গ্রীক সভ্যতায় : বিশ্বখ্যাত গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিস বলেন, 'Woman is the greates source of chaose and disruption in the world' ‘নারী জগতে বিশৃংখল ও ভাঙ্গনের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস’। গ্রীস ধর্মে নারীরাই হলো শয়তানের প্রতিভু। এবং গ্রীস সভ্যতায় নারী জাতিকে বিশৃঙ্খল ও ভাঙ্গনের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস বলা হতো। http://www.ancient.eu/article/483/
গ্রীস ইউরোপের মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় ২৫,০০০ বর্গমাইল পর্যন্ত বিস্তৃত একটি দেশ। গ্রীকরা হেলেন নামক একজন পূর্বপুরুষের বংশধর বলে, নিজেদের হেলেনিজ ও নিজেদের দেশকে হেলাস বলতো। পরবর্তীতে রোমানরা তাদের গ্রীস ও গ্রীক নামকরন করেন। প্রাচীনকালে গ্রীস একদেশ ছিল কিন্তু এক রাষ্ট্র ছিল না। http://www.crystalinks.com/greekculture.html
দেশের ভূ-প্রকৃতি ও জাতিগত বৈশিষ্টের কারনে সে সময় এখানে অনেক স্বাধীন নগররাষ্ট্র গড়ে উঠেছিল।প্রাচীন গ্রীসের এসকল প্রধান প্রধান নগররাষ্ট্রের মধ্যে এথেন্স, স্পার্টা, করিন্থ, থিবেস, আরগস্ ও মেসিডন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি নগররাষ্ট্রই নির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রাচীরে আবদ্ধ ছিল। প্রতিটি নগররাষ্ট্রেরই নিজস্ব দেবদেবী, নিজস্ব সরকার, নিজস্ব ধর্মীয় উৎসব ও নিজস্ব স্বাতন্ত্রবোধ ছিল। নগররাষ্ট্রগুলো আয়তনে খুব ছোট ছিল অর্থাৎ ১০০ বর্গমাইলের মধ্যে। রাষ্ট্রগুলো পাহাড় পর্বত দ্বারা বেষ্টিত ছিল এবং এদের জনসংখ্যাও ছিল সীমিত।সূত্র
http://www.ushistory.org/civ/5a.asp
গ্রীক নারী:
প্রাচীন জাতিসমূহের মধ্যে গ্রীস সভ্যতাই সরবাপেক্ষা গৌরবময়। এই জাতির প্রাথমিক যুগে নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী, আইন সম্পর্কিত অধিকার, সামাজিক আচার প্রভৃতির দিক হইতে নারীর মর্যাদা নিতান্ত অধপতিত ছিল। গ্রীস পুরাণে নারী ‘পান্ডোরাকে’ মানবের দুঃখ-দুর্দশার কারণ হিসাবে বর্ণনা করা হইয়াছে, যেইরূপ হযরত হাওয়া (আ)-কে ইহুদী পুরানে উক্ত বিষয়ের জন্যে দায়ী করা হইয়াছে। হযরত হাওয়া (আ) সম্পর্কিত কল্পিত মিথ্যা কাহিনী ইহুদী ও খ্রীস্টীয় সম্প্রদায়ের রীতি নীতি, আইন-কানুন, সামাজিক ক্ষেত্রে, নৈতিক চরিত্র প্রভৃতিকেও যে প্রবলভাবে প্রভাবান্বিত করিয়াছে, তাহা কাহারও অজ্ঞাত নহে। ‘পান্ডোরা’ সম্পর্কে গ্রীকগণ যে ধারণা পোষণ করিত, তাহাও তাহাদের মানসিকতাকে সমভাবে প্রভাবান্বিত করিয়াছিল। তাহাদের দৃষ্টিতে নারী এক নিকৃষ্ট জীব ছিল। সামাজিক ক্ষেত্রে নারীর কোনই মর্যাদা ছিল না এবং সম্মানিত মর্যাদা একমাত্র পুরুষের জন্যই সংরক্ষিত ছিল। https://en.m.wikipedia.org/wiki/Women_in_Greece
প্যান্ডোরা:
মানুষ আগুনের ব্যবহার শিখে দেবতাদের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারে এই আশঙ্কা থেকে জিউস হেফাস্তাসকে আদেশ দেন "দেবতাদের দান" রূপে এক নারীকে গড়ে তুলতে। হেফাস্তাস "প্যান্ডোরা"কে সবরকম মোহময়ী সৌন্দর্য রূপে তৈরি করে। প্যান্ডোরা, হার্মেসের কাছ থেকে ছলনা এবং আফ্রোদিতির কাছ থেকে শিখল প্রেমের কৌশল। দেবতারা তার হাতে একটা বাক্স দেয় এবং নির্দেশ দেয় সেই বাক্স না খুলতে। হার্মেস তখন প্যান্ডোরাকে নিয়ে মর্ত্যে এসে প্রমিথিউসের সামনে হাজির করে। কিন্তু প্রমিথিউস বুঝে ফেলে যে এটা দেবতাদের চাল। হার্মেস তার কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্যান্ডোরাকে নিয়ে যায় এপেমেথিউসের কাছে। ভাইয়ের নিষেধ সত্ত্বেও এপেমেথিউস প্যান্ডোরার জন্যে দিওয়ানা হয়ে বিয়ে করে।
বিয়ের পরে প্যান্ডোরা কৌতূহলী হয়ে একদিন সেই বাক্সটি খুলে ফেলে। তখনই ঐ বাক্স থেকে ব্যাধি, মড়ক, দুঃখ, কষ্ট, মারামারি পৃথিবীতে বেরিয়ে আসে। প্যান্ডোরা হতচকিত হয়ে বাক্সের ডালা বন্ধ করে দিলে সবার নিচে পড়ে থাকা আশা ভেতরেই থেকে যায়! প্যান্ডোরার অসতর্ক কাজে জন্যে মানবজাতি এতটাই বিপথগামী হলো যে, জিউস ক্রোধে-ক্ষোভে মানবজাতিকে ধ্বংস করার চিন্তা করলো।
নারীদের অধঃপতিত চারিত্রিক মান; তাদের বেশ ভূূষা, অধিকাংশ সময়ে নগ্নতা, সিগারেট পানের ক্রমবর্ধমান অভ্যাস এবং পুরুষদের সাথে আবাধ মেলামেশা প্রভৃতি কারণে অশ্লস্নীলতার ব্যাপক বিস্তার ঘটে। এই তিনটি কারণই রোম ও গ্রীসে বিদ্যমান ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বায়নের যুগে অশ্লীলতার এই নিয়ামকগুলো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের আত্মহননের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সভ্যতা ও জ্ঞানালোকের এতটুকু প্রভাব পরিলক্ষিত হইল যে, নারীর আইন সম্পর্কিত অধিকার পূর্ববতই রহিল, তবে সামাজিক ক্ষেত্রে তাহাকে উন্নত মর্যাদা দান করা হইল। সে গ্রীকদের গৃহরাণী হইল। তাহার কর্তব্যকর্ম গৃহাভ্যন্তরেই সীমাবদ্ধ রহিল। এই সীমারেখার মধ্যে তাহার পূর্ণ কর্তৃত্বও ছিল। তাহার সতীত্ব অতীব মূল্যবান ছিল এবং ইহার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হইত। সম্ভ্রান্ত গ্রীক পরিবারে পর্দা প্রথার প্রচলন ছিল। তাহাদের গৃহাভ্যন্তরে নারী-পুরুষের প্রকোষ্ঠ পৃথক ছিল। তাহাদের রমণিগণ নারী-পুরুষের মিলিত বৈঠকে যোগদান করিত না। জনসাধারণের প্রেক্ষাগৃহে তাহারা দৃষ্টিগোচর হইত না। বিবাহের মাধমে পুরুষের সংগে সম্পর্ক স্থাপন করাকেই তাহারা সম্মানজনক মনে করিত। বীরাঙ্গনায় জীবন যাপন অত্যন্ত ঘৃণিত ও অভিশপ্ত ছিল। ইহা তৎকালীন অবস্থা ছিল, যখন গ্রীক জাতি অতীব শক্তিশালী ও দ্রুত উন্নতির উচ্চ সোপানে অধিষ্ঠিত ছিল। এই সময়ে নৈতিক পাপাচার বিদ্যমান থাকিলেও তাহা ছিল সীমাবদ্ধ। গ্রীক রমণীগণ পবিত্রতা, শ্লীলতা ও সতীত্বের দাবী করিতে পারিত এবং পুরুষগণ তাহার বিপরীত ছিল। তাহারা এতাদৃশ গুণাবলীর প্রত্যাশী ছিল না এবং তাহারা যে পবিত্র জীবন যাপন করিবে এমন আশাও করা যাইত না। বেশ্যা সম্প্রদায় গ্রীক সমাজের একটি অভিন্ন অংশ ছিল। এই সম্প্রদায়ের সহিত সম্পর্ক স্থাপন পুরুষের জন্য কোনক্রমেই দূষণীয় ছিল না। http://historylink101.com/2/greece3/women.htm
গ্রীকদের মধ্যে ক্রমশ প্রবৃত্তি পূজা ও কামোদ্দীপনার প্রভাব বিস্তার লাভ করিতে লাগিল এবং এই যুগে বেশ্যা-সম্প্রদায় এতখানি উন্নত মর্যাদা লাভ করিল যে, ইতিহাসে তাহার দৃষ্টান্ত বিরল। বেশ্যালয় গ্রীক সমাজের আপামর-সাধারণের কেন্দ্র ও আড্ডাখানায় পরিণত হইল। দার্শনিক, কবি, ঐতিহাসিক, সাহিত্যিক ও বিশেষজ্ঞ প্রভৃতি নক্ষত্ররাজি উক্ত চন্দ্রকে পরিবেষ্টিত করিয়া রাখিত। বেশ্যাগণ কেবল জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাহিত্য সম্মেলনে সভানেত্রীর আসনই গ্রহণ করিত না; বরং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আলোচনাও তাহাদের সমক্ষে সম্পাদিত হইত। যেই সমস্ত সমস্যার সহিত জাতির জীবন-মরণ প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট ছিল, সেই সকল ব্যাপারেও বেশ্যাদের মতামতকে চূড়ান্ত মনে করা হইত। অথচ তাহাদের বিচার-বিবেচনায় কোন ব্যক্তির উপর কস্মিনকালেও সুবিচার করা হইত না। সৌন্দর্যপূজা গ্রীকদের মধ্যে কামাগ্নি প্রবলাকারে প্রজ্বলিত করিয়া দিল। যেই প্রতিমূর্তি অথবা শিল্পের নগ্ন আদর্শের প্রতি তাহারা সৌন্দর্য লালসা প্রকাশ করিত; তাহাই তাহাদের কামাগ্নির ইন্ধন যোগাইতে লাগিল। http://www.timemaps.com/civilization-ancient-greeks
যৌনাচার নৈতিক অবক্ষয় এবং পূজা :
এক সময়ে তাহাদের মানসিকতা এত বিকৃত হইল যে, কামাগ্নি পুজাকে তাহারা নৈতিকতার দিক দিয়া কোনরূপ দূষণীয়ই মনে করিত না। তাহাদের নৈতিক মাপকাঠি এতখানি পরিবর্তিত হইয়াছিল যে, বড় বড় দার্শনিক ও নীতিবিদ ব্যভিচার ও অশ্লীলতাকে কদর্য ও দূষণীয় মনে করিত না। সাধারনভাবে গ্রীকগণ বিবাহকে একটা অনাবশ্যক প্রথা মনে করিত এবং বিবাহ ব্যতীত নারী-পুরুষের প্রকাশ্য সংমিলন যুক্তিযুক্ত মনে করিত। অবশেষে তাহাদের ধর্মও তাহাদের পাশবিক প্রবৃত্তির কাছে নতি স্বীকার করিল। কামদেবীর (Aphrodite) পূজা সমগ্র গ্রীসে বিস্তৃতি লাভ করিল। গ্রীক পুরাণে কামদেবী সম্পর্কে এইরূপ বর্ণিত আছে যে, সে জনৈক দেবতার পত্নী হইয়া অপরাপর তিনজন দেবতা ও একজন মানবের সংগে প্রেমপূর্ণ দৈহিক সম্পর্ক সংস্থাপন করিয়াছিল। ইহাদের যৌনমিলনের ফলে যে সন্তান লাভ হইল, উত্তরকালে সেই কামদেব (কিউপিড) নামে অভিহিত হয়। এই কামদেব গ্রীকদের উপাস্য বা মা’বুদ ছিল। ইহা অনুমান করা কঠিন নহে যে, যেই জাতি এইরূপ জঘন্য চরিত্রকে শুধু তাহাদের আদর্শ নহে, উপাস্য হিসাবে গ্রহণ করিয়াছিল, তাহাদের নৈতিক মানদণ্ড কত নিম্নস্তরের ছিল। এমনই নৈতিক অধপতনের পরে কোন জাতির পুনরুত্থান সম্ভব নহে। এই নৈতিক অধপতনের যুগেই ভারতে ‘বামমার্গীয়’ এবং ইরানে ‘মজদকীয়’ মতবাদ প্রচারিত হইয়াছিল। এইরূপ পরিস্থিতিতেই বেবিলনে বেশ্যাবৃত্তি ধর্মীয় শূচিতার মর্যাদা লাভ করিয়াছিল। ইহার পরিণামে পরবর্তীকালে বেবিলন শুধু অতীত কাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হইয়া রহিল এবং জগতে তাহার অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন হইয়া গেল। http://historylink101.com/2/greece3/marriage.htm
কামদেবীর পূজা:
গ্রীসে যখন কামদেবীর পূজা আরম্ভ হইল, তখন গণিকালয়গুলি উপাসনা মন্দিরে পরিণত হইল। নির্লজ্জ বেশ্যা নারী দেবযানী বা দেবীতে পরিণত হইল এবং ব্যভিচার কার্য ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপের মর্যাদায় উন্নীত হইল। http://www.womenintheancientworld.com/greece.htm এইরূপ কামপূজার দ্বিতীয় সুস্পষ্ট পরিণাম এই হইয়াছিল যে, গ্রীক জাতির মধ্যে ‘লুত’ সম্প্রদায়ের দুস্কার্যাবলী মহামারীর ন্যায় সংক্রমিত হইয়া পড়িল এবং তাহা ধর্মীয় ও নৈতিক সমর্থন লাভ করিল। ‘হোমার’ ও ‘হিসিউড’ – এর শাসনকালে এই সমস্ত কার্যকলাপের অস্তিত্ব ছিল না। কিন্তু সাংস্কৃতিক উন্নতি যখন সৌন্দর্যবিজ্ঞান ও রসবিজ্ঞানের নামে (Aesthetics) নগ্নতা ও যৌনসম্ভোগের পূজার প্রবর্তন করিয়া দিল, তখন কামাগ্নির লেলিহান শিখা এমন পর্যায়ে পৌঁছুল যে, গ্রীক জাতিকে স্বাভাবিক পথ হইতে বিচ্যুত করিয়া এক প্রকৃতিবিরুদ্ধ পথে পরিচালিত করিল। শিল্প বিশেষজ্ঞগণ ইহাকে দুই ব্যক্তির মধ্যে ‘বন্ধুত্বের দৃঢ় সম্পর্ক’ নামে অভিহিত করিল। গ্রীকদেশীয় ‘হারমেডিয়াস’ ও ‘এরস্টগীন’ – ই সর্বপ্রথম এতদূর মর্যাদা লাভ করিয়াছিল যে, তাহাদের স্মরণার্থে আপন মাতৃভূমিতে তাহাদের প্রতিমূর্তি নির্মিত হইয়াছিল। ইহাদের মধ্যে পারস্পরিক অবৈধ ও অস্বাভাবিক প্রেম-সম্পর্ক স্থাপিত হইয়াছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, এই যুগের পর গ্রীকদের জাতীয় জীবনে আর কোন নবযুগের সূত্রপাত হয় নাই।
http://webpage.pace.edu/nreagin/F2004WS267/AnnaCho/finalHISTORY.html
অসংখ্য জ্ঞানী ও পন্ডিত ব্যাক্তির আবির্ভাব কিন্তু ফলাফল শূন্য:
গ্রীসের মত বিশ্বের অন্য কোথাও একই সময় একসাথে এত পন্ডিত ব্যাক্তির আবির্ভাব ঘটেনি। ভাষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, স্থাপত্য,শিল্পকর্ম, চিকিৎসাবিজ্ঞান,গণিতসহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই গ্রীকদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ন অবদান। কিন্তু গ্রীসের প্রতিটি নগররাষ্ট্রের মধ্যেই স্বৈরাচারী ও গণতান্ত্রিক মতবাদ নিয়ে সংঘর্ষ লেগেই থাকতো। যার কারনে নগররাষ্ট্রগুলো পতনের দিকে ধাবিত হয়েছিল। http://www.historymuseum.ca/cmc/exhibitions/civil/greece/gr1100e.shtml
গ্রীক নগররাষ্ট্রের পতনের আরও কিছু কারন ছিল। অভ্যন্তরীন কোন্দল ও নিজেদের দূর্বলতাও এদের পতনের কারন ছিল। রোমের অভ্যুথানের সময় গ্রীকদের নিজেদের সংঘর্ষ আরও প্রকট রুপ ধারন করে ফলে রোমানরা এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করে এবং নগররাষ্ট্রগুলোতে আক্রমন করতে শুরু করে। এ পরিস্থিতিতেও নগররাষ্ট্রগুলো একজোট না হয়ে একে অপরের উপর আধিপত্য বিস্তারের খেলায় মত্ত হতে থাকে। কিন্তু আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হলেও তারা এ আধিপত্য বজায় রাখতে পারেনি। ফলে বহিঃশত্রু বিশেষ করে পারস্য ও মেসিডোনিয়ার আক্রমনে গ্রীক নগররাষ্ট্রগুলোর দ্রুত পতন ঘটতে শুরু করে। http://www.newworldencyclopedia.org/entry/Ancient_Greece
গ্রীসের অধিবাসীরা তখন অনেক খোদায় বিশ্বাসী ছিল৷ গ্রীক সভ্যতার ইতিহাস বিধৃত হয়েছে কালজয়ী মহাকবি হোমারের মহাকাব্যে ৷ তার মহাকাব্যের রূপকথাগুলোতেও বহু খোদা বা দেবতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়৷ এসব ছিল তার জীবনদর্শনেরই কাব্যিক রূপমাত্র৷ হোমারের কাব্যের ব্যাপক প্রভাব ছিল জনগণের ওপর৷ তার কাব্যে খোদা এবং ধর্মের যে ব্যাখ্যা ও পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে তার প্রভাবে সমকালীন গ্রীকবাসীদের অনেকেই বারো খোদায় বিশ্বাস করতো৷ সোফিস্টদের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে হোমারের খোদাদের ব্যাপারে জনগণের বিশ্বাসে ভাটা পড়ে৷ সোফিস্টরা ছিল সন্দেহবাদী৷ সবকিছুর ব্যাপারেই তারা সন্দেহ পোষণ করতো৷ সত্যকে তারা আপেক্ষিক বলে মনে করতো৷ তাই সোফিস্টদের আগমণের ফলে গ্রিসের জনগণের মাঝে নৈতিকতার অবক্ষয় দেখা দেয়৷ কারণ হলো , সোফিস্টদের প্রভাবে মানুষের মন থেকে খোদার ভয় দূর হয়ে গিয়েছিল৷ অবশ্য এ সময় মানুষের মাঝে সক্রেটিস , প্লেটো , এরিস্টটলের মতো কালজয়ী প্রতিভার আবির্ভাব ঘটেছিল৷ অনেকের মতে এঁরা এক খোদায় বিশ্বাসী ছিলেন৷ এঁরা হোমারের খোদাদেরকে প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে উপহাস করতেন৷ গ্রীক সভ্যতা বিশ্ব ইতিহাসকে সক্রেটিস, প্লেটো ও এ্যারিস্টোটলের মত সর্বযুগের শ্রেষ্ট দার্শনিক, পিথাগোরাসেয়র মত বিখ্যাত গণিতবিদ, হিপ্রোকেটস ও হিরোফিলাসের মত বিখ্যাত চিকিৎসাশাস্ত্রবিদদের উপহার দিয়ে গেছে।তাই বিশ্ব সভ্যতা বহুদিক থেকে গ্রীকের কাছে চিরঋনী হয়ে থাকবে। https://en.wikipedia.org/w/index.php?title=Religion_in_Ancient_Greece&oldid=89887698
সমকাম:
প্রাচীন যুগে হেরোডোটাস,প্লেটো,জেনোফোন, অ্যাথেনেউস,ও অন্যান্য লেখকদের রচনা থেকে প্রাচীন গ্রিসে সমকামিতা প্রসঙ্গে নানা তথ্য পাওয়া যায়। প্রাচীন গ্রিসে বহুল প্রচলিত ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সমকামী যৌনসম্পর্কটি ছিলপেডেরাস্টি বা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও সদ্যকিশোর বা পূর্ণকিশোর বালকদের মধ্যেকার যৌনসম্পর্ক (প্রাচীন গ্রিসের বিবাহপ্রথাও ছিল বয়সভিত্তিক; তিরিশ বছর পার করা পুরুষেরা সদ্যকিশোরীদের বিয়ে করত।)। পূর্ণবয়স্ক পুরুষদের মধ্যেও যৌনসম্পর্ক স্থাপিত হত। অনন্তপক্ষে এই জাতীয় সম্পর্কের একজনকে সামাজিক অনুষ্ঠানে যৌনসম্পর্কে গ্রহীতার ভূমিকা নেওয়ার জন্য উপহাস করা হত। নারী-সমকামিতার বিষয়টি প্রাচীন গ্রিসে ঠিক কী চোখে দেখা হত, তা স্পষ্ট নয়। তবে নারী-সমকামিতাও যে স্যাফোর যুগ থেকে গ্রিসে প্রচলিত ছিল, তা জানা যায়।
বিগত শতাব্দীতে পাশ্চাত্য সমাজে যৌনপ্রবৃত্তিকে যেমন সামাজিক পরিচিতির মাপকাঠি হিসেবে দেখা হয়েছে, প্রাচীন গ্রিসে তা হত না। গ্রিক সমাজে যৌনকামনা বা আচরণকে সংগমকারীদের লিঙ্গ অনুযায়ী ভাগ করে দেখা হত না; দেখা হত যৌনক্রিয়ার সময় সংগমকারীরা কে নিজের পুরুষাঙ্গ সঙ্গীর দেহে প্রবেশ করাচ্ছে, বা সঙ্গীর পুরুষাঙ্গ নিজের শরীরে গ্রহণ করছে, তার ভিত্তিতে। এই দাতা/গ্রহীতা বিভেদটি সামাজিক ক্ষেত্রে কর্তৃত্বকারী ও শাসিতের ভূমিকা নিত: অপরের শরীরে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানো পৌরুষ, উচ্চ সামাজিক মর্যাদা ও প্রাপ্তবয়স্কতার প্রতীক ছিল। অন্যদিকে অপরের পুরুষাঙ্গ নিজের শরীরে গ্রহণ করা ছিল নারীত্ব, নিম্ন সামাজিক মর্যাদা ও অপ্রাপ্তবয়স্কতার প্রতীক।
সমকামী সাহিত্য:
লেসবোস দ্বীপের স্যাফো নারী ও বালিকাদের উদ্দেশ্য করে অনেকগুলি কবিতা লিখেছিলেন। কোনো কোনো কবিতার প্রত্যুত্তর দেখা যায় না, আবার কোনো কোনো কবিতার প্রত্যুত্তর দেখা যায় না। স্যাফো সম্ভবত ১২,০০০ লাইনের কবিতা লিখেছিলেন নারীজাতির উদ্দেশ্যে। তবে এর মধ্যে মাত্র ৬০০ লাইনই পাওয়া যায়। তাই তিনি প্রাচীন কালের নারী-সমকামী কবি হিসেবে পরিচিত। স্যাফো গ্রিক সমাজে "থিয়াসোস" বা অল্পশিক্ষিতা নারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সেযুগের সমাজে নারীজাতির মধ্যেও সমকামিতার প্রচলন ছিল। কোথাও কোথাও মালকিনের সঙ্গে (স্যাফো তাঁর ছাত্রীদের উদ্দেশ্যেও কবিতা লিখেছিলেন), আবার কোথাও কোথাও সাধারণ নারীদের মধ্যে এই জাতীয় সম্পর্ক ছিল। নগররাষ্ট্রের উদ্ভবের পর বিবাহপ্রথা সমাজ ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে ওঠে। মেয়েরা গৃহবন্দী হয়ে পড়ে। "থিয়াসোস"রা হারিয়ে যায়। ছোটোবেলা থেকেই মেয়েদের দায়িত্বজ্ঞান ও ভাবী স্বামীকে কিভাবে ভালবাসতে হবে তা শিক্ষা দেওয়া হত। সামাজিকভাবে নারী-সমকামিতার কোনো স্থান থাকেনি।
http://www.omnibusol.com/angreece.html
স্পার্টার ইতিহাসে শিক্ষিকা-ছাত্রীর মধ্যে যৌনসম্পর্কের তথ্য আছে। ক্রীড়াক্ষেত্রে মেয়েরা নগ্ন অবস্থায় অংশ নিত বলেও জানা যায়। প্লেটোর সিমপোসিয়াম-এ এমন মেয়েদের উল্লেখ আছে, যারা "পুরুষদের ধার ধরত না, কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখত। তবে সাধারণ ভাবে নারী-সমকামিতার ঐতিহাসিক প্রামাণ্য তথ্য বেশি নেই। প্রাচীন গ্রিসের সমাজে পৌরুষ চর্চার প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ এবং যৌনসম্পর্কে গ্রহীতার স্থান গ্রহণকারীর প্রতি নারীত্ব আরোপের ফলে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারটি সমস্যাবহুল ছিল। সামাজিকভাবেও তা গ্রহণীয় ছিল না। তবে এই সামাজিক বিরূপতাও গ্রহীতার স্থান গ্রহণকারীর প্রতিই ছিল। সমসাময়িকদের মতে, যেসব গ্রিকরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য দাতার স্থান না নিয়ে এই গ্রহীতার স্থান নিত, তাদের নারী হিসেবে উপহাস করা হত। অ্যারিস্টোফেনিসের নাটকে অনেক জায়গায় এই গ্রহীতাদের উপহাস করা হয়েছে এবং তাদের সমাজ কিভাবে লজ্জা দিত তার উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রিক পুরাণ:
গ্রিক পুরাণ প্রাচীন গ্রীসে রচিত সে দেশের দেবদেবী ও বীর যোদ্ধাদের কাহিনীসম্বলিত পুরাণকথা ও কিংবদন্তী সংক্রান্ত আখ্যানমালা। এই গল্পগুলিতে বিশ্বপ্রকৃতি এবং গ্রিকদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও প্রথা ও রীতিনীতির উদ্ভব ও গুরুত্বও ব্যাখ্যাত হয়েছে। এগুলি প্রাচীন গ্রিসের ধর্মীয় সংস্কৃতির অঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হয়। আধুনিক বিশেষজ্ঞগণ এই সকল পুরাণকথা অধ্যয়ন করে প্রাচীন গ্রিসের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পুরাণ-রচনার প্রকৃতিটি বুঝবারও চেষ্টা করে থাকেন।
গ্রিক পুরাণের রূপায়ণ ঘটেছে মুখ্যত এক সুবিশাল উপাখ্যান-সংগ্রহে এবং গৌণত বিভিন্ন প্রতিনিধিত্বমূলক শিল্পকলা, যেমন পাত্র-চিত্রকলা বা পূজাপহার ইত্যাদিতে। গ্রিক পুরাণে উল্লিখিত হয়েছে বিশ্বের সৃজন এবং বহু দেবদেবী, যোদ্ধা, নায়িকা ও অপরাপর পৌরাণিক জীবের বিস্তারিত বিবরণী। একটি মৌখিক কাব্যপ্রথায় এই কাহিনীগুলির বীজ উপ্ত হয়েছিল। আজকের পরিচিত গ্রিক পুরাণকথাগুলি পাওয়া যায় প্রধানত গ্রিক সাহিত্যে। গ্রিসের প্রাচীনতম সাহিত্য উপাদান ইলিয়াড ও ওডিসি গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণিত হয়েছে ট্রয়যুদ্ধ ও তার পারিপার্শ্বিক ঘটনাগুলি। হোমার রচিত এই গ্রন্থদুটি হেসিয়ডের থিওগনি ওওয়ার্কস অ্যান্ড ডেজ গ্রন্থের সমসাময়িক; যেগুলির বিষয়বস্তু হল জগতের সৃষ্টিতত্ত্ব, দৈবী শাসকদের আবির্ভাব, মানবীয় যুগগুলির পারম্পার্য, মানুষের দুঃখের সূত্রপাত এবং বলিপ্রথাগুলির উদ্ভব।
এছাড়াও এই পুরাণকথাগুলি সংরক্ষিত হয়েছে হোমারীয় স্তোত্রাবলিতে, মহাকাব্য-চক্র বা এপিক সাইকেলের মহাকাব্যিক কবিতাবলিতে, গীতিকবিতায়, খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের ট্রাজেডিয়ানদের রচনাবলিতে, হেলেনীয় যুগের পণ্ডিত ও কবিদের রচনায় এবং প্লুটার্ক বা পসানিয়াসের মতো রোমান সাম্রাজ্যেরসমসাময়িক লেখকবৃন্দের রচনায়। বহু পুরাসামগ্রীর অলংকরণে দেবতা ও যোদ্ধাদের চিত্রাঙ্কণ করা হত বলে পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণও গ্রিক পুরাণ ব্যাখ্যানের অন্যতম প্রধান উপাদান। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীর পাত্রগুলিতে বিভিন্ন জ্যামিতিক নকশার সাহায্যে ট্রয় চক্র বা ট্রোজান সাইকেল তথা হেরাক্লিসেরঅভিযানসমূহের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। পরবর্তীকালে প্রাচীন, ধ্রুপদী ও হেলেনীয় যুগগুলিতে হোমারীয় ও অন্যান্য পৌরাণিক দৃশ্যকলা সমকালে বিদ্যমান সাহিত্যিক প্রমাণের নিদর্শনস্বরূপ।
গ্রিক পুরাণ শুধুমাত্র পাশ্চাত্য সভ্যতার কৃষ্টি, শিল্প ও সংস্কৃতিতেই গভীর প্রভাব বিস্তার করেনি, বরং পশ্চিমি ঐতিহ্য ও ভাষার একটি অংশ হিসাবে বিরাজমান হয়েছে। সুপ্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি কবি ও শিল্পীগণ গ্রিক পুরাণ থেকে অনুপ্রেরিত হয়ে এসেছেন এবং আবিষ্কার করেছেন ধ্রুপদী পৌরাণিক বিষয়বস্তুর সমসাময়িক গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা।
গ্রিক সাহিত্য:
গ্রিক সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখাতেই পৌরাণিক উপাখ্যানগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যদিও প্রাচীন গ্রিসের একমাত্র রক্ষাপ্রাপ্ত পৌরাণিক সারপুস্তিকা হল ছদ্ম-অ্যাপোলোডোরাসের লাইব্রেরি। এই গ্রন্থে বিভিন্ন কবিদের দ্বারা রচিত পরস্পরবিরোধী কাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং গ্রিক পুরাণ ও নায়ক-সম্বন্ধীয় কিংবদন্তীগুলির একটি বৃহদাকার সারাংশ প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে। সাহিত্যিক উপাদানগুলি মধ্যে প্রাচীনতার দিক থেকে সর্বাগ্রগণ্য হল হোমারের দুই মহাকাব্য –ইলিয়াড ও ওডিসি। অপরাপর কবিরা “মহাকাব্য-চক্র”টি সম্পূর্ণ করেছিলেন; কিন্তু সেই সকল অর্বাচীন ও অপ্রধান রচনাসমূহ বর্তমানে সম্পূর্ণই অবলুপ্ত। সনাতন নামটি ব্যতিরেকে হোমারীয় স্তোত্রাবলি সঙ্গেও হোমারের কোনও সম্বন্ধ নেই ।
তথাকথিত গীতিকাব্যিক যুগের প্রথমভাগে রচিত বৃন্দ-স্তোত্রগান এগুলি। হোমারের সম্ভাব্য সমসাময়িক হেসিয়ড থিওগনি (দেবগণের উদ্ভব) নামে একটি গ্রন্থে প্রাচীনতম গ্রিক পুরাণকথাগুলির সম্পূর্ণ বিবরণী লিপিবদ্ধ করেন। এই গ্রন্থে বর্ণিত হয় বিশ্বসৃষ্টি, দেবগণের উৎপত্তি, টাইটান ও দৈত্যদের কথা এবং বিস্তারিত পারিবারিক, লোককথামূলক ও রোগোৎপত্তির কারণ ব্যাখ্যামূলক পুরাণকথা। হেসিয়ডের ওয়ার্কস অ্যান্ড ডেজ কৃষিজীবন সংক্রান্ত একটি শিক্ষামূলক কবিতা। এই কবিতাটিতেও প্রমিথিউস, প্যান্ডোরা ও চার মানবীয় যুগের পুরাকথা বর্ণিত হয়েছে। কবি এই ভয়ানক বিশ্বে সাফল্যলাভের শ্রেষ্ঠ পন্থাটি বাতলেছেন, যে বিশ্বকে দেবগণ আরও ভয়ানক রূপে উপস্থাপনা করে থাকেন।
গীতিকবিরা কখনও-সখনও পুরাণ থেকে তাঁদের রচনার উপাদান সংগ্রহ করতেন; কিন্তু সেগুলির প্রয়োগ যতটা না বর্ণনাত্মক, ততোধিক কল্পনামূলক। পিন্ডার, ব্যাকিলিডেস, সাইমনিডেস প্রমুখ গ্রিক গীতিকবি এবং থিওক্রিটাস ও বায়ন প্রমুখ রাখালিয়া কবিগণ একক পৌরাণিক ঘটনাবলির বর্ণনা দিয়েছেন। পাশাপাশি, ধ্রুপদী এথেন্সীয় নাটকের কেন্দ্রীয় বিষয়ও গৃহীত হয়েছিল গ্রিক পুরাণ থেকেই। একিলাস, সফোক্লিস, এবংইউরিপিডিস প্রমুখ ট্র্যাজিক নাট্যকার তাঁদের কাহিনীর সারবস্তু চয়ন করেছিলেন বীরযুগ ও ট্রয় যুদ্ধের ঘটনা থেকে। বহু মহতী ট্র্যাজিক কাহিনী (যথা, অ্যাগামেনন ও তাঁর অপত্যগণ,অয়দিপাউস, মিদিয়া প্রভৃতি) তাদের ধ্রুপদী রূপটি ধারণ করেছিল এই নাটকগুলিতেই। কমিক নাট্যকার অ্যারিস্টোফেনিস তাঁর দ্য বার্ডস ও দ্য ফ্রগস-এও গ্রিক পুরাণের সূত্র ব্যবহার করেছিলেন। https://en.wikipedia.org/w/index.php?title=Art_in_ancient_Greece&oldid=89232106
ঐতিহাসিক হেরোডোটাস ও ডিওডোরাস সিকিউলাস এবং ভূগোলবিদ পসানিয়াস ও স্ট্র্যাবো গ্রিক বিশ্ব পরিভ্রমণ করে তাঁদের শোনা অসংখ্য স্থানীয় পুরাকথা লিপিবদ্ধ করেন। এগুলির অনেকগুলিই অল্পজ্ঞাত পাঠান্তর।[৭]বিশেষত হেরোডোটাস বিভিন্ন প্রথাসমূহের উৎস সন্ধান করেন এবং প্রাচ্য ও গ্রিসের ঐতিহাসিক ও পৌরাণিক মূলের পার্থক্যটি আবিষ্কার করেন। হেলেনীয় ও রোমান যুগের কবিতাগুলি কৃষ্টিগত অনুশীলনের বদলে সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত হলেও বহু গুরুত্বপূর্ণ বিবরণী লিপিবদ্ধ করে রেখে তাদের অবলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করেছে। এই শ্রেণীতে যে সকল সাহিত্যিকের রচনা অন্তর্ভুক্ত তাঁরা হলেন:
রোমান কবি ওভিড, স্ট্যাটিয়াস, ভ্যালেরিয়াস ফ্ল্যাকাস, সেনেকা এবং সার্ভিয়াস-ভাষ্যসহ ভার্জিল।পরবর্তী প্রাচীন যুগের গ্রিক কবি নোনাস, অ্যান্টোনিয়াস লিবারেলিস, কুইন্টাস স্মায়ারনিয়াস।হেলেনীয় যুগের গ্রিক কবি রোডসের অ্যাপোলোনিয়াস, ক্যালিম্যাকাস, ছদ্ম-এরাটোস্থেনিস ও পার্থেনিয়াস।প্রাচীন গ্রিক ও রোমান উপন্যাসকার, যথা অ্যাপুলিয়াস, পেট্রোনিয়াস, লোলিয়ানাস ও হেলিয়োডোরাস। রোমান ছদ্ম-হাইজিনাসের ঢঙে রচিত ফ্যাবুলাও অ্যাস্ট্রোনোমিকা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুরাণ-সংক্রান্ত গদ্যরচনা। জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ ফিলোস্টেটাস রচিত ইম্যাজিনেস এবং ক্যালিস্ট্রাটাসের বিবরণী দুটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র।
সর্বশেষে, এইসব কৃষ্টিগত প্রথাকে হেয় করার জন্য খ্রিস্টান অ্যাপোলজিস্ট অর্নোবিয়াস প্রদত্ত উদ্ধৃতি ও কয়েকজন বাইজানটাইন গ্রিক লেখকের রচনা থেকে গ্রিক পুরাণের বহু গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা পাওয়া যায়। এগুলির কয়েকটি অধুনাবিলুপ্ত গ্রিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত হয়েছিল। এই পুরাণ সংরক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হেসিকিয়াসের লেক্সিকন, সুদা এবং জন জেজেস ও ইউস্টেথিয়াসের চুক্তিগুলি। খ্রিস্টীয় নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রিক পুরাণের মূল বক্তব্য মনে করা হয়ে থাকে - “প্রত্যেক পুরাণেই রয়েছে ডায়াডালাসের অসতীত্বের বিবরণী” (ἐν παντὶ μύθῳ καὶ τὸ Δαιδάλου μύσος / en panti muthōi kai to Daidalou musos)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুদাস বিশ্বকোষে পসেইডনের ষাঁড়ের প্রতি প্যাসিফের ‘অস্বাভাবিক কামনা’ চরিতার্থ করার পিছনে ডায়াডালাসে ভূমিকার কথা বলা হয়েছে : “এই সকল অশুভের উৎস ও দায় ডায়াডালোসের উপর বর্তায় এবং সে এগুলির জন্য চিহ্নিত বলে, আজ প্রবাদের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
https://en.wikipedia.org/w/index.php?title=Ancient_Greece&oldid=82449996
গ্রিক লোককথায় যৌনতা�র গল্প :
প্রেম ও সৌন্দর্যের অনিন্দ্য সুন্দরী দেবী আফ্রোদিতির পুত্র ইরৌস হল প্রেম, কামনা ও যৌনতার দেবতা। অনেকের মতে তার না ছিলো জন্মদাতা, না ছিলো জন্মদাত্রী। একই সাথে দেবতা ও মানব ছিলো সুদর্শন ইরৌস; যার পিঠে ছিলো স্বর্গীয় কোমল দু'টি পাখা। উড়ন্ত ইরৌসের হাতে থাকতো ধনুক আর পিঠে তীর, দুই রকমের অনেক তীর তার - সোনালী তীরে পায়রার ও অন্যটিতে পেঁচার পাখনা। তীর বিদ্ধ কেউ সর্ব প্রথম যা দেখবে সামনে তার প্রেমেই পড়ে যাবে। অনেকে মনে করেন, ইরৌস হলো সে যে জন্ম হয়ে আলোর জন্ম দেয়। এ সম্পর্কে বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটো বলেছেন: ইরৌস মানুষের হৃদয়ে থাকে কিন্তু সে শুধু নরম হৃদয় পছন্দ করে, কঠোর হৃদয় থেকে দূরে সরে থাকে। তার সবচেয়ে সম্মানজনক গুণটি হলো সে কারো সাথে খারাপ করে না, আর কাউকে খারাপ কাজের অনুমতিও দেয় না। সবাই স্বাধীন ও ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে সেবা করে এবং যে ইরৌসের ভালোবাসার স্বাদ অনুভব করতে পারে সে কখনোই অন্ধকারে থাকে না। ইরৌস ছিলো দুষ্ট প্রকৃতির। তার অন্যতম খেলা ছিলো তীর ছুড়ে মানুষকে ভালোবাসা ও প্রচন্ড যৌন লিপ্সার ভেতর ফেলে দেওয়া। উদ্দেশ্যহীনভাবে এদিক সেদিক পাখার তীর ছুড়ে দিয়ে প্রেমাতুর করে তোলাই ছিলো তার প্রধান কাজ। সে সময় একজন রাজার তিন মেয়ের ভেতর ছোট মেয়েটি ছিলো ভীষণ রুপবতী, নাম ছিলো সাইকি। তার যশ ও রুপের খবর দূর দুরান্তে ছড়িয়ে পড়লো এবং অনেক লোক তাকে পূজা করতে আসতে থাকলো। এদিকে দেবী আফ্রোদিতির ভক্ত ও অভ্যর্থনাকারীর সংখ্যা গেলো কমে। এতে আফ্রোদিতি হিংসায় পুড়তে থাকলো, সিদ্ধান্ত নিলো তার পুত্র ইরৌসের সাহায্য নিবেন সাইকিকে হেয় করতে। ইরৌসকে বললেন ঘুমন্ত সাইকিকে তীর মেরে তার সামনে সবচেয়ে ঘৃণীত ও বাজে পশু যেমন শুকরকে রাখতে, যাতে করে ঘুম থেকে উঠে সাইকি শুকরের প্রেমে পড়ে। অনেক তর্ক-বিতর্কের পর ইরৌস রাজি হলো, মায়ের কথা মতো চলে গেলো ঘুমন্ত সাইকির ঘরে। কিন্তু তীর নিক্ষেপের সময় সাইকির ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
হতচকিত ইরৌসের বাহুতেই অসাবধানতায় বিঁধে গেলো তীর, পরিণতিতে সাইকির গভীর প্রেমে পড়লো ইরৌস। প্রেমের মাত্রা এত বেশি ছিলো যে তীরের আঘাতে এমন তীব্র প্রেমে পড়েনি কেউ আগে। প্রেমে কাতর ইরৌস ফিরে এসে সব কিছু খুলে বললো আফ্রোদিতিকে। আফ্রোদিতি ক্ষিপ্ত হয়ে গেলো এবং অভিশাপ দিলো - যদিও সবাই তার রূপে মুগ্ধ হবে কিন্তু কেউ তাকে স্ত্রী হিসেবে নেবে না। সেই সাথে ইরৌসকে সাইকির থেকে দূরে থাকতে বললো। ভগ্ন হৃদয়ে ইরৌস শপথ করলো যতক্ষণ না সাইকি অভিশাপ মুক্ত হবে ততক্ষণ সে কোন তীর ছুড়বে না। ইরৌসের ভালোবাসার তীরের অভাবে পৃথিবী ক্রমেই ভালোবাসা ও কামহীন হয়ে পড়লো। কোন পশু বা মানুষ কেউ কারো প্রেমে পড়লো না, কেউ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধও হলো না। সাথে আফ্রোদিতির পূজাও থেমে গেলো, প্রেমহীন অপার সৌন্দর্যের কোন মূল্যই রইলো না। ইরৌস যেন আগের মত তীর ছুড়ে এই শর্তে আফ্রোদিতি বাধ্য হয়ে ইরৌসকে সাইকির কাছে যাওয়ার অনুমতি দিলো। সবাই সাইকির রূপকে শ্রদ্ধা করতো, ভালোবাসতো; কিন্তু আফ্রোদিতির অভিশাপে কেউ তাকে স্ত্রী হিসেবে চাইতো না।
এদিকে সাইকির জন্য ইরৌসের প্রেম ও তৃষ্ণা ক্রমশ বাড়তে থাকলো। ইরৌস এপোলোকে অনুরোধ করলো একটা দৈব্যবাণী দিতে যাতে বিষয়টার একটা সমাধান হয় এবং সে তাকে বিয়ে করতে পারে। এপোলো কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার কাছে দৈব্যবাণী প্রেরণ করলো - নববধুর সাঁজে সাইকিকে পাহাড়ে রেখে আসতে হবে যেখানে তাকে পাখাওয়ালা ভয়ঙ্কর এক দৈত্য স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে এবং সে দৈত্যের মুখ সাইকি কখনো দেখতে পারবে না। অশ্রুসজল সকলে বিদায় দিলো সাইকিকে। নববধুর সাঁজে কান্নারত সাইকি নিজেকে পাহাড় চূড়ায় ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিলো। কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত সে, হঠাৎ তার ঘারের কাছ দিয়ে গরম বাতাস বয়ে গেলো। ঘুমিয়ে পড়লো সাইকি। ঘুম ভাঙ্গলে নিজেকে এক প্রাসাদে আবিষ্কার করলো সে, যেখানে অদৃশ্য কিছু কন্ঠ তাকে বললো - এ সব কিছুই তোমার, ক্লান্ত অঙ্গ ধুয়ে নিয়ে রাতের খাবারের জন্য প্রস্তুত হও। আমরা এখানে তোমার সেবায় আছি তোমার সকল ইচ্ছা পূর্ণ করতে। সে রাতে অন্ধকার ঘরে ইরৌস আসলো কথা মোতাবেক সাইকিকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে, সাইকিও তাকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করলো। ইরৌস আসতো প্রতি রাতে; সাইকিকে অনুরোধ করতো কখনো আলো না জ্বালাতে, কারণ সঠিক সময়ের আগে সে চায়না সাইকি কিছু জানুক তার সম্পর্কে। এভাবে গেলো কিছুদিন আঁধার প্রেমে; তবুও এক সুখময় প্রেমপূর্ণ জীবন। আরো কিছুদিন পর আঁধারের দৈত্যেকে অনুরোধ করলো তার বোনদের কিছুদিনের জন্য আনতে, কারণ সে একা থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছিলো।
বোনেরা এসে সাইকির সুখ-শান্তি দেখে ঈর্ষান্বিত হলো, বিভিন্ন কথা বলে সাইকিকে রাজি করালো রাতে আলো জ্বালিয়ে দৈত্যের মুখ দেখতে। এক রাতে ইরৌস ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সে ঘরে আলো জ্বালালো, আর দেখে ফেললো ইরৌসকে। দৈত্যের বদলে দেখতে পেলো স্নিগ্ধ সুন্দর দেবতার মুখ। আলোতে চোখ খুলে অপ্রস্তুত ইরৌস উড়ে পালালো মায়ের নিষেধ ও দৈববাণী মানতে। যাওয়ার সময় বলে গেলো সে আর কোনদিন ফিরবে না, কারণ সাইকি দৈববাণী ও নিষেধ ভঙ্গ করেছে। দিন যায় মাস যায় - স্বামী বিরহে কাতর সাইকি, ইরৌসের কোন দেখা নেই। হারানো ভালোবাসা ফিরে পেতে অসহায় রাজকন্যা অবশেষে আফ্রোদিতির কাছে সাহায্য চাইলো। আফ্রোদিতি বললো যে ইরৌসকে সে যদি সত্যিই ভালোবেসে থাকে তবে তাকে তিনটি কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারলেই কেবল পুনরায় দেখা পাওয়া যাবে ইরৌসের। প্রথম পরীক্ষায় আফ্রোদিতি একটি ঝুড়িতে রাখা কয়েক প্রকারের ডালের মিশ্রণ রাত হওয়ার আগেই বেছে বেছে পৃথক করতে দিলো। এত কম সময়ে এমন কাজ শেষ করা অসম্ভব ছিলো; সাইকির এমন অবস্থা দেখে একটি পিঁপড়া তার প্রতি সদয় হলো। সমস্ত শস্য আলাদা করে দিলো পিঁপড়া। নির্ধারিত সময়ের ভেতরে প্রথম পরীক্ষায় সফল হলো সে। দ্বিতীয় পরীক্ষা সম্পর্কে আফ্রোদিতি জানলো যে তাকে একটি চারণভূমিতে যেতে হবে, যেখানে সোনালী পশমের ভেরারা ঘাস খায়। ঐ ভেরাদের কাছ থেকে সোনালী পশম আনতে হবে সাইকিকে। পথমধ্যে একটি নদীর দেবতা সাইকিকে জানালো যে ঐ ভেরাগুলো ভীষণ বদ মেজাজি আর বলিষ্ঠ। কেউ তাদের পশম তুলতে গেলে নিশ্চিত প্রাণ হারাতে হবে। বুদ্ধি দিলো ঐ নদীর দেবতা - বিকেল হলে ভেরাগুলো নদীর অন্য তীরে বিশ্রাম নিতে নিতে ঘুমিয়ে যায়, তখন সে তার পশম সংগ্রহ করতে পারবে। বিকেলের অপেক্ষায় থাকলো সাইকি। কিন্তু এ সময় আফ্রোদিতি নদীর পানিকে বললো তুমুল বেগে প্রবাহিত হতে, যাতে কোন মানুষ নদী পার না হতে পারে। এই বিপদে একটি ঈগল পাখি সাইকির সাহায্যে এগিয়ে আসলো। ভেরাগুলো ঘুমিয়ে পড়লে ঈগল পাখি পশম সংগ্রহ করে দিলো তাকে। দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও উৎরে গেলো সে। সাইকির বেঁচে যাওয়ায় আরো ক্ষিপ্ত হলো আফ্রোদিতি।
তৃতীয় পরীক্ষাতে আফ্রোদিতি বললো যে - ছেলের চিন্তায় তার রূপ কমে গেছে, তাই পাতালের দেবী পারসিফোনের কাছে কিছু রূপ ছোট বাক্সে ভরে আনতে হবে তার জন্যে। আর বললো বাক্সটি যেন কিছুতেই সে না খোলে। সাইকি ভাবলো পাতালে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো কোন উঁচু স্হান থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করা। তাই সে একটি মিনারে উঠে পড়লো, কিন্তু সে মিনার তাকে অবাক করে দিয়ে লাফ দিতে নিষেধ করলো। মিনারটি সাইকিকে জীবন্ত পাতালে যাওয়া ও আসার পথটি বিস্তারিত বলে দিলো, আসন্ন বিপদের কথাগুলোও বললো। সাথে এটাও বললো যে পাতালে নিম্ন মানের মোটা রুটি ছাড়া কোন কিছু না খেতে, অন্যকিছু খেলে সে আর কখনোই ফেরত আসতে পারবে না - ঐ মায়াজালে আটকে যাবে। যখন সে পাতাল দেবীর কাছে থেকে বাক্স বন্দী রূপ নিয়ে আফ্রোদিতির কাছে ফিরছিলো তখন সে তার কৌতুহল সামলাতে পারলো না। সে চাইলো কিছু রূপ নিজের জন্য নিতে। মাটির উপরে এসে যাত্রা পথে খুললো ঐ রূপের বাক্স, কিন্তু কোন রূপ দেখতে পেলো না বাক্সের ভেতর। রূপের বিনিময়ে নারকীয় ঘুম এসে গ্রাস করলো তাকে। ইরৌস যখন দেখলো তার প্রেয়সীর এরকম করুণ অবস্থা হয়েছে, তখন সে ছুটে গেলো অলিম্পাস পাহাড়ে। দেবতা এপোলোর কাছে সাইকিকে রক্ষা করার জন্য অনুনয় করলো। দেবতা এপোলো অনুভব করলো সাইকির প্রতি তার ভালোবাসা, অমরত্ব দান করলো সাইকিকে - অনুমতি দিলো তাদের অমরত্বের মাঝে একসাথে থাকার। অবশেষে বিয়ে হলো তাদের, একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হলো পরিপূর্ণ ভালোবাসার মাঝখানে। ভালোবাসায় বিভোর ভালোবাসার দেবদূত ইরৌস এখনো তার তীর ছুড়ে চলেছে যখন তখন, বলা যায় না কখন সে তীর কার বুকে এসে বিঁধবে!!!
সূত্র:
১. PLATO A very short Introduction, Julia Annas
২. সমাজ ও সভ্যতার ইতিকথা, ডঃ মোহম্মদ গোলাম রসুল, আলীগড় লাইব্রেরী, ১৫, বাংলাবাজার, ঢাকা।
৩. প্লেটোর ইউটোপিয়া ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, বারট্রান্ড রাসেল, অনুবাদঃ মশিউল আলম, অবসর প্রকাশণী
৪. Glimpses of World History, Jawaharlal Nehru, Oxford University Press
৫. Rise of City States, http://www.ushistory.org/civ/5a.asp
৬. http://www.cals.ncsu.edu/agexed/aee501/plato.html
৭. নারী: মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম
৮. পর্দা ও ইসলাম লেখকঃ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদী
প্রকাশনীঃ আধুনিক প্রকাশনী
No comments:
Post a Comment