সূফি বরষণ
আধুনিক বাংলা গদ্যকবিতার জনক কবি আল মাহমুদের লেখা একটা গল্প আছে জলবেশ্যা নামে। ঐ গল্প অবলম্বনে কলকাতার পরিচালক মুকুল রায় চৌধুরী টান নামে একটি বাংলা ছায়াছবিও বানায়। গল্পে জলবেশ্যারা সুন্দরবনের ভিতরে নৌকায় থেকে পতিতাবৃত্তি করে।
আর অপরদিকে তথাকথিত ধর্ম বিদ্বেষী বুদ্ধির বেশ্যারা কি করছে, তা হয়তো আমরা জেনেও না জানার বান করছি!! আমাগো নাহিদ মিয়ারে দিয়া( শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস) জলবেশ্যাদের সাথে কিভাবে লং ড্রাইভ বা নৌ বিহারে গিয়া যৌনকর্ম করা যাবে!?
তার কলাকৌশল শিক্ষা দিতে ইতিমধ্যে দেশের পাঠ্যপুস্তুকে বাধ্যতামূলক ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যৌন শিক্ষা সাথে আছে ব্রাহ্মণ্য দর্শনের দেব দেবীদের অশ্লীল যৌন কাহিনী? আর সাথে আছে ইয়াবা কিং বদী ও চ্যানেল আইয়ের গাজাঁর গাড়ী, আর এই মহাআয়োজনের মধ্যে যদি রাধা থাকে তবে তো প্রতি রাতেই মধুচন্দ্রিমা।
বুদ্ধিবেশ্যারা তাদের পতিতাবৃত্তিকে জায়েয করতে প্রচারযন্ত্র দিয়ে ক্রমাগত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অগ্রগণী ভূমিকা রাখছেন, শায়েখে সিরাজ মিয়া, সাগর মিয়া, মতি মিয়া, আনিস মিয়া, শ্যামল দত্ত মিয়া, সারোয়ার মিয়া, আবেদ মিয়া , ম হামিদ মিয়া , বুলবুল মিয়া, নাঈমুল মিয়ারা। আর আমদানী করা বিদেশী অপসাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষকগণ আমাগো কে শেখাচ্ছেন কি ভাবে রেডওয়াইন পানের তালে তালে বাহু দুলিয়ে ব্লাউজের ভিতর দিয়ে শাড়ি পড়ে বাংলিশ নৃত্য করতে হয়! আর যদি হয় উম্মে কুলসুমের সুরে হাবিবি ইয়া হাবিবি অথবা সানি লিওনের গানের নাচের তালে তালে বেবী ডল কিংবা পানিওয়ালা ড্যান্স আযা শাথ লাগালে দো টাকি শর্ট।
আর তরুণ তরুণীদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে বার্থডে পার্টি ,বল পার্টি , ডিজে পার্টি , ড্যানস পার্টি , ইউকেন্ড পার্টি আছে সিসা বার জুস বার নাইট ক্লাব আর হোটেল রিসোর্ট। এই অশুভ পরিকল্পনা ক্রমাগত ছড়িয়ে দিচ্ছে মহামারি রূপে। এই মহা শয়তানরা হলো, হাসান ইমাম, আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূর, আফজাল, কাজী আরেফ, নাসিরদ্দীন বাচ্চু। এই সংখ্যা অনেক বড়।
আর এই বুদ্ধিবেশ্যাদের যৌন কর্মকে
আনন্দময় করতে এগিয়ে এসেছে সমাজের তথাকথিত উচ্চবিত্ত পতিতা শমী কায়সার, তারানা হালিম, মুন্নী সাহা, সুলতানা কামাল, খুশী কবির, ফারাহ কবিরের মতো আরও কত রমণী রাতের আধাঁরে ক্লাবে হোটেলে বুদ্ধি বেশ্যাদের কাছে খ্যাতির জন্যে নিজের
দেহ উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। তার হিসেব আমারা কজনই বা রাখি।
আর এই সব বিষয়ে তত্ত্ব জ্ঞান দিয়ে প্রতিষ্ঠার জন্যে তো আছেই প্রথম আলো, চ্যানেল আই, গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মীর জাফর ইক বাল, মুনতাসির মামুন, মেসবাহ কামাল, আ আ আরেফিন সিদ্দীকি, আরও আছে কালা হারুন ধলা হারুনরা আর আনোয়ার ছাগলকে বাদ দেয় কি ভাবে শত হলেও আমার প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলে কথা।
আল মাহমুদ বর্তমান অবস্হা আগে বুঝতে পারলে হয়তো জলবেশ্যা গল্প না লিখে লিখতেন বুদ্ধিবেশ্যাদের গল্প। কবি আজ এদের দলে নাই বলে, এইসব শিয়ালরা তার নাম শুনলে হুক্কা হুয়া হুক্কা হুয়া শব্দ করে নাক ছিটঁকায় ॥ কবি এদের সাথে আজ থাকলে তবে বাংলার মাঠ ঘাট পথে পান্তরে শুধু আল মাহমুদের নামেই এরা হুক্কা হুয়া বলে ধ্বনি তুলতো। তাই এবারও আল মাহমুদের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান প্রচারে কৃপণতা।
আল্লাহ আল মাহমুদকে বুদ্ধি বেশ্যা হতে রক্ষা করেছেন। কবির কদর রাত্রির প্রার্থনা কবিতার অনুরূপ বলছি , হে আল্লাহ এই বাংলার প্রবিত্র ভূমিকে কি তুমি বুদ্ধি বেশ্যাদের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলবে নাকি তোমার ধর্মের বিশ্বাসীদের সাহস আর শক্তি দিবে তোমার নাম এক আল্লাহ জিন্দাবাদ প্রচার করার জন্যে রহমাত দান করবে? আর যদি একটু ভারিয়ে বলি স্বাধীনতা একি হবে নষ্ট জন্ম একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল ?
জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো শকুন। আজ সবাইকে ভাবার সময় এসেছে ঐ শকুন কি রাজাকার গোলাম আযমরা না ঐ ধর্ম বিদ্বেষী বুদ্ধির বেশ্যারা? আজ সবাই না বললেও আমি সূফি বরষণ চিৎকার করে বলছি এই বুদ্ধি বেশ্যারা ভয়ংকর নব্য রাজাকার যারা আমাদের হাজার বছরের পারিবারিক সামাজিক রাষ্ট্রী জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে ধর্ম ও পারিবারিক জীবন বিদ্বেষী করে তুলছে। যার কারণে সমাজে আজ জঙ্গীবাদ তরুণদের মধ্যদিয়ে মাথাচারা দিয়ে উঠছে । এরজন্য দায়ী সমাজের তথাকথিত নাস্তিক ও ধর্ম নিরপেক্ষতার নামদারি মুসলিম বিদ্বেষী কিছু জ্ঞানপাপী বুদ্ধিবেশ্যা ।
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
No comments:
Post a Comment