‘পুঁজি’ কী? ষাটের দশকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের প্রবীণতম শিক্ষক ড. এ এন আবু মাহমুদের জবানিতে বলি- ‘কার্ল মার্কস তিন খণ্ডে (দুই হাজার ২৬৬ পৃষ্ঠা) ‘ক্যাপিট্যাল’ গ্রন্থ লিখে সুস্পষ্ট করে বলতে পারেননি ‘পুঁজি’ বলতে আসলে কী বুঝায়। তবে সে জটিলতায় না গিয়ে আমাদের ছাত্রদের সরলীকরণ করে শিখিয়েছি- ক্যাপিটাল ইজ অ্যা মিনস অব প্রোডাকশন উইথ অ্যা ফ্লো অব ইনকাম। ‘ক্যাপিট্যাল’ পড়ে শিখেছি আসলেও ব্যাপারটি তত সরল নয়।
তেমনি ভারত যে ভাগ হলো তার জন্য দায়ী কে? এর উত্তর খুঁজতে গিয়েও দেখছি, চৌদ্দ-পনের শ’ শব্দের একটি লেখায় এর মীমাংসা করা দুরাশা মাত্র। যদিও চোখ বুজে অনেকেই মুখস্থ বলে ফেলেন- দায়ী হলেন জিন্নাহ। নিচের উদ্ধৃতিগুলো বিবেচনাসাপেক্ষে এ বিষয়ে বিচারের ভার পাঠকের ওপর ছেড়ে দিলাম।
সম্প্রতি ভারতের জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ ভারত ভাগের বিষয়টি সামনে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভারতকে বিভক্ত করতে চাননি। ভারত ভাগের জন্য পণ্ডিত জওয়াহেরলাল নেহরু, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের মতো শীর্ষ রাজনীতিকেরাই দায়ী’ (সূত্র : ফেসবুক, ০৪ মার্চ ২০১৮)। এই চারজনেরই অবস্থানের বিষয়টি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ তার ‘ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম’ (যা ভারতীয় প্রখ্যাত কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বাংলায় ‘ভারত স্বাধীন হলো’ শিরোনামে তরজমা করেছেন) গ্রন্থে পরিষ্কার করেছেন।
কংগ্রেস দলের সভাপতি হিসেবে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের স্বাধীনতা প্রশ্নে ক্যাবিনেট মিশন পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, মাত্র তিনটি বিষয় বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন থাকবে। তিনটি বিষয় বলতে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রীয় বিষয় এবং যোগাযোগ- যা আমার পরিকল্পনায় বাতলানো হয়েছিল। মিশন অবশ্য পরিকল্পনায় একটি নতুন জিনিস যোগ করে। এতে পুরো দেশকে ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’- তিনটি মণ্ডলে ভাগ করা হয় এ কারণে যে, মিশনের সদস্যরা মনে করেছিলেন, তাতে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ঢের বেশি ভরসার ভাব আসবে। ‘ক’ অংশের মধ্যে পড়বে মাদ্রাজ, বোম্বাই, যুক্ত প্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও উড়িষ্যা; ‘খ’ অংশের মধ্যে পড়বে পাঞ্জাব, সিন্ধু উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ আর ব্রিটিশ বেলুচিস্তান। ‘গ’ অংশের মধ্যে পড়বে বাংলা আর আসাম। বাকি সবার চেয়ে মুসলমানদের সংখ্যা হবে সামান্য বেশি। ক্যাবিনেট মিশন ভেবেছিল, এ ব্যবস্থায় মুসলিম সংখ্যালঘুরা পুরোপুরি ভরসা লাভ করবে এবং মুসলিম লীগের যেসব ন্যায্য ভয়ভীতি, তা দূর হবে। ক্যাবিনেট মিশন পরিকল্পনার সাথে আমার প্রস্তাবের আত্মিক মিল ছিল এবং তাতে একমাত্র সংযোজন ছিল তিনটি অংশের প্রবর্তন- সে কারণে মনে করেছিলাম, প্রস্তাবটি আমাদের গ্রহণ করা উচিত।
আজাদের ভাষায়, গোড়ায় জিন্না ওই পরিকল্পনার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে ছিলেন। স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি নিয়ে মুসলিম লীগ এতদূর এগিয়ে গিয়েছিল যে, সেখান থেকে পিছিয়ে আসা তার পক্ষে কঠিন হয়ে গেল। মিশন থেকে সুস্পষ্টভাবে ও দ্বিধাহীন ভাষায় জানানো হয়েছিল, দেশ বিভাগ এবং একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন কোনোক্রমেই তারা অনুমোদন করবেন না...। ক্যাবিনেট মিশন ভেবেছিল এতে কোনো অন্যায় নেই। প্রকৃত যুক্তরাষ্ট্রে, ক’টি এবং কী ধরনের বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হস্তান্তরিত করা হবে, প্রত্যেকটি অঙ্গরাজ্যের তা ঠিক করার স্বাধীনতা থাকবে (ভারত স্বাধীন হলো, ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ১৪৩-১৪৪)।
এরপর মাওলানা আজাদ লিখছেন, ‘১৯৩৯ থেকে ১৯৪৬ একটানা সাত বছর (কংগ্রেসের) সভাপতি থাকার পর এবার আমার বিদায় নেয়া উচিত। সুতরাং আমি ঠিক করলাম, কাউকে আমার নাম প্রস্তাব করার অনুমতি দেবো না...। সব দিক বিচার-বিবেচনা করে আমার মনে হলো, জওয়াহেরলালের হওয়া উচিত নতুন সভাপতি...। যতটা যা সম্ভব ঠিক বুঝেই তা করেছিলাম। তারপর ঘটনা যেভাবে গড়াল, তাতে আমার যথেষ্ট আক্কেল হয়েছে। বুঝেছি, এটা ছিল বোধহয় আমার রাজনৈতিক জীবনের মারাত্মক ভুল। এ রকম সঙ্কটপূর্ণ সময়ে কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে যা পস্তানো পস্তায়েছি, তা আর বলার নয়। গান্ধীজীর ভাষায়, আমার এই ভুল ছিল হিমালয় প্রমাণ। যখন আমি ঠিক করলাম নিজে দাঁড়াব না, তখন সর্দার প্যাটেলকে সমর্থন না করাটা ছিল আমার দ্বিতীয় ভুল...। এই পরিকল্পনা পয়মাল করার সুযোগ জিন্নাহ পেতে জওয়াহের লাল যে গলদযুক্ত কাজ করেছিল, প্যাটেল তা কখনোই করতেন না...। যখন ভাবি, এ ভুলগুলো যদি আমি না করতাম, তাহলে হয়তো গত ১০ বছরেই ইতিহাস পাল্টে যেত, তখন নিজেকে কখনোই ক্ষমা করতে পারি না’ (ভারত স্বাধীন হলো ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ১৪৭-১৪৮)।
মুসলিম লীগ কাউন্সিল আগেই ক্যাবিনেট মিশন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। জাতীয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিও তাই করেছিল। অবশ্য তখনো বাকি ছিল (অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কাউন্সিল) এআইসিসির অনুমোদন (ভারত স্বাধীন হলো ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ১৪৯)। সেটাও মাওলানা আজাদ দক্ষতার সাথে করে নেন। এবারই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটল, যে রকম ঘটনা ইতিহাসের মোড় ফিরিয়ে দেয়। ১৯৪৭-এর ১০ জুলাই জওয়াহেরলাল বোম্বাইতে একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। তাতে তিনি এক আজব বিবৃতি দিলেন। সংবাদপত্রের কিছু প্রতিনিধি তাকে জিজ্ঞেস করেন, এআইসিসি যখন প্রস্তাব পাস করেছে, তখন কংগ্রেস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনসমেত পরিকল্পনাটি সর্বাংশে গ্রহণ করেছে কিনা।
উত্তরে জওয়াহেরলাল নেহরু বলেন, কংগ্রেস বোঝাপড়ার কোনোরকম বাঁধন না মেনে এবং সব সময় অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণের স্বাধীন মনোভাব নিয়ে গণপরিষদে প্রবেশ করবে। সংবাদপত্রের প্রতিনিধিরা আরো জিজ্ঞেস করেন, এর মানে এটা কি যে, ক্যাবিনেট কমিশনের রিপোর্ট হেরফের করা যাবে। উত্তরে তিনি জোর দিয়ে বলেন, কংগ্রেস রাজি হয়েছে শুধু গণপরিষদে যোগ দিতে এবং মনে করে, তেমন বুঝলে কংগ্রেস অবাধে ক্যাবিনেট মিশন পরিকল্পনা রদবদল বা ইতরবিশেষ করতে পারে (ভারত স্বাধীন হলো, ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ১৫০)...। জানতে পারলাম, গোটা ব্যাপারটার পেছনে নাটের গুরু ছিলেন পুরুষোত্তমদাস ট্যান্ডন। তার চিন্তাভাবনার ওপর আমার তেমন শ্রদ্ধা ছিল না; তবে জওয়াহেরলালকে আমি বোঝানোর চেষ্টা করলাম, যাতে তিনি মত পরিবর্তন করেন...। জওয়াহেরলাল আমার সাথে একমত হলেন না এবং তার নিজের বিচার ঠিক বলে আঁকড়ে রইলেন (ভারত স্বাধীন হলো ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ১৫৬-১৫৭)।
এতে আজাদ হতাশ হয়ে লিখেছেন, ‘ধরে বেঁধে মুসলিম লীগকে দিয়ে ক্যাবিনেট মিশন পরিকল্পনা মানিয়ে নেয়া হয়েছিল...। কাজেই মিশনের সাথে আলোচনায় যে ফলাফল হয় তাতে জিন্নাহ মোটেই খুশি হননি। জওয়াহেরলালের বিবৃতি দেখে তার আক্কেলগুড়ম হলো। তৎক্ষণাৎ তিনি এই মর্মে বিবৃতি দিলেন যে, কংগ্রেস সভাপতির এই ঘোষণার ফলে গোটা অবস্থার পুনর্বিবেচনা দরকার...। তার মতে, জওয়াহের লালের ঘোষণার মানে, কংগ্রেস ক্যাবিনেট কমিশন পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করছে। ২৭ জুলাই বোম্বাইতে মুসলিম লীগ কাউন্সিলের বৈঠক বসে। জিন্নাহ এর উদ্বোধনী বক্তৃতায় পাকিস্তান দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেন, মুসলিম লীগের পক্ষে এ ছাড়া গত্যন্তর নেই। তিন দিন ধরে আলোচনার পর ক্যাবিনেট মিশন পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে কাউন্সিল থেকে প্রস্তাব পাস করা হয়। তাতে এটাও ঠিক হলো, পাকিস্তান অর্জনের জন্য লীগ প্রত্যক্ষ সংগ্রামের পথে যাবে (ভারত স্বাধীন হলো ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ১৫০-১৫৮)। এরপর বহু কাঠখড় পুড়িয়েও জিন্নাহ এবং লীগকে আর ফেরানো যায়নি, কারণ জিন্নাহ কংগ্রেসকে আর বিশ্বাস করলেন না।
জওয়াহেরলাল নেহরু একসময় জিন্নাহ সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন ‘কিছু পুরাতন নেতা কলকাতা কংগ্রেসের পর কংগ্রেসের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করেন এবং তাদের মধ্যে জিন্নাহ ছিলেন এক জনপ্রিয় ও বিখ্যাত ব্যক্তি। সরোজিনী নাইডু তাকে ‘হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের রাজদূত’ আখ্যা দিয়েছিলেন। অতীতে মুসলিম লীগকে কংগ্রেসের কাছাকাছি আনার কৃতিত্ব ছিল তারই।... পরে ১১ আগস্ট ১৯৪৭ সালে হিন্দু-মুসলমানদের উত্তাল ক্রন্দন-কোলাহলের মধ্যে স্থায়ীভাবে ভারতবর্ষ ত্যাগ করার চতুর্থ দিনে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্যদের সামনে জিন্নাহ... বলেছিলেন, ‘আপনারা স্বাধীন। এই পাকিস্তান রাষ্ট্রে আপনাদের ইচ্ছামতো মন্দির-মসজিদ অথবা অপর যেকোনো উপাসনাস্থলে যাওয়ার অধিকার আপনাদের আছে। আপনাদের ধর্ম, জাতি ও সম্প্রদায় যাই হোক না কেন, তার সাথে এই মূল নীতির কোনো সম্পর্ক নেই যে, আমরা একই রাষ্ট্রের অধিবাসী।
আমার মতে, এই নীতিকে আমাদের আদর্শরূপে সদা জাগরুক রাখতে হবে। তা হলে আপনারা দেখবেন যে, হিন্দুরা আর হিন্দু এবং মুসলমানেরা আর মুসলমান থাকবে না- ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে নয়, কারণ সেটা হলো প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের প্রশ্ন। এটা হলো রাজনৈতিক অর্থে, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে।’... জিন্নার বক্তৃতার ওই অংশ আমি অন্তত যেসব বহুল প্রচারিত জাতীয়তাবাদী সংবাদপত্র পড়তাম, তাতে প্রকাশিত হয়নি। আর তা হলেও আমার নজরে পড়েনি। তাই হাসু কেবল রমানীর রচনায় ওই উদ্ধৃতি পড়ে চমকিত হলাম। এ তো কোনো সাম্প্রদায়িকতাবাদীর উক্তি হতে পারে না (শৈলেশকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, জিন্নাহ-পাকিস্তান/নতুন ভাবনা, ১৯৮৯, পৃষ্ঠা ১-২)।
যা হোক, কাশ্মিরের প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারত বিভক্ত না হলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানেরও জন্ম হতো না। (ভারতীয় রাজনীতিকেরা) মুসলিম ও শিখদের সংখ্যালঘু হিসেবে কখনোই মেনে নিতে পারেননি। জিন্নাহ কখনোই দেশ ভাগের পক্ষে ছিলেন না। ভারতকে বিভক্ত করতে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব উঠেছিল। কমিশন সেই সময় জানায়, তারা সংখ্যালঘু ও শিখদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেবে। মুসলিমদের জন্য বিশেষ প্রতিনিধিত্ব রাখবে, কিন্তু দেশ ভাগ করবে না। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতিকেরা মুসলমান ও শিখদের জন্য সংখ্যালঘু কমিশন চাননি। জিন্নাহ এতে রাজি হলেও জওয়াহেরলাল নেহরু, মাওলানা আজাদ ও সরদার প্যাটেল দ্বিমত পোষণ করেন। যখন এটি ঘটল না, তখন জিন্নাহ পাকিস্তানের দাবি তুললেন। না হলে কোনো বিভক্তি ঘটত না। তা হলে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের জন্ম হতো না। এক ভারত থাকত। তাই জিন্নাহ নয়, নেহরুর কারণেই দেশ ভাগ ঘটেছিল। (সূত্র : ফেসবুক ০৪ মার্চ ২০১৮)।
দেশ ভাগ ও ভারতে তার জের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ভারতের এককালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী যশোবন্ত সিং লিখেছেন, ‘প্রথমে দু’টি ভাগ এবং পরে পাকিস্তান বাংলাদেশে ভেঙে যাওয়ায়, তিনটি ভাগে উপমহাদেশে বিভাজনের জের চলতে থাকে। অচিরেই বিভাজিত দেশগুলো বিভাজনের আবশ্যকতা নিয়ে পুনর্বিবেচনা শুরু করে দেয়। দেশ ভাগের অন্যতম প্রধান কারিগর, বস্তুত ওই বিভাজনের খসড়া-রচনাকারী নেহরু অচিরেই নিজের ভাবনা ও কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন’ (যশোবন্ত সিং, জিন্নাহ ভারত দেশ ভাগ স্বাধীনতা, ২০১৬, পৃষ্ঠা ৪৩০-৪৩১)।
জম্মু-কাশ্মিরের স্বাধীনতার প্রশ্ন, ফারুক আবদুল্লাহর মতে, ‘তিন পারমাণবিক ক্ষমতাধর ভারত, চীন ও পাকিস্তান এই (জম্মু-কাশ্মির) উপত্যকার পাশে অবস্থান করায় স্বাধীন কাশ্মিরের আলোচনা নিরর্থক (সূত্র : ফেসবুক ০৪ মার্চ ২০১৮)। যা হোক, বিগত সত্তরোর্ধ্ব বছর ধরে জম্মু-কাশ্মির উপত্যকার স্বাধীনতাকামী জনগণ ভারতীয় বাহিনীর হাতে অমানুষিক নির্যাতন ভোগ করে আসছে। তাদের জন্য স্বাধীনতা অবিলম্বে জরুরি বলেই শান্তিকামী বিশ্ব মনে করে।
লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কাডার।
লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কাডার।
No comments:
Post a Comment