Sunday, 31 May 2015

বাঙালী জাতির আদি নৃ তাত্ত্বিক (জন্ম) পরিচয় নেই !!!!???

বাঙালী জাতির আদি নৃ তাত্ত্বিক (জন্ম) পরিচয় নেই !!!!???

সূফি বরষণ
প্রাচীন ইতিহাস থেকে জানা যায়,, প্রায় চারহাজার বছরের পুরনো তাম্রযুগের ধ্বংসাবশেষ বাংলায় পাওয়া গেছে । ইন্দো-আর্যদের আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয় খ্রীষ্টপূর্ব দশম শতকে । এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং বাংলার আশেপাশে স্থাপিত হয়েছিল । অঙ্গ বঙ্গ এবং  মগধ  রাজ্যের বর্ণনা প্রথম পাওয়া যায় অথর্ব বেদে প্রায় ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে ।
খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে বাংলার বেশিরভাগ এলাকাই শক্তিশালী রাজ্য মগধের অংশ ছিল । মগধ ছিল একটি প্রাচীন ইন্দো-আর্য রাজ্য । মগধের কথা রামায়ন এবং মহাভারতে  পাওয়া যায় । বুদ্ধের সময়ে এটি ছিল ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের মধ্যে একটি । মগধের ক্ষমতা বাড়ে  বিম্বিসারের (রাজত্বকাল ৫৪৪-৪৯১ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) এবং তার ছেলে অজাতশত্রুর(রাজত্বকাল ৪৯১-৪৬০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) আমলে॥ বিহার এবং বাংলার অধিকাংশ জায়গাই মগধের ভিতরে ছিল॥॥
একটু তত্ত্বগত বিশ্লেষণ ,, বাংলা বা বেঙ্গল শব্দগুলির অবিকল আদি হচ্ছে অজ্ঞাত, কিন্তু বিশ্বাস করা হয় যে শব্দটিBang, একটি দ্রাবিড়ীয়-ভাষী উপজাতি (tribe) থেকে নিষ্পন্ন হয়েছে। Bang গড়পড়তা ১০০০ খ্রিস্টপুর্বে ক্ষেত্রে অধিষ্ঠিত করেছিলেন।অন্য তত্ত্ব বলছে যে শব্দটি ভাঙ্গা (বঙ্গ) থেকে নিষ্পন্ন হয়েছে, যেটি অস্ট্রীয় শব্দ "বঙ্গা" থেকে এসেছিল, অর্থাৎ অংশুমালী। শব্দটি ভাঙ্গা এবং অন্য শব্দ যে বঙ্গ কথাটি অভিহিত করতে জল্পিত (যেমন অঙ্গ) প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থে পাওয়া যায়, যেমনঃ বেদ,জৈন গ্রন্থে, মহাভারত এবং পুরাণে । "ভাঙ্গালা" (বঙ্গাল/বঙ্গল)-এর সবচেয়ে পুরনো উল্লেখ রাষ্ট্রকূট গোবিন্দ ৩-এর নেসারি প্লেট্‌সে উদ্দিষ্ট (৮০৫ খ্রিস্ট-আগে) যেখানে ভাঙ্গালার রাজা ধর্মপালের বৃত্তান্ত লেখা আছে। প্রাচীনকালে বাংলা ভূখন্ডে চারটি জাতি চার দিক দিয়ে প্রবেশ করে॥
করে॥১. আদ্য অস্ট্রালয়ডেরা একটি বঙ্গের সবচেয়ে প্রথম অধিবাসী। ২.দ্রাবিড়ীয় জাতি দক্ষিণ ভারত  থেকে বঙ্গে প্রবেশ করেছিলেন,॥ ৩. যখনতিব্বতী বার্মিজ  জাতি হিমালয় থেকে প্রবেশ করেছিলেন,॥
৪. ইন্দো-আর্য জাতি প্রবেশ করেছিলেন উত্তরপশ্চিম ভারত থেকে।
হাজার হাজার বছরের পথ পরিক্রমায় এই চারটি জাতির সংযোজনের ফলে আজকের বাঙালী জাতির গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয় ॥ অখন্ড বঙ্গদেশ পরিচিত ছিল গৌড়, বরেন্দ্রী, রাঢ়, সমতট, বঙ্গ ইত্যাদি জনপদের নিজস্ব নামে। অনার্যদের এ দেশে আর্যরা প্রথমে রাঢ়ে এবং পরে বরেন্দ্রীতে এসে বসতি স্থাপন করে খৃষ্টের জন্মের পূর্বে। যে বিস্তীর্ণ জনপদের সমষ্টিকে বঙ্গদেশ বলা হত তা ছিল এক বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের পরিচিতি। ১৪ শতকের দ্বিতীয় ভাগে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ এই বিভক্ত জনপদগুলোকে একত্রিত করেন। অঞ্চলগুলোর মধ্যে ছিল গৌড়, বঙ্গ, রাঢ়, বরেন্দ্রী, পুন্ড্র, হরিকেল, সমতট, ইত্যাদি। এর মধ্যে গৌড়, বরেন্দ্রী ও বঙ্গ শব্দ তিনটি সর্বাধিক পুরনো। স্থানীয়ভাবে এ অঞ্চলের নাম মুখে মুখে বঙ্গ (বাঙ্গালা) নামে চালু থাকলেও লিখিত রূপে পাওয়া যায় গৌড়ের নাম। নামের ইতিহাসে প্রসঙ্গত, বিখ্যাত নাবিক মার্কো পোলো ভারতবর্ষ ঘুরে গিয়ে তাঁর লেখায় বাঙ্গালা নামটি উল্লেখ করেছেন। আবার বখতিয়ার খিলজী যে মুদ্রা প্রবর্তন করেছিলেন তাতে ‘গৌড় বিজয়’ শব্দ দুটি পাওয়া গেছে। আর স্থানীয় ভাষা (বাংলা) সম্পর্কে ইতিহাসবেত্তাদের মত, ‘চর্যাপদে বাংলা ভাষার পুরনো যে নমুনা পাওয়া গেছে তার বয়স এক হাজার বছরের কিছু কম।
১৩৫২ সালে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ সোনারগাঁ জয় করে ‘সুলতান’ উপাধী গ্রহণ করেন। ১৩ শতকের গোড়া থেকে শুরু করে সাড়ে পাঁচশ বছর বঙ্গদেশ মুসলমানদের শাসনাধীন ছিল। অন্যদিকে ১৩/১৪ শতকের আগে বাংলা ভাষা তেমনভাবে বিকাশ লাভ করতে পারেনি। তাই ভাষাস্বত্ত্বায় পরিচিত হতে এ অঞ্চলের লোক বাঙালি বলে ১৮ শতকের পূর্ব পর্যন্ত পরিচিতি লাভ করেনি।
যেহেতু জনগোষ্ঠীর গোড়াপত্তনের আপেক্ষিক ক্রম এখন জিন-তত্ত্ববিদগনের গবেষণাধীন, তাই এই বিষয় এখনও প্রত্নতাত্ত্বিক অনুমান সাপেক্ষ। অতএব আমাদের মানুষের নৃ তাত্ত্বিক পরিচয় বা জন্ম পরিচয় জানতে হলে জিন ডিএনএ পরীক্ষা অতিজরুরী ॥ কারণ ধারণা করা হয়  অধুনাতন বাঙালীরা  এই জাতিগুলির সংমিশ্রণ। তাই আমাদের গায়ের রং এতো বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের ॥ কেউ সাদা কেউ
 কালো আবার কেউ সাদা কালোর মিশ্র ???!!! বঙ্গ বলতে যা বোঝায় তা ছিল হাজার হাজার অনুচ্চ টিলার সমন্বয়ে গঠিত জলাভূমি। দেশীয় উচ্চারণে যা ছিল বং। এখানে আল তৈরির মাধ্যমে জোয়ার ভাটার পানি আটকানো হতো বলে সারা জনপদ বং আ
যদিও বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত। পাশতুনেরা, এবং তুর্কীরাদেরও সংমিশ্রণ, যাঁরা এইখানে খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতক ওর তত্-পরবর্তীকালে প্রবেশ করেন। ইরানিরা ও আরবরা  মূলতঃ নৌপথে ব্যবসায়িক কারণে উপকূল-সংলগ্ন অঞ্চলে (যেমন চট্টগ্রাম) বঙ্গীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশ্রিত হন মধ্যযুগের বিভিন্ন সময়ে॥








No comments:

Post a Comment