ইতিহাসের ঘটনা প্রবাহ বলে হাসিনার স্বাভাবিক মৃত্যু হবে না ???!!
সাংবাদিক ও গবেষক সূফি বরষণের গবেষণার তথ্য..
সূফি বরষণ
মহান মুক্তিযুদ্ধের তিন মহা কলাকৌশলীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি ॥ এর কারণ হিসেবে আমি শুধু মনে করি তারা গণহত্যার সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে??!!
আর এই তিন মহান কলাকৌশলী
হলেন শেখ মুজিব,জুলফিকার আলী ভুট্রো ও ইন্দিরা গান্ধী॥
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দুই মেয়ে বাদে সপরিবারে শেখ মুজিবকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হত্যা করে॥ দুই মেয়ে জার্মানীতে
অবস্থান করায় সেই যাত্রায় বেঁচে যায় ॥ সেই মর্মান্তিক ঘটনায় ঐ বাড়িতে অবস্থানকারী কেউ বেঁচে ছিলো না॥ হত্যাকারীরা এতো পাষণ ছিল যে, একটি বুলেটই যেখানে শেখ মুজিবকে হত্যার জন্য যথেষ্ট ছিল কিন্তু মুজিবের শরীরকে শত শত বুলেট দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়া হয় ॥ লাশ মেঝেতে পড়েছিল দীর্ঘ সময়॥
স্বাধীন দেশের এতো জনপ্রিয় নেতার এই করুণ মৃত্যু পর লাশ সৎকার করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি ॥ বরং দেশের মানুষ মুক্তির আনন্দে ইন্নালিল্লাহ পড়েনি কিন্তু রোযা রেখে ছিল ॥
এই হত্যাকান্ডের ঠিক পাঁচ বছর পর ১৯৭৯ ভুট্রোকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা
দখলকারী জেনারেল জিয়াউল হক॥ অথচ ভুট্রোই তাকে সেনাপ্রধান বানিয়ে ছিল॥ আবার তা কেও বিমান দূর্ঘটনার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছিল ॥
এইবারও ভুট্রোর ফাঁসির ঠিক পাঁচ বছর পর ১৯৮৪ সালে ৩১অক্টোবর দেহরক্ষীর গুলিতে
মৃত্যু হয় ইন্দিরা গান্ধীীর ॥ আর সেই মৃত্যুর সাথে কারণ হিসেবে যোগ হয়েছিল হিন্দু ও শিখদের মাঝে দাঙ্গা লাগিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা অভিযোগ ॥
গল্পের শেষ এখানেই নয়!! ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু ঠিক সাত বছর পর ১৯৯১ সালের ২১ শে মে তার পুত্র রাজীব গান্ধীর মৃত্যু হয় তামিলনাডুতে আত্মঘাতী বোমা হামলার মাধ্যমে ॥ লাশ এতোই বিচ্ছিন্ন হয় যে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়েছিল ॥ ভুট্রোর মৃত্যু ২৮ বছর পর ২০০৭ সালের
২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে এক আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয় তার মেয়ে বেনজীর ভুট্রোর॥
ভালো করে লক্ষ্য করে দেখেন সবার মৃত্যুই হয়েছে অস্বাভাবিক ও মর্মান্তিক ভাবে॥ এবং মৃত্যুর সাল তারিখ ও সময়ের পার্থক্য
সবই বিজোড় সংখ্যায় হয়েছে !!!॥ এ এক অবিশ্বাস মিল??॥ এর একমাত্র কারণ নিজেদের ক্ষমতার লোভে যুদ্ধ বাধিঁয়ে লাখ লাখ সাধারণ জনগণের উপর দিয়ে রক্তের নদী বয়ে দেয়া॥
এবার হাসিনার পালা !! ইন্দিরা গান্ধীর সাথে রাজিব গান্ধীর মৃত্যুর দূরত্ব ছিলো
সাত বছর আর ভুট্রোর সাথে
বেনজীরেরও মৃত্যুর দূরত্ব ছিলো ২৮ বছর ॥
সেটাও বেজোড় সংখ্যার মধ্যে পড়ে মানে চার সাতে ২৮ হয় ॥
তাইলে শেখ হাসিনার মৃত্যু হলেও সেটা বিজোড় সংখ্যার মধ্যেই হবে এবং অস্বাভাবিক মৃত্যু হবে ॥ বাপের পাপের দেনার সাথে হাসিনা বিবি তো অনেক পাপ জমিয়েছে ॥ হাসিনার দুঃশাসনের কারণে যে কত মায়ের বুক খালি হয়েছে তার সঠিক হিসাব নির্ণয় করা কঠিন ॥ কথায় আছে না, কিছু কিছু পাপের দেনা পৃথিবীতেই নিজের রক্ত দিয়ে শোধ করে যেতে হয়॥
উপরে বর্ণিত সব গুলো ঘটনাতো তাই বলে॥ যদিও জন্ম মৃত্যু আল্লাহ হাতে তিনিই নির্ধারণ করেন কে কখন কোথায় মৃত্যু বরণ করবে॥ আমরা অপেক্ষায় থাকি দেখি আল্লাহ কি ভাবে হাসিনার মৃত্যু দেয়॥ আজ পর্যন্ত কারোই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি যারা মানুষ হত্যা বা গণহত্যা চালিয়েছে॥
হিন্দু ধর্মের ভবিষ্যত্ পুরাণার বর্ণনা অনুযায়ী প্রাচীন ভারতে ভরত চন্দ্র নামে এক রাজা ছিলো ॥ তিনি ছোট বেলায় খেলার ছলে সাতটি প্রজাপতি হত্যা করেন॥ আর এই কারণে এক যুদ্ধে তার একে একে সাত ছেলে নিহত হয়॥ এবার শুধু অপেক্ষার পালা কি হয় হাসিনার ভাগ্যে তা দেখার জন্যে ॥
। মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
সাংবাদিক ও গবেষক সূফি বরষণের গবেষণার তথ্য..
সূফি বরষণ
মহান মুক্তিযুদ্ধের তিন মহা কলাকৌশলীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি ॥ এর কারণ হিসেবে আমি শুধু মনে করি তারা গণহত্যার সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে??!!
আর এই তিন মহান কলাকৌশলী
হলেন শেখ মুজিব,জুলফিকার আলী ভুট্রো ও ইন্দিরা গান্ধী॥
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দুই মেয়ে বাদে সপরিবারে শেখ মুজিবকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হত্যা করে॥ দুই মেয়ে জার্মানীতে
অবস্থান করায় সেই যাত্রায় বেঁচে যায় ॥ সেই মর্মান্তিক ঘটনায় ঐ বাড়িতে অবস্থানকারী কেউ বেঁচে ছিলো না॥ হত্যাকারীরা এতো পাষণ ছিল যে, একটি বুলেটই যেখানে শেখ মুজিবকে হত্যার জন্য যথেষ্ট ছিল কিন্তু মুজিবের শরীরকে শত শত বুলেট দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়া হয় ॥ লাশ মেঝেতে পড়েছিল দীর্ঘ সময়॥
স্বাধীন দেশের এতো জনপ্রিয় নেতার এই করুণ মৃত্যু পর লাশ সৎকার করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি ॥ বরং দেশের মানুষ মুক্তির আনন্দে ইন্নালিল্লাহ পড়েনি কিন্তু রোযা রেখে ছিল ॥
এই হত্যাকান্ডের ঠিক পাঁচ বছর পর ১৯৭৯ ভুট্রোকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা
দখলকারী জেনারেল জিয়াউল হক॥ অথচ ভুট্রোই তাকে সেনাপ্রধান বানিয়ে ছিল॥ আবার তা কেও বিমান দূর্ঘটনার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছিল ॥
এইবারও ভুট্রোর ফাঁসির ঠিক পাঁচ বছর পর ১৯৮৪ সালে ৩১অক্টোবর দেহরক্ষীর গুলিতে
মৃত্যু হয় ইন্দিরা গান্ধীীর ॥ আর সেই মৃত্যুর সাথে কারণ হিসেবে যোগ হয়েছিল হিন্দু ও শিখদের মাঝে দাঙ্গা লাগিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা অভিযোগ ॥
গল্পের শেষ এখানেই নয়!! ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু ঠিক সাত বছর পর ১৯৯১ সালের ২১ শে মে তার পুত্র রাজীব গান্ধীর মৃত্যু হয় তামিলনাডুতে আত্মঘাতী বোমা হামলার মাধ্যমে ॥ লাশ এতোই বিচ্ছিন্ন হয় যে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়েছিল ॥ ভুট্রোর মৃত্যু ২৮ বছর পর ২০০৭ সালের
২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে এক আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয় তার মেয়ে বেনজীর ভুট্রোর॥
ভালো করে লক্ষ্য করে দেখেন সবার মৃত্যুই হয়েছে অস্বাভাবিক ও মর্মান্তিক ভাবে॥ এবং মৃত্যুর সাল তারিখ ও সময়ের পার্থক্য
সবই বিজোড় সংখ্যায় হয়েছে !!!॥ এ এক অবিশ্বাস মিল??॥ এর একমাত্র কারণ নিজেদের ক্ষমতার লোভে যুদ্ধ বাধিঁয়ে লাখ লাখ সাধারণ জনগণের উপর দিয়ে রক্তের নদী বয়ে দেয়া॥
এবার হাসিনার পালা !! ইন্দিরা গান্ধীর সাথে রাজিব গান্ধীর মৃত্যুর দূরত্ব ছিলো
সাত বছর আর ভুট্রোর সাথে
বেনজীরেরও মৃত্যুর দূরত্ব ছিলো ২৮ বছর ॥
সেটাও বেজোড় সংখ্যার মধ্যে পড়ে মানে চার সাতে ২৮ হয় ॥
তাইলে শেখ হাসিনার মৃত্যু হলেও সেটা বিজোড় সংখ্যার মধ্যেই হবে এবং অস্বাভাবিক মৃত্যু হবে ॥ বাপের পাপের দেনার সাথে হাসিনা বিবি তো অনেক পাপ জমিয়েছে ॥ হাসিনার দুঃশাসনের কারণে যে কত মায়ের বুক খালি হয়েছে তার সঠিক হিসাব নির্ণয় করা কঠিন ॥ কথায় আছে না, কিছু কিছু পাপের দেনা পৃথিবীতেই নিজের রক্ত দিয়ে শোধ করে যেতে হয়॥
উপরে বর্ণিত সব গুলো ঘটনাতো তাই বলে॥ যদিও জন্ম মৃত্যু আল্লাহ হাতে তিনিই নির্ধারণ করেন কে কখন কোথায় মৃত্যু বরণ করবে॥ আমরা অপেক্ষায় থাকি দেখি আল্লাহ কি ভাবে হাসিনার মৃত্যু দেয়॥ আজ পর্যন্ত কারোই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি যারা মানুষ হত্যা বা গণহত্যা চালিয়েছে॥
হিন্দু ধর্মের ভবিষ্যত্ পুরাণার বর্ণনা অনুযায়ী প্রাচীন ভারতে ভরত চন্দ্র নামে এক রাজা ছিলো ॥ তিনি ছোট বেলায় খেলার ছলে সাতটি প্রজাপতি হত্যা করেন॥ আর এই কারণে এক যুদ্ধে তার একে একে সাত ছেলে নিহত হয়॥ এবার শুধু অপেক্ষার পালা কি হয় হাসিনার ভাগ্যে তা দেখার জন্যে ॥
। মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
No comments:
Post a Comment