খায় এরা কোন কাজকর্ম করে না। বিশাল এলাকা জুড়ে তাদের মন্দির। অনেক সচ্ছলতার সাথে তারা চলে। হিন্দুদের অন্য কোন গ্রুপ কখনই ইসকন্দের মত এত বিলাস বহুল ভাবে চলতে পারে না। জাতি জানতে চায় ইসকনের এই অর্থের উৎস কোথায় ? সারাদিন ঢোল বাদ্য বাজনা বাজানো এটা আবার কিরকম ধর্ম চর্চা ? তারপর বিবাহিত অবিবাহিত সব মেয়ে লোক মন্দিরে এসে বৈষ্ণবদের কে সিজদা করে। ছি। একটা মানুষ কি কখনো আরেক মানুষ কে সিজদা করতে পার ? ইসকনের মন্দিরে প্রচুর মেয়ে বৈষ্ণব থাকে। পুরুষ বৈষ্ণবরা রাধা কৃষ্ণের আদর্শ অনুসরণ করে সেখানেই বৃন্দাবন রচনা করে।


মায়াপুরে ইস্কনের যে হেড মন্দির আছে সেখানে অনেক রহস্যঘেরা। সেখানে যে সাদা চামড়ার লোকেরা থাকে তারা নাকি কেউই ইস্কনের না। তারা সেখানে ইস্কনের চাকরি করে। ইস্কন তাদের কে বেতন আর বিলাস বহুল জীবন যাপনের লোভ দেখিয়ে সেখানে রাখছে। উনারা কেউই হিন্দু না। তারপর মায়াপুরের ইস্কনের মন্দিরে অনেক কড়াকড়ি। আপনি তাদের গোশালায় ঢুকতে চাইলে বৈষ্ণবরা আপনাকে চেইন দিয়ে মারবে। মায়াপুর ইসকনের রহস্যময় কাজ কারবার নিয়ে Roomnee Sen এর ব্লগটি পড়ুন
http://roomnee.blogspot.com/2013/07/iskcon.html

তারপর ইসকন সারা দুনিয়া ঘুরে ঘুরে পঞ্চগব্যের ওপর লেকচার দিয়ে বেড়ায়। পঞ্চগব্য হলো দুধ, ঘি, মাখন, গোমূত্র ও গোবর। ইসকনিরা তাদের সব খাবারেই গরুর প্রস্রাব ও গোবর মিশায়। আপনি Google এ cow urine iskcon লিখে সার্চ দিলে এরকম ভুরি ভুরি ওয়েবসাইট বের হয়ে আসবে যেগুলোতে ইসকন ভারতে যে গোমূত্রের পণ্য বাজারজাত করছে তার বিবরণ রয়েছে। এরকম একটি ওয়েবসাইট www.goshala.com
অর্থ্যাৎ সারা পৃথিবীতে গরুর প্রস্রাব বিতরণে ইসকন সেরা। আর ইসকন যে সারা পৃথিবীতে গরুর প্রস্রাবের ব্যবসা করে তা তাদের ওয়েবসাইটেই বলা আছে। সেখানেই বলা হয়েছে স্বামী প্রভুপাদ সারা পৃথিবীর ষাঁড় ও গাভীর রক্ষাকর্তা। ইসকনের সদস্যরা ঘুম থেকে উঠেই প্রথম গরুর প্রস্রাব খায়। ছি। গোমূত্র ও গোবর নিয়ে তাদের যে মহাপরিকল্পনা তা শুনলে যে কারো চোখ কপালে উঠবে। আগ্রহীরা এই ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারেন।
http://www.youtube.com/watch?v=IVrEN32kUKk

আর সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হল ইসকনের মন্দির গুলিতে সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মাইকে উচ্চস্বরে হরে কৃষ্ণের জয়ধ্বনি করা হয়। ইসকনের মন্দির গুলির আশপাশে যারা থাকেন তারা জানেন যে ইসকনের লোকেরা আশপাশের মানুষদের কে কি পরিমানে বিরক্ত করে। বিশ্বাস না হলে আপনি স্বামীবাগের ইসকন মন্দির ও সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের পাশে ইসকনের মন্দিরে যেয়ে দেখতে পারেন। কিন্তু অন্যান্য হিন্দু মন্দির গুলিতে কিন্তু শুধু দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যেই মাত্র ৩ দিনের জন্য ঢোল বাদ্য বাজানো হয় যেখানে ইসকনের মন্দির গুলাতে সারাদিন ঢোল বাদ্য বাজনা বাজানো হয়। তাই ইসকন যে তাদের সারাদিন এই ঢোল বাদ্য বাজনা বাজানোর মাধ্যমে দেশে একটা সাম্প্রদায়িক দাংঙ্গা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে না এর নিশ্চয়তা কি ? যেখানে আমাদের ভারতের মুসলমান ভাইয়েরা মাইকে আজান দিতে পারে না সেখানে ইসকন সারাদিন তাদের ঢোল বাদ্য বাজনা বাজিয়ে আমাদের নামাযের ব্যাঘাত ঘটাবে তা তো মেনে নেয়া যায় না। আপনারা সারাদিন মূর্তিপূজা করেন তা তো আমরা মানা করছি না। কিন্তু আপনারা সেই সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত প্রতিদিন মাইকে উচ্চস্বরে হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ করবেন তা তো মেনে নেওয়া যায় না। এখানেই ইসকনের ব্যাপারে আমাদের আপত্তি। ইসকন যদি মাইক না বাজিয়ে সারাদিন হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ করে তাইলে আমাদের কোন আপত্তি নাই। ইসকন কে অবশ্যই এইসব সারাদিন ঢোল বাদ্য বাজনা বাজানো বন্ধ করতে হবে তা না হলে এর পরিণতি হবে খুব বেদনাদায়ক।

ঙ.
সেদিন কি ঘটে ছিল সিলেটে? কেন মসজিদের ইমামকে হত্যা করা হয়???

সিলেট নগরী র কাজল শাহ এলাকার মধু শহীদ জামে মসজিদ এর পাশেই ইসকন মন্দির। রাস্তার একপাশে মসজিদ অন্যপাশে মন্দির। মন্দিরে অনেক সময় বাদ্য যন্ত্র বাজানো হয়, এতে মসজিদের মুসল্লিদের নামাজে ব্যাঘাত ঘটে, এ নিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার বলা হয়েছে। তারপরও অনেক সময় তারা নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বাজায়। এতে নামাজ পড়তে সমস্যা হয় মুসল্লিদে।

কয়েক দিন আগে এমন সমস্যা তৈরি হলে ক্ষিপ্ত হন মুসল্লিরা। মধু শহীদ এলাকার এক প্রত্যাক্ষদর্শী জানান, গতকাল জুমার নামাজের সময় মন্দিরে উচ্চস্বরে বাদ্যযন্ত্র বাজানো হচ্ছিল, যা মুসল্লিদের নামাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল। মন্দিরের লোকজনকে মুসল্লিরা কিছুক্ষণের জন্য গান বাজনা বন্ধ করতে বললে তারা সেই অনুরোধ রাখেনি। তাই নামাজের পর মুসল্লিরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মন্দিরে গেলে তারা চটে যান। এক পর্যায়ে মন্দিরের ভেতর থেকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে মুসল্লিরাও ইট পাটকেল মারলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে। ইসকন ভক্তরা অস্ত্র (দা বটি) নিয়েও মুসল্লিদের উপর হামলা চালায়। এসময় পুলিশ এসে মুসল্লিদের উপর গুলি ছুড়তে থাকে। টিয়ার গ্যাসও নিক্ষেপ করে। এতে সাবেক কাউন্সিলর জেবুন্নাহার শিরিনসহ প্রায় ১২ জন মুসল্লি আহত হন। গুলিবিদ্ধ হন প্রায় ৭ জন। পথচারীসহ অনেকে ইট পাটকেল এর আঘাতে আহত হন। তবে পুলিশ এর জোরালো ভুমিকায় ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। পুলিশ মুসল্লিদের ধাওয়া করে প্রায় ১৫ জনকে আটক করে।  ঘটনার পর থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এতে সাবেক কাউন্সিলর জেবুন্নাহার শিরিনসহ প্রায় ১২জন মুসল্লি আহত হন। গুলিবিদ্ধ হন প্রায় ৭ জন। পথচারীসহ অনেকে ইট পাটকেল এর আঘাতে আহত হন।

এ ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া নানাভাবে প্রচার করছে। এতে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে মুসলিমকে। প্রায় অধিকাংশ মিডিয়ায় একপেশে সংবাদ পরিবেশন করছেন। অথচ ঘটনা বিপরীত। সিলেটে অতীতে এ ধরনের ঘটনা বিরল। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মজবুত। ইসকনের ঘটনা উদ্দোশ্য প্রণোদিত কিনা এমন কথাও উঠেছে গতকালের ঘটনার পর। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট জামেয়া আমিনিয়া মংলিপার হাজীনগর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান আওয়ার ইসলামকে বলেন, সিলেটের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ইসকন সম্প্রদায় মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়েছে। ধৈর্যের সাথে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা দরকার।

একই বিষয়ে অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুখ:জনক। সিলেটের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হল।

তবে ইসকনদের অনেক দিন থেকে নামাজের সময় গান বন্ধ রাখতে বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি বলে জানান ইমাম শহীদ আহমদ। তিনি বলেন, তারা সচেতন হলে এই ঘটনা ঘটত না। এই রকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে এই জন্য প্রশাসন ও মিডিয়ার শক্ত ভূমিকা দরকার।


সুত্রঃ
https://goo.gl/vf9wyi
http://archive.is/ZsL5v
http://archive.is/0vq6c
http://archive.is/rmcrI
http://archive.is/Dw7nQ
https://en.wikipedia.org/wiki/Larry_Shinn
http://en.wikipedia.org/wiki/A._C._Bhaktivedanta_Swami_Prabhupada

ছবি: ইহুদীদের ধর্মীয় উপাসনার স্থান ইসরাইলের ওয়েস্টার্ন ওয়াল বা ওয়েইলিং সামনে প্রার্থনারত এক ইসকন সন্নাসী।

No comments:

Post a Comment