Sunday 6 November 2016

বাংলাদেশে প্রকৃত সংখ্যালঘু কারা?


বাংলাদেশে প্রকৃত সংখ্যালঘু কারা?
বদরুদ্দীন উমর
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০১৬, দৈনিক যুগান্তর ।


বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও তাদের পিতৃসংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) জন্য খুব বেশি দরকার। চরমপন্থী সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে ভারতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী রাখার জন্যই এটা তাদের দরকার। কাজেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা বলতে যা বোঝায় সেটা না থাকলেও সেই পরিস্থিতি তৈরির জন্য বিজেপি বেশ পরিকল্পিতভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একটি সংবাদপত্র রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে (প্রথম আলো, ০১.০৬.২০১৬), বাংলাদেশ সফরে আসা বিজেপির একটি প্রতিনিধি দলের নেতা বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য অরুণ হালদার বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে বহু হিন্দু তাদের বলেছেন যে দেশটিতে তারা এখন নিরাপদ বোধ করছেন না। বাংলাদেশে হিন্দুদের মনোবলে চিড় ধরেছে, সেটি ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশী হিন্দুদের এই মনোভাব তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও তুলে ধরবেন।’ এছাড়া অরুণ হালদার আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে হিন্দুধর্মাবলম্বী একজন প্রধান শিক্ষককে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন খবরাখবর আসে নির্যাতনের। সেগুলো শুনেও ভাবতাম যে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটছে। কিন্তু এখন হাজার হাজার মানুষ এ জিনিসটাই বলছে।’

বিজেপির প্রতিনিধি দলের এসব কথাবার্তা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক এতে সন্দেহ নেই। কারণ বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত লোকদের ওপর এ ধরনের কোনো নির্যাতন বাস্তবত নেই। দেশে সাধারণভাবে যে নৈরাজ্য এবং আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে, তাতে সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানুষকে নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদের নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে, অনেকে আওয়ামী লীগ ও তাদের সরকারি লোকদের দ্বারা অপহৃত ও নিহত হচ্ছেন। এদের মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যাটি সব থেকে বেশি, কারণ দেশে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে তারাই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু হিন্দুরা বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি অংশ, শতকরা নয়-দশ ভাগের মতো। কাজেই সাধারণভাবে দেশে সরকারি ও বেসরকারি ক্রিমিনালদের দ্বারা মানুষের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, তার দ্বারা জনগণের অংশ হিসেবে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এটাও বলা দরকার যে, হিন্দুদের জনসংখ্যার তুলনায় এ সংখ্যা অল্প। কিন্তু এক্ষেত্রে যা লক্ষ করার বিষয় তা হচ্ছে, মুসলমানরা অনেক অধিক সংখ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, এমনকি নিহত হলেও কেউ বলে না যে, মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বা সাম্প্রদায়িকভাবে মুসলমানদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। কিন্তু কোনো হিন্দু এভাবে নির্যাতনের শিকার হলেই কিছু লোক সমস্বরে বলতে থাকে, ‘হিন্দুদের’ ওপর নির্যাতন হচ্ছে! কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই নির্যাতন হিন্দু বলে হচ্ছে না। যারা অন্যদের জমি দখল করছে, ঘরবাড়ি লুটপাট করছে, মানুষের ওপর নির্যাতন করছে- তারা চোর, ডাকাত, অপহরণকারী ক্রিমিনাল- কোনো সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতকারী নয়। তাদের এই আক্রমণের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা বা বিশেষভাবে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের কোনো ব্যাপার নেই। কিন্তু বাংলাদেশে ভারতের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে সম্পর্কিত হাতেগোনা কিছু লোক এবং আওয়ামী লীগের একজন নেতৃস্থানীয় হিন্দু নেতার মতো চরম সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিরাই এ ধরনের কথাবার্তা বলছেন। মাদারীপুরে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সত্যিই যদি বিজেপি নেতা অরুণ হালদার হিন্দুদের উপরোক্ত বক্তব্য শুনে থাকেন তাহলে তারা হল সেই আওয়ামী লীগ নেতার মতোই সাম্প্রদায়িক হিন্দু। এদেশের সাধারণ হিন্দু নয়। সেক্ষেত্রে ‘হাজার হাজার’ হিন্দুর থেকে এ ধরনের কথাবার্তা শোনার কোনো সুযোগও তার ছিল না। এসব হল পরিকল্পিত ও মিথ্যা সাম্প্রদায়িক প্রচারণা, যে কাজ করাতে বিজেপি সিদ্ধহস্ত।

বিজেপি বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই নানাভাবে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতায় উসকানি দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের এককালীন বিজেপি সভাপতি তথাগত রায় (বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে ত্রিপুরার রাজ্যপাল) বাংলাদেশে এসে ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ কয়েক জায়গায় সভা-সমিতি করেন। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের এক সভায় আওয়ামী লীগের অন্যতম বড় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বিজেপি কোনো সাম্প্রদায়িক দল নয়! তারা কৌশলগত কারণেই সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলে থাকে!! এর থেকে দুরভিসন্ধিমূলক সাম্প্রদায়িক বক্তব্য আর কী হতে পারে? একথা বলছেন এমন এক ব্যক্তি যিনি আওয়ামী লীগের পরম আশ্রিত, বহু সম্পত্তি ও ধনদৌলতের মালিক এবং রেলওয়ের তহবিল চুরি কেলেংকারির প্রধান নায়ক!! প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাধারণ হিন্দুরা নয়, এ ধরনের দুর্নীতিবাজ হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত লোকই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

বিজেপি নেতা অরুণ হালদার একজন ‘হিন্দু’ হেডমাস্টারকে কান ধরে ওঠবস করার বিষয় উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ‘হিন্দু’ হিসেবে তাকে দিয়ে এ কাজ করানো হয়নি। এ ধরনের কাজ অনেক মুসলমানকে দিয়েও দুর্বৃত্তরা করছে। এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু একে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়ে মিথ্যাচার করলেও এর চেয়ে বড় যে অন্যায় তিনি করেছেন সেটা হল, এই ‘হিন্দু’ হেডমাস্টারের অবমাননার পর দেশজুড়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক বিক্ষোভ, জনসভা, মিছিল ইত্যাদির কথা সম্পূর্ণ চেপে গিয়েছেন!!! এই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগই হচ্ছে মুসলমান!

প্রথমেই বলেছি, বাংলাদেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা জোরদার হচ্ছে- এটা প্রচার করা ভারতের ক্ষমতাসীন চরম সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির জন্য প্রয়োজন নিজেদের সাম্প্রদায়িকতাকে ভারতের জনগণের কাছে যুক্তিযুক্ত করার উদ্দেশ্যে। এজন্য তারা সর্বপ্রকারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আসলে তাদের নতুন সরকার ও তাদের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের রাজ্যের সীমানা তারা দেয়াল বা কাঁটাতার দিয়ে একেবারে বন্ধ করে দেবেন। এটা যে কোনো বন্ধুসুলভ ও অসাম্প্রদায়িক কাজ নয় তা বলাই বাহুল্য। শুধু এটাই নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সরকার যে আচরণ সর্বক্ষেত্রে করে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ তা মেনে নিচ্ছে, তাতে এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, বাংলাদেশ হল ভারতের বন্ধুরাষ্ট্র, যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

এবার আসা যেতে পারে সংখ্যালঘু বিষয়ক অন্য প্রসঙ্গে। বাংলাদেশে শুধু ধর্মীয় সংখ্যালঘুই নেই। আছে জাতিগত ও ভাষাগত সংখ্যালঘু। কিন্তু সংখ্যালঘু বলতে এখন শুধু হিন্দুদেরই বোঝানো হয়ে থাকে। সংখ্যালঘু সমস্যা বলতে শুধু বোঝায় হিন্দুধর্ম সম্প্রদায়ভুক্ত লোকদের সমস্যা। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশে প্রথম থেকেই এক ধরনের উগ্র জাতীয়তাবাদীদের প্রাধান্য। এই উগ্র জাতীয়তাবাদ হচ্ছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদী অবস্থান থেকেই শেখ মুজিব ১৯৭২ সালে চাকমা নেতা সংসদ সদস্য মানবেন্দ্র লারমাকে বলেছিলেন, জাতীয় সংখ্যালঘু বলে বাংলাদেশে কিছু নেই। কাজেই তাদের বিশেষ অধিকারের কোনো প্রশ্ন নেই! শুধু তাই নয়, তিনি তাদের বলেছিলেন বাঙালি হয়ে যেতে!! শেখ মুজিব চাকমা ইত্যাদি জাতিগত সংখ্যালঘুদের যেভাবে বাঙালি হয়ে যেতে বলেছিলেন তার অর্থ বাংলাদেশে বাঙালিরই একক রাজত্ব। এবং হিন্দুরা এই বাংলাদেশীদেরই অংশ। হিন্দুরা ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু হলেও জাতিগতভাবে সংখ্যাগুরু। কাজেই যে বাঙালিরা বাংলাদেশে শাসন ক্ষমতায় রয়েছে তাদের মধ্যে বাঙালি হিন্দুরাও আছে। এটা মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশে মুসলমানদের শাসন বলে যদি কিছু থাকে তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল বাঙালিদের শাসন। এদিক দিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তারা সবাই পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতি এবং সাঁওতাল, গারো, হাজং, রাখাইন ইত্যাদি জাতিগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থবিরোধী। এরা সবাই নিজেদের সুযোগ-সুবিধা এবং ব্যবস্থা অনুযায়ী এসব জাতিগত সংখ্যালঘু এবং উর্দুভাষী অবাঙালি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনকারী। আজ পর্যন্ত তারা এদের কারও প্রতি বন্ধুসুলভ আচরণ করেনি। তাদের সুযোগ-সুবিধার দিকে তাকায়নি। উপরন্তু সংখ্যালঘু হিসেবে তাদের ওপর বাংলাদেশের সর্বত্র যে শোষণ-নির্যাতন চলে সে শোষণ-নির্যাতন ধর্ম নির্বিশেষে হিন্দু-মুসলমান বাঙালিরা একত্রেই করে থাকে। এদিক দিয়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যে হিন্দুদের বিশেষ অবস্থান আছে। শ্রেণীবিভক্ত সমাজে যে কোনো সংখ্যালঘুর যেমন কিছু অসুবিধা থাকে, বাংলাদেশের হিন্দুদেরও তা আছে, যদিও তার গুরুত্ব বিশেষ নেই। কারণ তারা একদিকে সংখ্যালঘু আবার অন্যদিকে জাতিগত সংখ্যাগুরু হিসেবে বাঙালি শাসকশ্রেণীর অংশ। যারা বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক নির্যাতন নিয়ে উচ্চকণ্ঠ প্রচার করেন তাদের এসব বিষয়ে খেয়াল করা দরকার হলেও সে খেয়াল তারা করেন না। কারণ তাদের খুঁটি যেখানে বাঁধা আছে সেখানে এ বিষয়ে ঔদাসীন্য ও নীরবতাই তাদের স্বার্থের পক্ষে অনুকূল।

বাংলাদেশে সাঁওতাল, গারো, হাজং, রাখাইন, উর্দুভাষী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ইত্যাদি জাতিগত সংখ্যালঘুর ওপর যে অবর্ণনীয় নির্যাতন হয়, তার কথা সংবাদপত্রে বা টেলিভিশনে বিশেষ পাওয়া যায় না। অথচ নীরবে তাদের ওপর নির্যাতনের শেষ থাকে না। জমি-ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ, হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত নিয়মিত হচ্ছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে বিশেষ কোনো উচ্চবাচ্য নেই। এর অন্যতম প্রধান কারণ তারা অবাঙালি এবং তুলনায় অনেক গরিব। এছাড়া হিন্দুদের বিরুদ্ধে সামান্য কিছু হলেও যেমন তা নিয়ে ভারতের মতো পার্শ্ববর্তী শক্তিশালী রাষ্ট্রে উত্তাপ সৃষ্টি ও প্রচারণা হয়, সেখান থেকে বাংলাদেশ সরকারকে হুমকি দেয়া হয়, সে রকম কিছু জাতিগত ও ভাষাগত সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে হয় না। করণ তাদের পক্ষে দাঁড়ানোর মতো কোনো বাইরের রাষ্ট্র নেই। কিছুদিন আগে মিরপুরে বিহারিদের একটি শরণার্থী শিবিরে স্থানীয় এমপি ও পুলিশের উপস্থিতিতে বস্তি উচ্ছেদ অভিযানের সময় দশজনকে একঘরে বদ্ধ রেখে পুড়িয়ে মারা হলেও তার কোনো মামলা নিতে স্থানীয় পল্লবী থানা রাজি হয়নি। তার কোনো প্রতিকারও আজ পর্যন্ত হয়নি। কোনো হিন্দুবাড়ি এভাবে আক্রান্ত হলে এবং দশজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারলে ভারতজুড়ে তার কী প্রতিক্রিয়া হতো এটা বলাই বাহুল্য।

বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা শতকরা ৯/১০-এর কাছাকাছি। কিন্তু তাদের চাকরি শতকরা ৯/১০ ভাগের থেকে কম নয়। কিছু বেশিই হবে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের এই হিন্দুরা সরকারি ও বেসরকারি অনেক উচ্চপদে অধিষ্ঠিত। গান, নাচ, নাটক, সিনেমা, সাহিত্য, প্রচারমাধ্যম, রাজনীতি ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে হিন্দুদের অবস্থান উল্লেখযোগ্য। সমাজে সব ক্ষেত্রে তাদের অবস্থা সম্মানজনক। অন্য জাতিগত ও ভাষাগত সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে এটা দেখা যায় না বললেই হয়। অথচ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে বোঝায় শুধু হিন্দুদের এবং সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে নির্যাতন বলতে বোঝায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতন! এর থেকে সত্যের বড় অপলাপ আর কী হতে পারে? এই অসত্য ও মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আজ স্পষ্টভাবে প্রকৃত সংখ্যালঘু সমস্যাকে সামনে আনা দরকার, যে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুরা নয়। তারা হলেন জাতিগত ও ভাষাগত সংখ্যালঘু, বিশেষত সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা জাতিগত সংখ্যালঘু সাঁওতাল, গারো, রাখাইন, হাজং এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৩টি জাতিসহ বাংলাদেশের প্রায় ৪৫টি সংখ্যালঘু অবাঙালি জাতি।

০৪.০৬.২০১৬

বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

No comments:

Post a Comment