Sunday, 31 May 2015

ধর্ষণের দর্শন শেষ কোথায় ? লিঙ্গ নামক মেশিন দিনদিন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাচ্ছে কেন ??!! মানসিক বিকারগ্রস্থ সমাজের মানুষের একি বেহাল দশা??!!??

ধর্ষণের দর্শন শেষ কোথায় ??

া নামক মেশিন দিনদিন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাচ্ছে কেন  ??!!

মানসিক বিকারগ্রস্থ সমাজের মানুষের একি বেহাল দশা??!!??

সূফি বরষণ
সমাজে মানবিক মূল্যবোধের এক ভয়ংকর অবক্ষয় শুরু হয়েছে ॥ প্রতিদিন শুধুমাত্র কাগজে কলমের হিসেবে দুইজনের বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে!!!?? ॥ একটি দেশ বা সমাজের জন্যে সত্যিই এ এক ভয়াবহ বিপদ সংকেত ॥ যে যেখানে যখন তখন নিজের মানসিক বিকারগ্রস্থ কুপ্রভৃতিকে বাস্তবায় করছে ॥ এই হিংস্র লালসার শিকার
বয়স্ক নারী থেকে শিশু, বাদ যাচ্ছেন না কেউ। ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাও ঘটছে হরহামেশাই।
তথাকথিত তরুণীদের কাচি চাকু মরিচের গুড়া এবং কনডম থেরাপি কাজে আসছে না ॥ লিঙ্গ নামক মেশিন আজ নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে ॥ নিয়ন্ত্রণহীন মেশিন বাসে ট্রেনে ট্রাকে অফিসে হোটেলে পার্কে নৌকাতে ট্রয়লেটে যখন তখন দূর্ঘটনা ঘটাচ্ছে॥
 তরুণীরা পদে পদে শিকার হচ্ছেন যৌন নির্যাতনের। সামাজিক সম্মানের ভয়ে অনেকেই থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হতে চান না। আবার যারা থানায় গিয়ে অভিযোগ করছেন, তারাও ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে রয়েছেন শঙ্কায়। থানায় করা বেশির ভাগ মামলার তদন্তও গতিহীন হয়ে পড়ে আছে। ফলে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বেশির ভাগই থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।  বর্তমানে উচ্চ আদালতের একটি রায় এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ॥ এর মূলে প্রধান বিচারপতি সিনহা( ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড অসাংবিধানিক ঘোষণা ) ॥ এতে বলতে আর দ্বিধা নেই দেশের জুডিশিয়াল বিচারকরা আজ ন্যায় ভ্রষ্ট মানসিক বিকারগ্রস্থ॥
 মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মার্স পর্যন্ত তিন মাসে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ১২৩ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২১ জনের বয়স ৭ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৫ জনকে। এ ১৫ জনের মধ্যে আবার ৭ জনের বয়স ৬ বছরের নিচে। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৪ জন। চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসেও প্রায় সমানুপাতিক হারেই চলছে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার বলছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে মোট ১৫৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৩৩, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৪, মার্চ মাসে ৪০ ও এপ্রিল মাসে ৪১ জন ধর্ষণের শিকার হন। এ ছাড়া এ চার মাসে ৫৩টি যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইমিস সেন্টারে (ওসিসি) রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে প্রায় প্রতিদিনই ২-৩ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। সে হিসেবে প্রতি মাসে ৬০ জনের বেশি নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন।

নিয়ন্ত্রণহীন মেশিনের গল্প এখানেই শেষ নয়॥
 সুন্দরী মেয়েদের কে নিজেদের লালসার বস্তু বানাতে ৫৪ ধারায় আটক করা হয়॥ কারাবন্দি মেয়েদের আদালতে না তুলে দীর্ঘ দিন আটকে রেখে  ‘যৌন কাজে ব্যবহার করা হয়’??!!
অভিযোগ করেছেন তথ্য প্রমাণসহ  খোদ দেশের  প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
তিনি নির্দিষ্ট করে বলেছেন, ঢাকা, সিলেট কারাগার এবং গাজীপুর নারী ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি গাজীপুরে নারী ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিদর্শনের অভিজ্ঞতার কথা জানান প্রধান বিচারপতি।

তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে অনেক যুবতী মেয়েকে ৫৪ ধারায় আটক রাখা হয়েছে। তাদের আদালতে হাজির করা হয় না। জেলা জজকে এ বিষয়টি তদন্ত করে তালিকাসহ রিপোর্ট দিতে বলেছি। জেলা জজ জানিয়েছেন, মেয়েদের আদালতে উপস্থাপন করা হয় না। কারণ তাদের যৌন কাজে ব্যবহার করা হয়। তখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে (ড. মিজানুর রহমান) সুপ্রিম কোর্টে আমার কার্যালয়ে ডেকে এনে লিস্টসহ ওইসব নারীর তালিকা দিয়েছিলাম। অনেক  দিন হয়ে গেছে, দেখার মতো কিছুই হয়নি।’
বলদ মিজান কি করবে সে তো অবৈধ সরকারের পাচাটা
গোলাম ॥ কাজের কাজ কিছুই করছে না শুধু শুধু মাসে মাসে নির্লজ্জের মতো বেতন নিচ্ছে ??
তার উপরে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি দলের নেতা কর্মীদের হাতে ঘটেছে  অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনা ॥ কিন্তু জড়িত কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি॥ কি যেন এক অগাত্য কারণে আজ চুপ নারীবাদীরাও ??!! এই ভয়াবহ সামাজিক অবক্ষয়ের  কারণ গুলো সবার কাছে পরিষ্কার ॥ আজ যে সমস্যা পরের মনে করে এড়িয়ে যাচ্ছেন  সেই সমস্যায় কাল আপনার মাথার উপরে পাহাড় সমান বোঝা হয়ে উপস্থিত হবে॥ নিয়ন্ত্রণহীন মেশিন দ্বারা
দূর্ঘটনার শিকার হবে আপনার মেয়ে বোন স্ত্রী পূত্র বধূ ॥এখনই  সাবধান হোন সতর্ক হোন॥ ধর্মীয় অনুশীলন বৃদ্ধি করুন পারিবারিক জীবনে ॥ আল্লাহ আযাবের ভয়ে আপনার লিঙ্গ নামক মেশিনকে নিয়ন্ত্রণ করুন ॥ তবেই ধর্ষণের অভিশাপ থেকে আপনার পরিবার এবং সমাজ মুক্তি পাবে॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ


No comments:

Post a Comment