Thursday 28 January 2016

সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে লন্ডনে প্রতিবাদ সমাবেশ বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে মাহমুদুর রহমানকে মুক্ত করে আনবো।

সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে লন্ডনে প্রতিবাদ সমাবেশ 
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে মাহমুদুর রহমানকে মুক্ত করে আনবো। 

মুহাম্মদ নূরে আলম বরষণ লন্ডন থেকে:

জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান সময়ের সাহসী সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে লন্ডনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, 
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে দেশপ্রেমিক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে মুক্ত করে আনবো। বাংলাদেশে সংবাদপত্রের কোনো স্বাধীনতার আজ নেই। সাংবাদিকরা প্রতিদিন কোনো না কোনো ভাবে অবৈধ অনির্বাচিত সরকারের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । 

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের " লন্ডন স্কুল অফ কমার্স এন্ড আইটি কলেজের" সেমিনার হলে "মাহমুদুর রহমান মুক্তি আন্দোলন ইউকের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন । 
বিশিষ্ট সাংবাদিক কলামিষ্ট অলিউল্লাহ নোমানের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন মাহমুদুর রহমান মুক্তি আন্দোলন ইউকের আহ্বায়ক কে এম আবু তাহের। 

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, রাষ্ট্রপতির সাবেক সচিব মুখলেছুর রহমান চৌধুরী, ব্যারিস্টার নাজির আহমদ, ইউকে বিএনপির উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম, টাওয়ার হেমলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র ওয়াহিদ আহমেদ, ড. মুজিবুর রহমান,সৈয়দ নুর বক্স, সাংবাদিক মাহবুব খানসু, সাংবাদিক নূরে আলম সূফি বরষণ, মানবাধিকার কর্মী রায়হান শরীফ শাব্বির, সাংবাদিক জুবায়ের আহমেদ, এডভোকেট তানজিল আল ওয়াহাব, সিরাজুল ইসলাম শাহীন, মাওলানা রফিক আহমেদ , সৈয়দ তারেক প্রমুখ। 

ড. কামরুল হাসান বলেন, বর্তমান সরকারের আতঙ্কের নাম সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান। তাই দেশপ্রেমিক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে এই অনির্বাচিত জালিম সরকার মুক্তি দিবে না। আমরা বাংলাদেশে নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মাহমুদুর রহমানকে মুক্ত করে আনবো। বর্তমান অবৈধ আওয়ামী সরকারের নির্যাতনের ভয়ে মাহমুদুর রহমানের মতো প্রতিবাদী মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে । এইভাবে চলতে থাকলে জাতির জন্য ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, সংবাদপত্র ও মানুষের বাকস্বাধীনতা জন্য আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। 

সাবেক সচিব মুখলেছুর রহমান চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ বাকশালীদের নাম, আওয়ামীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের শত্রু, দেশের উন্নয়নের শত্রু, আওয়ামীরা ক্ষমতায় থাকলে জনগণ ভোটের অধিকার হারায়। জনগণ অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা। যুগে যুগে আওয়ামী লীগ অবৈধ সামরিক সরকারকে সমর্থন দিয়েছে বা দেশে সামরিক শাসনের পথ সুগম করে দিয়েছে । আজ সারা বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিণত করেছে এই অবৈধ আওয়ামী সরকার । প্রতিদিন গুম খুনের শিকার হচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ । 

ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন, বাংলাদেশের গণ মানুষের প্রিয় সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মতো আর কোনো সাংবাদিক এতো জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়নি । সরকারের আতঙ্ক আর এক সাংবাদিক শওকত মাহমুদ কারাগারে বন্দি অবস্থায় অবৈধ সরকারের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । বাংলাদেশে আজ আর মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। 

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের রক্ষার কবজ দৈনিক আমারদেশ পত্রিকাকে বন্ধ করে দিয়েছে র্তমান অনির্বাচিত সরকার । এই পত্রিকার তিনজন সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান, মাহবুবুর রহমান, মাহবুব খানসু সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে লন্ডনে চলে আসেন । এছাড়া এই পত্রিকার কয়েক'শ সাংবাদিক আজ বে'কর অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। 

বক্তারা আরও বলেন, সরকার দেশে একমুখী মিডিয়া সৃষ্টি করেছে যারা শুধুমাত্র সরকারের প্রশংসায় ব্যস্ত । যেসব মিডিয়া সরকারের সমালোচনা করে এইসব মিডিয়া ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে । সরকার দিগন্ত টিভি ইসলামিক টিভি চ্যানেল ওয়ান জোর করে বন্ধ করে রেখেছে ।একুশে টিভি জোর করে সরকার দখল নিয়েছে । দৈনিক আমারদেশ পত্রিকা বন্ধ করে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে বিনা বিচারে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে জেলে বন্দি করে রেখেছে । দৈনিক সংগ্রাম ও দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপনসহ সব ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়ে এইদুটি পত্রিকাকে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা করছে। 


Monday 25 January 2016

সাড়া জাগানো কালজয়ী বাংলা গানের রিমিক্স 'তুমি কি দেখেছো কভু’ আসছে বিশ্বব্যাপী অনলাইনে ।


সূফি বরষণ
গান মানুষের প্রাণের কথা বলে হৃদয়ে প্রশান্তি জাগায় তাইতো মানুষ নিজের অজান্তেই গুন গুন করে গান গেয়ে উঠে আর জীবনমুখী গান মানুষকে করে তুলে আরও বেশি উদ্ভাসিত জীবনমুখী গানের ধাক্কায় আমাদের প্রচলিত গানের কাছে প্রত্যাশা বদলে গেলো, প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন ব্যান্ড আর তাদের গান নিয়ে বাজারে আসছে অনেক এলবাম, তবে সেটার প্রভাব শ্রোতাদের মানসিকতাকে তেমন পরিবর্তন করেনি সম্ভবত আমাদের তারুণ্যে বাংলা গানের ধারাবাহিকতা বদলে দিতে এলো বর্তমান সময়ের শিল্পী শরীফ বাংলা ফোক গানের তীর্থভূমি কুষ্টিয়ার ছেলে শরীফ সেই প্রত্যাশা পূর্ণ করতেই গানের জগতে তাঁর আগমন প্রতিভাবান শিল্পী শরিফের কন্ঠে শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছে কালজয়ি গানতুমি কি দেখেছো কভুএর রিমিক্স গানটির মিউজিকে ছিলেন যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক গ্যারেথ রেডফার্ণ গানটির মিডিয়া পার্টনার হয়েছে সাড়া জাগানো অনলাইন প্রজন্ম টিভি গানের সিনেমেটোগ্রাফি করেছেন বিখ্যাত তরুণ পরিচালক আসিফ ইসলাম
মূলত নতুন প্রজন্মের কাছে কালজয়ী এই বাংলা গানটি জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্য নিয়েই এই গানের কাজ শুরু হয় গানটির রেকেডিং হয় লন্ডনে শরীফের ' রিমিক্স কালজয়ী গানতুমি কি দেখেছো কভুএক ধাক্কায় অনেকের ভাবনাকে বদলে দিয়েছে গান নিয়ে কাজ করতে চাওয়া অনেকের ভাবনাকে তীব্র ধাক্কা দিয়েছে নতুন বাংলা গানের বাজারটা দখল করে নিয়েছে অনেকটা শিল্পী শরীফ
বাংলাদেশে শরীফ অনেক কনসার্টে গান গেয়ে দর্শক মাতিয়ে ছিলেন - বিলেতের মাটিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি কৃষ্টি বাংলা ভাষা বাংলা গান এখনকার নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্যই শরীফের মতো শিল্পীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে বিলেতে এখনও বাংলা গানের অসংখ্য শ্রোতা আছে যারা মনে প্রাণে বাংলা গান ভালোবাসেন বাংলা গানের ইতিহাসে আগে যা কখনও হয়নি এমন একটা কিছু করে দেখাতে হবে এই চিন্তা থেকেই এই নতুন রিমিক্স কালজয়ী গানতুমি কি দেখেছো কভু গানের দর্শণকে বদলে দিতে হবে, বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে সুর নিয়ে, এভাবেই বাংলা গানের সুরের ধারাটাও বদলে যাবে সেই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে চলা শুরু কিছু তরুণ মেধাবী যুবকের , আর সেই কাজে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক গ্যারেথ রেডফার্ণ গানটা শুনে যেনো মনে হবে আপনার জীবনকে নতুন করে উদ্ভাসিত করছে, যেন হৃদয়ে কোনো নতুন সুখের সুর বাজচ্ছে
অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটে গেলো জীবনে- শরীফও হুট করে চলে আসলেন বিলেতে কিন্তু গান পাগল শরীফ গান ছাড়া বাঁচে কি করে, তাই আবারও শুরু করলেন বাংলা গানকে নতুন করে বিলেতের মাটিতে জনপ্রিয় করার সংগ্রাম এক সময় এই গানের পিছনের কলাকৌশলীরা ঠিক করেছিল প্রথম এলবামটা প্রকাশিত হওয়ার পর, আর অন্য একটা এক্সপেরিমেন্টাল এলবাম করবে, সেখানে থাকবে সমাজে আমাদের বেড়ে ওঠার গল্প- আমরা খুব অদ্ভুত একটা সময়ে বেড়ে উঠেছি, বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির সবচেয়ে দুঃসময় মুহূর্ত এবং আমাদের আদর্শিক বিচ্যুতির ভেতর দিয়ে আমাদের বেড়ে ওঠা সে সময়ে যখন আমরা লালনের গানে মগ্ন- গীটারে একতারার সুর তোলার চেষ্টা করছি সে সময়েই শান্তি নিকেতনে বসে বুনো-আনুশেহ-অর্নব বাংলা লোকগান নিয়ে কাজ করার চিন্তা করছিলেন

অনুরূপ একটি চিন্তাভাবনা থেকেই বাংলা গানকে বিলেতের মাটিতে জনপ্রিয় করার জন্য কাজ করছে একদল সঙ্গীত প্রিয় সাহসী তরুণ বাংলা ব্যান্ডের জনপ্রিয়তার পর লোকগীতি পরলোকগমন করেছে এখন কেউ কিছু না পারলে লালন হাসনরাজা আব্দুল করিম রাধারমণকে ইলেক্ট্রিক গীটার দিয়ে তুলোধুনা করে পোস্ট মর্ডানিজম এক অর্থে পুনরায় শেকড়ে ফিরে আসা, যেহেতু শেষ পর্যন্ত শিল্প একটা পণ্য- লোকগীতির গ্রহনযোগ্য ক্রেতা বাজারে কয়েক কোটি, শহুরে কয়েকজন মানুষের জন্য ধুমধারাক্কা ব্যান্ড সঙ্গীত না করে নতুন সুরে লোক গীতি গাইলে লোকগীতির বাজারটা ধরা যাবে এরই ধারাবাহিকতায় আবারও নতুন করে চেষ্টা শুরু করছে একদল তরুণ পুরনো দিনের জনপ্রিয় বাংলা গানের রিমিক্স তৈরীর মাধ্যমে তাদের চেষ্টা প্রথমেই আলোর মুখ দেখতে পেয়েছে অনলাইন হাজার হাজার শ্রোতা ইতিমধ্যে এই গানটা শুনে ফেলেছেন আর কিছু দিনের মধ্যেই শ্রোতার সংখ্যা হাজার থেকে কোটিতে পৌঁছবে

বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় আলোচিত কন্ঠশিল্পী সংগীত পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম শিল্পী শরীফ বিগত কয়েক বছর ধরে একাধিক জনপ্রিয় শ্রোতাপ্রিয় গানের সুর সঙ্গীত স্রষ্টা এই তরুণ এই এলবাম সম্পর্কে শিল্পীর শরীফের বললেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই গানের চর্চা করি গান ভালবাসি মঞ্চে অভিনয় এবং গানদুটোই একসাথে শুরু করি সেই বছর বয়স থেকে আমার কাছে সব সময় জীবনমুখী গান, পল্লীগীতি, নজরুল গীতি এবং ফোক গান ভালো লাগে
আজকাল গানের বাজারে / জন শিল্পী ছাড়া সবাইতুমি আমার/ আমি তোমারধাচেঁর গান গায় এরকম তুমি/আমি গানে ডুবে গেছে আমাদের সংঙ্গীতাঙ্গন আর এসবের ভীরে আমাদের পুরোনো দিনের কালজয়ী গানগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে কেউ তুলে ধরছে নাএই গানগুলোকে জনপ্রিয় করতে আমাদের পুরনো কালজয়ী গান থেকে বেছে কিছু গানের রিমিক্স করার উদ্যোগ নিয়েছি মূল সুর ঠিক রেখে আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে পুরনো গানকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার অঙ্গীকার নিয়েই আমার এই পথচলা আর তুমি কি দেখেছো কভূ গানটির মূল গায়ক ছিলেন আব্দুল জব্বার.